জোহানেসবার্গে ইসলামের - TopicsExpress



          

জোহানেসবার্গে ইসলামের পরিচয় ঘোষণা করছে নিজামিয়া গ্র্যান্ড মসজিদ দক্ষিণ আফ্রিকার বৃহত্তম নগরী জোহানেসবার্গের বুকে সগর্বে মহান ইসলাম ধর্মের পরিচয় ঘোষণা করছে অটোম্যান (ওসমানীয়) রীতিতে তৈরি নিজামিয়া কমপ্লেক্সের গ্র্যান্ড মসজিদ। জোহানেসবার্গের উত্তরাংশে মিদরান্দে অবস্থিত নিজামিয়া কমপ্লেক্সে রয়েছে একটি মসজিদ, একটি স্কুল, একটি ক্লিনিক ও একটি শপিং সেন্টার। সাব-সাহারান অঞ্চলের বৃহত্তম এ মসজিদটি ইউনেস্কো কর্তৃক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ বা বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষিত তুরস্কের সেলিমিয়া মসজিদের অটোম্যান স্থাপত্য রীতি অনুসরণে নির্মিত হয়েছে। নিজামিয়া মসজিদের প্রধান গম্বুজটি ৩১ মিটার উঁচু। এছাড়া রয়েছে ৪টি অর্ধ ও ২১টি ছোট গম্বুজ। মসজিদে আছে প্রতিটি ৫৫ ফুট উঁচু ৪টি মিনার, সুন্দরভাবে রং করা একটি উঁচু সিলিং,বিস্ময়কর সৃজনশীলতার পরিচয়বাহী অটোম্যান ক্যালিগ্রাফি শোভিত দেয়াল এবং রঙিন কাচে ঢাকা ২৩২টি জানালা। মসজিদের প্রধান নামাজ কক্ষে ৬ হাজার লোক নামাজ পড়তে পারে। বলাবাহল্য যে, মহিলাদের জন্য রয়েছে নামাজের পৃথক স্থান। মসজিদটি জোহানেসবার্গের অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন। ৬ মাইল দূরের জোহানেসবার্গ-প্রিটোরিয়া মহাসড়ক থেকেও এটি চোখে পড়ে। মুখপাত্র সেলিক বলেন, এ মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর ৭৪ বছর বয়স্ক আলি কাতিরসিওগলু প্রথমে এ মসজিদ প্রকল্পটি আমেরিকাতে নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার এক বন্ধু এটা দক্ষিণ আফ্রিকায় নির্মাণ করার পরামর্শ দেন। তিনি তাকে বোঝান যে সেখানে এর দ্বারা বহু মানুষ উপকৃত হবে। ২০০৯ সালের অক্টোবরে এ মসজিদ কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। ৮ মাস আগে এ কমপ্লেক্সের ডান পাশে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজামিয়া প্রাইমারি ও হাইস্কুল চালু করা হয়। প্রিন্সিপাল ইসহাক তুরান জানান, আমরা আফ্রিকার সেরা বিজ্ঞান স্কুল হওয়াই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের ভালো সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও কমপিউটার ল্যাব রয়েছে। স্কুলের বর্তমান ছাত্র সংখ্যা ২শ’। এদের মধ্যে অর্ধেককে শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়। কারণ, তারা দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। তুরান বলেন, দরিদ্র পরিবারগুলোর ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা প্রদান আমাদের লক্ষ্য। তাই যাদের প্রয়োজন তাদের শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়। কমপ্লেক্সের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে রয়েছে ক্লিনিক। এখানে ছাত্র, শ্রমিক ও নিজামিয়া কমপ্লেক্সের আশপাশের লোকদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। সেলিক জানান, এ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর নেলসন ম্যান্ডেলা আলি কাতিরসিওগলুর সাথে যোগাযোগ করেন এবং একটি ক্লিনিক স্থাপনের অনুরোধ করেন যাতে বাইরের লোকও সেখানে চিকিৎসাসেবা পেতে পারে। তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার এ মহান নেতা কাতিরসিওগলুর বন্ধু ছিলেন। কমপ্লেক্সের বাম দিকে তুর্কি স্থাপত্য রীতিতে আধুনিক দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে। তারা ঐতিহ্যবাহী তুর্কি পণ্যসামগ্রী ও খাবার বিক্রয় করে। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো তুর্কী মারা গেলে তাকে দাফনের জন্য এখানে একটি কবরস্থানও রয়েছে। এ রমজান মাসে এ মসজিদে প্রতিদিন ৩শ’ রোজাদারকে ইফতার করানো হচ্ছে। মসজিদের ইমাম ইবরাহিম আতাশয় বলেন, আল্লাহ্র প্রশংসা যে তিনি আমাদের নানা উত্তম নেয়ামত দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই রমজান মাসে শত শত লোক এ মসজিদে তারাবিহ্র নামাজ পড়েন। রমজান মাসে এখানে বহু মানুষকে আহার করানো হয়।
Posted on: Thu, 25 Jul 2013 03:34:12 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015