আমি প্রথমেই সমস্ত বিদগ্ধ - TopicsExpress



          

আমি প্রথমেই সমস্ত বিদগ্ধ পাঠকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী--এই দীর্ঘ ও হয়তবা বিরক্তিকর তথ্য পরিবেশণের জন্য । তবে এই তথ্য সংগ্রহের জন্য আমাকে বাস্তবিকই অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে । বিদগ্ধ পাঠকদের কাছে অনুরোধ-তথ্যে কোন ত্রুটি থাকলে সেটা যদি উল্লেখ করেন-তাহলে তথ্য আরও সম্বৃদ্ধ হতে পারে------- হিন্দুশাস্ত্রে মনুসংহিতার একটি বিরাট প্রভাব আছে । মনু অর্থাৎ সত্যব্রত- তিনিই ছিলেন সর্বপ্রকার মানবকুলের রচয়িতা । তাঁর দ্বারাই সৃষ্ হয়েছিল ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য,শূদ্র ইত্যাদি বর্ণ । মনুর প্রধান ১০ সন্তান ছাড়াও আরও ৫০ সন্তান ছিলেন । মনুর প্রধান ১০ সন্তানের নাম-- ভেনা,ধৃষ্ণু,নরিসায়ন,নভাগ,ইক্সভাকু,কারুসা,সর্যতি,ইলা,পিসাদ্রু এবং নবগরিষ্ঠ । ... মনুর প্রতিটি অনুশাসনের নামছিল মন্বন্তর । মোট ১৪ টি মন্বন্তর অথবা কল্প ছিল । প্রতিটি মন্বন্তরে এক ইন্দ্র ও এক বিষ্ণু অবতার ছিলেন । চৌদ্দ মনর নাম--স্বয়ম্ভূ,স্বারসিকা,উত্তম,তমস,রৈভত,চাক্ষুস,শ্রদ্ধাদেব,সাবর্ণি,ধরমসাবর্ণি,রুদ্রসাবর্ণি,দেবসাবর্ণি এবং ইন্দ্রসাবর্ণি । এরমধ্যে বর্তমান পৃথিবী শ্রদ্ধাদেব মনুর সময়াধীন । প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই হিন্দু চিন্তাধারার যে মনন পাওয়া যায়- তার ফলশ্রুতি হিসাবে আমরা পেয়েছি-- বেদ । বেদের চারিটি অধ্যায়,- সামবেদ,যজুর্বেদ,ঋকবেদ এবং অথর্ববেদ । ... বেদ ব্রহ্মের দ্বারা কথিত- যার নাম শ্রুতি । ভগবান বেদব্যাস খৃষ্টপূর্ব ৩১০২ এরও পূর্বে এর লিখিত রূপ দিয়েছিলেন । বেদ ও পুরান ব্রহ্মা বলে গিয়েছিলেন ১৫৫৫২ অর্বুদ বৎসর পূর্বে । ... বেদ ছাড়াও রয়েছে উপবেদ,বেদান্ত,বেদাঙ্গ এবং পুরাণ(পঞ্চম বেদ) । উপনিষদ এবং ভাগবতম - বিষ্ণু বা কৃষ্ণের রচনা । স্মৃতি ও ইতিহাস- ভগবান বেদব্যাসের রচনা । জাকোবি এবং তিলক বলেন-ঋকবেদ লেখা হয়েছিল-৪৫০০-৪০০০ খৃষ্টপূর্বে । সামবেদ--(Wisdom of Chants)- সমণ ও chants এর সংকলন । মূলতঃ পুরোহিতদের মন্ত্রোচ্চারণের জন্য প্রস্তুত করা । যজুর্বেদ- (Wisdom of sacrifice)--একশ্রেনীর পুরোহিত(অদ্ভার্যু) এর জন্য মূলতঃ যজ্ঞার্থে প্রযুক্ত । ঋকবেদ- (Wisdom of Verses)- ১০২৮ টি Hymns, ১০৫৮৯ টি পদ্য, ১০ মন্ডল এবং ৩৩ দেবতার সমাহার । অথর্ববেদ- (Wisdom of Atharvans)- Hymn এর সংকলন । পারিবারিক আচার অনুস্ঠানে ব্যবহার ও প্রয়োগ করা হয় । ঊপনিষদ---(বেদান্ত)-(Conclusion of Vedas) ছাত্রেরা এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের গোপন রহস্যের বিষয়ে গুরুর কাছ থকে যে শিক্ষালাভ করতেন- তার বিস্তৃত লিখন লেখা হয়েছিল ৭ম থেকে ৫ম খৃষ্টপূর্বে । ঊপনিষদের ১৮ টি ধ্রুবক । ব্রধ আরণ্যক,চান্ডোগ্য,ঐতারেয়,তৈত্রিয়,ইসা,কেনা,কথা,প্রশ্ন,মুন্ডক,মান্ডুক্য,শ্বেতস্বতারা,কৌশিতাকি,মৈত্রী,সুবলা,জাবালা,পৈঙ্গালি,কৈবাল্য ও বজ্রসূচিকা । পুরাণকে বলা হয়-Essence of Vedas পুরাণে আছে পঞ্চচরিত্র-Symbolic illustration of Philosophical principles. ৭১ টি মন্বন্তর । পুরাণের প্রকারও ১৮ টি । --ব্রহ্ম,পদ্ম,বিষ্ণু,বায়ু,শিব,ভগবৎ,নারদ,মার্কণ্ডেয়,অগ্নি,স্কন্ধ,ভমন,কুর্ম,মৎস্য,ভবিষ্য,ব্রহ্ম কৈবর্ত,লিঙ্গ,বরাহ,গারুদা-এছাড়াও আছে-ব্রহ্মান্ড পুরাণ । এই ১৮ টির মধ্যে-৬ টি সাত্ত্বিক পুরাণ, যাতে আছে বিষ্ণুবন্দনা , ৬ টি রাজসিক পুরাণ-যাতে আছে ব্রহ্মবন্দনা এবং ৬ টি তামসিক পুরাণ-যাতে আছে শিব ও ব্যাসবন্দনা । -------রামায়ণের তথ্য- --রামায়ণ বাল্মিকী রচিত সংস্কৃত ধর্মগ্রন্থ । রামায়ণের অর্থ--(রাম+অয়ণ)=রামের পথযাত্রা । ২৪০০০ পদ্য, এবং ৫০০ কান্ডের সমাহার । প্রাথমিক মৌখিক রচনা হয় ৭৫০-৫০০ খৃষ্টপূর্বে । পরে ১১০০ খৃষ্টাব্দে সম্পূর্ণ রামায়ণ লেখা হয় । রামায়ণ হলো ত্রেতাযুগের কাহিনী । .....রামায়ণের সাতটি কান্ড- -১। বালকান্ড= রামের জন্ম, বাল্যবেলা ও বিবাহ । ২। অযোধ্যা কান্ড= রামের রাজাভিষেক ও বনবাস । ৩। অরণ্যকান্ড= রামের বনবাসকালীন ঘটনাবলী ও সীতাহরণ । ৪। কিষ্কিন্ধা কান্ড= হনুমান,সুগ্রীব ও বলির সাথে রামের পরিচয় । ৫। সুন্দর কান্ড= হনুমানের বীরত্ব । ৬। যুদ্ধকান্ড= রাম-রাবনের যুদ্ধ এবং সীতার উদ্ধার । ৭। উত্তর কান্ড= লব ও কুশের জন্ম , তাদের অভিষেক । পৃথিবী থেকে রামের বিদায় । .......................কোশালার রাজা দশরথের তিন রানী,-১। কৌশল্যার পুত্র রাম, রামের স্ত্রী জনকরাজের কন্যা-জানকী বা সীতার সাথে- পুত্র--লব ও কুশ । ২। কৈকেয়ীর পুত্র-ভরত-তার বিবাহ হয়-জনকরাজের ভাই কুশদভোজনের কন্যা-মান্ডরির সাথে,- পুত্রদ্বয়- তক্ষ এবং পুষ্কল । ৩। সুমিত্রার দুই যমজ পুত্র--লক্ষ্মণ এবং শত্রুঘ্ন । লক্ষ্মণের বিবাহ হয় সীতার ভগিনীঊর্মিলার সাথে । শত্রুঘ্নের বিবাহ হয়-কুশদভোজনের আরে কন্যা শ্রুতকীর্তীর সাথে । .....................রামায়ণের ভরত ছাড়াও মহাভারতে ভরত নামে আরেকটি চরিত্র আছে । সেই ভরত হলো-শকুন্তলা ও দুস্মন্তর পুত্র । .মহাভারতের তথ্য- --প্রথমে কুরুবংশ সম্পর্কে বলা যাক । প্রথম কুরু রাজা ছিলেন- সম্বরণ,-তা স্ত্রী সূর্যকন্যা-তাপপি । তাদের পুত্রের নাম কুরু । কুরুর বিবাহ হয় বাহিনীর সাথে,-তাদের সন্তানদের নম-অভিজিৎ, ভবিষ্যন্তা, চৈত্ররথ, মুনি ও জন্মেজয়(১) । অভিজিতের সন্তানেরা হলেন-পরীক্ষিৎ(১), শলভিস্ব, অধীরাজ, ভীরাজ, সালমলি, উচৈশ্রাভস, ভঙ্গকারা, জিারি ও জন্মেজয়(২) । আবার পরীক্ষিৎ(১) এর সন্তানেরা হলেন- কক্ষসেনা,উগ্রসেনা,চিত্রসেনা,ইন্দ্রসেনা,সুসেনা ও ভীমসেনা । ..জন্মেজয়(২)এর সন্তানগন হলেন- ধৃতরাষ্ট্র(১),পান্ডু(১),বন্থিক(১),নিশাদ,জাম্বুনাদ,কুন্দোদরা,পদাতি ও ভাগতি । আবার ধৃতরাষ্ট্র(১) এর সন্তানেরা হলেন-কুন্ডিকা,হস্তী,বিতর্ক,ক্রুথা,হবিশ্রাবস,ইন্দ্রাভ ও ভুমান্যু । ধৃতরাষ্ট্র(১) এর পৌত্ররা হলেন- প্রতীত,ধর্মনেত্র ও সুনেত্র । প্রতীপের পুত্ররা হলেন- দেবপি,বন্থিক(২) এবং সান্তনু এই সান্তনুই পরে কুরু বংশের কর্ণধার হিসেবে পরিগণিত হন । ......এবার পুরু বংশ- প্রথম পুরু রাজা পুরুর সাথে পৌষাতির বিবাহ হয় পুত্রগণ হলেন- প্রবীর,ঈশ্বর ও রৌদ্রাস্ব । প্রবীরের সাথে সুরসেনির বিবাহ হয় । দু সন্তান- মনস্যু ও সৌভিরি । সৌভিরির তিন সন্তান- শক্ত,সহন ও বাগ্মী । আবার রৌদ্রিস্বের বিবাহ হয়- অপ্সরা মিশ্রকেশির সাথে । তাদের দশ সন্তান,- রিচেয়ূ বা অন্ধৃষ্টি,কক্ষশ্রেয়ূ,বৃকেয়ূ,স্থান্দিলেয়ূ,বনেয়ূ,জলেয়ূ,তেজেয়ূ,সত্যেয়ূ,ধর্মেয়ূ এবং সন্নতেয়ূ । রিচেয়ূর বিবাহ হয়- মতিনারার সাথে । তাদের পুত্রগন হলেন- তনসু,মহন,অতিরথ ও দ্রহ্য্যু । তনসুর সন্তান ইলিনা, ইলিনার বিবাহহয় রতনতারার সাথে । তাদের সন্তানেরা হলেন,-দুষ্মন্ত,সুরা,ভীম,প্রবাসু ও বাসু । দুষ্মন্তের সাথে শকুন্তলার বিবাহ হয়,-পুত্রের নম ভরত । ভরতের তিন স্তী এবং নয় সন্তান । কিন্তু তার এক স্ত্রী ৮ সন্তানকে মেরে ফেলেছিলেন। পরে ভূমন্যুর সাথে পুষ্করিনীর বিবাহ হয় । ৬ সন্তানের জন্ম হয় । --সুহোত্র,সুহোত্রী,সুহাভি,সুজেয়,দিবিরথ ও কিচিকা । সুহোত্রর সিথে ঐক্ষাকীর বিবাহ হয়,-তিন পুত্র--অজমিধা,সুমিধা এবং পুরুমিধা । অজমিধার তিন স্তী-প্রথমা স্ত্রী ধুমিীর সন্তানেরা- রিক্ষা,দুষ্মন্ত)২), ও পরমেস্থিন। দ্বিতীয়া স্ত্রী-কেশিনীর কন্যা-রূপিনী, এবং তৃতীয়া স্ত্রী মীলির সন্তান-জন্হু জালা । . এবার আসা যাক শ্রীশ্রী ভগবান কৃষ্ণের বংশ পরিচয় প্রসঙ্গে;-- এই বংশের প্রথম বংশধর হিসাবে গণ্য করা হয়—পুরুরাভিলকে । পুরুরাভিলের ৫ সন্তান—নহুস,ক্ষত্রবিদ্ধ,রাজী,রাভা ও অনেনা । ক্ষত্রবিদ্ধের ৩ সন্তান—কাশ্য,সুশ ও গ্রসমদ । রাজীর ৫০০ সন্তান, রাভার ৪ প্রজন্ম এবং অনেনার ৪ প্রজন্ম । কাশ্যর ৩ প্রজন্ম,-সেই প্রজন্মের উত্তরসূরী- ধন্বন্তরি । ধন্বন্তরির আবার ১৫ প্রজন্ম । সুশের ১০ প্রজন্ম । গ্রসমদের স্ত্রী সুনকা- তাদের সন্তান সুনকা ঋষি । সকলের কাছে মার্জনা চাইছি—এই বংশ পরিচয়সূচি যদি বৃক্ষের শাখাপ্রশাখার মতো দেখানো যেত—তাহলে সকলের বুঝতে বা পড়তে অনেক বেশি সুবিধা হতো । নহুসের নামটি বিশেষ গুরুত্ব সহাকারে দেখানোর উদ্দেশ্য হলো—নহুসকেই যদূবংশের প্রথম সূচক হিসাবে গণ্য করা হয়। নহুসেরা ছিলেন সোমবংশী । নহুসের ছিল ৬ পুত্র । যযাতি,যতি,সম্যতি,আয়তি,বিয়তি এবং কৃতি । এরমধ্যে যযাতির ছিল ৫ সন্তান যদু,তুর্ভাসু,দ্রুহ্যু,অনু এবং পুরু(এই পুরু বংশ সম্পর্কে আগেই আলোচনা করা হয়েছে) । যযাতির ২ স্ত্রী,-দেবযানী, যিনি ছিলেন শুক্রাচার্যের কন্যা এবং শর্মিষ্ঠা-যিনি ছিলেন অসুররাজ বৃষপর্ভর কন্যা । শর্মিষ্ঠা একাধারে ছিলেন দেবযানীর সখী এবং দাসী । পুরাণে কথিত আছে যে যযাতি বৃদ্ধাবস্থায় প্রথমে যদুকে অনুরোধ করেন যদুর যৌবন যযাতিকে দান করার জন্য । যদু সম্মত না হওয়ায় তিনি যদুকে অভিশাপ দেন যে তার সন্তানেরা কেউ সোমবংশের ধারক ও বাহক হতে পারবেনা,-তাই যদু নিজে সোমবংশী হলেও তার সন্তানেরা সকলেই যদুবংশী বা যাদব । শেষ পর্যন্ত পুরু নিজের যৌবন যযাতিকে দান করায় পুরুর বংশধরেরা সকলেই সোমবংশী হিসাবে আখ্যা পায় । পুরাণের কথন অনুসারে-বর্তমানের বহু জাতি প্রকৃতপক্ষে যদুবংশ থেকে উদ্ভুত,-যেমন—পাঞ্জাবের সৈনি,রাজপুত,যাদব,যাদু(পাঠান),জাদেজা,যাদুয়া এবং খানযাদা ইত্যাদি । তুর্ভাসুর ৬ প্রজন্ম,দ্রুহ্যুর ৭ প্রজন্ম, অনুর ৩ সন্তান—শতনারা,চাক্ষু ওপরেষ্ণু । যদুর ৫ সন্তান—সহস্রজিৎ,ক্রোষ্ট,নল,অন্তিক এবং লঘু । নলের স্ত্রী দময়ন্তী । সহস্রজিতের ১০ প্রজন্ম—এর মধ্যে একটি প্রজন্মের পুরুষ—কার্তবীর্য অর্জুন । এই পুরুষের ২ বংশধারা । একটি বংশধারায়-৯৯৯ টি সন্তান । অপর বংশধারায়-সন্তান জয়ধ্বজ-তার সন্তান-তাল জংঘ, তালজংঘের সন্তান-বীতিহোত্র-তার সন্তান-মধু, মধুর সন্তান-ভ্রষনি(১) । ওদিকে যদুর দ্বিতীয় সন্তান-ক্রোষ্টর ৪ প্রজন্ম। তাঁর উল্লেখযোগ্য উত্তরাধিকারি-সশবিন্দু,-যার ১০ লক্ষ পুত্র এবং ৪ প্রজন্ম । সশবিন্দুর উল্লখযোগ্য উত্তরপুরুষ হলেন—বিদর্ভ । বিদর্ভের ৩ সন্তান—কুশ,ক্রথ এবং রমাপদ । রমাপদের ৩ প্রজন্ম-উততরসূরিরা হলেন—চেদি—দমঘোষ এবং শিশুপাল । ক্রথের ১৯ প্রজন্ম-উল্লেখযোগ্য উত্তরপুরুষ হলেন—সতবত । সতবতের ৭ সন্তান । - ভজমান,ভ্রষ্নি(২),দিব্য,অন্ধক,দেবব্রধ এব মহাভোজ(ভোজবংশ) । ভ্রষ্নি(২) এর ২ সন্তান—সুমিত্রা ও যুধিজিৎ । যুধিজিতের প্রসঙ্গে আসার আগে বলে রাখি—৪ সন্ান,- তার মধ্যে কুকুরার ৭ প্রজন্ম কুকুরার উত্তরপুরুষ—পুনর্বসু,-পুনর্বসুর ২ সন্তান,-আহুকা এবং আহুকি। আহুকার ২ সন্তান-দেবকা ও উগ্রসেনা । দেবকার তিন বিবাহ । প্রথম বিবাহে ৪ সন্তান, দ্বিতীয় বিবাহে ১ সন্তান-দেবকী, তৃতীয় বিবাহে ৬ কন্যা । অপরদিকে উগ্রসেনারও ৩ বিবাহ---প্রথম বিবাহে-এক পুত্র-কংস, ২য় বিবাহে ৪ পুত্র, ৩য় বিবাহে ৫ কন্যা । এবার আবার যুধিজিতের প্রসঙ্গে আসি । যুধিজিতের ২ সন্তান—সিনি(১) এবং অনামিত্র । অনামিত্রের ৩ সন্তান—নির্ঘন,সিনি(২) ও ভ্রষ্নি(৩) । নির্ঘন্টের ২ সন্তান-সত্রজিৎ ও প্রসেনা । সিনি(২)এর সত্যকা,-তাঁর সন্তান যুযুধানের ৩ প্রজন্ম । ভ্রষ্নি(৩)এর ২ সন্তান—স্বফালকা এবং চিত্ররথ । স্বফালকার ২ বিবাহ। ১ম বিবাহের সন্তান আকুবা—যর ২ পুত্র । ২য় বিবাহে ১২ পুত্র ও ১ কন্যা । চিত্ররথের বহু সন্তানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও প্রাসঙ্গিক হলেন—বিদুরথ,-যার ৪ প্রজন্মের উল্লেখযোগ্য উত্তরসূরী হলেন—হৃদিকা । হৃদিকার ৩ সন্তান—শতধনু,কৃতবর্মা এবং দেবমিধা । দেবমিধার –সন্তান সুরসেনা । সুরসেনার ৪ বিবাহ । (স্বীকারোক্তি—কেবলমাত্র এই অংশটিতে একটু সন্দেহের অবকাশ আছে,-যদি কারো কাছে আরো বা ভিন্ন কোন তথ্য থাকে-তা প্রকাশ করলে বাধিত হব। )। সুরসেনার ১ম সন্তান-বাসুদেব-স্ত্রী-দেবকী । সুরসেনার ২য় বিবাহে ৯ পুত্র,৩য় বিবাহে ৪ কন্যা, এবং ৪র্থ বিবাহে সন্তান-কুন্তী । কুন্তীর পুত্ররা হলেন পান্ডব। কুন্তীর সূর্যপুত্র হলেন কর্ণ । বাসুদেব এবং দেবকীর সন্তানেরা হলেন—বলরাম,সুভদ্রা,কৃষ্ণ এবং অন্যান্য ভ্রাতাগণ । কৃষ্ণের পরবরতী প্রজন্ম---প্রদ্যুম্ন—অনিরুদ্ধ—বজ্রনাভ—প্রতিবাহু—শান্তসেন—শতসেন । শ্রীশ্রীভগবান কৃষ্ণের ১৬১০৮ জন স্ত্রী এবং তাঁদের প্রত্যেকের ১০ টি করে পূত্র ও ১টি করে কন্যা ছিল। অর্থাৎ কৃষ্ণের মোট ১৬১০৮০ টি পুত্র এবং ১৬১০৮ টি কন্যা ছিলেন । শ্রীকৃষ্ণের প্রধানা স্ত্রী ও সন্তানদের পরিচয় দেওয়া যাক । স্ত্রী রুক্মিনী—সন্তানেরা—প্রদ্যুম্ন,সুদেষ্ণা,চারুদেষ্ণা,সুচারু,চারুগুপ্ত,চারুদেহ,চারুচন্দ্র ও চারু । স্ত্রী সত্যবতী—সন্তানেরা—ভানু,সুভানু,স্বভানু,প্রভানু,ভানুমান,চন্দ্রভানু,বৃহদভানু,অতিভানু,শ্রীভানু । স্ত্রী—জম্বাবতী—সন্তানেরা—সাম্ব,সুমিত্র,পুরুজিৎ,শতজিৎ,সহস্রজিৎ,বিনয়,চিত্রকেতু,বাসুমান,দ্রাবিড় ও ক্রতু । স্ত্রী—নাগনৈজিতি—সন্তানেরা—বীর,চন্দ্র,অশ্বসেনা,চিত্রগু,বেগবান,বৃষ,অম,শঙ্কু,বাসু ও কুন্তী । স্ত্রী কালিন্দী—সন্তানেরা—শ্রতু,কবি,বৃষ,বীর,সুবাহু,ভদ্র,শান্তি,দর্শ,পুর্ণমাস এবং সোমক । স্ত্রী মাদ্রা—সন্তানেরা—প্রঘোষ,গাত্রভান,সিংহ,বাল,প্রবাল,উদ্ধষ,মহাশক্তি,সহ,ওজা এবং অপরাজিতা । স্ত্রী—মিত্রবিন্দ—সন্তানেরা—বৃক,হর্ষ,অনিল,গৃদ্ধ্র,বর্দ্ধন,উন্নদ,মহাংস,প্রবান,বন্হি ও ক্ষুধি । স্ত্রী ভদ্রা—সন্তানেরা—সংগ্রামজিৎ,বৃহদসেনা,সুর,প্রহারণ,অরিজিৎ,জয়,সুভদ্র,ভামা,আয়ুর ও সাত্যক । শ্রীকৃষ্ণের পুত্র প্রদ্যুম্নর সাথে রুকমির কন্যা রুক্মাবতীর বিবাহ হয়েছল । কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পর-যুধিষ্ঠির কয়েক বছরের জন্য রাজা হয়েছিলেন। তারপর অর্জুনের পুত্র পরীক্ষিৎ রাজা হলেন । পঞ্চপান্ডব মহাপ্রস্থানের পথে যাত্রা করলেন । পান্ডব,কৌরব এবং যদুবংশ ধ্বংশের বিষয়—পরবর্তী অংশে । যদুবংশ ধ্বংসের বিবরণ:: গান্ধারী এবং অন্যান্য ঋষিদের অভিশাপ পড়েছিল শ্রীকৃষ্ণের ওপর । একদিন সাম্বকে প্রসূতি নারী সাজিয়ে কৃষ্ণের ছেলেরা খেলা করছিল । তারা সাম্বকে নিয়ে এসেছিল বিশ্বামিত্র,কন্ব ও নারদমুনির সামনে । ঋষিরা ক্রোধান্বিত হয় অভিশাপ দিলেন যে—সাম্ব একটি লৌহদন্ড প্রসব করবে । ঠিক তাই হলো । যাদবেরা লৌহদন্ডটিতে চূর্ণপূরণ করে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলেন । লৌহদন্ডটির থেকে একপ্রকার বিষাক্ত সূচ্যাগ্র তৃণ জন্মাল । এদিকে শ্রীকৃষ্ণের রাজত্বে নানারকম অশুভ ঘটনা ঘটতে থাকল । ইঁদুরদের বংশবৃদ্ধি হয়ে –ঘুমের মধ্যে তারা মানুষকে দংশন করে লাগল ।( Plague,- which is most prevalent in Gujrat) শ্রীকৃষ্ণ দ্বারকায় মদ্যপান নিষিদ্ধ করেছিলেন,-তা সত্ত্বেও যাদবেরা একে অন্যকে আক্রমন করে মেরে ফেলতে লাগল । ভেড়াগুলি শিয়ালের মতো আচরণ করতে থাকল । গরুরা গাধা প্রসব করতে থাকল । শ্রীকৃষ্ণর সুদর্শণ চক্র উড়ে গেল অন্তরীক্ষে । অনন্যোপায় শ্রীকৃষ্ণ—দারুকার মাধ্যমে হস্তিনাপুরে অর্জুনের কাছে সাহায্য চেয়ে পাঠালেন । বলরাম গাছের তলায় বসেছিলেন । হঠাৎ সাদা সাপের মতো প্রাণবায়ু তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল । শ্রীকৃষ্ণও ক্ষোভে উন্মত্ত হয়ে উঠেছিলেন । অবশেষে জঙ্গলের মধ্যে এসে তিনি ধ্যানে বসলেন । তখন জরা নামক এক শিকারী হরিণ ভেবে শ্রীকৃষ্ণকে তীরবিদ্ধ করলেন । শ্রীকৃষ্ণ মারা গেলেন,-- এবং কলিযুগের সূচনা হলো । মহাভারত ও হস্তিনাপুরের কাহিনী ও তথ্য আনুমানিক খৃষ্টপূর্ব ৮ শতাব্দীতে গুপ্তবংশের অন্তিমকালে-মহাভারতের সূচনা হয় । মহাভারতের আদিপর্বে রয়েছে-৮৮০০ টি কবিতা বা পদ্য বা জয় এবং ২৪০০০ উপপদ বা ভারত । পরে সেগুলি বৈশ্বম্পায়ণ দ্বারা আবৃততিকৃত হয় । শেষপর্যন্ত ৯০০০০ পদ উগ্রশভ দ্বার আবৃত্তিকৃত হয় । এর পূর্বে কুরুবংশের পরিচয় দিতে গিয়ে ধৃতরাষ্ট্র(১) এর পৌত্রপ্রতীপে ৩ পুত্র-দেবপি,বন্হিক(২) ও সান্তনুর পরিচয় দিয়েছিলাম । হস্তিনাপুরের মহারাজা সান্তনুর বিবাহ হয় গঙ্গাদেবীর সাথে । গঙ্গা জন্ম দেন একটি পুত্রের—যার নাম ভীষ্ম অথবা দেবব্রত। সান্তনুর আরেক স্ত্রীর গর্ভে জন্ম হয় আরও ২ পুত্রের—চিত্রাঙ্গদা(যিন ছিলেন স্বল্পায়ু) এবং বিচিত্রবীর্য—যিনি পরে রাজা হন । বিচিত্রবীর্যের ৩ স্ত্রী—অম্বা,অম্বিকা ও অম্বালিকা । বিচিত্রবীর্য সন্তানের জন্মদানে অক্ষম ছিলেন । অম্বা,অম্বিকা ও অম্বালিকা ছিলেন কাশীরাজের ৩ কন্যা । প্রকৃতপক্ষে অম্বার সাথে প্রস্তাব সত্বেও বিচিত্রবীর্যের বিবাহ হয় নি । অম্বা ভীষ্মকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে- তিনি রাজা শল্বের বাগদত্তা, তার আর কাউকে বিবাহ করা তার পক্ষে সম্ভব নয় । বিচিত্রবীর্য পরে যক্ষা রোগগ্রস্ত হয়ে মারা যান । বংশপরম্পরাকে অব্যহত রাখার জন্য ব্যাসদেবকে ডাকা হয় । ব্যাসদেব এতই বিকটদর্শন ছিলেন যে মিলনের সময় অম্বিকা চোখ বুঁজে ফেলেন । তাই অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের জন্ম হয় । ব্যাসদেবের সাথে মিলনের সময় অম্বালিকা ভয়ে পান্ডুবর্ণ হয়ে যান । তাই জন্ম হয় পান্ডুর । পরে বিচিত্রবীর্যের পরিচারিকা ব্যাসদেবের ঔরসে জন্ম দেন—বিদুরের । এদিকে অম্বা রাজা শল্বের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হন । তিনি ভীষ্মকে বিবাহ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন । কিন্তু ভীষ্মও কৌমার্যের ব্রত পালনের জন্য তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন । অম্বার আরেক নাম ছিল শিখন্ডিনী । পরে তাকে রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় । সে আরেক কাহিনী । অবশেষে যক্ষ,-যিনি নারীতে পরিবর্তিত হবার ইচ্ছা পোষন করতেন,-তার সাথে অম্বা অর্থাৎ শিখন্ডিনী-লিঙ্গ পরিবর্তন করে শিখন্ডিতে রূপান্তরিত হন । পরে পান্ডু ২ বিবাহ করেন—কুন্তী ও মাদ্রীকে । কুন্তীর পুত্রের নাম—যুধিষ্ঠির,ভীম ও অর্জুন । মাদ্রীর পুত্র অশ্বিনীকুমারদ্বয়-অর্থাৎ নকুল ও সহদেব । এই পঞ্চপান্ডবের সাথে বিবাহ হয় দ্রৌপদীর । পঞ্চপান্ডবের সাথে বিবাহে দ্রৌপদীর ৫ সন্তান হয় । যুধিষ্ঠিরের—প্রতিবিন্ধ ভীমের—সুতসোম বা ভীমসেনা অর্জুনের—শ্রুতকর্মন নকুলের—সতনিক এবং সহদেবের—শ্রুতসেনা । পরে ভীম বিবাহ করেন-হিড়িম্বাকে-পুত্রের নাম ঘটোৎকচ । বিবাহ করেন বলন্ধরাকে-পুত্রের নাম সুর্ভাগ । ভীম এরপরে বিবাহ করেছিলেন শিশুপলের ভগিনীকে । অর্জুন বিবাহ করেছিলেন-মনিপুরের রাজার কন্যা চিত্রাঙ্গদাকে-পুত্রের নাম বভ্রুবাহন । বিবাহ করেছিলেন-নাগদেবী ঊলুপিকে-পুত্রের নাম ইরাভন । পরে বিবাহ করেন-দ্বারকার সুভদ্রাকে-তাদের পুত্রের নাম অভিমন্যু । অভিমন্যুর বিবাহ হয় উত্তরার সাথে-তাদের পুত্র পরীক্ষিৎ । নকুল বিবাহ করেছিলেন-চেদিরাজ ধৃষ্টকেতুর কন্যা করেনুমতিকে—তাদের পুত্রের নাম-নরিমিত্র । পরে নকুল বিবাহ করেছিলেন জরাসন্ধের কন্যা- অস্থি ও প্রাপ্তিকে । সহদেব বিবাহ করেছিলেন দ্যুতিমত রাজার কন্যা-বিজয়াকে,-তাদের পুত্রের নাম-সুহোচ । সহদেব বিবাহ করেছিলেন-জরাসন্ধের পৌত্রীদের । অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের স্ত্রী গান্ধারী প্রসূতি হয়েছিলেন—কিন্তু তার প্রসবকাল দীর্ঘায়িত হয়-২ বৎসর । পরে তিনি একটি অতিবৃহৎ মাংসপিন্ড প্রসব করেন । ব্যাসদেব সেই পিন্ডটিকে ১০১ টি খন্ডে বিভক্ত করেন । এইভাবে কৌরবদের ১০০ ভাই ও ১ বোনের জন্ম হয় । কৌরবেরা হলেন,--দুরযোধন,দুঃশাসন,দুঃশাহন,দুঃশলন,জলগন্ধন,সমন,সহন,বিন্ধন,অনুবিন্ধন,দুর্ধর্ষণ,সুবাহু,দুঃপ্রদর্শন,দুর্মর্শাসন,দুর্মুখন,দুস্করণ,ভকর্নণ,সালন,সাথ্বন,সুলোচনন,চিত্রণ,উপচিত্রণ,চিত্রাক্সন,চারুচিত্রণ,সারসরন,দুর্মদন,দুর্ভিগাহন,ভীতিলসু,বিকটিনন্দন,ঊর্ণনাভন,সুনাভন,নন্দন,উপনন্দন,চিত্রাবনন,চিত্রবর্মন,সুবর্মন,দুরভীমোচন,আয়োবাহু,মহাবাহু,চিত্রাঙ্গন,চিত্রকুন্তলন,ভীমবেগন,ভীমবলন,ভালাকি,বেলবর্ধন,উগ্রযুধন,সুশেষণ,কুন্ধধরণ,মহোদরণ,চিত্রযুধন,নিশাঙ্গি,পাসি,বৃন্দকরণ,দূঢ়বরমন,দৃঢ়সত্রন,সোমকীর্তি,অন্তুদরণ,দৃঢ়সন্ধান,জারাসন্ধান,সত্যসন্ধান,সতাসুতক,উগ্রশাবস,উগ্রসেনন,সেনানী,দুঃপারাজন,অপরাজিতন,কুন্ডসাই,বিশালাক্ষণ,দুরাধারণ,দৃঢ়হস্তন,সুহস্তন,ভাতবেগন,সুভর্চন,আদিত্যকেতু,বাঃওয়াসি,নাগদাতন,উগ্রসাই,কাভাচি,ক্রোধানন,কুন্ধি,ভীমবিক্রম,ধনুর্ধরন,বীরবাহু,আলোলুপন,অভয়ন,দৃঢ়কর্মভু,দৃঢ়রথস্রায়ণ,অনাদুস্রায়ণ,কুন্ডভেদী,বীরাভী,চিত্রকুন্তলন,প্রমোদন,আমপ্রমাদি,দীর্ঘরোমন,সবীরায়ভন,ধীরখবাহু,সুজাতন,কাঞ্চনধ্বজন,কুন্তাসি,বীরযশ,যুযুৎসু এবং ভগিনী দুঃশলা । হস্তিনাপুর, একসময় যা পান্ডব ও কৌরবদের রাজধানী ছিল,-বর্তমানে সেটি হলো একটি ছোট্ট শহর—উত্তর্রদেশের দোয়াব অঞ্চলে অবস্থিত,-দিল্লীর থেকে দূরত্ব-১২০ কিমি, মীরাট থেকে দূরত্ব ৩৭ কিমি মাত্র । থানেশ্বর,হিস্সর ও হস্তিনাপুরের অন্তর্বর্তী ত্রিভূজাকৃতি স্থানটি ৩ টি পৃথক নামে বিবৃত,--১। কুরুজঙ্গল-যা এখন রোহতক,হাঁসি ওহিসসর অঞ্চল । ২। কুরুপ্রধান রাষ্ট্র—গঙ্গা-যমুনার মধ্যবর্তী অববাহিকা-যার রাজধানী ছিল হস্তিনাপুর । ৩। কুরুক্ষেত্র—যা-থানেশ্বর,কৈথাল এবং ার্নাল নিয়ে গঠিত । প্রধানত বর্তমান হরিয়ানা রাজ্যে অবস্থিত । সোনিপথের দক্ষিনে দিল্লীর কাাকাছি এক শহর-তার নাম সোনা । সোনিপথের উত্তরে পানিপথ । সোনাপথের পৌরাণিক নাম-সোনপ্রস্থ বা স্বর্ণপ্রস্থ অর্থাৎ সোনার শহর । ধৃতরাষ্ট্রের রাজ্য ছিল –ইন্দ্রপ্রস্থ । আর্যাবর্ত ছিল প্রয়াগ পর্যন্ত প্রসারিত । এলাহাবাদ কথাটি এসেছে আল্লাহর শহর(City of Allah) থেকে। বর্তমান দ্বারকাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের রাজধানী। আর্যাবর্ত:- প্রধানত উত্তরপশ্চিম ভারত,--পূর্বে সীমারেখা সরস্বতী নদী, পশ্চিমে বিন্ধ্যপর্বতের পাদদেশে-বৃহৎ অরণ্যর সীমরেখা, উত্তরে হিমালয় । প্রকৃতপক্ষে আর্যাবর্ত আফগানিস্তানের কিয়দংশ,পাকিস্তানের কিয়দংশ এবং উত্তরপশ্চিম ভারত নিয়ে গঠিত ছিল । এটাই ছিল আর্যদের বাসস্থান । রামায়ণের আর্যপুত্র শ্রীরামচন্দ্র এই আর্যাবর্তেরই অধিবাসী ছিলেন । মহাভারতের কাহিনীও এই আর্যাবর্তের পটভূমিকায় রচিত হয়েছিল । তত্থসুত্র - গুগল , প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার ইতিহাস আর আর অশোক দেব কাকু ( মুলত ওনার থেকেই জানা )তত্থসুত্র - গুগল , প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার ইতিহাস আর আর অশোক দেব কাকু ( মুলত ওনার থেকেই জানা )
Posted on: Sat, 17 Aug 2013 09:44:41 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015