-এই নে আইসক্রীম খা ; নওশীন - TopicsExpress



          

-এই নে আইসক্রীম খা ; নওশীন এর দিকে একটা কোন-আইসক্রীম বাড়িয়ে দিয়ে বলল রাহাত । -খাব না আইসক্রীম, তোরটা তুই নিজেই খা........;ঠিক এই মূহুর্তে রাহাতের ওপর প্রচন্ড রেগে আছে নওশীন...... রাহাত আর নওশীন, একে অন্যকে প্রচন্ড ভালোবাসে ওরা । কিন্তু রাহাতটা একটু কেমন যেন... ছন্নছাড়া, বেখেয়ালী ধরনের । অবশ্য এতদিন তার সাথে মানিয়েই চলছিল নওশীন কিন্তু গতকালের ঘটনা তো একদম অতিমাত্রায় খামখেয়ালি হয়ে গেছে, যাকে বলে limit cross । ঘটনা তেমন কিছুই না, অবশ্য রাহাত-নওশীন এর ক্ষেত্রে তা আবার অনেক কিছু । গতকাল নওশীন এর জন্মদিন ছিল, বিকাল ৫টায় বাংলা রেস্তোরায় আসার কথা ছিল রাহাতের । রাহাত আসে নি, নওশীন পুরো ২ঘন্টা অপেক্ষা করে তারপর বাসায় ফিরে গেছে আর প্রতীজ্ঞা করেছে যে আর নয়, কালই রাহাতের সাথে ব্রেক-আপ । -ও, খাবিনা তাহলে.... -বল্লাম তো খাব না.... -তাইলে আর কি করা, আমিই খাই ; বলে পুরো আইসক্রীম শেষ করল রাহাত । -তোর কলিজা ঠান্ডা হইছে?? বলল নওশীন, রাগ ঝরে পরছে কন্ঠে । -হুম.......হইছে, কি বলবি বল । - i want break up...... -কি?? -তোর আর আমার সম্পর্কটা এখানেই শেষ । -সত্যি? are u serious!!! -yes i am রাহাত, এভাবে আর কত? তুই আমার ব্যাপারে কখনোই সিরিয়াস ছিলি না । আমার কোনো ব্যাপারে বা আমি সম্পর্কিত কোনো ব্যাপারে তোর কোনো আগ্রহই নাই, তার সবচাইতে বড় প্রমান তুই গতকাল দিয়েছিস..... তুই জানিস? গতকাল সারাটা দিন আমি তোর থেকে বার্থডে উইস পাব বলে অপেক্ষায় ছিলাম তারপর প্রায় ২ঘন্টা অপেক্ষা করেছি রেস্টুরেন্টে তুই এলি না । ফোন করায় বললি ঘুমাচ্ছিলি, আমার থেকে কি তোর ঘুমটা বেশী রাহাত?? আমার কি কোনো মূল্য নেই তোর কাছে?? কথাগুলো এতক্ষন একনাগারে বলে গেছে নওশীন , কখন যে চোখে পানি এসেছে বলতেও পারবেনা , ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে সে..... -বুঝলাম, তোর সব কথাই বুজলাম । কিন্তু তাই বলে ব্রেক-আপ?? -হ্যা হ্যা হ্যা......ব্রেক-আপ । দুর হয়ে যা আমার সামনে থেকে..... -আচ্ছা, ঠিক আছে বলে চলে গেল রাহাত । বসে বসে কাঁদছে নওশীন, খুবই খারাপ লাগছে তার । তবে কি সত্যিই ওকে ভালবাসেনি রাহাত, তাদের ভালবাসা কি তাহলে একপাক্ষিকই ছিল । এতদিনের সম্পর্কটাকি মিথ্যে ছিল....... এসব ভাবতে ভাবতে হঠাত্ খেয়াল করল রাহাত এসে বসেছে পাশে.. -কি হল আবার? বললাম না চলে যেতে..... ;নওশীন বলল রাহাতকে -যাব না...... -কেন? যাবি না কেন?? -ভালবাসি যে, বলে শার্টের হাতা দিয়ে নওশীনের চোখের পানি মুছে দিতে লাগল.....তারপর নওশীনকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল, ভালবাসিরে পাগলি, তোকে খুব ভালবাসি । তোকে ছাড়া আমার বেঁচে থাকাও দায় এতক্ষনের রাগ নিমিষেই মাটি হয়ে গেল নওশীনের । বাচ্চা মেয়ের মত রাহাতকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে । -এবার থেকে আর বেখেয়ালি থাকব না দেখিস । সিরিয়াস হব... -না, আমি আমার এই বেখেয়ালি রাহাতকেই চাই । -তাই বুঝি?? তা কেন?? একটু আগে না রাগ দেখালি.... -ওসব মিথ্যে । আমি আমার বেখেয়ালি রাহাতকেই ভালোবাসি, খুব ভালবাসি । -আচ্ছা বাবা, আচ্ছা । এখন ওঠ, রাত হয়ে গেছে, চল তোকে বাসায় পৌছেঁ দিয়ে আসি । তখন জোত্স্না, চাঁদটা যেন আলোর বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে সবকিছু । রাহাত নওশীনকে বাসায় দিয়ে, তার নিজের বাসার উদ্দেশ্যে হাঁটতে শুরু করেছে । নওশীন বাসায় না ঢুকে তাকিয়ে আসে রাহাতের গমন পথের দিকে, ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসি । রাহাত আর পিছনে ফিরে তাকায়নি, যদি তাকাত তবে দেখতে পেত ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসি নিয়ে দাড়িয়ে থাকা নওশীনকে চাঁদের আলোয় কি অসহ্য সুন্দর লাগছে!!
Posted on: Wed, 22 Oct 2014 11:49:23 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015