আমেরিকার F-15 Eagle আর F-16 - TopicsExpress



          

আমেরিকার F-15 Eagle আর F-16 Falcon ফাইটার বিমান তো কমবেশি সবার পরিচিত। তো এসব যুদ্ধ বিমানগুলোর শরীরে High Strength nickel based alloy (known as Alloy Y) ব্যবহার করা হয় যা বিমানের ওজন কম রাখে, ফুয়েল efficiency বাড়ায় এবং উড়ার গতিও (high mach propulsion) বাড়িয়ে দেয়। তো British patent No. GB02110240 & FR-2517329 (June 3, 1983) Nickel Based alloy খানা বানিয়েছেন ছবির এই মহান মানুষটি। এবং হা। তিনি আমাদের দেশের এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক। তাঁর নাম আব্দুস সাত্তার খান তিনি একজন chemist এবং একটি দুটি না, ৪০ খানা alloy তিনি বানিয়েছেন যেগুলো গ্যাস টারবাইন বা জেট ইঞ্জিনের ব্লেডে ব্যবহার করা হয়। এসব alloy গুলোর বিভিন্ন গুণাবলীর মাঝে উল্লেখযোগ্য হল environmentally resistant coatings, protection from oxidation and/or corrosion, high temperature and wear resistance etc. তাঁর বানানো alloy খোদ স্পেস শ্যাটালে ব্যবহার করা হয়েছে। আচ্ছা, হবে নাই বা কেন?? তিনি চার দশক NASA তে aerospace researcher হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ফ্রান্সের নামকরা পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি Alstom আর সুইজারল্যান্ড সরকারের সাথেও কাজ করেছেন। ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের দ্রুত গতির ট্রেন আর বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস টারবাইনের ব্লেডের জন্য alloy তৈরি করেছেন যেগুলো বাণিজ্যিকভাবেও ব্যবসাসফল হয়েছে। তিনি জীবনদশায় নাসা, U.S air force, United Technology-এর বেশকিছু সম্মানসুচক পদক পেয়েছিলেন। তিনি ব্রিটেনের Royal Society of Chemistry- এর Chartered Scientist (Professional Scientist) ছিলেন। ১৯৮৬ সালে F-15 আর F-16 বিমানের জন্য তাঁর বানানো The Alloy Y কে ঘোষণা করা হয় 21st Century Materials for advanced aircraft engines বিমান আর মিসাইলের heat signature কমানো আর মিসাইলের প্রোপালসনের গতি বাড়ানোর জন্য অবদান রাখায় United technology তাঁকে দিয়েছে বিশেষ সম্মাননা। তিনি ১৯৪১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নে লেখাপড়া করে প্রভাষক হন। এরপর যান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। পি,এইচ,ডি করেন রসায়নে। শেষ জীবনে আমেরিকার Florida University এর Mechanical Engineering ডিপার্টমেন্টে প্রফেসর ছিলেন। Bangladeshi Association of Florida তিনি গড়ে তোলেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে যখন বন্যা হয়, তিনি তখন ৬১ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান তুলেছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
Posted on: Thu, 04 Sep 2014 17:47:02 +0000

Trending Topics




© 2015