গত কয়েকদিনে ভিডিওটা বেশ কয়েকবার চোখে পড়েছে। ইচ্ছে করেই শেয়ার করি নি শাহবাগীদের কাছ থেকে যতটা সম্ভব লুকিয়ে রাখার অভিপ্রায়ে। ওদের হাতে এই জিনিস পড়লে কি উপায় হবে ভেবেই আঁৎকে উঠছি! শফী হুজুর ধরণের লোকদের নিয়ে সমস্যা হচ্ছে, এদের মুখ দিয়ে বের হওয়া নোংরা কথাগুলোকে মুসলিম, অমুসলিম, শাহবাগী সবাই ইসলাম ধর্মের বক্তব্য বলে বিবেচনা করে। শফী হুজুরের তেঁতুল তত্ত্ব নিয়ে আমি খুব বেশি দুশ্চিন্তিত না। কারণ কথা তিনি যা বলেছেন বেশ ভাল বলেছেন, শুধু ভাষার নির্বাচনটা আপত্তিজনক ছিল। তবে গার্মেন্টেসের মেয়েরা জেনা করে টাকা রোজগার করে ধরণের উনার মন্তব্যের নিগুঢ় অর্থ আমি ধরতে পারি নি। অনেকে ধরিয়ে দেবার ক্ষ্যাপাটে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শেষমেষ বয়স্ক মানুষ যুক্তি দেখিয়ে পার হয়ে গেছেন। কিন্তু সমস্যাটা যে বয়সে নয়, এই লোকগুলোর মননে, এটা বোঝার মত মানসিক স্বাধীনতা বেশীরভাগ মুসল্লীর আছে বলে মনে হয় না। এটা পড়ে আবার শাহবাগীদের হৈ হৈ করে উঠার কিছু নেই। সুবিধাবঞ্চিত এই লোকগুলো সঠিক শিক্ষা না পেয়ে যে গোঁড়ামী করে, সুবিধাভোগী শাহবাগীদের বর্বরতা-নোংরামীর সামনে সেগুলো কিছুই না। আলোচ্য ভিডিওতে মোল্লা সাহেবেকে মোহরের বিনিময়ে স্ত্রী-ক্রয় থিওরী ও হাতের ব্যবহারে রেসিপ্রকাল মোশান দেখিয়ে স্ত্রীর উপযোগীতা থিওরী দিতে দেখে অনেকেই আহত-ব্যথিত হয়েছেন। আমি বিশেষ হই নি। আমি আসলে এখানে ব্যথিত হবার মত ব্যতিক্রম কিছু দেখতে পাচ্ছি না। এই লোকটি বাংলাদেশের মোল্লা সমাজের উল্লেখযোগ্য একটি অংশকে রিপ্রেজেন্ট করছে মাত্র। আপনি আগে হয়তো এ ব্যাপারে ধারণা রাখতেন না, ফেইসবুক, মোবাইল, সহজলভ্য ভিডিও প্রযুক্তির কল্যাণে হঠাৎ করে জেনে গেছেন। তো জেনে যখন গিয়েছেনই এবং খারাপ যখন লেগেই গিয়েছে তো অর্থহীন আবেগ না দেখিয়ে গঠনমূলক পদক্ষেপ নিন। শফি হুজুররা নোংরা কথা বললে এদের বর্জন করুন। বয়স হয়ে গেছে, মিন করে বলে নি ধরণের অশ্রাব্য যুক্তি টেনে নিজেকে খাটো করবেন না। সমাজের এই শ্রেণীটি ধর্ম চর্চা ও ধর্ম প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছে সত্যি, উইচ আই অ্যাপ্রিশিয়েট, কিন্তু এদের হাতে ধর্ম লাঞ্চিত ও ধর্ষিত হচ্ছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্বও কিন্তু আপনার। ধর্ম কারো তালুক নয়। ধর্ম অনেকটাই ব্যাখ্যামূলক। এ লোকগুলো সে সুযোগ নিয়ে ধর্মের যাচ্ছেতাই ব্যাখ্যা করে চলেছেন। এমন লোকদের বর্জন করুন। ভালকে ভাল, খারাপকে খারাপ বলতে শিখুন। শফি হুজুর কত বড় আলেম সে বিষয়ে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। তিনি গার্মেন্টেসের অসহায়-গরীব মেয়েগুলো জেনা করে টাকা কামাই করে, তাদের উপার্জিত অর্থ হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছেন- এটাই আমার কাছে মুখ্য বিষয়। উনি এই গর্হিত অনৈসলামিক কথাগুলো বলার সাথে সাথেই যদি আপনি ত্যানা প্যাঁচানো বাদ দিয়ে বলিষ্ঠ কন্ঠে প্রতিবাদ করতেন তাহলে আজ আপনাকে এই ভিডিও দেখতে হতো না।- Asm Fakhrul Islam https://facebook/video.php?v=743395305708043&pnref=story
Posted on: Sun, 30 Nov 2014 20:03:17 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015