এক আল্লাহ ভীরু মাদ্রাসা ছাত্র ! যা বর্তমানে পাওয়া বিরল…! এক ছিল এক কওমী ছাত্র অর্থাৎ তালেবে ইলিম। সে পড়ত দিল্লীর এক মাদ্রাসায়। কিন্তু রাত কাটাত পাশে এক মসজিদে। একবার মসজিদের নিকটবর্তী মহল্লার এক মেয়ে তার কোনো আত্নীয়ের কাছে কোন কারনে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে শুরু হল সাম্প্রদায়িক দাংগা, শুরু হল মারামারি। পরিস্থিতি বেসামাল দেখে মেয়েটি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নিল। মসজিদে তখন ইশার নামায হয়ে গেছে। ছাত্রটি এমতাবস্থায় মেয়েটিকে দেখে ঘাবড়ে গেল এবং তাকে বিনয়ের সাথে বলল, আপনার এখানে থাকা ঠিক হবেনা। মানুষ দেখলে আমাকে লজ্জায় পড়তে হবে। তারা আমাকে মসজিদ থেকে বের করে দিতে পারে।তখন আমার লেখাপড়ায় সমস্যা হবে। মেয়েটি তাকে বলল, বাইরে দাংগা হচ্ছে সেকথা আপনি জানেন? বাইরে বের হলে আমার জীবন ও সম্ভ্রম দুটোই হারাতে পারি। এটা আল্লাহর ঘর। যদি এখানে নিরাপত্তা না পাই,তাহলে যাব কোথায়? এ কথা শুনার পর ছাত্রটি লা জওয়াবহয়ে গেল। মসজিদের এক কোনে মেয়েটি বসে আছে। অপর কোনে ছাত্রটি বসে আছে। সে তার পড়ার ফাকে ফাকে জ্বলন্ত চেরাগের উপর তার আংগুলটি তুলে ধরছে এবং একটু পর পর সে এই কান্ড করছে। এভাবে পুরোটা রাত কেটে যায়। অপর প্রান্তে বসে মেয়েটি বিস্ময়ের সাথে এ ঘটনা দেখছে। যখন প্রভাত হল,তখন ছেলেটি মেয়েটিকে বলল,এখন দাংগা থেমে গেছে। লোকজন যার যার ঘরে পৌছে গেছে। পথঘাট ফাকাঁ । চলুন, আপনাকে আপনার ঘরে পৌছে দিয়ে আসি। মেয়েটি বলল, যাবো, তবে তার আগে রাতে প্রদীপের অগ্নিতে আপনিবার বার আপনার অংগুলি পুড়াচ্ছিলেন কেন, সে কথা বলতে হবে। ছাত্রটি বলল,এটা একান্তই আমার বিষয়। এটা আপনার জানার কোন প্রয়োজন নেই। মেয়েটি বলল,যতক্ষন পর্যন্ত আপনি এর কারন না বলছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এখান থেকে বের হচ্ছি না। অবশেষে ছেলেটি বাধ্য হয়ে বলল, দেখুন, শয়তান বার বার আমার মনে প্ররোচনা দিচ্ছিল এবং রিপু ও কামনাকে পাপ কাজের প্রতি উৎসাহিত করে তুলছিল। যখনই আমি পাপকাজের প্রতি উৎসাহ অনুভব করছিলাম তখনই আমার আঙ্গুলটি চেরাগের অগ্নিতে ধরে আমার রিপুকে বলছিলাম পার্থিব জগতের এই সামান্য অগ্নি দহন যখন বরদাশত করতে পারছনা তখন জাহান্নামের ভয়ঙ্কর শাস্থি কিভাবে বরদাশত করবে? একথা শুনে মেয়টি হতবাক হয়ে গেল। তারপর সে ঘরে চলে গেল। বাড়ীতে গিয়ে মা বাবাকে পুরো ঘটনা খুলে বলল। মেয়েটির বাবা ছিল ধনী ও দ্বীনদার। মেয়েও সুন্দরী। ফলে বড় বড় ধনাঢ্য পরিবার থেকে প্রস্তাব আসছিল রীতিমত। কিন্তু এ ঘটনার পর মেয়েটি সাফ বলে দিল,যদি আমাকে এইছেলের কাছে বিয়ে দেন, তাহলে আমি সারাজীবন এমন পরহেজগার ব্যক্তির সেবা করার সৌভাগ্য লাভ করবো। অবশেষে তার মা বাবা তাই করলেন। আসলে আমার ভাই ও বোনেরা, এখানে গল্প বলা উদ্দেশ্য নয় বরং এথেকে শিক্ষা অর্জন করাই উদ্দেশ্য। আশা করি এথেকে শিক্ষা লাভ করবেন। ( সংগৃহীত ) ◘ পোস্টটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো ।
Posted on: Sun, 08 Sep 2013 13:05:39 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015