আগে নিজে নিজে কোন - TopicsExpress



          

আগে নিজে নিজে কোন বাক্যটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা চিন্তা করুন, তারপর নীচের সাথে মিলিয়ে নিন। । । । । । । । । । । । । । ১। মধু চিনির চাইতে মিষ্টি সত্যি। যদিও মধুতে চিনির চেয়ে বেশী ক্যালরি (এক চামচ মধু=২২ ক্যালরি, ১ চামচ চিনি=১৬ ক্যালরি), কিন্তু অধিক মিষ্টি বলে চিনির চাইতে মধু কম পরিমানে লাগে। ২। মধু গরম করে খেলে পুষ্টিগুন কমে যায়। সত্যি। ৪০ ডিগ্রীর বেশী তাপে মধুর গুন নষ্ট হয়ে যায়, তাই গরম পানির সাথে মধু খেতে হলে পানি অবশ্যই কুসুম গরম অবস্থায় এর সাথে মধু মেশানো উচিত। কখনোই ফুটন্ত গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পরে ঠান্ডা করা উচিত না। ৩। মধু খেতে ধাতব চামচ ব্যবহার করা ঠিক নয়। মিথ্যা। মধু কিছুটা এসিডিক বটে, কিন্তু এটি এত কম সময়ে চামচের সঙ্গে বিক্রিয়া করেনা। ৪। মধু কখনো পচেনা। সত্যি। ইজিপ্টের সমাধি সৌধ থেকে ২০০০ বছরের পুরোনো মধুও আবিষ্কৃত হয়েছে যার স্বাদ-গন্ধ অক্ষুন্ন রয়েছে। ৫। মধুর বোতলের মুখ খোলা রাখলেও মধু নষ্ট হবেনা। মিথ্যা। মধুর বোতলের মুখ খোলা রাখলে তা আদ্রতা শোষন করবে এবং ফারমেন্টেশন হবে। ৬। মধুর ক্রিস্টালাইজেশন বা দানাদার অবস্থায় পরিণত হলে এর গুনাগুন অক্ষুন্ন থাকে। সত্যি। মধু অনেক সময় জমে যায় এবং নীচের দিকে দানাদার অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফ্রীজে রাখলে এটি বেশী ঘটে। কিন্তু এতে মধুর গুনের কোন পরিবর্তন হয়না। এটি সম্পূর্ণ একটা প্রাকৃতিক ব্যাপার ছাড়া কিছুই না। মধু তে দুই ধরনের সুগার থাকে- ফ্রুক্টোস (৩০-৪৪%) এবং গ্লুকোস (২৫-৪০%), গ্লুকোস পানিতে কম দ্রবনীয় তাই কয়েকদিন থাকার পর জমে মধু থেকে আলাদা হয়ে দানাদার হয়ে যায়। কিন্তু তাতে তার স্বাদ বা গুনের কোন পরিবর্তন হয়না। ক্রিস্টালাইজেশন বন্ধ করতে চাইলে মধু কে ১৮-২৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রাখতে চেষ্টা করুন। ৭। ওজন কমানোর জন্য মধু কৃত্ত্রিম চিনির চাইতে ভালো। সত্যি। অনেকে ওজন কমানোর জন্য কৃত্রিম চিনি খান যাতে কোন ক্যালরি থাকেনা। কিন্তু এই চিনিটুকু মেটাবলাইজড হওয়ার জন্য কিছু মিনারেল প্রয়োজন। শরীর এই মিনারেল সরবরাহ করতে গিয়ে শরীরের মিনারেল কমে যায়। ফলে শরীরের মেটাবলিসমের জন্য মিনারেল কমে গিয়ে ফ্যাট ধীরে বার্ন হতে থাকে। অন্যদিকে মধু নিজেই মিনারেল এবং এমাইনো এসিড সমৃদ্ধ। সুতরাং মধু খেলে, একে মেটাবলাইজড করার জন্য যে মিনারেল প্রয়োজন তা সে নিজেই নিয়ে আসে। সুতরাং ওজন কমানোর জন্য কৃত্রিম চিনির চাইতে মধু ভালো অপশন। ৮। মধু তে কোন কোলেস্টেরল নেই। সত্যি। ৯। মধু তে সামান্য ফ্যাট আছে। মিথ্যা। মধু ফ্যাট ফ্রি। ১০। মধু শরীরের চর্বি বার্ন করতে সহায়তা করে। সত্যি। সকাল বেলা ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চাচামচ মধু দুই চা চামচ লেবুর রস দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। অথবা এক কাপ ফুটন্ত পানিতে আধা চা চামচ দারচিনি গুড়া দিয়ে আধাঘন্টা ঢেকে রেখে এক চা চামচ মধু মশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। মধু, রক্তে আস্তে আস্তে অনেকক্ষন সময় ধরে চিনি ছাড়ে, ফলে শরীর মনে করে যে শরীরে যথেষ্ট পরিমানে খাবার আছে। ব্রেন তাই ক্ষুধার অনুভূতি দেরিতে জাগায়। তাছাড়া এটি মেটাবলিজম এর রেটও বাড়িয়ে দেয়। ফলে সারাদিন যা খাবেন তা দ্রুত মেটাবলাইজড হবে। (এই কারণে অনেকে অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত খাবার খেয়ে ফলার পরেও মধু খাওয়ার পরামর্শ দেন)। শুধু তাই না, মধু ঘুমের মধ্যে ফ্যাট বার্ন করে বলেও জানা গিয়েছে। “হাইবেরনেশন ডায়েট” অনুযায়ী ঘুমানোর আগে ১ বা ২ চামচ মধু (শুধু) অথবা ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে ফ্যাট বার্ন হতে সহায়তা করে। ঘুমের মধ্যে লিভারে ফ্যাট মেটাবলিসমের জন্য যেসব মিনারেল দরকার, মধু তা সরবরাহ করে। তাছাড়া এখন প্রমানিত হয়েছে যে, ওজন বৃদ্ধির জন্য অপর্যাপ্ত ঘুম দায়ী। মধু রক্তে চিনির মাত্রাকে স্থিতিশীল পর্যায়ে রাখে। রক্তে চিনি কম থাকলে খিদায় এবং বেশী থাকলে অতিরিক্ত এনার্জেটিক হয়ে যাওয়ার কারণে ঘুম ভালো হয়না। মধু তাই অনিদ্রা দূর করে ওজন বৃদ্ধি রোধে সহায়ক। শারমিন সুলতানা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
Posted on: Sat, 14 Sep 2013 13:02:50 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015