ফরেক্স মানে হচ্ছে ফরেন এক্সচেঞ্জ। ফরেক্স কে অনেকেই ‘স্পট ফরেক্স’ ও বলে থাকেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয়ই ফরেক্স এর মূল কাজ। শেয়ার বাজারের মত হলেও ফরেক্স মার্কেট অনেক বিস্তৃত এবং ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক কিংবা অন্য প্রভাব মুক্ত। আপনি একটি দেশের মুদ্রার বিপরীতে আরেকটি দেশের মুদ্রা ক্রয় বা বিক্রয় এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। আপনি যখন একটি দেশের মুদ্রা দিয়ে আরেকটি দেশের মুদ্রা ক্রয় করবেন সেই দেশের মুদ্রার দাম আপনার ক্রয়কৃত দামের ঊর্ধ্বগতিক পার্থক্যই হচ্ছে আপনার লাভ। এখানে প্রতিদিন ৪ ট্রিলিয়ন (১০০০ বিলিয়ন এ ১ ট্রিলিয়ন) ডলারের অধিক লেনদেন হয়। পৃথিবীর সবগুলি শেয়ার মার্কেট মিলেও প্রতিদিন এত লেনদেন হয়না। আরও সহজ ভাবে বুঝুন। NYSE (নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ)যদি চড়ুই পাখি হয় তবে ফরেক্স মার্কেট হচ্ছে আলবাট্রস। ফরেক্স মার্কেট এ একটি দেশের কারেন্সি বিক্রয় করে অন্য আরেকটি দেশের কারেন্সি ক্রয় করতে পারবেন। এইরকম দুই দেশের দুই মুদ্রাকে ‘pair’ বা ‘currency pair’ বলে। ফরেক্স এ ভালভাবে না বুঝে ট্রেড করা আর অন্ধকারে ঢিল ছোড়া একই কথা। আপনি যে দুই মুদ্রা নিয়ে ট্রেড করবেন তার সাথে শুধুমাত্র মুদ্রাই জড়িত না বরং ঐ দুই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, অবকাঠামো সবকিছুই জড়িত। এই বাজার প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে এবং সপ্তাহে ৫ দিন কেনাবেচা চলে। সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী বিনিময় কেন্দ্র গুলো লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, জুরিখ, হংকং, ফ্রাঙ্কফুর্ট, টকিয়ো, সিঙ্গাপুর, প্যারিস ও সিডনিতে অবস্থিত। এটা অবশ্যই লক্ষণীয় যে ফরেক্স বাজার বলতে কখনই কোন একক বা কেন্দ্রীয় বাজার বা জায়গা কে বোঝানো হয়না। এটি নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ এর মতো কোন কেন্দ্রীয় শেয়ার বাজার না যেখানে এক যায়গায় সকল লেনদেন ও অন্যান্য কাজ করা হয়ে থাকে। ফরেক্স বা বৈদেশিক মুদ্রার মূলত বিভিন্ন ব্যাংকগুলোতে কেনাবেচা হয় এবং এখানেই এর নির্দিষ্ট ও সঠিক মূল্যনির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বিশ্বের ১৫-২০ ভাগ মানুষ ফরেক্সকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন কেউ পার্টটাইম কেউবা ফুলটাইম পেশা হিসেবে। এখন ধরি, ১ ডলার সমান ৮০.০০ টাকা এবং আপনি আনুমান করলেন যে ডলারের বিপরিতে টাকা আরও দুর্বল হবে এবং এটা আস্তে আস্তে ৮৫ টাকা বা আরও বেশি হবে। আপনি ৮০০০ টাকা দিয়ে ১০০ ডলার কিনে রাখলেন এবং যখন টাকা দুর্বল হয়ে ৮৫.০০ টাকা হল তখন আপনি এটা বিক্রয় করে দিলেন। তাহলে ক্রয় এবং বিক্রয় এর এই পার্থক্য কে আমরা প্রফিট বলতে পারি।অবশ্য এ ক্ষেত্রে প্রফিট করতে অনেক সময় লাগে কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে এই অর্থের উঠানামা বা পরিবর্তন অনেক দ্রুত হয়। ফরেক্স মার্কেট এ, কোন কারেন্সি শক্তিশালী অথবা দুর্বল হোক, দুই ক্ষেত্রেই আমাদের প্রফিট করার সুযোগ আছে যেটা ফরেক্স মার্কেটের সবচেয়ে বড় সুবিধা। শেয়ার ব্যবসা অনেকে জানেন বা করেন,কিন্তু ফরেক্স অনেকের কাছে নতুন।তাই শেয়ার ব্যবসার সাথে তুলনামূলক আলোচনা করলে ফরেক্স সম্বন্ধে ধারণাটা আরও একটু স্বচ্ছ হতে পারে। ক্রমিক শেয়ার ব্যবসা ফরেক্স ১ সাধারনত শেয়ার ব্যবসা একটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ। ফরেক্স ব্যবসা নির্দিষ্ট দেশে সীমাবদ্ধ নয়, সারা বিশ্বব্যাপী। ২ শেয়ার ব্যবসা প্রত্যেক সপ্তাহে ৫ দিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে হয়ে থাকে। ফরেক্স সপ্তাহে ৫ দিন ২৪ ঘণ্টা করা যায়। ৩ শেয়ার কিনে বিক্রি করে লাভের টাকা একাউন্টে জমা হতে কয়েকদিন (৩-৭দিন) সময় লাগে। ফরেক্স ট্রেডিং এর লাভের টাকা একাউন্টে মুহূর্তের মধ্যেই জমা হয়ে যায়। ৪ শেয়ার ব্যবসায় বিও একাউন্ট খোলার জন্য ব্রোকার হউজে দরখাস্ত করতে হয় এবং ওপেনিং-এর জন্য ২/১ দিন সময় লাগে। ফরেক্স একাউন্ট খুলতে কোন অফিসে দরখাস্ত করার প্রয়োজন নেই,ইন্টারনেটের মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডর মধ্যেই একটি একাউন্ট খোলা যায়। ৫ শেয়ার ব্যবসার বিও একাউন্ট খুলতে কিছু টাকা দিতে হয় ফরেক্স একাউন্ট খুলতে কোন টাকা লাগে না। ৬ শেয়ার ব্যবসার জন্য ব্রোকার হাউজে যেতে হয়,ফোনের মাধ্যমে ট্রেড দিলেও স্বাক্ষর করতে মাঝে মাঝে অফিসে যেতে হয়। ফরেক্স ব্যবসার জন্য কখনোই কোন অফিসে না গিয়ে ঘরে বসে ব্যবসা চালানো যায়। ৭ শেয়ার বাজারে তুলনামূলক লাভ কম। ফরেক্স ট্রেডিং-এ তুলানামুলক ভাবে অনেক অনেক বেশি লাভ। ফরেক্স ট্রেডিং এর সুবিধা সমুহ
Posted on: Sun, 25 Jan 2015 07:38:54 +0000