অস্ট্রেলিয়ায় - TopicsExpress



          

অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে ইসলাম যেখানে, গত ৩৫ বছরে দেশটিতে খ্রিস্টান জনসংখ্যা কমে ৬১ শতাংশে দাড়িয়েছে, সেখানে একই সময়ে দেশটিতে মুসলমান জনসংখ্যা বেড়েছে ১০ গুন ! উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার অধিকাংশ খ্রিস্টান ধর্ম ছেড়ে নাস্তিক হয়ে যাচ্ছে, বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যার ২২ ভাগ ধর্মহীন। অনেকে আবার ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে দেশটির সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্মের নাম হচ্ছে ইসলাম। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২০ বছরে দেশটিতে মুসলমান জনসংখ্যা শতকরা ৮০ ভাগ বেড়ে যাবে। মুসলমানদের এই ব্যাপক প্রচার প্রসার রুখতে একটি মহল অস্ট্রেলিয়ায় বিশেষ কায়দায় ছড়িয়ে দিচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষ, ছড়ানো হচ্ছে কথিত ইসলাম ফোবিয়া। এরমাধ্যমে মুসলমানদের সন্ত্রাসী অপবাদ দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে এবং একই সাথে ইসলাম গ্রহণে খ্রিস্টানদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে অস্ট্রেলিয়ায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকহারে। আপনারা জানেন, গত কিছুদিন আগে সিডনীতে একটি নাটক সাজিয়ে আইএসআইএস’র নাম দিয়ে ১৫ জন নিরীহ মুসলমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। অস্ট্রেলিয় মিডিয়ায় বার বার অপ্রচার করা হচ্ছে, একশো ষাটজন অস্ট্রেলীয় নাকি আইএসআইএস-এর হয়ে ইরাক ও সিরিয়ায় গিয়েছে। আর তাদের মধ্যে কুড়িজন অস্ট্রেলিয়ায় নাকি ফিরেও এসেছে। আপনারা জানেন, আজকেও সিডনীকে কথিত জিম্মি নাটক সাজানো হয়েছে মুসলমানদের ফাসাতে। বিষয়টা যে পুরোটাই মুসলমানদের ফাসানোর জন্য নাটক এর দলিল হচ্ছে, জিম্মিকারীরা নাকি ভেতর থেকে আইএস’র মত আরবী লেখা কালো পতাকা দেখাচ্ছে। যাই হোক, কাফিররা ইসলামের প্রচার- প্রসার ঠেকাতে যতই চকান্ত করুক কোন লাভ হবে না। মহান আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই কাফির চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিবেন। এ ঘটনার জন্য পবিত্র কুরআন পাকের ঐ আয়াতখানা বলতে হয়: “তারা (কাফিররা) ধোকাবাজী করলো, আর আল্লাহ তায়ালাও হেকমত করলেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা উত্তম হিকমতওয়ালা।’ (সূরা আলে ইমরান:৫৪) তবে এ ঘটনা থেকে মুসলমানদের শিক্ষাগ্রহণ করা উচিত, কাফিররা কিভাবে মুসলমানদের ফাসাতে চক্রান্ত করে থাকে। সূত্র: ১) ২০১১ সালের আদমশুমারি ২) goo.gl/LfYytv ৩) goo.gl/dKGqtw ৪) goo.gl/4r6iqA ৫) goo.gl/9esb9N
Posted on: Wed, 17 Dec 2014 13:51:17 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015