কোকাকোলার অজানা - TopicsExpress



          

কোকাকোলার অজানা কাহিনী! 207 206 Google + 0 0 1 0 স্বাস্থ্য ডেস্ক : পৃথিবীতে নানান ধরনের পানীয় আছে। সবগুলোর নাম তো আমরা কেউই জানিনা। কিন্তু সারা বিশ্বে কোকাকোলার নাম শুনেনি এমনলোক হয়ত পাওয়াই যাবে না। কোকাকোলা যুগ যুগ ধরেএর জনপ্রিয়তা ধরে রেখে একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ২০০ টির বেশি দেশে কোকাকোলার পণ্য বাজারজাত করা হচ্ছে। আসুন জেনে নেইকোকাকোলার সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য। ১১৮৬ সালে ফার্মাসিস্ট জনস্টিথ পেমবার্টন কোকাকোলা আবিস্কার করেছিলেন। তার মানে কোকাকোলা প্রায় ১৩০ আগেরকোম্পানী! কোকাকোলার আবিষ্কারক এর প্রচার শুরু করেছিলো মাথাব্যাথা ও দুর্বলতার ওষুধ হিসেবে। প্রথম কোকাকোলার দাম ছিলোমাত্র ৫ সেন্ট। কোকাকোলা নামকরনের প্রবর্তক ফ্রাঙ্ক রবিন্সন। cocain এবং cola nut থেকে কোকাকোলারমূল উপাদান সংগ্রহ করা হয় তাই এর নাম হয় কোকাকোলা। এখন পর্যন্ত উত্পাদিত কোকাকোলার ৮ আউন্সের বোতলসবগুলোকে যদি পাশাপাশি একমাথার সাথে আরেক মাথা লাগিয়ে শেকলের মত করে রাখা হয় তাহলে অন্তত ১০০০ বার চাদে আসা যাওয়ার সমান লম্বা হবে। একই ভাবে এ যাবত কালে উত্পাদন হওয়া সব কোকাকোলার চেইন বানালে পুরো পৃথিবী ৪০০০ বারের বেশি ঘুরে আসা যাবে। এখন পর্যন্ত উত্পাদিত কোকাকোলার সব বোতল যদি মানুষের মাঝে বিলি করা হয় তাহলে প্রত্যেকে ১০০০টির বেশি বোতল পাবে। কোকাকোলা অলিম্পিক গেমসের সবচেয়ে পুরানো স্পন্সর। ১৯২৮ সাল থেকেই স্পন্সরশীপ করে আসছে তারা। পুরা বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৮০০০ গ্লাসেরও বেশি কোকাকোলা খাওয়া হয়ে থাকে। এ যাবত কালে উত্পাদিত সব কোকাকোলা ঢেলে যদি একটি সুইমিং পুল বানানো হতো তাহলে সেটা দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩০ মিলোমিটার ও প্রস্থে ১৫ কিলোমিটার হতো। এর গভীরতা হতো ২০০ মিটার। এই সুইমিং পুলে প্রায় হাফ বিলিয়ন মানুষগোসল করতে পারতো। কোকাকোলা ব্রান্ড কোক ছাড়াও আরো প্রায় ৩৫০০ রকমের বেভারেজ তৈরি করে। প্রতিদিন অন্তত ৩টা করে বেভারেজ খেলেও সবগুলোর স্বাদ নিতে আপনার ৩ বছরেরও বেশি সময় লাগবে। পৃথিবীর ৯০% মানুষই কোকাকোলার লাল লোগোটি চিনে। কোকাকোলার একটি সার্ভিং এ৩৯ গ্রাম চিনি থাকে। তার মানে বেশির ভাগ আমেরিকানইবছরে প্রায় ৫ কেজি চিনি খায় শুধু মাত্র কোকাকোলাপান করার মাধ্যমেই। কোকাকোলা বিজ্ঞাপনের পেছনে প্রচুর অর্থ খরচ করে। ২০১১ সালে এই খরচ ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। কোকাকোলার ফেসবুক পেজে ৭০মিলিয়নের বেশি ফ্যান আছেএবং প্রতিনিয়ত এই সংখ্যাবেড়েই চলেছে। শুরুর দিকে কোকাকোলা বিপজ্জনক ছিল। কারণ তখন কোকাকোলায় মাত্রাতিরিক্ত সুগার ব্যবহার করা হতো। কিন্তু গত ২০-৩০বছরে তারা ডায়েটকোক ও জিরো কোকের মতো স্বল্প বা জিরো ক্যালরির পানীয় ছেড়েছে বাজারে। এখন বাজারে নানান কোম্পানীর কোমল পানীয় পাওয়া গেলেও কোকাকোলার জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি।
Posted on: Thu, 29 Aug 2013 21:22:18 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015