জানা মেসির অজানা ১২ টি - TopicsExpress



          

জানা মেসির অজানা ১২ টি তথ্য! “লিওনেল মেসি“- এই নামের সাথে পরিচিত একটি দেশ, একটি খেলা। যেন ফুটবল খেলতেই জন্মেছিলেন, বিশ্ব কাপের শুরু থেকে এই পর্যন্ত ৪ টি ম্যাচের মাধ্যমেই নিজের যোগ্যতা প্রমান করেছেন সেরা হিসেবে। সর্বচ্চ ভক্ত, অনুরাগী নিয়ে মেসি এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে, আসুন জেনে নেই তার সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্যঃ ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন আর্জেন্টিনার রোজারিও তে লিওনেল আন্দ্রেস “লিও মেসি” ইতালিয়ান বংশোদ্ভূত একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর বাবা ‘হোর্হে ওরাসিও মেসি’ একটি ইস্পাতের কারখানায় কাজ করতেন আর মা ‘সেলিয়া মারিয়া কুচ্চিত্তিনি’ ছিলেন একজন খণ্ডকালীন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। ১। মেসি ছোটবেলায় এতোটাই লাজুক ছিলেন যে প্রথম পরিচয়ে অনেকেই তাকে বোবা কিংবা অটিস্টিক ভাবতেন। এমনকি তারশিক্ষকরা তাকে মানসিক ডাক্তার দেখানোর পরামর্শও দিয়েছিলেন। ২। ১১ বছর বয়সে মেসির শরীরে গ্রোথ হরমোন জনিত জটিলতা দেখা দেয়। কিন্তু তাঁর বাবা মায়ের সেটার চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য ছিলো না। এই চিকিৎসার খরচ ছিলো প্রতিমাসে প্রায় ৯০০ ডলার। ৩। বার্সেলোনার সাথে মেসির প্রথম চুক্তি লেখা হয়েছিলো একটি ন্যাপকিন পেপারে! বার্সেলোনার স্পোর্টিং ডিরেক্টর ‘কার্লেস রেক্সাচ’ মেসির প্রতিভা দেখে এতোটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তখনই চুক্তি করিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। হাতের কাছে কোনো কাগজ না পাওয়াতে ন্যাপকিন পেপারেই লিখিত চুক্তি করে ফেলেন তিনি। ৪। বার্সেলোনা মেসির ফুটবলের কারুকাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে ক্লাবে নেয় এবং তাঁর পারিশ্রমিক হিসেবে চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার নিয়ে নেয়। মেসির বাবা মা এই সময়ে আর্জেন্টিনা থেকে স্পেনে চলে আসে। ৫। মেসিকে স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে খেলার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু মেসি সেই প্রস্তাব নাকোচ করে দেয়। কারণ মেসির স্বপ্ন ছিলো আর্জেন্টিনার নীল সাদা জার্সি পরে খেলার।২০০৪ সালে প্রথমবার সেই সুযোগটা পেয়েছিলো মেসি। ৬। মেসির দুই দেশের দুটি পাসপোর্ট আছে।একটি আর্জেন্টিনার ও একটি স্পেনের। ২০০৫সালের সেপ্টেম্বরে স্পেনের নাগরিকত্ব পায় এই তারকা। ৭। মেসির বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার জার্সির নম্বর ১০। বার্সেলোনায় মেসির আগে ১০ নম্বর জার্সিটি পরতেন আরেক কিংবদন্তী ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় রোনালদিনিও। এছারা ও আরও অনেক কিংবদন্তী ফুটবলার যেমন পেলে, ম্যারাডোনা, জিনেদিন জিদান১০ নম্বর জার্সি পড়তেন, বর্তমানে নেইমার, রুনি ও ১০ নম্বর জার্সি পড়ে। ৮। মেসি তাঁর প্রতিষ্ঠিত লিও মেসি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অনেক চ্যারিটিতেই অনুদান দেন। শুধু তাই নয় তিনি সাহায্য করেন Fragile X Syndrome এ আক্রান্ত অটিস্টিক শিশুদেরকেও। তিনি ইউনিসেফেরও একজন অ্যাম্বেসেডর। ৯। প্রায় প্রতিটি গোল করেই তিনি আকাশের দিকে আঙ্গুল উঁচু করেন কারণ তিনি তাঁর গোল গুলোকে উৎসর্গ করেন তার প্রয়াত দাদীকে।তাঁর দাদী তাকে ফুটবলের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন এবং মেসির যখন ১০ বছর বয়স তখন তিনি মৃত্যুবরণ করেন যা মেসির মনে আজও দাগ কেটে আছে। ১০।ব্রাজিল আর্জেন্টিনা দিয়ে যতই দ্বন্দ থাকুক, মেসির সবচাইতে কাছের বন্ধুদের সবাই ব্রাজিলিয়ান। বিশেষ করে বার্সেলোনায় আসার পরে ‘ডেকো’ এবং ‘রোনালদিনিও’ ছিলেন তাঁর সবচাইতে কাছের বন্ধু। বর্তমানে সেই বন্ধুত্ব ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের সাথে। ১১।মেসি একজন সৎ প্রেমিকও বটে। ছোট্ট বেলার সেই খেলার সাথীকে সে কখনও ভুলে যায় নি। অনেক নামীদামী তারকাদের কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন। কিন্তু সবাই কে না করে দিয়ে অবশেষে সেই অজপাড়া গায়ের ছোট্ট বেলার বন্ধুটিকে আপন করে নিয়েছে। রুপে কিন্তু তারকাদের থেকে কম যাননা মেসির বউ। ১২। ২০১২ সালের ২ নভেম্বর মেসি প্রথমবারের মত সন্তানের (থিয়াগো মেসি) বাবা হন। তিনি তাঁর ফেসবুক পাতায় পোস্ট করেন,’‘আজ আমি বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ,আমার সন্তান জন্মগ্রহন করেছে এবং এই উপহারের জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। [ লিওনেল মেসির ফ্যানরা পোস্টটি লাইক ও শেয়ার করুন ]
Posted on: Fri, 04 Jul 2014 03:24:26 +0000

Trending Topics



g Westwood the most is that a
Baldwin 6055112RRB1 Venetian Bronze Mortise Lock Right Handed

Recently Viewed Topics




© 2015