কুষ্টিয়ার পান্না - TopicsExpress



          

কুষ্টিয়ার পান্না মাস্টার। বলা যায় বাংলাদেশের সবচেয়ে সেক্সি পুরুষ। পেশায় একজন গণিতের শিক্ষক। কিন্তু ভেতরে ভেতরে মেয়েদের জন্য মহা আতংক। গত কয়েকবছর ধরে সে ১৫০ জনেরও বেশি মেয়েদের সাথে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছে তথা ধর্ষণ করেছে। সবচেয়ে করুন ঘটনা হল এইসব মেয়েদের সাথে করা সেক্সের ভিডিও লিঙ্ক তৈরি করে রেখেছে সে। এই ভিডিও ফ্লাশ করার ভয় দেখিয়ে পরবর্তীতে দিনের পর দিন সেইসব মেয়েদের সাথে সেক্স করেছে। এমনকি অনেক পরিবারের কাছ থেকে অর্থও দাবি করেছে এইসব ভিডিওর ভয় দেখিয়ে। আসলে এখানে কী বলবো আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। একজন শিক্ষকের পেশা যদি হয় যৌনতা, তাহলে এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কী হবে আমি বুঝতে পারছি না। এখন ব্যাপারটা হল এত বিপুল সংখ্যক মেয়েকে সে বশে আনলো কী করে? একজন শিক্ষকের পক্ষে কোনো ছাত্রীকে ব্লাকমেইল করা খুব কঠিন কোনো কাজ নয়। সে গণিতের শিক্ষক। সুতরাং যেসব মেয়ে ওই মাস্টারের কথা শুনবে না, তাদেরকে ফেল করিয়ে দিবে। আর এই ভয় দেখিয়েই দিনের পর দিন এই নরপিশাচ বিপুল সংখ্যক মেয়েদেরকে ধর্ষণ করে আসছে। ক্লাস এইট থেকে এক মেয়ে তাঁর নিয়মিত সজ্জাসঙ্গী। এখন সে অনার্স ২য় বর্ষে পড়ছে। তারপরেও তাঁর রেহাই নেই। এরকম আরও অনেক মেয়েই আছে। ১১ জন মেয়ে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছে। আমরা একজন শিক্ষককে অনেক সম্মান দেই। কিন্তু মানুষ গড়ার কারিগরেরা যদি মেয়েদের ইজ্জত আর জীবন নিয়ে খেলে, তাহলে আমরা মেয়েরা কি শিক্ষিত হতে পারব না? তাদের যৌনলালসার ভয়ে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়েরগণ্ডিতে পা দিতে পারব না? এদেশে পান্নার মতো আরও অনেক কুলাঙ্গার শিক্ষক আছে যারা মেয়েদের জীবন নিয়ে খেলছে। তাই বলে আমরা মেয়েরা বসে থাকব? কখনই না। শিক্ষা আমার অধিকার। এই শিক্ষা নিতে যেয়ে আমাকে ধর্ষিত হতে হবে কেন? আমরা বিচার চাই। এর কী রকম বিচার হওয়া উচিত? এর পুরুষাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে ১৫০ টুকরা করা উচিত। ১৫০ জন মেয়ের মুখের থুতু তাঁকে খাইয়ে দেয়া উচিত। তাঁর চোখ উপরে ফেলা উচিত। তাঁকে জনসম্মুখে এমন শাস্তি দেয়া উচিত, যেন প্রতিটা ধর্ষক শিক্ষক তাঁর ছাত্রীকে ধর্ষণ করার আগে একবার হলেও যেন তাঁর পরিণতির কথা ভেবে নেয়। কখনই তাঁকে প্রচলিত আইনের আওতায় আনা উচিত না। তাঁকে আগামী দশ দিনের মধ্যে ভয়াবহ নির্মম শাস্তি দিয়ে সবার সামনে কুত্তার মতো মারা উচিত। আর শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন অবশই করা উচিত। প্রাইভেট পড়াতে হবে অভিভাবকদের সামনে। পরিক্ষার খাতা দেখবে স্কুলের সবচেয়ে বয়েজ্যেষ্ঠ শিক্ষক। এরুপ করলে হয়তো এরকম ধর্ষণের হার অনেক কমবে। আর অভিভাবকরা অবশই তাদের মেয়েদের সার্বক্ষণিক খোঁজ নিবে। নিজের মেয়েকে নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। তাঁকে সাহস দিতে হবে। বন্ধুর মতো আচরন করতে হবে। কারন অনেক মেয়েই ভয়ে তাদের বাবা মাকে এরকম ঘটনা বলতে পারে না। সচেতন হওয়ার দিন শেষ। এখন শুধুই প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের সময়। ওইসব কুলাঙ্গার ধর্ষক শিক্ষকদের কুত্তার মতো মারার সময়।
Posted on: Tue, 13 Aug 2013 14:05:02 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015