কোন মুভির কোন গান বা কোন অ্যালবামের কোন গান বাজারে হিট হলে প্রায় সবার মুখে মুখেই তা শোনা যায়। হোক সে ২৬ বছরের যুবক বা ৬ বছরের শিশু। কোন ছোট বাচ্চা এমন কোন গান মুখস্থ করলে তার মা বাবা খুব আনন্দের সাথে তা প্রতিবেশীদের বলে বেড়ায়। কিন্তু এটাকি আসলেই কোন আনন্দের বা গর্বের বিষয়????? গর্বের বিষয় হত যদি সেই শিশুটিকে কুরআন মুখস্থ করায় উৎসাহ দেয়া হত আর যদি সে তা মুখস্থ বলতে পারতো। এই দুনিয়ায় এমন কোন গান বা এমন কোন ছন্দ আছেকি যেটা পবিত্র কুরআনুল কারিমের আয়াত সমূহের সুর, ছন্দ বা ভাবার্থের চেয়ে উত্তম??? কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমরা কুরআন মুখস্থ করায় আগ্রহী নই। অথচ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- ‘‘পবিত্র কুরআন পাঠক, হাফেয ও তার উপর আমলকারীকে ( কিয়ামতের দিন) বলা হবে, ‘তুমি কুরআন কারীম পড়তে থাকো ও চড়তে থাকো। আর ঠিক সেইভাবে স্পষ্ট ও ধীরে ধীরে পড়তে থাকো, যেভাবে দুনিয়াতে পড়তে। কেননা , (জান্নাতের ভিতর) তোমার স্থান ঠিক সেখানে হবে, যেখানে তোমার শেষ আয়াতটি খতম হবে।” ( আবূ দাউদ ১৮৬৮, তিরমীযি ২৯১৪ হাসান) আসলে সত্য কথাটা হল- রাস্তার পাশের ধুলাবালি আর মাছি পড়া চটপটি, ফুচকা, চাটনি খেতে মজা লাগে কিন্তু বাড়িরগুলো মজা লাগেনা। আমাদের অবস্থাও তাই। কিন্তু সমস্যা হল এই সব খাবার খেলে যে রোগ হয় তা না হয় সারানো যায় কিন্তু অই রোগ সারানোর উপায় যে নাই। বিশ্বাস করুন প্রতিদিন এক থেকে দুইটা কুরআনের আয়াত মুখস্থ করা অই গানগুলো মুখস্থ করা হতে অনেক সহজ এবং অনেক উপকারি। কাজেই চেষ্টা করেই দেখুন না একবার__ :)
Posted on: Thu, 21 Nov 2013 04:11:34 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015