পুরণের মা ছিলেন মানসিকভাবে অসুস্থ একজন মা। পুরণের বাবাও তার মায়ের কেয়ার নিতেন না। শৈশব থেকে পুরন বেড়ে উঠেছে একটা অসহনীয় পরিবেশে। ঘরে অশান্তি। আর ৮/১০ টা মেয়ের মতো সে মায়ের ভালোবাসা ঠিকভাবে পায়নি। তার কপালে জোটেনি বাবার স্নেহ। অসহ্য কষ্ট নিয়ে পুরন নামের মেয়েটি বড় হয়েছে। এরপর পুরণের জীবনে একটি পুরুষ এসেছিলো বন্ধু হিসেবে। পুরণ তাকেও ধরে রাখতে পারিনি। পুরণের দুখী স্বভাবের কারণে আরেকটি সম্পর্কও ভেঙ্গে গেছে। পুরণ যখন আমাদের কাছে আসে, তখন সে স্বামী নিয়ে সংসার করছে ঠিকই। কিন্তু তার মনে শান্তি নেই, শান্তি নেই তার ঘরেও। সে তার অসুস্থ মায়ের কথা স্বামীর কাছে গোপন করে গেছে। নিজের কষ্টকর অতীতের কোনো কথাই স্বামীকে বলেনি। নিজেকে লুকাতে গিয়ে পুরণ মিথ্যে কথা বলতো। ছোট মিথ্যে, বড় মিথ্যে, মাঝারি মিথ্যে। ফলাফল স্বামীর সাথে দূরত্ব। চেনা স্বামীর অচেনা হয়ে যাওয়া। আমরা পুরণের সব কথা মন দিয়ে শুনি। এবং পুরণকে আমরা বলি, আপনার সমাধান একটাই। আপনার এই কথাগুলো স্বামীকে শোনান। তাকে হৃদয় নার্সিং হোম শুনতে বলুন। তাতেই হবে। পুরণ দ্বিধায় ভোগে। এটা করা কি ঠিক হবে? আমরা অভয় দিই। ভয় নেই বন্ধু। নির্ভয়ে তাকে শুনতে বলুন, যদি ঠিক হবার হয়, তাহলে আসল কথা শুনেই ঠিক হয়ে যাবে। আপনার মিথ্যা কথায় সংসারে যে মেঘ জমেছে, একমাত্র স্বামীকে সব খুলে বললেই সেই মেঘ কেটে যাবে। পুরণের স্বামী আমাদের হৃদয় নার্সিং হোম শোনেন ... তার স্ত্রীর গল্পটি শোনেন আমাদের মাধ্যমেই ... তারপর ... তারা আসেন আমাদের চেম্বারে .... তারপর ... বাকি গল্প আজ রাত ১১.২০ মিনিটে...............
Posted on: Tue, 23 Jul 2013 15:55:38 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015