Menu Skip to primary content লাভ - TopicsExpress



          

Menu Skip to primary content লাভ টিপস প্রেমের পূর্ব-মুহূর্তের কাহিনী এখনো চলছে ভেঙ্গে গেছে প্রেমের কাহিনী কাঁচা বয়সের ভালবাসা পরিণত বয়সের ভালবাসা সফল ভালবাসা বিরহের কাহিনী প্রতারিত নিজে ভেঙ্গেছেন পারিবারিক চাপ ক্যারিয়ার বাঁধা কবিতা প্রেমের কবিতা বিরহের কবিতা চিঠি খোঁজ করুন লাভ সল্যুশনের ব্লগ ভালবাসার সমস্যায় আপনার পথপ্রদর্শক Posted in কাঁচা বয়সের ভালবাসা সেদিনই মারিয়া, আমায় দিলো ছাড়িয়া-লেখকঃ অজানা হাই স্কুলে পড়ার সময় প্রেমে পড়েছি যার, সে ছিল সহপাঠী কুলসুম আক্তার, ফাইনাল দিয়ে সেই যে গেল, তারপর দেখেনি আর। ক্লাস সেভেনে পড়ি যখন, প্রেমে পরে যাই সিনিয়র আপা’র। সে ছিল খেলার সাথী,স্কুল শেষে এক সাথেই থাকি, সুযোগ পেলেই মারি উঁকি ঝুঁকি। এক ক্লাস জুনিয়র ভেবে আপা করলো ভুল, সে ভুলেই হয়ে গেলাম মস্তবড় লুল। পাশে ডেকে আপা বলে “আমি না তোর বোন, ওয়াহিদকে আমি ভালবাসি তুই হয়ে যা পিয়ন”। প্রেম প্রীতি বাদ দিয়ে পড়ায় দিলাম মন, সেবার আমি টেন এ পড়ি ছটফট সারাক্ষণ। পরীক্ষা শেষে দাড়িয়ে ছিলাম মেয়েদের জানালার পিছে, হঠাৎই এক মেয়ে বলে উত্তর বলে দিতে। প্রশ্নপত্র চেয়ে নিয়ে উত্তর দিলাম লিখে, i love u ও লিখে দিলাম এক্কেবারে নিচে। প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে মেয়েটি দিলো হাসি, ভালোবেসে ফেলেছি তাকে কি করে যে বলি, খবর নিয়ে জানতে পারি ওর নাম কাকলী। খাম্বা ধরে দাড়িয়ে থাকতাম ওর আসা যাওয়ার পথে, কথা বলার সাহস হতোনা ভীতু ছিলাম বলে। এমন করেই একটি বছর হঠাত্‍ গেলো চলে। তখন আমি কলেজে স্টুডেন্ট সময় হাতে নাই সেও নিরুপায়, আমিও লাজুক প্রেম আর হয় নাই। ২য় বর্ষে পড়ছি যখন, উদাস উদাস ভাব তখন, পাড়ায় এল লাজুক একটি মেয়ে। টানা টানা চোখ তার ধনুকের মত নাক, ফ্যালফ্যালিয়ে তাকিয়ে থাকি, তাই তার এত রাগ, এরপর দেখা হলে ও আমি হাসি আর ও মারে ঢিল, আপোষ করে চিঠি লিখলাম হয়ে গেলো মিল। ঝগড়া শেষে প্রেমে পরে হাবুডুবু খাচ্ছি, বছরখানিক সকাল-সন্ধ্যা দেখা করেই যাচ্ছি । সাহস করে জীর্ণতা সব দিলাম ঝেড়ে, হাতে হাত রাখা, জড়িয়ে ধরা, চুমু খাওয়া গেলো বেড়ে। একদিন দুজনে ওদের সিঁড়িতে পাশাপাশি ছিলাম বসে, হূট করে ওর মা কোথা থেকে যেন সামনে পড়লো এসে। কি করবো আজ ভেবে না পাই, কোন পথে যে পালিয়ে যাই, সেদিনই মারিয়া, আমায় দিলো ছাড়িয়া । Collected, Source: Facebook Page-তোমাকে অনেক ভালবাসি(Love You More then I Can Say) অক্টোবর 31, 2012 Leave a reply একটি মেয়ে এতটা খারাপ হতে পারে(২য় অংশ) ফিরে আসলাম মিশু এবং শুভ্র এর সেই বাস্তব সত্য কাহিনি নিয়ে । যা গঠেছিল শুভ্র আর মিশুর কাহিনি প্রকাশ করার পর ……….. ফেসবুকে কাহিনি টা প্রকাশ করার কিছু দিন পর মিশু একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে শুভ্র কে কল দেয় , (মিশু এই কাহিনি প্রকাশ করার কথা এর তার বিভিন্ন বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে পারে , জানার পর সে কল দেয়) মিশু এর কল জানলে শুভ্র কখনই রিসিভ করত না , কিন্তু আপরচিত হওয়াতে শুভ্র কল রিসিভ করে । শুভ্র কল রিসিভ করে মেয়ে কণ্ঠ পেয়ে জিজ্ঞাসা করে কে সে ? তখন ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে মিশু তার পরিচয় বলে। তখন শুভ্র কল কেটে দিতে চাইল কিন্তু মিশু তাকে কল কাত্তে বারন করে । তখন মিশু শুভ্র কে জিজ্ঞাসা করে শুভ্র কেন ওই কথা গুলো মানুষের মাঝে প্রকাশ করে ??? শুভ্র তখন মিশু কে জিজ্ঞাসা করে কথা গুলো কি মিথ্যে??? মিশু এই কথা জবাব না দিয়ে ,কেন কাহিনি প্রকাশ করা হল টা নিয়ে চেসামেসি করে ,পরে শুভ্র তার কথায় অনড় থাকার ফলে মিশু কথা গুলো যে সত্য তা স্বীকার করে । তার পরিবারের ঝামেলার কথা শুভ্র কেন প্রকাশ করল তা জিজ্ঞেস করে ।শুভ্র জবাব দেয় প্রয়োজন বোধে সে সব প্রকাশ করে। শুভ্র তখন জিজ্ঞাসা করে জনি থেকে সে টাকা নিসে কি না??? যা সে ফ্রেন্ড থাকা কালীন শুভ্র কে বলেছিল ।মিশু এটা শুনে উলটা রাগ দেখাতে লাগলো । পরে সে স্বীকার করল যে জনি থেকে সে অনেক বার অনেক টাকা নিয়েছে… মিশু প্রতি বার সব কথা অস্বীকার করে তখন শুভ্র তাকে মনে করিয়ে দিলেও মিশু স্বীকার করে না, যখন ই শুভ্র কল কেটে দেয় তখন ই মিশু কল করে এর পর মিশু পুনরায় কল দিয়ে সেই কথা স্বীকার করে …(এখন আপনাদের প্রশ্ন থাকতে পারে মিশু কেন বার বার শুভ্র কে কল দিচ্ছে এর উত্তর এ পরে আসছি ) তার পর মিশু হতাথ সোজা শাপটা বলে বসে যে সে আর বেশ কিছু ছেলেকে ব্যবহার করেছে ।শুভ্র কে তাই করতে চাইছে, এটা রাগের মাথায় বলে দিয়ে সাথে সাথে বলল এটা ভুল বলেছি , শুভ্র তখন মিশু কে জিজ্ঞেস করে তুমি আধো কাউকে রিয়েল লাভ কর??? মিশু তখন বলল না। । ।শুভ্র বলল তাহলে আমাকে প্রতিদিন প্রপস করছিলা কেন ??? মিশু তখন আমি ফান করতাম, বন্ধুরা তো ফান করতেই পারে । শুভ্র বলল কেউ কি প্রতিদিন ফান করে ???? মিশু বলে আমি করছি। এবং সেটা ছিল তোর টাকার জন্য। মিশু আর বলল তোর য চেহারা তরে কেও পছন্দ করবে না ,যদি করে তো টাকার জন্য ই করবে । হায়রে মেয়ে ! তার আবার ভালবাসা!!! এক্তা মানুষ কিভাবে একের পর এক মিথ্যা বলে যায় ভেবে পাই না। এর পর শুভ্র তার পাড়ার মেয়ের ভাই কে বিয়ের লোভের কথা জিজ্ঞাসা করল , মিশু তখন বলে এটা ফান ছিল,তার বাবা মা এবং সে সকলের এটা নিয়ে ফান করত। হায়রে পরিবার !!আর কি তার শিক্ষা !!! কিছুক্ষণ পর ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে এই ব্যাপারটা সে স্বীকার করল… এর পর সে তার বর্তমান বয় ফ্রেন্ড মফিজ কে কল দেয় এবং কনফারেন্স এ নিয়ে আসে ,শুভ্র অবাক হয়, তারপর শুভ্র বলে মফিজ কে কেন এখানে আনা হল ??? তখন মফিজ বলে আমরা জাস্ট ফ্রেন্ড ( যদিও মিশু আগে ই স্বীকার করছিল , এটা মিশুর মেয়ে ফ্রেন্ড রাও জানতে পারে, ) তখন শুভ্র বলল তোমাকে এখানে জরাতে চাইনি, তুমি যেহেতু জরাইস তাহলে তুমি আমার সাথে দেখা করতে পার ,তুমি ঢাকা কলেজ ,সিটি কলেজ ,অর রাইফেলস স্কোয়ারে আসো ।তোমাকে আমি তোমার ফ্রেন্ড কেমন সেটার প্রমান দেখাই, মফিজ তখন ক্ষিপ্ত হয়ে বলে তুই আমাকে ঢাকা কলেজ এর ভয় দেখাস???? তুই আমার কি করবি আমি তরে দেখে নিবো !!! শুভ্র তাকে ধিরে সুস্তে বুঝিয়ে বলল আমি তোমার কিছু করতে যাবো কেন ??? আমি তোমাকে জাস্ট প্রমান গুলো দেখাবো । তখন মফিজ বলে তুই আয় ঢাকা কলেজ এ আমি এইডা করমু ওইটা করমু , তখন মিশু কনফারেঞ্চ থেকে মফিজ কে বের করে দেয় । আর এর পর মিশু খারাপ ব্যবহার করতে থাকে ,শুভ্র তখন কল কেতে দেয় । দীর্ঘ ১ ঘণ্টা কথায় মিশু পায় সব কিছু পরে হলে ও স্বীকার করে । হাইরে মিশু ! আর তোর কথা !!একটা মেয়ে এতটা খারাপ হতে পারে যে আমারা যারা মা জাতি,নারী জাতিকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করি এবং বিশ্বাস করি তারা মানতে দ্বিধা করি,,তার পর ও এসব সত্য . এই কাহিনী টা পুরুটাই সত্য , , , পুরো মা জাতিকে কলঙ্কিত করার জন্য এইসব মেয়েরাই দায়ী । নারী জাতির সম্মান রক্ষার্থে নারিদের এ আগিয়ে আসতে হবে। এই সব মেয়ে দের থেকে দূরে থাকাই সবার জন্য মঙ্গল।শুধু তার শরীরের সাদা দেখে তার সাথে জড়ানো টা বোকামি হবে।মানুষের মনের সাদা তাই আসল সুন্দর্য। Collected, Source: Facebook page-ভালবাসার সাতকাহন অক্টোবর 31, 2012 Leave a reply একটি মেয়ে এতটা খারাপ হতে পারে(১ম অংশ) ফেসবুক থেকে লগ আউট করার সময় হতাথ মিশু নামের একটি মেয়ের আইডি দেখতে পায় শুভ্র। মিচুয়াল ফ্রেন্ড অনেক ।শুভ্র এত মিচুয়াল ফ্রেন্ড দেখে মিশুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাথাল।এমনিতে শুভ্র খুব খুব দ্রুত মিলতে পারে। ফেসবুক আ আইডি খোলার পর থেকে অনেক অচেনা মানুষকে আপন করে নিয়েছে।বাড়িয়েছে বন ্ধুত্বের হাত । অনেক মেয়ের সাথেই তার খোলামেলা বন্ধুত্ব । ভার্চুয়াল জগতের এসব বন্ধুত্ব শুভ্র খুব উপভোগ ও করে। এদের মধ্যে দু একজন তার সত্যিকার ভাল বন্ধু হিসেবেও জীবনে আবির্ভূত হয়। দুই –তিন দিন পর মিশু শুভ্রর রিকুয়েস্ট গ্রহন করে । এরপর স্বভাবতই শুভ্র মিশু কে চ্যাট মেসেজ দেয়।মিশুও প্রতিত্তর দেয়। শুরুটা এইভাবে । এইভাবে প্রতিনিয়তই চলতে থাকে শুভ্র আর মিশুর চ্যাটইন ।মিশুর আগ্রহ দেখে শুভ্র মিশুকে তার ভাল বন্ধু বানাতে উৎসাহ প্রকাশ করে । এরপর দিন যায় ,সপ্তাহ যায় শুধুই ফেসবুক চ্যাটইন ,দুজনের মধ্যে একটা ভাল বন্ধুত্ব গড়ে উথে।পারিবারিক,বাক্তিগত অনেক কথাই তারা শেয়ার করে। তবে এর মাঝে সাহস করে মিশুর কাছে মোবাইল নাম্বার চায়।মিশু কোন রকম তাল-বাহানা ছাড়াই নাম্বার দিয়ে দেয়।এর পর মোবাইলেও তাদের চ্যাটইন,টকইন হত।মিশু রাত জেগে পড়াশুনা করত আর সেই সাথে ফেসবুক আথবা মোবাইলে শুভ্রর সাথে চ্যাটইন করত ।শুভ্রর তেমন রাত জাগার অভ্যাস ছিল না, তাই মাঝে মাঝে সে ঘুমিয়ে পরতো। আর তখুনি মিশু মোবাইলে কল দিয়ে শুভ্রকে উঠিয়ে চ্যাটইন করতে বলত।খুব সহজ আর সাবলীল ভাবে দুজনের মাঝে বন্ধুত্ব হয়,জানতে জানতে এক সময় শুভ্র জানতে পারে মিশুর পরিবার অনেক উচ্চ শিক্ষিত হলেও তাদের পরিবারে শান্তি ছিল না।তার এক মাত্র বড় ভাইয়ের বউ মানে ভাবি সব সময় ঝামেলা বাধিয়ে রাখতো। মিশুকে অকারণেই বকাঝকা করতো।একারণে মিশুর মন বেশিরভাগ সময়ই খারাপ থাকতো,আর তখন শুভ্র তার মন ভালো করার আপ্রান চেষ্টা করতো এবং করত ও । মিশু ঢাকা সিটি কলেজ এ বিজ্ঞান বিভাগে পরতো তখন ,ywca স্কুল থেকে ২০১০ সালে এস এস সি পাশ করে।শুভ্রর সাথে আগে থেকে রাইফেলস পাবলিক , ywca ,ঢাকা সিটি কলেজ,হলি ক্রস ,এসব প্রতিষ্ঠানের মেয়েদের সাথে জানা শোনা ছিল ।শুভ্র তাই সবাইকে মিশুর সাথে বন্ধুত্বের কথা জানাতে চাইলো । কিন্তু মিশু জানাতে বারন করলো ।কারণতা অবশ্য বলল না । শুভ্র মোটামুটি ধনী পরিবারের ছেলে ।এটা মিশু জানতে পেরে তাকে পচাতে শুরু করলো । শুভ্র অবশ্য এতে কিছু মনে করল না।মিশু মেয়ে বলে যখন তখন বাসা থেকে বের হতে পারত না, তাই অনেক সময় শুভ্র মিশুর মোবাইলে রিচার্জ করে দিতো। প্রথম কয়েকবার মিশু রিচার্জ ব্যাক করতো ,পরে আর কখনই তেমন করতো না। শুভ্রর এটা নিয়ে তেমন কোন মাথা ব্যাথা ছিল না,বন্ধু ই তো !! মিশুর সমবয়সী তার এক খালাতো বোন ছিল ,নাম অসিন ।অসিন জানত শুভ্র আর মিশুর বন্ধুত্বের কথা।অসিনও ঢাকা সিটি কলেজ এ বিজ্ঞান বিভাগে পড়তো। অসিন অবশ্য অনেক আগে থেকেই শুভ্রর ফ্রেন্ড লিস্টে ছিল ,আর অসিনের যত বান্ধুবী ছিল সবাই ই ছিল বলতে গেলে। অসিনের সাথে মাঝে মাঝে শুভ্রর মিশু কে নিয়ে কথা হত ।মিশুর ফেসবুক ব্যবহার বা ছেলে বন্ধুর কথা বাসয় জানত না ।এরপর মিশু শুভ্রর সাথে দেখা করার জন্য বলতে লাগলো ।ফেসবুকে দুজনের কারোই কোন ছবি ছিল না তখন । তবে শুভ্র দেখা করতে চাইত না,দেখতে মোটা মুটি ছিল বলে। পহেলা এপ্রিল বা এপ্রিল ফুল দে তে মিশু তার আরেক কাজিন সানজিদার(ধানমণ্ডি গার্ল স্কুলে ১০ শ্রেণীতে পরত)সাথে মোবাইলে কথা বলে দেয় । আর এ দিনেই মিশু শুভ্রকে প্রপোজ করে । আই লাভ ইউ বলে। শুভ্র তো ‘থ’ মেরে যায়। মিশুকে ও শুধু ভাল বন্ধু হিসেবেই দেখতো ও । আর দু জনে দেখাও হইনি তখন । মিশু বলে শুভ্র তাকে লাভ না করলে সে ইন্সুলিন নিবে । তবে শুভ্র বলে আমাকে এপ্রিল ফুল বানাতে চাচ্ছিস (ততদিনে তারা একে অপরকে তুই করে বলতে শুরু করেছে)মিশু তখন জোরাজুরি করে । আর শুভ্র তখন রেগে যায়। বন্ধুত্ব ভাংতে চায় ।পরে তাড়াতাড়ি মিশু বলে যে সে ফান করেছিল । তখন শুভ্র বলে যদি সে প্রপোস গ্রহন করতো তখন কি হত ? মিশু বলে রিলেশন হত । শুভ্র রিলেশন করতে চায় না,সবার সাথে বন্ধুত্বটাই সে উপভোগ করে আবার সমবয়সী কারও সাথেও তো রিলেশন করবে না বলেই তার পণ । আভাবেই চলতে লাগলো আর মিশুর চাপাচাপি বাড়তে লাগলো । সে শুধু দেখা করতে চাইছে । শেষমেষ শুভ্র দেখা করার জন্য রাজি হল ।এপ্রিল ফুল এর ৮/৯ দিন পর ।তখন শুভ্র ইস্টার্ন মল্লিকার পাশে মমিন স্যার এর বাসার সামনের গলিতে নির্ধারিত সময়ে দাড়িয়ে চিল,আর মিশু তার মায়ের সাথে স্যার এর বাসা থেকে আসলো । মিশুর সাথে মোবাইল ছিল না তখন কিন্তু সে তার মায়ের মোবাইল দিয়ে ম্যাসেজিং করতে ছিলো । দুজনের চোখাচোখি হলেও কোন কথা হয়নি । শুভ্র তার বাসায় ফিরে আসে।রাতে মিশু শুভ্রকে পিচ্ছি বলে টিটকারি মারতে থাকে,শুভ্র এটা বেশ উপভোগ করতে থাকে । কিন্তু এর পরই মিশুর ভীমরতি উথে,সে শুভ্র কে আবার প্রপোস করে বসে /আবার আর ফান নইয়,সত্যি সত্যি সে শুভ্রকে প্রস্তাব দেয় । শুভ্র হতবাক হয়ে না বলে দেয় । শুধু ভাল বন্ধু হয়ে থাকার অনুরোধ জানায় । কিন্তু বাড়াবাড়ি রকমের করতে থাকে । ঘুমের ঔষধ ,ইন্সুলিন ইত্যাদি খাবে বলে হুমকি দেয় । শুভ্র মিশুকে অনেক বকাঝকা করে। বন্ধুত্বই ছেরে দেয় শুভ্র । এর দুই দিন পর শুভ তার মায়ের সাথে তার নানা বাড়ি যাবার সময় মিশু কল দেয় । শুভ্র রিসিভ করে না । শেষে বিরক্ত হয়ে কল রিসিভ করে । মিশু কান্না কাটি করতে থাকে ফোনে । বার বার সরি বলে মাফ চায় । আর কখনও এমন পাগলামি করবে না বলে ওয়াদা করে । মিশুর কান্না কাটি শুনে শুভ্র তাকে মাফ করে দেয় । কিন্তু মায়ের সামনে কিছুই বলতে পারে না ,তাই বলে “করে দিলাম” । পরে কথা হবে । এই বলে কেটে দেয় শুভ্র । আবার বন্ধুত্ব হয় । তাদের দেখাও হয় বেশ কয়েকবার এর পরে। মিশুর সাথে একই এলাকার আরেকটা মেয়ে (ঘনিষ্ঠ বান্ধুবি তারা ) মুনিরার সাথে মিশু কলেজ এ আসতো । যেদিন শুভ্রর সাথে দেখা করতো ঐদিন তাকে মিথ্যা বলে আগে পাঠিয়ে দিতো । এক সময় তারা ও সব জেনে যায় । এর মধ্যে মিশু প্রায়ই শুভ্রর কাছ থেকে মোবাইল রিচার্জ নিতো ,কিন্তু ব্যাক করতো না । মিশু এর কিছু দিন পরপরই শুভ্রকে প্রপোস করতে ত্থাকে । শুভ্রকে ছাড়া বাচবে না এসব কথা বলে ।শুভ্র বারবারই তাকে ফিরিয়ে দেয় । অনেকবার বকাঝকা করে । কথা বলা বন্ধ করে দেয় । পরে মিশুর বাহানা আর কান্না কাটি শুনে শুভ্র আবার মিশুকে ক্ষমা করে দেয় । এভাবেই চলতে লাগলো । শুভ্র ভাল একটা বন্ধু হারানোর ভয়ে বার বার মিশুকে ক্ষমা করে দেয় । কিন্তু বাস্তব সত্যটা একটু অন্যরকমই ছিল । শুভ্র তখন টা জানত না । জানলে হয়তো অনেক আগেই ফ্রেন্ডশিপ ব্রেক করতো । যাই হোক সেসব কথায় পরে আসা যাবে !!বন্ধুতবতা অন্যরকম হয়ে গিয়েছিলো ।কিছুদিন খুব ভালো তো কিছুদিন খুব খারাপ । মিশুর পাগলামিতে এমন হয় আর তখনই মিশু তার বান্ধুবী শুভ্রের ফ্রেন্ডলিস্ট থাকা বন্ধুদের বলে বেড়াতে লাগলো শুভ্র তার বয় ফ্রেন্ড ।সবাই শুভ্রকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো । এমনিতে মিশু বেশ সুন্দরী ই ছিল তবে একটু মোটা । শুভ্র খেপে যায় । মিশুকে আবার বকা ঝকা করলে লাগে । মিশু বাহানা দিতে থাকে ।শুভ্র এসবে কান না দিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দেয় । এর পর আবার মিশু শুভ্রকে নানাভাবে বুঝতে থাকে , তার ছোটখাটো সমস্যা গুলো অনেক বড় করে দেখাতে লাগলো । বলল বাসায় ভাবি তাকে ঝালিয়ে মারছে ,সুইসাইড করতে ইচ্ছে করছে ।কান্না কাটি শুনে শুভ্র আবারও তাকে ক্ষমা করে ,এর মাঝে মিশুর জন্মদিনে শুভ্র মিশুকে একটা চমৎকার ব্রেসলেট উপহার দেয় । এতো শুন্দর ব্রেসলেট পেয়ে মিশুতো ভারী খুশি। পরে তারা ছায়ানীরে খায় মিশুরা চার বান্ধুবী ।মুনিরা ,মনি,মুন্নি ও মিশু ।মুনিরা এবং মিশু বেশির ভাগ সময় এক সাথে থাকতো । মনি ও মুন্নি ও তাদের ভাল ফ্রেন্ড ছিল ।তবে মুন্নির কাছে ওরা অনেক কিছু লুকাত । শুভ্রর বেপারটা ও তারা মুন্নি কে জানাতে চাই নি । এর মাঝে ভ্যালেন্টাইন ডে তে শুভ্র গাড়ি নিয়ে মিশুর সাথে দেখা করতে চায় । ঐদিন মুন্নি ও ছিল তাদের সাথে । তাই মুন্নি সব জেনে গেল । রেস্তুদেন্ট থেকে রবিন্দ্র সরোবরে গিয়ে বসল ।মনি ও মুনিরা কি জানি কিনতে যাবে বলে তাদের অখানে থাকতে বলল ।শুভ্র মিশুর জন্য সাদা গোলাপ আর একটা গিফট এনেছিল । কিন্তু সবার সামনে দিতে লজ্জা করছিল তাই ওদের বলল গাড়িতে আস্তে ।কিন্তু ওরা আসলো না । তাই শুভ্র রাগ করে ফুল এবং গিফট মাটিতে ফেলে চলে যায়। মিশু অনেকবার কল দেয় ওকে ফেরানর জন্য কিন্তু লাইন কেটে দেয় ।পরে রাতে মিশু সব দোষ মুন্নির উপর চাপিয়ে দেয় এর পর তাদের শেষ কথা হয় এস এইচ সি কামিস্ত্রি ২য় পত্র পরিক্ষার আগের দিন শুভ্র প্রতিটা পরিক্ষার ৮০% কমন একদম শর্ট সাজেশন মিশুকে দেয় । ম্যাথ সাজেশন ছিল না বলে আর কথা হই নি । এবার আসা যাক বাস্তব সম্মত কথায় , , শুভ্র পরে যা নিশ্চিত ভাবে জানতে পারে ।মিশু এক প্রকার লোভী, সার্থপর আর সর্বশেষে চরিত্রহীনা ছিল । শুভ্রর সাথে কথা বলার সময় সে অন্য ছেলেদের সাথে rltn রেখেছে ।পরে মিশু টা স্বীকার করেছে ।এমন কি বয়সে ছোট ছেলের সাথে ও সে rltn করেছে ।তাদের কাছ থেকে ও মিশু টাকা দার নিতো কিন্তু ফেরত দিতো না ।তবে সে সব চেয়ে বেশি ব্যবহার শুভ্রকেই করেছে ।শুভ্র কে বিয়ে করতে চাইত সে। ভাবত শুভ্রর বউ হলে রাজরানী হয়ে থাকতে পারবে ।এমনকি সে তার মেয়ে বন্ধুদের পদে পদে ব্যবহার করেছে ।মুনিরার ভাই ডাক্তার বলে সে প্রায় চাইত মুনিরার ভাই এর সাথে আলাপ চারিতা করতে ।তবে মুলত মিশুর বাবা চাইত মুনিরার ভাই এর সাথে মিশুর বিয়ে দিতে । মিশু আর মুনিরা এক সাথে কলেজে যেত বলে তাদের ভাল জানা শুনা ছিল । শুভ্র যখন মিশুকে না করে দিল ,তখন নানা অজুহাতে আরও চরম মিথ্যা কথা বলে মাফ চাইত ।কিন্তু তার উদ্দেশ্য ছিল একটাই । শুভ্র কে নিজের করে রাখা ,সাথে অন্য ছেলে দের সাতঝে টাইম পাস ,শুভ্র কে তার বয় ফ্রেন্ড বানিয়ে সবার কাছে বলতে লাগল। শুভ্র যখন তার সাথে কথা বলা বন্ধ করল মিশু তখন তার বন্ধুদের মিথ্যা বলে শুভ্রর বিরুদ্দে লাগিয়ে দিল ।শুভ্রর তথা কথিত বন্ধুরা শুভ্র কে কিছু না জিজ্ঞেস করেই তাকে ফেসবুকে রিপোর্ট আর ব্লক করতে লাগল ,শুভ্র অনেক আগেই মিশু কে ব্লক করেছিল ।,সবার রেপরত পেয়ে শুভ্র ফেসবুক থেকে ওয়ার্নিং পায় ,বাস্তবতার ধাক্কায় শুভ্র হতবাক হয়ে যায় । বন্ধুত্বেকে বাজে ভাবে ব্যবহার করা একজনের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল এটা ভাবতেই টা গা সিউরে উঠে । হতাথ মিশুর ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়, মিশু সরাসরি শুভ্রর উপর দোষ চাপায় । কিন্তু শুভ্র এসবের কিছুই জানত না ।তারা ছার বান্ধুবির পাসওয়ার্ড তাদের প্রত্যেকেই জানতো । মিশুর মিথে কথায় সবাই শুভ্র কে খারাপ ভাবতে শুরু করল । শুভ্র হারাতে লাগল তার আত্নসম্মান।একটা চরিত্রহীনার মিথ্যে কথায় । মিশু শুভ্র সাথে কথা বলার পর মফিজ নামের একটি ছেলের সাথে rltn করে । এখন ও চলছে ।ছেলেটি ঢাকা সিটি কলেজ এর বিজ্ঞান বিভাগ এর ছাত্র । সব সাবজেক্ট সাজেশন পাবার পর যখন দেখল তার গোল্ডেন এ + নিচ্ছিত তখন শুভ্র কে useless মনে হল । শুভ্র কে আর ব্যবহার করা যাবে না এটা একটা বড় কারন ।হায়রে মেয়ে । আর তোর বন্ধুত্ব !! মেয়েদের ভুবন ভুলানো কথা আর হাসিতে কতো ছেলে তাকে অন্ধের মত বিশ্বাস করে তার ইয়াত্তা নেই । মিশু মফিজ এর সাথে বেশ খুলাখুলি রিলেশন এ গিয়েছে বলে শুভ্র শুনেছে । তারা ঘুরতে যায় এটা শুভ্রর বন্ধুরা দেখেছে । হয়তো কিছু দিন পর মফিজকেও ব্যবহার করা শেষ হয়ে যাবে মিশুর ।তাদের কথা আর না ই বা বললাম ।হায়রে মানুষ !!! মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য কত কি করতে পারে । নিজের চরিত্র বিসর্জন ও ?? অবশ্য এই সব মেয়েদের মধ্যে চরিত্র বলতে কিছু ছিল বলে মনে হয় না ।তারা জন্মায় ই নিজেদের পিচাশ বা চরিত্রহীনা হিসেবে পরিচিতি পাবার জন্য । আর বন্ধুত্বের মত পবিত্র সম্পর্ককে কালিমা লেপনের জন্য ।যখন বন্ধুকে (!) ব্যবহার শেষ হয় তখন তাকে সবার কাছে খারাপ বানিয়ে নাচতে নাচতে নতুন ব্যবহারযোগ্য বন্ধু বানায় । ভাবতে পারেন এমন বন্ধুত্বের কথা ?? একবার ভাবুন তো এমনটা আপনার সাথে ঘটলে কি হত ??? নিজেকে শুভ্রর জায়গায় কল্পনা করুন তো ……??? দেখুন তো মিশুকে মানুষ মনে হয় কি না???? কি মনে হয়………………………. ???????? আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানান , মিশুদের মত কোন মেয়েরা যেন শুভ্রর মত আর কোন ছেলে কে ব্যবহার করতে না পারে সেই জন্য শেয়ার করুন । এই বাস্তব সত্য কাহিনী এখানেই শেষ নয়।এই গল্প টা প্রথম প্রকাশ হবার পর কাহিনী আরও লম্বা হয়।পরের অংশ টুকু জানতে এখানে ক্লিক করুন অক্টোবর 31, 2012 1 Reply কাছে থেকেও আজ তুমি কত দূরে কি বলব? কিছুই না………. “আরি !মেয়েটা নিজের প্রফাইল পিকচার দিছে ! ওয়াও !” কমেন্ট করলাম । “NICE” ৫ মিনিট পর দেখলাম notification আসছে একটা . . চেক করলাম । মেয়েটা কমেন্ট করেছে । “thanks” একটা স্মাইল সিমবোল দিয়ে দিলাম । মেসেজ দিলাম । বললাম “ফাটাফাটি একটা ছবি দিছো ।” রিপ্লাই সাথে সাথেই এল । “হুম । আর পাম দেয়া লাগবে না” খুব মজা পেলাম । এভাবেই ১0-১৫ দিন ফেসবুক এ মেসেজ আদান প্রদান চলল । একদিন হটাত্ ওর নাম্বার টা চাইলাম । সে জানতে চাইলো “কেন নাম্বার কেন !” বল্লাম “তোমাকে ডিস্টার্ব করব । তাই” সে হেসে দিল । নাম্বার দিল । প্রথমবার এর মত কখা শুনলাম তার । অবাক হয়ে গেলাম । এত সুন্দর কন্ঠ ! আমি খুব ফান করতাম তার সাখে । আর সে শুধু হাসতো । ও হাসার সময় শুধু ওর হাসি টাই শুনতাম । এত সুন্দর করে যে কোন মানুষ হাসতে পারে জানা ছিল না । আমাদের মধ্যে সারাদিন মেসেজ চ্যাটিং হত । ও খুব বৃষ্টি পছন্দ করতো । আর আমি ! ওকে বলতাম . . . “বৃষ্টি আবার কারো পছন্দ হয় নাকি !” ও ঐ দিন খুব এক চোট হাসল । ওর কথাতেই জীবনে প্রথম বার এর মত নিজের ইচ্ছায় বৃষ্টিতে ভিজলাম । অদ্ভুত অনূভূতি হল । ওকে ওই দিন ফোন করে বললাম “জানো ? আজকে বৃষ্টিতে ভিজছি ।” সে তো হাসতে হাসতে অবস্থাই খারাপ করে ফেলল । ওই দিন বলেই ফেললাম “হাসলে তোমাকে খুব সুন্দর লাগে” সে বলল “এই তুমি আমারে দেখছো ? না দেখে কিভাবে বললা ?” আমি বললাম “আমার মনের মাঝে তোমার একটা ছবি আকা আছে ।” সে আবার ও হাসতে থাকল । আর আমি মুগ্ধ হয়ে শুনলাম । কতো যে কষ্টের রাত ওর সাথে কথা বলে কাটিয়েছি ! কষ্টে থাকলেই ওর সাথে কথা বলতাম । কথা বলা শেষে অবাক হয়ে দেখতাম মন ভাল হয়ে গেছে । ২. ২ দিন হল সে ফোন দেয় না । মেসেজ ও দেয় না । অস্থির লাগতেছে । ও অবশ্য বলছিল যে ও সিম টা চেন্জ করবে কারন তাকে অনেকে ডিসটার্ব করে । তাই বলে ৪৮ ঘন্টা ! ভীষন অভিমান হল । সন্ধায় তার ফোন আসলো । সব রাগ অভিমান তার উপর একসাথে প্রয়োগ করলাম । সে কষ্ট পেল । তার চেয়ে বেশি কষ্ট পেলাম আমি । তাকে সরি বললাম । ওই দিন আর সে কথা বলল না । ভীষন কষ্ট হল । ৩. ছোটবেলা থেকেই আমার মাথা ব্যথা । ইদানিং ওটা বেড়েছে । অনেক মাথা ব্যথা করলে একসময় নাক মুখ দিয়ে ব্লিডিং হয় । অনেক ডাক্তার দেখাইছি । কিন্তু সবাই বলে প্রবলেমটা মাথা ব্যাথা থেকেই হয় । একদিন খবর পেলাম অস্ট্রেলিয়া থেকে একজন ডাক্তার এসেছেন । ওনাকে দেখাতে ঢাকা গেলাম । ওর সাথে এই কারনে ২-৩ দিন কথা হল না । আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল । ডাক্তার আমাকে বলল যে উনি অস্ট্রেলিয়া থেকে আবার কয়েকমাস পর আসবেন । তখন তিনি আমার টেস্টের রেজাল্ট গুলো দিবেন ।ডাক্তার আমার মাথা থেকে বুক পর্যন্ত সিটিস্ক্যান করিয়ে রিপোর্ট টা নিজের সাথে নিয়ে গেল । এত ঝামেলার জন্য ওর সাথে কথা বলতে পারি নি । এর আগে কখনো মনে হয়নি । কিন্তু ওই দিন মনে হয়ছিল যে ওকে আমি অনেক অনেক ভালবাসি । ৩. রাতে ওকে ফোন দিলাম । ভেবেছিলাম ও রেগে যাবে । অবাক হয়ে গেলাম যখন ও বললো “কই ছিলা ? আমার কথা কি মনে পরে নাই ? কি হইছে তোমার ?” আমি ওকে আসল কথাটা বলতে চাই নি । আমি জানি না কিভাবে যেন সে বুঝে ফেলল আমি মিথ্যা বলতেছি । শেষ পর্যন্ত বলতেই হল । কথাটা সে হয়তো ভুলে গেল । কিন্তু আমার এই প্রবলেমটা বাড়তেই থাকল । আমি খেলতে খুব পছন্দ করি । সেটা ও জানে । কিন্তু খেলার সময় আমি ব্যথা পেতাম । আর ও কিভাবে জানি বুঝে ফেলত । কয়েকদিন খুব বকা দিত । কিন্তু যখন বুঝল আমাকে থামাতে পারবে না । তখন শুধু বলল “প্লীজ লক্ষী । একটু দেখে খেইলো ।” আমি ওর এধরনের কথা শুনে খুব হাসতাম । ওর সাথে খুব মজা করতাম । আর ও আমাকে একটা মোহের মধ্যে রাখত । ৪. একদিন রাতে সাহস করে বলেই ফেললাম মনের কথা । মেসেজে বলেছিলাম কারন কল করে বলার মত সাহস ছিল না । অনেকক্ষন পর একটা মেসেজ আসল । যেটার মূল কথাটা ছিল যে সে আমাকে ভাল একজন ফ্রেন্ড হিসেবে পেতে চায় । ওই দিন খুব কষ্ট হইছিল । বুঝ হবার পর ওই দিন ই প্রথম চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় পানি পরেছিলো । কয়েকদিন কথা বলিনি ওর সাথে । ও প্রতিদিন ই কল করতো আমাকে । সিদ্ধান্ত নিলাম সে আমাকে যেভাবেই চায় সেভাবেই থাকবো । ওর জন্য ভালবাসাটুকু আমার বুকেই জমা থাকুক । আবার আগের মত হয়ে গেলাম । আমার সাথে পরিচিত হওয়ার আগে ওর অনেক ফ্রেন্ড ছিল । কিন্তু আস্তে আস্তে ওর ফ্রেন্ড এর সংখ্যা কমতে থাকল । ও আমার সাথেই সব শেয়ার করতো । আমি নিজেকে আস্তে আস্তে গুটিয়ে নিতে থাকলাম । কারন যখন সে আর একটা ছেলের সাথে এভাবেই কথা বলবে তখন আর আমাকে মনে থাকবে না । তাই নিজের কষ্ট গুলো নিজের ভিতরেই লুকিয়ে রাখতাম । ৫. রোজা এসে গেল । অস্ট্রেলিয়া থেকে ডাক্তার এল । আমি একাই ডাক্তার এর সাথে দেখা করতে গেলাম । ডাক্তার আমাকে রিপোর্ট গুলো দেখাতে চাইলো না প্রথমে । পরে অনেক চাপাচাপির পর আমার হাতে দিল । রিপোর্ট টা পরলাম । ওখানে লেখা ছিল কোন এক অজ্ঞাত কারনে আমার ঘাড়ের কাছে দুটো রগ জরিয়ে গেছে একটা আরেকটার সাথে । অপারেশন প্রয়োজন । কিন্তু অপারেশন টা খুব রিস্কি । বাচার সম্ভাবনা ৫০-৫০ । আর অপারেশন টা না করলে আমার জীবন আর বড়জোড় ৫ বছর । মন ভেঙ্গে গেল । আব্বা আম্মা কে জানাতে পারলাম না । আব্বা আম্মা এখনো জানেন নাহ । আমার চাচা যেহেতু ডাক্তার শুধু ওনি আর আমার কিছু কাছের বন্ধু কে জানালাম বিষয় টা । এত রাগ লাগতেছিলো ! ভেবেছিলাম ভাল কোন জায়গায় টিকার পর আমার স্বপ্নের মানুষ টাকে নিজের করে নিবো । তখন সে আর মানা করতে পারবে না । কিন্তু আমার স্বপ্ন শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেল । রাগে দুঃখে মোবাইল , সিম সব ভেঙ্গে ফেললাম । ওর সাথে যোগাযোগ বন্ধ । কিন্তু ঈদের কিছুদিন আগে আর থাকতে পারলাম না । নতুন একটা সিম থেকে কল দিলাম । সে ফোন ধরে অনেক কথাই বললো । বললো আমি নাকি ওর সাথে আর কনটাক্ট রাখতে চাই না । আর সামলাতে পারলাম না । কি হলো কিছুই বুঝলাম না । ওকে গড়গড় করে সব বলে দিলাম । কিন্তু সে ভাবল হয়তো আমি মজা করতেছি । আমার পক্ষে সিমটা ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা সম্ভব না । আমি সিম টা খুলি শুধু ওর কথা ওর হাসি শোনার জন্য । ওটা দিয়ে শুধু ওকেই ফোন করি আমি । আজকে সকালে ফোন দিলাম । অনেকবার । ও ধরলো না । আমি জানি ও প্রবলেম ছাড়া সবসময় ই ফোন রিসিভ করে । কিন্তু আজকে আমার কি হল বুঝলাম না । অনেক উল্টা পাল্টা কথা বলে ফেললাম । ওকে মেসেজ দিয়ে বললাম “আমাকে ভুলেই গেলা ? অবশ্য আর তো মাত্র কয়েকদিন” মেসেজটা সেন্ড করে ফোন অফ করে দিলাম । বিকালের দিকে খুব খারাপ লাগা শুরু করলো । মনে হল ওর সাথে কথা বললে হয়তো ভাল লাগবে । ফোন দিলাম ধরলো না । বুঝলাম রাগ করছে আমার সাথে । সন্ধায় ওকে মেসেজ দিয়ে বললাম “আমার খুব খারাপ লাগতেছে । তোমার সাথে কথা বলার ইচ্ছা ছিল” মেসেজ সেন্ড হল নাকি হল না দেখার টাইম পেলাম না । এর আগেই শুরু হল ব্লিডিং । তারপর আর কিছু মনে নেই । সেন্স আসল । চাচা আমার পাশে বসা । আম্মা আব্বা বাড়িতে গেছে । একটু পর চাচা চলে গেল । আমার ছোট ভাই আসল একটু পর । এসে ফোন টা দিয়ে বলল আমার ফোন । আমি তখন ও পুরোপুরি ঠিক না । ও যে কল দিছে বুঝতে টাইম লাগল । ও জানতে চাইল যে আমার কি হইছে । বললাম কিছু না । ও কেদে ফেলল । অবাক হলাম । ওর কান্না কখনো শুনি নি । ধক করে উঠলো বুক টা । অনেক কষ্টে ওকে শান্ত করে ফোন কাটলাম । কারেন্ট চলে গেল । অন্ধকারে শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকলাম “কেন কাদল সে ? তাহলে কি সে আমাকে পছন্দ করে ? নাকি শুধুই Sympathi ?” যাই হোক । অনেক দেরি হয়ে গেছে । গান শুনতেছিলাম একটা . . . গানের কথাগুলো আমার মনের কথার সাথে মিলে গেল . . ” হাসতে গেলে এখন আমার চোখে আসে পানি , কখন জানি হটাত্ আবার চোখের রক্ত ঝরে , সৃষ্টি হবে অন্য রকম একটি গল্প আজ , আলোর নিচে সাজবো আমি অন্ধকারের সাজ । দেখো আবার আসে না যেন তোমার চোখে পানি , হটাত্ করে দেখবে তুমি হারিয়ে গেছি আমি ।” (আমার হাতে সময় আসলেই খুব কম । তার পর ও আমি বাচতে চাই । জানি না সে আমাকে ভালবাসে কিনা । কিন্তু আমি তার স্মৃতি নিয়েই থাকতে চাই । Collected, Source: Facebook Page-জটিল ভালোবাসার সহজ সমাধান।By Love Guru অক্টোবর 18, 2012 Leave a reply শব্দহীন ভালবাসা এটা একটা বাংলাদেশের কোন এক মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি ছেলে ও একটি মেয়ের নীরব প্রেমের গল্প। মেয়ের পরিবার চিরাচরিত নিয়মে ছেলেটাকে গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানায়। স্বাভাবিকভাবেই মেয়ের পরিবার মেয়েটাকে বুঝানোর চেষ্টা করে যে ছেলেটার খুবএকটা ব্রাইট ফিউচার নেই, তার সাথে সম্পর্ক রাখাটা বোকামি ছাড়া আর কিছু না। … পরিবারের চাপে পড়ে একদিন মেয়েটা ছেলেটাকে বলে,”আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা কতটা গভীর? তুমি একটা কিছু অন্তত করো। তাছাড়া আমাদের সম্পর্ক কেউ মেনে নিবে না।” ছেলেটাকোন উত্তর খুঁজে পায় না। সে চুপ করে থাকে। মেয়েটা রাগ হয়ে চলে যায়। তারপরেও স্বপ্নবিলাসী ছেলেটা তাদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে, কিছুটা অন্জন’দা এর গানের মতো, “সাদা-কালো এই জন্জালে ভরা মিথ্যে কথার শহরে, তোমার-আমার লাল-নীল সংসার।” ছেলেটা একদিন হায়ার-স্টাডিসের জন্য বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যাওয়ার আগ- মুহূর্তে সে মেয়েটাকে বলে, “আমি হয়তো কথায় খুব একটা পারদর্শী না, কিন্তু আমি জানি যে আমিতোমাকে অনেক ভালোবাসি। তারপরেও তুমি যদি চাও, তোমার-আমার বিয়ের কথা আমি তোমার পরিবারকে একবার বলে দেখতে পারি। তুমি কি আমার সাথে সারাজীবন কাটাতে রাজি আছ?” মেয়েটা ছেলের দৃঢ়-সংকল্প দেখে রাজি হয়। ছেলেটা মেয়ের পরিবারকে অনেক বুঝিয়ে রাজি করে ফেলে। তারপর তাদের এনগেজমেন্ট হয়ে যায় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ছেলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশে ফিরলে তারপর তাদের বিয়ে হবে। এরপর ছেলেটা চলে যায় দেশের বাইরে। মেয়েটা একটা অফিসে জব করা শুরু করে দেয়। এদিকে ছেলেটাও তার রিসার্চ-ওয়ার্ক নিয়ে দেশের বাইরে ব্যস্ত। তারপরেও তারা শত ব্যস্ততার মাঝেও ফোন আর ই-মেইলের মাধ্যমে তাদের ভালোবাসার অনুভূতি যতটা সম্ভব আদান-প্রদান করে। একদিন মেয়েটা অফিসে যাওয়ার পথে রোড- অ্যাক্সিডেন্ট করে। সেন্স ফিরে সে দেখতে পায় যে সে হাসপাতালে ভর্তি এবংবুঝতে পারে যে সে মারাত্মকভাবে আহত। তার বাবা-মাকে বিছানার পাশে দেখতে পায় সে। তার মা কান্না করতেছে তা বুঝতে পেরে যখন মেয়েটা কথা বলতে যায় তখন সে বুঝতে পারে যে তার বাকশক্তি লোপ পেয়েছে। ডাক্তারের ভাষ্যমতে মেয়েটা তার ব্রেনে আঘাত পাওয়ায় আজীবনের মতো বোবা হয়ে গেছে। একসময় মেয়েটা খানিকটা সুস্থ হয়ে বাসায় চলে আসে। এদিকে ছেলেটা তাকে বার বারফোন করতে থাকে কিন্তু মেয়েটা বোবা বলে তার করার কিছুই থাকে না। মেয়েটা একদিন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। সে তার কথোপোকথন-হীন এই জীবনের সাথে ছেলেটাকে আর জড়াতে চায় না। তার ফলশ্রুতিতে সে একদিন একটা মিথ্যা চিঠিতে লেখে যে সে আর ছেলেটার জন্য অপেক্ষা করতে পারবে না। তারপর মেয়েটা চিঠির সাথে তার এনজেজমেন্ট রিং ছেলেটার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়। ছেলেটা মেয়েটাকে হাজার-হাজার ই-মেইল করে কিন্তু তার কোন রিপ্লাই সেপায় না। ছেলেটা শত-শত বার ফোন করে কিন্তু মেয়েটার ফোন রিসিভ না করে নীরবে কান্না করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। একদিন মেয়েটার পরিবার বাসা বদল করে অন্য কোন এলাকায় নতুন কোন একটা পরিবেশে যাওয়ার সিদ্ধান্তনেয় যাতে করে মেয়েটা কিছুটা হলেও এই দুঃস্মৃতী ভূলে যায় এবং সুখে থাকে। নতুন পরিবেশে মেয়েটা”সাইন-ল্যাংগুয়েজ” শেখে এবং নতুন জীবন শুরু করে। বছর দুয়েক পর একদিন মেয়েটার এক বান্ধবী এখানে চলে আসে এবং মেয়েটাকে বলে যে ছেলেটা দেশে ব্যাক করেছে। মেয়েটা তার বান্ধবীকে রিকুয়েস্ট করে যাতে ছেলেটা কোনভাবেই যেন তার এই অবস্থার কথা জানতে না পারে। তারপর কয়েকদিন পরমেয়েটার বান্ধবী চলে যায়। আরো এক বছর পর আবার একদিন মেয়েটার বান্ধবী মেয়েটার কাছে একটা ইনভাইটেশন কার্ড নিয়ে চলে আসে। মেয়েটা কার্ড খুলে দেখতে পায় যে এটা ছেলেটার বিয়ের ইনভাইটেশন কার্ড। মেয়েটা অবাক হয়ে যায় যখন পাত্রীর জায়গায় তার নিজের নাম দেখতে পায়। মেয়েটা যখন তারবান্ধবীর কাছে এ সম্পর্কে কিছু জানতে চাইবে তখন সে দেখতে পায় যে ছেলেটা তার সামনে দাঁড়িয়ে। ছেলেটা তখন “সাইন ল্যাংগুয়েজ” ব্যবহার করে মেয়েটাকে বলে,”I’ve spent a year’s time to learn sign language. Just to let you know that I’ve not forgotten our promise. Let me have the chance to be your voice. I Love You.” এই বলে ছেলেটা আবার সেই এনগেজমেন্ট রিং মেয়েটাকে পড়িয়ে দেয়। কয়েক বছর পর মেয়েটা আবার হেসে উঠে। এ যেন এক নীরব ভালোবাসার নীরব হাসি। ভাল লাগলে লাইকে ক্লিক করতে ভুলবেন না । Collected, Source: Facebook Page-জটিল ভালোবাসার সহজ সমাধান।By Love Guru অক্টোবর 18, 2012 Leave a reply Post navigation « Older RSS - পোস্ট RSS - মন্তব্য খোঁজ করুন Follow Blog via Email Enter your email address to follow this blog and receive notifications of new posts by email. Join 3 other followers সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ একটি মিষ্টি ফেসবুক প্রেম There is a new এমন যদি হত There is a new engaging post মামা খাব There is a new engaging post in রামভোদাই There is a new engaging post in ভালবাসা দিবসে বিচ্ছেদ! There is a new en শীর্ষ পোস্ট ও পাতাগুলো ছেলেরা যেরকম মেয়ে পছন্দ করে ....... নারীকে আকর্ষণের ১০ উপায় প্রেম করার জন্য যা করবেন একটি মেয়ে এতটা খারাপ হতে পারে(১ম অংশ) বিয়ের পরে যেভাবে ভালবাসা বৃদ্ধি করবেন সেদিনই মারিয়া, আমায় দিলো ছাড়িয়া-লেখকঃ অজানা দেখা হবে বন্ধু- লেখকঃDeeply Dedicated ভালবাসার ক্ষেত্রে একজন নারীর অনুভূতি ..................... স্বপ্ন- লেখকঃ Smocky Eyes ভালবাসা খেলনা নয় ক্যাটাগরি এখনো চলছে কাঁচা বয়সের ভালবাসা ক্যারিয়ার বাঁধা চিঠি নিজে ভেঙ্গেছেন পরিণত বয়সের ভালবাসা পারিবারিক চাপ প্রতারিত প্রেমের কবিতা প্রেমের পূর্ব-মুহূর্তের কাহিনী বিরহের কবিতা ভেঙ্গে গেছে লাভ টিপস সফল ভালবাসা Uncategorized আর্কাইভ জুন 2013 মে 2013 মার্চ 2013 ফেব্রুয়ারি 2013 জানুয়ারি 2013 নভেম্বর 2012 অক্টোবর 2012 সেপ্টেম্বর 2012 Blog Stats 20,002 hits মেটা : রেজিষ্টার লগ ইন আর,এস,এস, মন্তব্য RSS WordPress View Full Site Blog at WordPress.
Posted on: Sun, 17 Nov 2013 05:12:42 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015