Higher Secondary School Certificate Exam preparation Sub: - TopicsExpress



          

Higher Secondary School Certificate Exam preparation Sub: Biology 1st Paper Update: GEE Bangladesh, 21 December 2014 Read our Educational Daily geebd এইচএসসি পরীক্ষা: বিশেষ প্রস্তুতি জীববিজ্ঞান ১ম পত্র সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর: সাত্তার সাহেব একজন প্রকৃতিপ্রেমিক মানুষ। দীর্ঘ ৬৫ বছরের জীবনে তিনি লক্ষ করেছেন, তার পরিচিত অনেক উদ্ভিদই বর্তমানে আর দেখা যায় না। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করলেন। প্রশ্ন: ক. পপুলেশন কাকে বলে? খ. গ্রিন হাউস ইফেক্ট বলতে কী বোঝায়? গ. সাত্তার সাহেব উদ্ভিদ সংরক্ষণের জন্য যে পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন তার সুবিধা উল্লেখ কর। ঘ. উদ্ভিদ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সাত্তার সাহেবের উদ্যোগটি মূল্যায়ন করো। উত্তর-ক: একটি নির্দিষ্ট স্থানে একই সময়ে বাসকারী একই প্রজাতির একদল জীবকে বলা হয় পপুলেশন। উত্তর-খ: গ্রিন হাউসের কাচ নির্মিত প্রাচীরের মতো পৃথিবীকে ঘিরে বিদ্যমান গ্রিন হাউস গ্যাসসমূহ সূর্যের পতিত তাপ বিকিরণে বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলের তাপ বৃদ্ধি করে থাকে। তাই গ্রিন হাউস গ্যাস কর্তৃক বায়ুমণ্ডলের তাপ বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বলা হয় গ্রিন হাউস ইফেক্ট। বিজ্ঞানীদের ধারণা, গ্রিন হাউস ইফেক্টের কারণে বায়ুমণ্ডলের যে তাপ বৃদ্ধি হচ্ছে তার ফলে অচিরেই আইসল্যান্ডের বরফ অধিক হারে গলতে শুরু করবে এবং সাগরে পানির উচ্চতা ১ থেকে ২ মিটার বৃদ্ধি পাবে। ফলে অধিকাংশ দ্বীপাঞ্চল, যেমন মালদ্বীপসহ বাংলাদেশের এক বিশাল নিম্নাঞ্চল সাগরের লোনা পানিতে তলিয়ে যাবে। এতে কোটি কোটি মানুষ নিরাশ্রয় হয়ে পড়বে। উত্তর-গ: সাত্তার সাহেব বিলুপ্ত উদ্ভিদগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। উদ্ভিদ সংরক্ষণের এ পদ্ধতিকে স্ব-স্থানে সংরক্ষণ বা In-situ conservation বলে। নিচে এ পদ্ধতির সুবিধাগুলো দেওয়া হলো: ১. স্ব-স্থানে উদ্ভিদ সংরক্ষণ করলে উক্ত প্রজাতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত প্রাণিকুলও সংরক্ষিত হয়। ২. যে অঞ্চলের ফ্লোরা এখনো তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হয়নি অথবা বিশদ Study করা সম্ভব হয়নি, সে অঞ্চলে স্ব-স্থানে প্রজাতি সংরক্ষণ আবশ্যক। ৩. বিবর্তনীয় প্রক্রিয়াগুলোকে চালু রাখে। ৪. অনেক উদ্ভিদ স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য মাইক্রোরাইজাল ছত্রাকের ওপর নির্ভরশীল। স্ব-স্থানে সংরক্ষণের ফলে ওই ছত্রাকও সংরক্ষিত হয় এবং উদ্ভিদের টিকে থাকা নিশ্চিত হয়। উত্তর-ঘ: সাত্তার সাহেব প্রত্যক্ষ করেছিলেন সময়ের পরিক্রমায় এবং মানুষের অসচেতনতার কারণে অনেক উদ্ভিদ দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অথচ কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য গড়ে ওঠার পেছনে বিলুপ্তপ্রায় এসব উদ্ভিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সব জীববৈচিত্র্য সম্মিলিতভাবে কোনো ইকোসিস্টেমকে গতিশীল রাখে। গতিশীল ইকোসিস্টেম এবং বিবর্তনধারা অব্যাহত না থাকলে পরিবর্তিত পরিবেশে হঠাত্ করেই জীববৈচিত্র্যের এক বিরাট অংশ অভিযোজনক্ষমতা হারিয়ে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। কোনো প্রাকৃতিক পরিবেশে দু-একটি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেলে ওই এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং পরিবেশ বিরাট বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে যায়। নগণ্য কোনো উদ্ভিদ থেকে ভবিষ্যতে মূল্যবান যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার হতে পারে, যা দিয়ে ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে কোনো কঠিন দুরারোগ্য রোগ থেকে আরোগ্য করা যাবে। তাই ভবিষ্যতের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সব উদ্ভিদকেই সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত নিশ্চিতকরণ, মরুকরণ রোধ, ভূমিক্ষয় রোধ, ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস রোধ ইত্যাদি সার্থকভাবে সম্পন্ন করতে পারে পর্যাপ্ত সংখ্যক বৃক্ষ-লতা-গুল্ম। তাই উদ্ভিদ সংরক্ষণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয়, বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতি রক্ষায় সাত্তার সাহেবের গৃহীত উদ্যোগটি যথাযথ ও সময়োপযোগী। প্রশ্ন: ক. প্রজনন কাকে বলে? খ. অ্যাপোস্পোরি বলতে কী বোঝায়? গ. R অংশটি কীভাবে সৃষ্টি হয়? ব্যাখ্যা করো। ঘ. P ও Q-এর মধ্যে কোনটি শুক্রাণু সৃষ্টিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে? মতামত দাও। উত্তর-ক: যে প্রক্রিয়ায় জীব তার অপত্য বংশধর সৃষ্টি করে, তাকে প্রজনন বলে। উত্তর-খ: ডিম্বকের যেকোনো দেহকোষ (যেমন—ডিম্বক ত্বক, নিউসেলাস) থেকে ডিপ্লয়েড ভ্রূণথলি সৃষ্টি হতে পারে। ডিম্বকের দেহকোষ থেকে সৃষ্ট ডিপ্লয়েড ভ্রূণথলির ডিপ্লয়েড ডিম্বাণু থেকে নিষেক ছাড়াই ভ্রূণ সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে অ্যাপোস্পোরি বলে। অ্যাপোস্পোরি প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট উদ্ভিদ ডিপ্লয়েড হয় এবং মাতৃ উদ্ভিদের সমগুণসম্পন্ন হয়। Hieracium উদ্ভিদে এরূপ দেখা যায়। উত্তর-গ: R অংশটি ডিম্বাণু। এ ক্ষেত্রে ডিপ্লয়েড স্ত্রীরেণু মাতৃকোষ থেকে মায়োসিস প্রক্রিয়ায় চারটি হ্যাপ্লয়েড স্ত্রীরেণু গঠিত হয়। এদের মধ্যে ওপরের তিনটি নষ্ট হয়ে যায় এবং নিচেরটি কার্যকরী থাকে। কার্যকরী স্ত্রীরেণু নিউক্লিয়াসটি মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে দুটি নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। নিউক্লিয়াস দুটি স্ত্রীরেণু কোষের দুই মেরুতে অবস্থান করে।প্রতিটি মেরুর নিউক্লিয়াস পরপর দুবার বিভাজিত হয়ে চারটি করে নিউক্লিয়াস গঠন করে। প্রতিটি নিউক্লিয়াস অল্প সাইটোপ্লাজম এবং হালকা প্রাচীর দ্বারা আবৃত থাকে। এ সময় স্ত্রীরেণু কোষটি একটি দুই মেরুযুক্ত থলির মতো অঙ্গে পরিণত হয় এবং এর প্রতি মেরুতে চারটি করে মোট আটটি নিউক্লিয়াস থাকে। এই অবস্থায় প্রতি মেরু থেকে একটি করে নিউক্লিয়াস থলির মাঝখানে চলে আসে এবং পরস্পর মিলিত হয়, যাকে সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াস বলে। ভ্রূণথলির যে মেরু ডিম্বক রন্ধ্রের দিকে থাকে, সে মেরুর তিনটি নিউক্লিয়াসকে একত্রে ডিম্বাণু যন্ত্র বলে। ডিম্বাণু যন্ত্রের মাঝখানের নিউক্লিয়াসটি বড় থাকে। একে ডিম্বাণু বলে। এভাবে R অংশটি (ডিম্বাণু) সৃষ্টি হয়। উত্তর-গ: P চিহ্নিত নিউক্লিয়াসটি ছোট এবং Q চিহ্নিত নিউক্লিয়াসটি আকারে বড়। কাজেই P জনন নিউক্লিয়াস এবং Q নালিকা নিউক্লিয়াস। পরাগরেণু অঙ্কুরিত হলে ইন্টাইন বৃদ্ধি পেয়ে জার্মপোর দিয়ে নালিকার আকারে বাড়তে থাকে। একে পরাগ নালিকা বলে। পরাগ নালিকায় প্রথমে Q (নালিকা নিউক্লিয়াস) ও পরে P (জনন নিউক্লিয়াস) প্রবেশ করে। নালিকাটি গর্ভদণ্ডের ভেতর দিয়ে ক্রমেই বাড়তে থাকে এবং গর্ভাশয়ের ভেতরে ডিম্বকরন্ধ্র পর্যন্ত যায়। অপর দিকে P (জনন নিউক্লিয়াস) সাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে দুটি পুংগ্যামেট বা শুক্রাণু সৃষ্টি করে। নিচে প্রক্রিয়াটি চিত্রের সাহায্যে দেখানো হলো। সুতরাং, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে শুক্রাণু সৃষ্টিতে P অংশটি (জনন নিউক্লিয়াস) মুখ্য ভূমিকা পালন প্রশ্ন: ক. মেসোফিল টিস্যু কী? খ. কোন টিস্যু জলজ উদ্ভিদকে ভেসে থাকতে সাহায্য করে? ব্যাখ্যা করো। গ. চিত্র R-এর গঠন ব্যাখ্যা করো। ঘ. চিত্র P, Q, R-এর মধ্যে কী কী ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়? বিশ্লেষণ করো। . উত্তর-ক: প্যারেনকাইমা টিস্যুতে ক্লোরোফিল উপস্থিত থাকলে তাকে ক্লোরেনকাইমা বলে। পাতার ক্লোরেনকাইমাকে মেসোফিল বলে। এটি খাদ্য প্রস্তুত ও পরিবহনে সাহায্য করে। উত্তর-খ: উত্তর: খ. প্যারেনকাইমা টিস্যুর কোনো কোনোটিতে বড় বড় বায়ুকুঠুরিযুক্ত থাকে বলে এগুলোকে অ্যারেনকাইমা বলে। পানিতে বসবাসকারী উদ্ভিদে এ টিস্যুগুলো দেখা যায়। এ কুঠুিরগুলো বায়ুপূর্ণ থাকার কারণে জলজ উদ্ভিদ ভেসে থাকতে পারে। উত্তর-ক: চিত্র-R স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যু। নিচে এর গঠন বর্ণনা করা হলো: লিগনিনযুক্ত পুরু প্রাচীরবিশিষ্ট কোষ (জীবিত বা মৃত) নিয়ে গঠিত স্থায়ী টিস্যুকে স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যু বলে। আকার-আকৃতি ও গঠন অনুসারে স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যু দুই ধরনের। যথা: (১) স্ক্লেরেনকাইমা তন্তু: ফাইবার বা তন্তু কোষগুলো লম্বা, মাথা দুটি অত্যন্ত সরু ও সুচালো। প্রাচীর স্থূল ও দৃঢ়। এরা পিটেড এবং পিটগুলো অত্যন্ত ছোট। (২) স্ক্লেরাইড: এ প্রকার কোষ অনেকটা গোলাকার, প্রাচীর লিগনিনযুক্ত এবং বেশ স্থূল। কোনো কোনো সময় স্ক্লেরাইড একটু লম্বাকৃতির হতে পারে, বিশেষ করে বীজও ফলত্বকে থাকলে। নরম টিস্যুতে স্ক্লেরাইড কোষ থাকলে তাকে স্ক্লেরোটিক কোষ বলা হয়। স্ক্লেরাইডকে অনেক সময় স্টোন কোষ বলা হয়। উত্তর-ঘ: চিত্র-P, Q, R-এ যথাক্রমে প্যারেনকাইমা, কোলেনকাইমা ও স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যু দেখানো হয়েছে। নিচে উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যের কারণে টিস্যুগুলো একটি অপরটি থেকে আলাদা: ১. P (প্যারেনকাইমা) টিস্যুতে আন্তকোষীয় ফাঁক থাকে। Q (কোলেনকাইমা) টিস্যুতে আন্তকোষীয় ফাঁক নাও থাকতে পারে। R (স্ক্লেরেনকাইমা) টিস্যুতে আন্তকোষীয় ফাঁক একেবারেই থাকে না। ২. প্যারেনকাইমা টিস্যুর কোষগুলো আকারে গোলাকার, ডিম্বাকার বা বহুভুজাকার হতে পারে। আর কোলেনকাইমা টিস্যু প্রস্থচ্ছেদে বহুভুজাকার হলেও লম্বচ্ছেদে আয়তাকার। প্রস্থচ্ছেদে স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যুর কোষগুলো বহুভুজাকার, তবে লম্বচ্ছেদে সরু ও লম্বা হয়ে থাকে। ৩. প্যারেনকাইমা টিস্যুর কোষপ্রাচীর পাতলা। আর কোলেনকাইমা টিস্যুর কোষপ্রাচীর অপেক্ষাকৃত পুরু। কিন্তু স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যুর কোষপ্রাচীর অত্যন্ত পুরু হয়ে থাকে। ৪. প্যারেনকাইমা টিস্যুতে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকতে পারে। আর কোলেনকাইমাতে কখনো কখনো ক্লোরোপ্লাস্ট থাকলেও স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যুতে থাকে না। ৫. উদ্ভিদের বর্ধনশীল অঞ্চল, যেমন: মূল, কাণ্ড ও পাতার রসালো এবং নরম অংশে প্যারেনকাইমা টিস্যু অবস্থান করে। পাতার বোঁটা মধ্যশিরায়, ত্বকের নিচে ও ফুলের বোঁটায় এই টিস্যু অবস্থান করে। আর স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যু কর্টেক্স, জাইলেন, ফ্লোয়েম এবং পেরিসাইকেলে অবস্থান করে। ৬. খাদ্য প্রস্তুত, খাদ্য সঞ্চয় ও খাদ্য পরিবহন প্যারেনকাইমা টিস্যুর কাজ। দৃঢ়তা প্রদান, ক্লোরোপ্লাস্ট থাকলে খাদ্য প্রস্তুত করা কোলেনকাইমা টিস্যুর কাজ। দৃঢ়তা প্রদান করাই স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যুর প্রধান কাজ। প্রভাষক রূপনগর মডেল স্কুল ও কলেজ, ঢাকা
Posted on: Sun, 21 Dec 2014 10:32:38 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015