একটা গুলি খায়াই নোবেল - TopicsExpress



          

একটা গুলি খায়াই নোবেল পায়া গেল? পাবলিকের কথায় মনে হয় গুলি খাওয়াটা মনে হয় খুব ইজি, যে কেউ খাইতে পারে। অক্টোবর ২০১২ তে মালালা গুলি খাইছিল। কেন খাইছিল সেইটা কি কেউ জানে? এইটুক একটু জানাই। পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় যখন তালিবানি আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হল, তালেবান কী করল? এরা খালি গোলাগুলি ছাড়া সবকিছুই ব্যান করতে পারে। মেয়েদের স্কুলের কথা তো আর বলাই বাহুল্য। এইসব যখন শুরু হইছে, তখন বিবিসি উর্দু চিন্তা করল যে ওইখানের আম আদমিরা কী ভাবতেছে সেইটা ফোকাসে আনা উচিত, এনোনিমাসলি। মালালার বাবা জিয়াউদ্দিন সাহেব একটা স্কুল চালান। তাঁর সাথে পরিচয় ছিল বিবিসি উর্দুর স্থানীয় প্রতিনিধির। তাকে বলার পর এই ব্যাপারে স্টেপ নেয়া হল। কিন্তু তালেবান এর ভয়ে কেউ রাজি হচ্ছিল না। আয়েশা নামের একটা মেয়ে, যে কিনা মালালার চেয়ে বয়সে বড় ছিল, সে প্রথমে রাজি হয়েছিল। পরে তাঁর অভিভাবকরা পারমিট করে নাই। পরে জিয়া সাহেব রিস্ক নিয়ে নিজের মেয়েকেই এই দায়িত্ব দেন। মালালাকে তিনি ওই অস্থিতিশীল অঞ্চলেই নিজে পড়াতেন, অনেক বিষয় নিয়ে আলাপ করতেন মালালার সাথে- মালালা ইংলিশ, উর্দু এবং পশতুতে ফ্লুয়েন্ট। যারা সমালোচনা করল, তারা ভুলে যাচ্ছে যে, সোয়াত উপত্যকা ছেড়ে উনি পরিবার নিয়ে করাচি, পিন্ডি চলে যেতে পারতেন। যান নাই কেন? জিয়া সাহেব নিজেও একজন এডুকেশন এক্টিভিস্ট। যাইহোক, মালালা তখন ব্লগ লেখা শুরু করল। লিঙ্ক ( news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/7834402.stm ) ডায়েরি অফ আ পাকিস্তানি গার্ল। মালালা মাত্র ১১ বছর বয়সে করাচি প্রেসক্লাবে তালিবান শাসন নিয়ে বলেছিল। উইকিপিডিয়া থেকে তুলে দিলাম। ওখানে লিঙ্ক দেয়া আছে। How dare the Taliban take away my basic right to education? Yousafzai asked her audience in a speech covered by newspapers and television channels throughout the region বিবিসির ব্লগ সুত্রে ওকে নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস একটা ডকুমেন্টারি বানাবে বলে ঠিক করল। যাইহোক, এইভাবে তালিবান মালালারে চিনল। এরপরে টার্গেট করল। দা রেস্ট ইজ হিস্ট্রি। সুতরাং, মালালা খালি গুলি খায়াই নোবেল পায় নাই। সোয়াতের মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে থেকে যে এতটুকু সাহস নিয়ে এগিয়ে এলো তালেবানের বিরুদ্ধে, এতো অনিরাপদ জীবন নিয়েও যে তারা ওই জায়গা থেকে নিরাপদ জায়গায় চলে যাবার কথা ভাবে নাই, এইসব নিয়ে দেখি কারো মাথাব্যথা নাই। যাই হোক, এই বেলায় আরেকটু পোঙ্গা মারি। মালালা গুলি খাবার আগেই সে চিল্ড্রেন রাইটস এক্টিভিস্ট হিসেবে পরিচিত। দক্ষিন আফ্রিকার ডেসমন্ড টুটু(আমি নিশ্চিত, জাতি টুটুরেও চিনে না) ২০১১ সালে মালালাকে ইন্টারন্যাশনাল চিল্ড্রেনস পিস প্রাইজের জন্যে নমিনেট করেছিলেন। পুরষ্কার আরেকজন পেয়েছিল সেবার। তবে মালালার ব্যাপারে বলা হয়েছিল, Malala dared to stand up for herself and other girls and used national and international media to let the world know girls should also have the right to go to school সুতরাং, আবালামি করার আগে একটু জাইনা নিলে ভাল হয়। মালালা ইউসুফজাই, ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ নোবেল লরিয়েট, আমার বোনের বয়সী এই মেয়েটা কেবল নিরাপদে স্কুলে যাবার অধিকার চেয়েছিল। মালালার পোশাক নিয়া খুঁত ধরতে পারে নাই, তাই অন্যদিক দিয়া এটাক চলতেছে। --- Shibraj
Posted on: Sat, 11 Oct 2014 07:38:39 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015