আমার এক বন্ধুরে জিগাইলাম, আচ্ছা আমেরিকাতে কত বাংলাদেশী থাকে? বন্ধু কইলো,- ম্যালা বাঙ্গালী, ঘর থেকে বাইর হইলেই বাঙালী। নিউওয়র্কে হাঁটলে মনে হয় দেশেই আছি। বন্ধুর কথায় আগ্রহ নিয়ে গুগল সার্চ দিলাম; মাথাই ঘুরে গেল। আমেরিকাতে এত বাংলাদেশী থাকে, জানতামই না। তারপর সার্চ দিলাম ইংল্যান্ড। সেখানেও প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশী থাকে। রাজাকার আশরাফুজ্জামান বর্তমানে থাকে যুক্তরাষ্ট্রে এবং চৌধুরী মুঈনুদ্দীন থাকে যুক্তরাজ্যে। রাজাকার আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের মামলার রায় হচ্ছে আগামী কাল, রোববার। বয়স আর শারিরিক অবস্থা বিবেচনা না করলে আর সব রাজাকারের মতো এই দুইজনেরও মৃত্যুদন্ডই হবার কথা। কিন্তু এই দুইজনকে ঝুলানো সহজ হবে না। বিদেশে নাগরিকত্ব নিয়ে ভালোই গেড়ে বসেছেন এই দুইজন। বাংলাদেশ সরকার তাদেরকে দেশে ফেরত আনার জন্য কুটনৈতিক প্রচেষ্টা হয়ত চালাবেন, কিন্তু তাতে আমার ভরসা নাই। কারন ইউ.কে আর ইউ.এস.এ আমাদেরকে পাত্তাই দেয়না, তাদের এতো সময় কই? কিন্তু উপায় একটা আছে। উপায় মানে সম্ভবনা; সম্ভবনা মানে স্বপ্ন; আর স্বপ্ন মানে গণজাগরণ মঞ্চ। যদি আমেরিকার সব বাঙালী একত্রিত হয়ে শাহবাগের মতো কিছু একটা করতে পারে, আর ইংল্যান্ডের বাঙালীরাও তাই। আমি জানি, আমেরিকা আর ইংল্যান্ডে বসবাসকারী বাঙালীদের একটা বিরাট অংশের হৃদয়ে পাকিস্তান, তারপরও সব বাঙালী এখনো নষ্ট হয়ে যায়নি। যেখানেই বাঙালী, সেখানেই গণজাগরণ মঞ্চ হয়েছিল গত ফেব্রয়ারীতে কাদের মোল্লার প্রথম রায় শুনে। রাজাকার আশরাফুজ্জামান এবং চৌধুরী মুঈনুদ্দীন কে আমেরিকা আর ইংল্যান্ডের আইনগত সহযোগীতায় ধরে দেশে পাঠাতে এই দুই দেশের প্রবাসী বাঙালীদের একাত্বতা ছাড়া আমাদের কি অন্য কোনো উপায় আছে?
Posted on: Sat, 02 Nov 2013 20:05:42 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015