বাংলাদেশ হিন্দু বীর যুব - TopicsExpress



          

বাংলাদেশ হিন্দু বীর যুব সংঘ দয়া করে কেউ এড়িয়ে যাবেন না । ধৈর্য ধরে পড়ুন । ** হিন্দুদের গো-হত্যা ও ভক্ষণ নিষিদ্ধের ব্যাপারে ধর্মান্ধ মুসলমানদের অপপ্রচারের দাঁতভাঙা জবাব ** হিন্দুরা কেন গো-মাংস ভক্ষণ করে না এই বিষয় নিয়ে মুসলমানদের চুলাকানি অনেক দিনের। হিন্দুধর্মে গো হত্যা নিষিদ্ধ নয়, পূর্বে হিন্দুরা গো মাংস ভক্ষণ করত ইত্যাদি গাজাখুরি কথা বলে হিন্দুদের বিভ্রান্ত করতে ব্যস্ত ধর্মান্ধরা । চলুন প্রথমেই দেখা যাক আমাদের আদি ধর্মগ্রন্থ বেদে গো-হত্যা ও ভক্ষণের ব্যাপারে কি বলে, ১. Ghrtam duhaanaamaditimjanaayaagne maa himsiheeh (Yajurveda 13.49) Do not kill cows and bulls who always deserve to be protected. ২. Aare gohaa nrhaa vadho vo astu (Rigveda 7.56.) ঋগবেদে গোহত্যাকে মানুষ হত্যার সমকক্ষ বলা হয়েছে ও এর সাথে জড়িতদের শাস্তি দিতে বলা হয়েছে । ৩. Sooyavasaad bhagavatee hi bhooyaa atho vayam bhagvantah syaama Addhi trnamaghnye vishwadaaneem piba shuddhamudakamaacharantee (Rigveda 1.164.40 or Atharv 7.73.11 or Atharv 9.10.) The Aghnya cows – which are not to be killed under any circumstances– may keep themselves healthy by use of pure water and green grass, so that we may be endowed with virtues, knowledge and wealth. বেদে আঘ্ন্যা . অহি , ও অদিতি হচ্ছে গরুর সমপদ । আঘ্ন্যা মানে যাকে হত্যা করা উচিত নয় । অহি মানে যার গলা কাটা / জবাই করা উচিত নয় । অদিতি মানে যাকে টুকরো টুকরো করা উচিত নয় । (Source: Yaska the commentator on Nighantu ) এখানে স্পষ্ট বলা আছে, গো- হত্যা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । এখন অনেকে গাঁধার মতো বলবে, হত্যা করতে নিষেধ করেছে, খেতে তো নিষেধ করে না !!!!! যেখানে হত্যা করতেই নিষেধ করা হয়েছে সেখানে ভক্ষণ করার প্রশ্নই ওঠে না । এছাড়া আমরা জানি, শ্রীমদ্ভগবদগীতায় কেবল গরু নয় আমিষ খাবার গ্রহণই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যারা আমিষ খাবার গ্রহণ করে তাদের পিশাচের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে । আমরা জানি, আমিষ খাবার শরীরের জন্য যেটুকু উপকারী তার চেয়ে বহুগুণ ক্ষতিকর । এছাড়া নিরামিষ খাবার আমিষের চাহিদা পূরণে সক্ষম । বর্তমানে শুধু হিন্দু নয় অনেক বিধর্মীও কেবল নিরামিশ খাদ্য গ্রহণ করে থাকে এবং এর হার দিন দিন বেড়েই চলেছে । হিন্দুধর্মে যেমন গো হত্যা নিষিদ্ধ মুসলমানরা তেমনি বলে থাকে ইসলামে শুকরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ!! কিন্তু কেন নিষিদ্ধ ? এমন প্রশ্ন করলে ওরা হাত- পা ছোড়াছুড়ি করা ছাড়া কোনো পূর্ণাঙ্গ উত্তর দিতে পারে না। হিন্দুধর্মে গো হত্যা নিষিদ্ধ কারণ হিন্দুধর্মে গরুকে মাতৃতূল্য বলা হয়েছে। অনেক মুসলমানরা ব্যঙ্গ করে বলে, গরু তোমাদের আম্মা হলে কি বলদ তোমাদের আব্বা!! গাভী থেকে আমরা যে দুধ পাই তা মাতৃদুগ্ধের সমতূল্য । অন্য কোনো প্রাণী থেকে আমরা মায়ের দুধের মতো এতো উৎকৃষ্টমানের দুধ পায় না । তাই গরু অবশ্যই মাতৃতুল্য এছাড়া ষাড় লাঙ্গল টেনে আমাদের শস্য ফলাতে সাহায্য করে তাই ষাড়কে পিতৃতূল্য বললেও ভুল হবে না । এছাড়া আমরা জানি, গরু শ্রীকৃষ্ণের বাহন এবং ষাড় মহাদেবের বাহন তাই এই প্রাণীকে হনন করা হিন্দুদের জন্য নিষিদ্ধ ।. . . . . . . . এখন আপনি যদি মুসলমানদের প্রশ্নের বিপরীতে প্রশ্ন করেন, ইসলামে শুকর খাওয়া নিষিদ্ধ কেন তবে এরা মাতালের মতো উল্টাপাল্টা যুক্তি দেখতে থাকবে। এরা কেবল জানে শুকর খাওয়া নিষেধ। যদি প্রশ্ন করা হয়, কোরানে কোথায় নিষেধ করা হয়েছে ? তবে অনেকেই পালিয়ে বাঁচতে চায়বে আবার অনেকে ভূয়া রেফারেন্স দেখিয়ে হাস্যকর বুলি আওড়াবে । আমার প্রশ্ন হল শুকরও তো একটি তৃণভোজী প্রাণী । আপনারা সব প্রাণী খেতে পারেন কেবল শুকর কি দোষ করল ? অনেকে মূর্খের মতো বলবে শুকর ময়লা-আবর্জনা খায় ! আরে ভাই ওগুলো তো বন্য শুকর এমন তো বন্য গরুও আছে । গৃহপালিত শ্বেত শুকর তো কেবল তৃণ খায় তবে শ্বেত শুকর খেতে সমস্যা নেই নিশ্চয় ? এখন অনেকেই বলবেন, শুকর খেলে সোয়াইন ফ্লু হয় ! এই ভাইরাস কিছুদিন আগে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করছে কিন্তু মহাবিজ্ঞানী আল্লা ১৪০০ বৎসর আগেই এই ভাইরাসের কথা জানতেন!! এখন প্রশ্ন হইলো, আল্লা সোয়াইন ফ্লুর কথা জানতেন তবে কি বার্ড ফ্লুর কথা জানতেন না ??? এছাড়া আমরা জানি শুকরের মাংস ও গরুর মাংস অনেকটা এক জাতীয় | তাই শুকর খেলে যেসব রোগ হয় গরু খেলেও একই রোগ হয় । সুতরাং দেখা যাচ্ছে, হিন্দুদের গরু না খাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট কারণ থাকলেও মুসলমানদের শুকর না খাওয়ার ব্যাপারে কোনো কারণ নেই । এখন কিছু ছাগল এসে প্রশ্ন করবে গরুর দুধ খাও, মাংস খাও না আবার গরুর চামড়ার দিয়ে তৈরি জুতা পড়তে পারো ? এখন আসি গরুর মাংস খাই না কিন্তূ চামড়ার জুতা কেন পড়ি, চামড়ার তৈরী জুতা পরা আর জবাই করে মাংস খাওয়া দুই ভিন্ন জিনিস। একটা গরুর আয়ুষ্কাল ২০/২২ বছর, এর ভিতরে সে মারা যাবে, আর মরা গরুর চামড়া তুলে নিলে সে নিশ্চই আবার মারা যাবে না এবং কষ্টও পাবে না, সুতরাং চামড়ার তৈরী জিনিস পরা আর এর মাংস খাওয়া কখনো এক হতে পারে না, এবং চামড়ার তৈরী জুতা পরা ও দোষের কিছু না । আমরা কুমিরের মাংস কেউ খাই না কিন্তূ এর চামড়ার তৈরী জিনিস ব্যবহার করি যা খুবই ব্যয়বহুল । গরুর চামড়া অপবিত্র । অথচ গোচর্মের তৈরি মৃদঙ্গ বৈষ্ণবরা ব্যবহার করেন কেন ? উত্তর: বহু জিনিস অপবিত্র হলেও বেদ নির্ধারিত বিশেষ বিশেষ দ্রব্য পবিত্র বলেই গৃহীত হয়। যেমন, চামড়া অপবিত্র, কিন্তু হরিণের চর্মের আসন পবিত্র । অস্থি অপবিত্র, কিন্তু শঙ্খ পবিত্র। দাঁত অপবিত্র, কিন্তু হাতির দাঁত পবিত্র। মরা পাখির পালক অপবিত্র, কিন্তু ময়ূরের পাখা শুদ্ধ পবিত্র।বৃদ্ধ বা অসুস্থ হয়ে কোন গরু মারা গেলে বা কোন দূর্ঘটনায় নিহত গরুর চামড়া হাড়ের ব্যবহার বৈদিক যুগ থেকেই প্রচলিত । বৈদিক ঋষিরা পূর্ব থেকেই মৃত গরুর চামড়া নানা কাজ ব্যবহার করতো । তাই মৃত গরুর চামড়া দিয়ে বানানো জুতা শাস্ত্রবিরোধী নয় । যায় হোক, আমরা চাই যার যার ধর্ম সে সে পালন করুন । আমরা চায় না মুসলমানরা আমাদের ধর্মীয় নিয়োম- কানুনের ব্যাপারে নাক গলাক। আর নাক গলালে কিন্তু আপনারাই লজ্জা পাবেন । সর্বোচ্চ শেয়ার চাই । শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন
Posted on: Mon, 06 Oct 2014 12:19:33 +0000

Trending Topics




© 2015