Collected From Brother Jubaer Hossain গত বছরের ৬ - TopicsExpress



          

Collected From Brother Jubaer Hossain গত বছরের ৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাবেশ হয়েছিল। মতিঝিল থেকে বহুদূর পর্যন্ত জনাকীর্ণ এ সমাবেশে সবাই ছিলেন পুরুষ। সেসময় প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতায় জনৈক কলামিস্ট উল্লেখ করেন, শাহবাগের সাথে হেফাজতের তুলনা কোনভাবেই চলে না। কেননা শাহবাগে নারী-পুরুষ উভয়ের উপস্থিতি ছিল, অথচ হেফাজতের সমাবেশে নারীর উপস্থিতি উপেক্ষিত হয়েছে। এভাবে লিঙ্গবৈষম্য রেখে কোন আন্দোলন সফল হতে পারে না। তাছাড়া শাহবাগে সব ধর্মের মানুষ থাকলেও মতিঝিলে ছিল শুধু মুসলমানরা। তাই তাদের আন্দোলন একটা গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ। _______________________ গতকাল জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার রেকর্ড গড়তে গিয়ে আড়াই লক্ষ লোকের সমাবেশ ঘটে। না, এটি কোন সাম্প্রদায়িক ও জেন্ডার বায়াসড সমাবেশ ছিল না। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমানতালে অংশ নিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, বিপুল সংখ্যক নারী সমাবেশে লাঞ্ছিত হয়েছেন। চিত্রটা কতটা ভয়াবহ ছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পেজে এক বোন তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছেন। যুবকেরা নারীদের শরীরে হাত দেওয়া, ইচ্ছে করে ধাক্কা মারা, টিজ করা, শরীরে পানি ঢেলে ভিজিয়ে দেওয়া, শারীরিক স্পর্শ, অশালীন মন্তব্যসহ যাবতীয় উপায়ে মেয়েদের হয়রানির শিকার করেছে। অনেক নারী গেট দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়েছেন। সেক্যুলার প্রগতিশীলদের চিন্তাশক্তি বলে কোন বস্তু আছে কি না আমার জানা নেই। থাকলে তারা এটুকু বুঝতে পারত, হেফাজতের সমাবেশে কেন নারীরা উপেক্ষিত হয়েছিলেন। লাঞ্ছিত হওয়া শতশত নারী আজ অভিযোগের সুরে বলছে, মেয়েদের জন্য কেন আলাদা জায়গা ও গেট বরাদ্দ করা হল না। মেয়েদের নিরাপত্তার ব্যাপারটি কেন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অতবড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অতবড় ডিগ্রি নিয়ে আজকে এই মানুষগুলো যে প্রতিকারের ব্যবস্থা ভাবছে, হেফাজতের মাদ্রাসার মূর্খরা বহু আগেই তা বুঝতে পেরে ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবু সেক্যুলাররা নিজেদের বুদ্ধির গর্বে বাঁচেনা। বলে অতবড় অনুষ্ঠানে অরকম দুএকটা ঘটনা নাকি ঘটতেই পারে। হেফাজতের আরো বড় সমাবেশে অবশ্য অমনটি দেখা যায় নি!! তখন এক নারী সাংবাদিকের গল্প ফেঁদে শাহবাগীরা কী তুলকালামই না ঘটিয়েছিল!! কথা ছিল নারীরা হিজাব করবে, পুরুষেরা তাদের দৃষ্টি হেফাজত করবে। নারী-পুরুষ এক জায়গায় জড় হবে না। আমরা নারীদের বেপর্দা করে পুরুষদের মাঝে ছেড়ে দিয়েছি। প্রবৃত্তির পুজারী ছেলেগুলো তাদের শিকার বানাবে, এরপর নিরাপত্তা নিয়ে দুচারটা বায়বীয় কথা বলা হবে। অত টাইম কই!! টাইম তো মোল্লাদের ব্যবচ্ছেদ করতে করতে যায়!! তারা নাকি মেয়েদের বাইরে বেরুতে দিতে চায় না!! আমি নিশ্চিত, হাজার হাজার যুবক প্যারেড গ্রাউন্ডে গিয়েছিল শুধু এই উদ্দেশ্যে, মেয়েদের সাথে তারা চান্স নেবে। আমি এটাও নিশ্চিত, এই ছেলেগুলোর অনেকেই আল্লামা শফীর চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করেছিল তাঁর তেঁতুল উপমার পর। শফীকে নারীলোভী, বিকৃত চরিত্র-কী বলতে ছেড়েছে!! যে সমাজে মধ্যরাতে ছাত্রীহলে আবিষ্কৃত হওয়া সরকারের পোষ্য যুবকেরা শফীর বিরুদ্ধে নারী অবমাননার অভিযোগ আনে, সে সমাজে এমনটা ঘটাই স্বাভাবিক। _____________________ আমি একজন ছেলে হিসেবে পুরুষের মনের খবর রাখি এবং তার চাহিদা বুঝি। পর্দাহীন নারীকে একটা ছেলে কী দৃষ্টিতে দেখতে পারে, তা বোঝা আমার কাছে কঠিন নয়। আমি বলতে চাই, শফী হুজুর তেঁতুলের দৃষ্টান্ত টেনে খুব কমই বলেছেন। বাস্তবতা আরো ভয়াবহ। প্যারেড গ্রাউন্ডে তা প্রমাণিত হল। আরো হবে। বারবার হবে। মোল্লারা যা আগেই বুঝেছিল তা বুদ্ধিজীবীরা আজো বোঝে না। নারী-পুরুষের পৃথকীকরণ, হিজাবের গুরুত্ব-এসব তারা বুঝবে না কেননা আল্লাহ্‌ তাদের অন্তর তালাবদ্ধ করে দিয়েছেন। সেজন্য আমার আফসোস নেই। আফসোস শুধু এজন্য যে, এতকিছুর পরও আমাদের বোনেরা পশ্চিমাদের গোলামির মধ্যে সম্মান খুঁজতে চান। আল্লাহ্‌র দেওয়া বিধানকে উপেক্ষা করে সমাজে মর্যাদা পেতে চান। ফলাফল?? চোখের সামনেই। পদে পদে অপমানের শিকার হয়েও তাঁরা ইসলামের কাছে সমাধান পেতে চান না। আল্লাহ্‌ তাঁদের সঠিক বুঝ দান করুন। উমার (রা) বলেছিলেন-আমরা ছিলাম অপমানিত এক জাতি। আল্লাহ্‌ ইসলামের মাধ্যমে আমাদের সম্মান দিয়েছেন। আমরা যদি ইসলাম ব্যতীত অন্য কিছুর মধ্যে সম্মান খুঁজতে যাই, তিনি আবার আমাদের অপমানিত করবেন। হায় বাঙালি জাতি!! আর কত আপমান-লাঞ্ছনার শিকার হলে তুই ইসলামের মধ্যে সম্মান খুঁজবি???!!!
Posted on: Fri, 28 Mar 2014 17:45:08 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015