গল্প: যৌবন মৃত্যু লেখা: অদ্রিকা অরিত্রি আজকের রাতটা সত্যিই চমৎকার। এক পশলা বৃষ্টির পর পরিষ্কার আকাশ। আকাশ ভরা জ্যোৎস্না। কৃষ্ণচূড়া গাছটা টুকটুকে লাল ফুলে ছেয়ে আছে। পাগলকরা হিমশীতল বাতাস। অসহ্য এক সুন্দর মুহূর্ত! ইচ্ছে করে- খুব ইচ্ছে করে আপন কারো হাতে হাত রেখে অনে-ক-ক দূরে কোথাও....................... উহ! আগুন! হ্যাঁ জ্বলন্ত সিগ্রেটের আগুনে ফোসকা পড়লো হাতে। আমার পাশে যে অঘোরে ঘুমাচ্ছে সে আমার স্বামী। আইনত, ধর্মত, এবং কাগজ কলমে তো বটেই। কিছুক্ষণ আগে সে ফিরেছে মদ গিলে- হাতে অসমাপ্ত সিগ্রেট, পায়ে জুতা। প্রায় পুরোটা খাট জুড়ে এলিয়ে দিয়েছে মাতাল দেহ। প্রতিদিনের মতো আজ আর আমার ইচ্ছে হয়নি সিগ্রেটটা ফেলে দিয়ে জুতোটা খুলে দিতে। আমার বাবা লাখ দেড়েক টাকায় ও জন্তুটা কিনেছেন। বিশেষণটা বোধ হয় appropriate হলো না, কারণ জন্তুরো মায়া মমতা বলে কিছু একটা থাকে, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সহজাত একটা আকর্ষণ থাকে, এর ও- সব কিছুই নেই। নপুংসক কিনা তা জানিনা, তবে হিজরা যে নয় তা আমি একশো ভাগ নিশ্চিত। তাই হয়ত আমার মন প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে! প্রতীক্ষার পালার আজ বাইশতম রজনী। ঠিক এই মুহূর্তে চাঁদের আলো এসে পড়েছে ওর মুখে। কি মায়াবিই না লাগছে ছেলেটাকে দেখতে। কালো মুখটাতে Arabian Nights - এর কাফ্রিদের মত মাদকতা। আজি হয়তো আমার প্রতীক্ষিত সেই দিন! আচমকা তলপেটে এক লাথি খেয়ে ছিটকে পড়লাম মেঝেতে। কানে ভেসে এলো রুক্ষ একটা স্বর, মাগি তোর গায়ে রং নাই, রূপ নাই, যৌবন নাই, বুকে থাকার সখ ক্যান?
Posted on: Wed, 17 Dec 2014 06:04:23 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015