Farabi Shafiur Rahman অষ্ট্রেলিয়ান - TopicsExpress



          

Farabi Shafiur Rahman অষ্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার টিম বলটনিকফ মাত্র ১ মাস আগে ১২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার মাদ্রাসা পরিদর্শন করতে এসেছিলেন। সেই সময় লালখান বাজার মাদ্রাসার অভ্যন্তরে এই অষ্ট্রেলিয়া দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার টিম বলটনিকফের সাথে মুফতি এজহার, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর বৈঠক হয়েছিল। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক শেষে অষ্ট্রেলিয়ান ডেপুটি হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে কওমী মাদ্রাসায় কোন জংগী প্রশিক্ষন দেয়া হয় না। এমনকি অষ্ট্রেলিয়া সরকার বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের কে কম্পিউটার প্রযুক্তি শিক্ষা দিতেও আগ্রহী হয়েছিল। আচ্ছা আপনারা জানেন যে একজন Diplomatic/কূটনীতিক চাইলেই কোন জায়গায় যেতে পারেন না। একজন রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার কে প্রোটকল মেইনটেন করতে হয়। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী দূতাবাসের কোন কর্মকর্তা কোন জায়গায় যাওয়ার আগে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা গুলি আগেই ঐ জায়গাটা পরিদর্শন করে থাকে। গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই কোন দূতাবাসের কর্মকর্তা সেই জায়গায় যাওয়ার অনুমতি পান। যদি চট্টগ্রাম লালখান বাজার মাদ্রাসায় সত্যিই বোমা গ্রেনেড তৈরী করা হয় তাইলে মাত্র ১ মাস আগে কিভাবে অষ্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার লালখান বাজার মাদ্রাসায় ঢোকতে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা গুলির সবুজ সংকেত পেলেন ? নাকি সরকার যখন দেখল হেফাজতে ইসলামের নায্য দাবির প্রতি বিদেশীরাও সমর্থন দেয়া শুরু করেছে তখনই ক্বওমী মাদ্রাসা থেকে এই সাজানো গ্রেনেড উদ্ধারের নাটক মঞ্ছস্থ করল। আচ্ছা Laptop Ups বিস্ফোরনে মানুষ মারা যেতে পারে কিনা তা জানার জন্য আপনি Google এ Laptop Burst লিখে Search দেন। এরপর Google এর Search Result এ আপনি দেখতে পাবেন কানাডা, ইংল্যান্ডের বহু নাগরিক নিজ ঘরের ভিতর বা ল্যাবরেটরীতে কাজ করার সময় Laptop বিস্ফোরিত হয়ে মারা গেছে। হুমায়ন আহমেদ Sir এর বিভিন্ন আত্মজীবনী মূলক উপন্যাসেও বর্ণিত আছে যে আমেরিকার বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়েরল্যাবরেটরীতে প্রায়ই বৈদ্যুতিক কারনে বিভিন্ন দূর্ঘটনা ঘটে। আমেরিকা যাওয়ার দরকার নেই খোদ বাংলাদেশেই আজ থেকে ঠিক ১ বছর পূর্বে ২০১২ সালের ১২ অক্টোবরে আমাদের আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের আপন ভাগ্নে আহমেদ মাসুদ মিরপুরের নিজ বাসায় তার নিজের Laptop বিস্ফোরিত হয়ে মারা গিয়েছিল। আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাথে সাথে তার সেমিনার ফেলে নিজ ভাগ্নে মাসুদ কে দেখতে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ছুটে যান। এই ঘটনার পর ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেছিলেন যে Laptop বিস্ফোরন না অন্য কিছুর কারনে মাসুদের মৃত্যু তা তদন্ত করে দেখা হবে। পরবর্তীতে তদন্ত করার পর পুলিশ আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ভাগ্নে মাসুদের পোস্টমর্টেমে লিখেছিল Laptop বিস্ফোরনের কারনেই তার মূত্যু হয়েছিল। এই গত মাসে সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখে বুয়েট ছাত্রী সামিরা তার সিম্ফোনী W60 এর বিস্ফোরনে আহত হয়েছিল। এই বছরের জুলাই মাসেও হংকং এ Samsung Galaxy set বিস্ফোরিত হয়ে এক চায়না দম্পত্তির পুরা ঘর পুড়ে গিয়েছিল। টাটা কোম্পানী যখন তার ন্যানো গাড়ি বাজারজাত করে তখন প্রথমদিকে প্রায়ই ন্যানো গাড়ি চালানোর সময় তাতে আগুন ধরে যেত। Google এ একটু Search দিলেই এ Laptop UPS Mobile বিস্ফোরনে মানুষ জন আহত নিহত হওয়ার খবর প্রচুর পাওয়া যায়। আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলামের আপন ভাগ্নে Laptop বিস্ফোরনে মারা গেলে এটা হয় একটা স্বাভাবিক মৃত্যু, বুয়েট ছাত্রী সামিরা তার নিজ সিম্ফোনী মোবাইলের বিস্ফোরন দ্বারা আহত হলেও এটা একটা স্বাভাবিক দূর্ঘটনা আর কোন ক্বওমী মাদ্রাসার ভিতর Laptop UPS বিস্ফোরনে কোন মাদ্রাসার ছাত্র মারা গেলে বা আহত হলে তখন তা মিডিয়ায় হয়ে যায় গ্রেনেড বিস্ফোরন! আওয়ামী লীগ সরকার যদি এইভাবে বহির্বিশ্বে প্রচার করে যে দেশের ক্বওমী মাদ্রাসা গুলি জংগী তৈরীর কারখানা তাইলে বাংলাদেশে অতি শীঘ্র আমেরিকা জংগীবাদ দমন করার নামে তাদের দেশের মেরিন সেনা পাঠাবে। শেখ হাসিনা আসলে বহির্বিশ্বে "বাংলাদেশ ইরাক আফগানিস্তানের মত একটা জংগী রাষ্ট্র" এটা প্রচার করে বাংলাদেশে আমেরিকান মেরিন সেনা না ঢুকানো পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছে না। "বাংলাদেশ ইরাক আফগানিস্তানের মত একটা জংগী রাষ্ট্র হয়ে গেছে" বহির্বিশ্বে এই আত্মঘাতি প্রচার করার মাধ্যমে আজ আওয়ামী সরকার এই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিদেশীদের হাতে তুলে দেবার প্রচেষ্টায় নেমেছে। তাই ভবিষ্যতে বাংলাদেশীদের জন্য খুব বেদনাদায়ক একটা পরিণতি অপেক্ষা করছে .
Posted on: Wed, 09 Oct 2013 17:09:42 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015