একটি করুণ ভালবাসার গল্প। নামঃ শারমিন আক্তার লিজা। পিতাঃ মুরশেদ আলম। গ্রামঃকালাসোনা। থানাঃদাউদকান্দি,কুমিল্লা। মেয়ে প্রথম ২০০৭ এর জুলাই মাসে গাজীপুরের হৃদয় নামে একটি ছেলের সাথে মোবাইলে প্রেম করে। এর মাঝে হৃদয় হয়ে যায় প্রবাসী ২০০৯ এ লিজা হৃদয়ের অনুপস্থিতে অন্য এক ছেলের সাথে মোবাইলে প্রেম করে,পরে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করে। ছেলটির নামঃআনোয়ার,জন্মসূত্রে চাঁদপুরের ছেলে হলেও থাকে চিটাগং। যাই ওদের বিয়ের তিন মাসের মাথায় ডির্ভোস হয়। ওদিকে লিজাকে হারিয়ে নেশাগ্রস্ত হৃদয় কিছুতেই ভুলতে পারেনা লিজাকে,হঠ্যাৎ একদিন লিজা হৃদয়কে ফোন করে,তার সব কথা খুলে বলে আনোয়ার ওকে টর্চার করতো, নারী লোভী তাই ওকে ডির্ভোস দিয়েছে জানায়। আরও বলে যে আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি আর না তুমি কি আমাকে এখনও ভালবাসো? যদি ভালবাসো আমাকে বিয়ে করো। হৃদয় লিজাকে প্রচন্ড ভালোবাসে তাই সে বলে হ্যা ভালবাসি। তখন বলে ওকে আমরা আগমীকাল বিয়ে করবো আমি এখন আমার বড় আপার বাড়ি কোনাপাড়াতে কাল আমি ঢাকা মেডিকেল মামিকে দেখতে যাবো তুমি ওখানে আসবে। জুলাই মাসের ১২ তারিখ ওরা বিয়ে করে,হৃদয় লিজাকে রাতে ওর বোনের বাড়ি পৌছে দেয়। ওদের বিয়ের চার মাস পর|লিজা তার মামাতো ভাইয়ের সোমনধি মামুনের প্রেমে জড়িয়ে পড়ে আর বিয়ে করে। কিন্তু হৃদয়কে কোন ডির্ভোস দেয়নি। ইতিমধ্যে লিজার একটি কন্যা সন্তান হয়েছে বলে জানা যায়|উল্লেখ্য লিজা হৃদয়কে জানিয়ে ছিলো সে কখনও মা হতে পারবেনা|এতে হৃদয় লিজাকে যদি বকা ঝকা করে তাই হৃদয় ডাক্তারের মাধ্যমে সে যেন কখন বাবা না হতে পারে সে ব্যবস্থা করে। হায়রে ভালবাসা! মানসিক ভাবে অসুস্থ হৃদয়ের একটাই প্রশ্ন কি তার অপরাধ? কে দেবে এর উত্তর আমাদের জানা নেই। লিজা ও হৃদয়ের বিয়ের কথা ওদের পরিবারের সবাই জানে তারপরও অবৈধ মামুন ও লিজার ঘড়ে এসেছে জারয একটি মেয়ে সামাজিক সীকৃতি থাকলেও ইসলাম তাদের সর্মথন করেনা। লিজার দুলা ভাই চাঁদপুর কচুয়া এলাকার সন্ত্রাসী ইব্রাহিম। হৃদয় কি পারবে সুস্থ হতে?পারবে কি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে? ভালবাসার এ কেমন পরিনতি?
Posted on: Fri, 11 Oct 2013 06:41:45 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015