কোরবানীর একটি ধর্মীয় দিক - TopicsExpress



          

কোরবানীর একটি ধর্মীয় দিক আছে; যা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না; কেননা সে বিদ্যা আমার যৎ সামান্য। তবে তার একটি economic and industrial দিক নিয়ে কথা না বললেই নয়। শুধু মাত্র মাংসের জন্য পেলে-পোষে বড় করা গরু বা খাসী, সারা দুনিয়াতেই এথন মূল্যবান বলে বিবেচীত হয়। তার চামড়া, হাড় ও রক্তও বর্তমানে মূল্যবান সামগ্রী। আগেও ছিল। ঢাকার নবাবগণ্ আগে সিলেটে চামড়ার ব্যবসা করতেন। পূর্ব বাংলার পাটের মত চামড়াও মূল্যবান বিদেশী অর্থ আনত। প্যারিসের দুজন মশহুর কসাই organic গরুর steak বিক্রয় করেন, যার কিলো প্রতি মূল্য মাত্র ৩০০ ইউরো। প্রতি ইউরো কম-বেশি ১০৩ টাকা। (৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪; ১ ইউরো = ১০২.৯০৪২ টাকায় বিসি বিক্রয়।) অতএব কোরবাণীর জন্য গরু বা ছাগল পেলে আমরা কর্ম-সংস্থান করছি, সবাই মিলে উত্তম মাংস ভক্ষণ করছি ও পরিশেষে চামড়া ও অন্যান্য by-productএর যোগান দিচ্ছি। কিন্তু আমরা কি এই বিশাল কর্ম-কান্ডটিকে সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করতে পারছি? না পারলে, কেন পারছি না? না পারার কারণ আমাদের প্রাচীণ শাসন ব্যবস্থাটির মধ্যে নিহিত। সেটিকে আধুনিক করুন। ১৭৮৩ সনে বাংলার নবাবের মত মিনি নবাব তৈরী করা হয়। সূবেহ বাংলার সংগে উড়িষ্যা ও বিহার যুক্ত হয়ে গিয়েছিল। বাণারস বাংলার নয়, তবুও বাণারসের রাজার সঙগে বৃটিশের যুদ্ধের পরিণতিতে তা বাংলা ভুক্ত হয়। নবাব শব্দটি চালু হয় যখন সূবেহ বাঙলার সূবেদার আবার দেওয়ানীর দায়িত্বও নেন, তখন। নবাব বলতে মোগলের নায়েব বা নবাব। নবাব গন আর মোগলে খাজানা পাঠাতেন না। ১৭৬৫ সনে বাংলার নবাব মীর কাসেম, লখনৌর নবাব ও দিল্লীর যুবরাজ একত্রে বিহারের বক্সারে বৃটিশের সঙগে যুদ্ধ করেন ও হেরে যান। সেলিমকে যুবরাজ বলা হয়, কেননা, সে আর সম্রাট নয়, দিল্লীর বা তৎসংলগ্ন সামান্য এলাকা তার অধীণ। কিন্ত ‍মোগল হেরেমের সোনা-দানার লোভে তাকে রুহিল্লা পাঠানরা আাক্রমণ করবে, সে আশংকায় পরাজীত যুবরাজ এলাহাবাদ প্যালেসে বৃটিশ সৈন্যের পাহাড়ায় কিছু দিন বাস করেন ও বিনিময়ে বাংলার দেওয়ানি বৃটিশকে দিয়ে যান। বৃটিশের প্রধাণ তখন আবার লর্ড ক্লাইভ। নবাবও আবার মীর জাফর। বৃটিশ মীর জাফরকে চাপ দিল, যেন নেজামত নিজের কাছে না রাখে। কাউকে যেন সে দায়ীত্ব অর্পণ করে। নবাব মোহাম্মদ রেজা খানকে নায়েব-ই-নিজাম বানিয়ে ঢাকা পাঠান। ঢাকায় তার মহকুমা বসে। এভাবে যথাক্রমে, ঢাকা হতে নিজামত ও বেরহামপুর হতে দেওয়ানী পরিচালীত হত। নবাব কিন্তু মুর্শিদাবাদেই বাস করতেন। ১৭৭২ সনে বৃটিশ রাজধানী কলিকাতায় নেয় ও জিলা ও কালেক্টরী প্রথা চালু করে। প্রথম জিলা যশোহর। কালেক্টর সাহেব যথাক্রমে নিজাম ও দেওয়ান। ১৯৫০ সনে জমিদার, রাজা, মহারাজা, নবাব প্রভৃতি জমির মালীকদের বাতিল করে জেলা প্রশাসক, তথা, কালেক্টর সাহেবকে জমির মালীক বানান হয়। ১৭৯৩ সনে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কারণে রায়ত বা স্থায়ী বাসিন্দা চাষীরা জমির মালীকানা হারিয়ে প্রজায় রুপান্তরিত হয়েছিল; তারা কিন্তু প্রজাই রয়ে গেল। বিগত ৪৩ বৎসরে বাংলাদেশ কার্য্যকর ভাবে কোন প্রশাসনিক সংস্কার করে নি। সাবেক মহকুমাকে জিলা বানান, বিভাগের সংখ্যা বাড়ান প্রভৃতিকে সংস্কার বলা হলেও আমরা তাকে মেনে নিচ্ছি না। বরং ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগগুলি পর্য্যায়ক্রমে প্রদেশে রুপান্তরিত করুন। প্রদেশগুলিতে সংসদ ও First Minister করুন। প্রধান শহরটিকে প্রাদেশিক রাজধানী করুন ও তার মেয়র হোক পদাধিকার বলে প্রদেশের মূখ্য মন্ত্রী। মেয়রের মর্য্যাদা যাই হোক, তার অফিসটিকে সর্বময় ক্ষমতা দিন। সে জমির মালীক, সে পরিকল্পনার মালীক, পরিবহণ, বিদ্যুৎ, পানি, পয়ঃপ্রণালী, গ্যাস, টেলিফোন সবি তাকে দিয়ে দিন। শহরের মেয়র প্রতি মহল্লায় একটি পৌর বাজার করবে। তার নীচ তলায় হবে বাস স্টেশন ও ট্রাক লোড-আন লোড করবার জায়গা। শহরের যত্র তত্র বাস বা ট্রাক নেয়া যাবে না। প্রতি কিলো মিটারে এমন একটি বাজার থাকবে। সেখানে বহুতল বাজার ভবন হবে। ২য় তলায় urban তথা ‍sub urban rail আসবে। আমাদের অত ভাল বিল্ডিং নেই যে তাকে রক্ষা করতে আমাদের পাতালে রেল বসাতে হবে। তবে কোথাও কোথাও রেলকে আমরা হয়ত মাটিতে নামাতে পারব। বাজারটির ৩য় তলায় হবে national railwayএর স্টেশন যথা হতে regional train সর্বত্র যাবে। যারা দূরে যাবেন, তারা প্রথমে regional train ধরে কমলাপুর বা ক্যান্টন ম্যান্ট স্টেশন হতে intercity train ধরবেন। ৪র্থ তলাটিতে রেলে বহন করা animal নামান হবে। সেখানে থাকবে abattoir এবং cold storage. মাংস ও চামড়া; আলাদা, আলাদা ভাবে সেই কোল্ড স্টোরেজে যাবে। সেখানে অন্য এলাকা হতে মাছ, মুরগী হিমায়ীত করে এনে রাখা হবে। মুরগী ও ডিম রেল ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই বাজারে আসবে। ৫ম তলায় কাচা বাজার ও ৬ষ্ঠ তলায় থাকবে পাইকারি বাজার বা গোডাউন। ৭ম তলায় থাকবে স্কুল। (১২ ক্লাশ পড়া বাধ্যতা-মূলক হবে।) ৮ম তলায় থাকবে হাসপাতাল। ৯ম তলায় হবে শপিং মল। ১০ তলায় হবে সিনেমার জন্য multiplex. ১১ তলা হবে ছাদ, যেখানে বাগান হবে। সে বাগানে আর সব কিছুর মত একটি swimming pool এবঙ পাবলিক লাইব্রেরী থাকবে। গোটা বাজারটি public place গণ্য হবে। সেখানে কোন প্রবেশ মূল্য থাকবে না। কিন্তু সেখানে প্রবেশের আগে time slot নিতে হবে। mobile phoneটিকে নাগরিকত্বের প্রতীক গণ্য করা হবে। বাজারের নাম্বার-সমূহে phone করে নিজের bank account number, telephone ID ব্যবহার করে time slot নিতে হবে, যা লটারী করে নির্ধারণ করা হবে। দশ তলা দালানটির দেখাশোনায় নিয়োজীত ব্যক্তিদের সেখানে আবাসিক সূবিধা সহ অফিস, নামাজের স্থান প্রভৃতি থাকবে। কিন্তু ব্যবহার কারিদের জন্যে কোন তেমন সূবিধা থাকবে না। যারা জামাতে নামাজ পড়েন, তারা সেভাবেই time slot নিবেন, যেন কোন মসজিদে নামাজ আদায় করে বাজারটিতে প্রবেশ করেন। আরবীতে জামে মানে বাজার, সেই বাজারের মসজিদের ধারণাটি পরিহার করা হবে। বাজার ও মসজিদের ধারণাটি পরষ্পর মিল না থাকায় এরুপ ব্যবস্থা রাখা হবে। দালানটিতে স্কুল রাখবার যুক্তি এই যে জমিটির উপযু্ক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করা। দালানটি যাতে শহরের ব্যাবস্থাদির উপর চাপ প্রয়োগ না করে সে জন্য উহার ভূগর্ভে যাবতীয় ব্যাবস্থাদি যথাঃ power substation; rain water storage and water treatment plant, solar and wind power plant, waste water treatment plant and recycled water storage plant, fire fighting equipment and fire pump and emergency water storage, data storage and fiber optic cable প্রভৃতি আনুসঙ্গিক বিষয়াদি থাকবে। ঢাকার লাল মাটির নীচেই compact sand আছে, তার সূবিধাদি নেয়া হবে ও ভূমিকম্প বিষয়ক আশংকা সমূহকে আমলে নেয়া হবে। ভবনটিকে বজ্রপাত হতে সুরক্ষা প্রদান ও সেখানের বৈদুৎিক ব্যবস্তা যাতে নিরাপদ থাকে তার জন্য ব্যবস্থা থাকবে। স্থানীয় প্রতিষ্ঠান হতে ১৩২ কেভি সংয়োগ নেয়া হবে, অথচ মাত্র ১১০ ভোল্ট উর্ধে কোন বিতরণ লাইন থাকবে না। ভবনটি শহরের বাইরে কোথাও বানিয়ে এখানে এনে বসান হবে। তারপরও যে কংক্রীট ও রড লাগবে, তা শহরের বাহির হতে প্রক্রিয়াজাত করে ভবনের জমিতে আনা হবে। সকল ভবন ব্যবহারকারীকে নিজ গাড়ি অদূরে অন্য পার্কিয়ে রেখে বাসে বা ট্রামে চড়ে ভবনটিতে প্রবেশ করতে হবে।
Posted on: Wed, 08 Oct 2014 06:32:20 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015