(টাইটানিক ডুবার কাহিনী - TopicsExpress



          

(টাইটানিক ডুবার কাহিনী তৃতীয় পর্ব) North Atlantic জলপথে জাহাজ চালানোর তার ২৬ বছরের অভিজ্ঞতা। এবং ঐ সময়ে সে ছিলো পৃথিবীর সবচাইতে অভিজ্ঞ মাষ্টার। এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এই যে, দীর্ঘকাল যাবৎ সে ছিলো J.P. Morgan/ Jesuits-এর অধীনে কর্মরত। Edward Smith ছিলো Jesuits Tempore Co-adjutor.।অর্থাৎ সে পাদ্রী ছিলো না। সে ছিলো Short Robe Jesuit.। Jesuits হতে হলে পাদ্রী হতে হবে এমন কোন কথা নেই। নিয়ম হচ্ছে – Jesuits Order-এ যারা পাদ্রী নয়, তারা নিজনিজ পেশাগত দক্ষতা দিয়ে Jesuits Order-এ সেবা করে যাবে। যে কেউ Jesuits হতে পারে। তবে তাদের Jesuits পরিচিতি সাধারণ্যে প্রকাশিত নয়। গোপন থাকে। কেউ জানতে পারে না। Edward Smith-ও তেমনি তার পেশা জাহাজের ক্যাপ্টেন হিসেবে Jesuits Order-এ সেবা করে যাচ্ছিল। সময় ১০ এপ্রিল, ১৯১২। দক্ষিণ ইংল্যান্ড থেকে টাইটানিকের যাত্রা শুরু হবে হবে এমন অবস্থা। Father Francis Browne, ক্যাপ্টেন Edward Smith এর Jesuits Master, টাইটানিকে উঠেন। এ লোকটি সমগ্র Ireland-এ সবচেয়ে ক্ষমতাধর। ও শুধু রোমে Jesuits Order-এর General-কেই জবাবদিহিতা করে। অন্য কাউকেই নয়। জাহাজে উঠেই Father Francis Browne কিছু ছবি তোলে, যার মধ্যে Victim-দের ছবিও রয়েছে। ছবি তোলার পর সে ক্যাপ্টেন-এর সাথে বৈঠক করে। কিছু Brief করে। এবং এসময় সে ক্যাপ্টেনকে Jesuits হিসেবে তার শপৎ এর কথা মনে করিয়ে দেয়। এবং পরবর্তী সকালে তাকে বিদায় জানিয়ে জাহাজ থেকে অবতরণ করে। Edward Smith-কে নির্দেশ দেয়া হয় Titanic- কে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য। এবং বস্তুতঃ ঠিক সেটাই সে করে। Captain Edward Smith তার প্রভুর (The Jesuit General) আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। Jisuit Order –এর প্রভুর নির্দেশ। প্রভুর নির্দেশে যে কোন কিছুই করা বৈধ। অবশ্য পালনীয়। তা’ ভালমন্দ যে কাজই হোক। নিরীহ নির্দোষ মানুষকে হত্যা করা, লুন্ঠন করা কিংবা যৌনতা সংক্রান্ত যেকোন অপরাধ। অন্যান্য যে কোন Jesuits-এর মত Edward Smith একজন Jesuit Order এর member হিসেবে যে শপৎ তা’ একটু দেখা যাকঃ Jesuits হিসেবে ঐ শপথের মাধ্যমে Captain Edward Smith-ও ইচ্ছে-বিবেক- বুদ্ধিবিহীন একজন যন্ত্রমানবে পরিণত হয়। Jesuits Order –এর ইচ্ছে অনুযায়ী Captain Smith এখন যে কোন কাজ করতে বাধ্য, তা’ যত নিষ্ঠুর ও হীন কাজই হোক-না-কেন। এ যেন Jesuit হিসেবে Captain Smith এর শহীদ হয়ে যাওয়া। দৃঢ়, নিঃশঙ্খ Captain Smith, একজন রোবটের মতো, যে- কিনা জানে ঐ কালরাত্রিতে জাহাজে তার কাজ কী? Smith এখন Jesuit শপথের অধীন। অন্য কথায়, ভূবন বিখ্যাত জাহাজ Titanic তৈরী-ই হয়েছিলো Jesuits এর শত্রুপক্ষকে নিধন করার জন্য। ২৬ বছরের পরিচিত অতলান্তিকের এই জলপথে তিন রাত্রি অবিরাম চলার পর Captain Smith হঠাৎ জাহাজের গতি বাড়িয়ে দেয়। সমানে, পূর্ণ গতিতে। নিকশ কালো ঘুঁটঘুটেঁ অন্ধকার রাত। অমাবষ্যা। সামনে প্রায় ৮০ বর্গমাইল জুড়ে বিস্তৃত বরফের চাঁই (ICE BERG / ICE FIELD)। ইতিমধ্যেই আটটি সতর্কীকরণ Telegram এসে পড়েছে; জাহাজ খুব দ্রুতগতিতে চলছে। নেভিগেশান কন্ট্রোল গতি কমাতে বলছে। সেদিক ভ্রুক্ষেপ নেই Captain Smith এর। এত অভিজ্ঞ একজন কাপ্তানের এতগুলো সতর্কীকরণ (Cautions) প্রয়োজন আছে কি? মোটেই না। কারণ সে ঐ জলপথে প্রায় ২৬ বছর জাহাজ চালিয়েছে। ঐ পথ তার নখদর্পনে। চিরচেনা। সে অতি অবশ্যই জানে যে এই ঐ এলাকায় বরফের পাহাড় (Ice Berg) রয়েছে। তাই আটটি কেন, আটশ’ টেলিগ্রামও তাকে থামাতে পারতো না। কেননা সে এখন Jesuit শপথের ও আদেশের অধীন (Under Jesuit’s Oath and Order)। যে কোন মূল্যে Titanic ডুবিয়ে দিতে হবে। ধ্বংস করতে হবে। বারবার টাইটানিকের গতি কমানোর নির্দেশ সংবলিত ঐ টেলিগ্রাম Smith কাছে আসলেই হাস্যকর। কারণ সে এখন অন্য জগতের মানুষ। বিবেক-বুদ্ধি বর্জিত একজন যন্ত্রমানব। তার প্রভু এখন ভ্যাটিক্যানে। সে প্রভুর নির্দেশই এখন সে মানবে। পালন করবে। অন্য কোন নির্দেশই আর কার্যকর হওয়ার নয়। আশ্চর্য্য হলেও সত্য যে, নিকটবর্তী বাণিজ্যিক মালবাহী কোন জাহাজ যাতে Titanic এর উদ্ধারে/ সাহায্যে এগিয়ে না-আসে, সেজন্য আকাশে বিপদসংকেত (Distress Flares) ছোঁড়া হয় সাদা রংয়ের। অথচ হওয়া উচিৎ ছিলো “লাল” রংয়ের। কোন জাহাজে সাদা রংয়ের Distress Flare ছোঁড়া মানে হচ্ছে ঐ জাহাজে এখন “পার্টি” (Party) চলছে। আর “লাল” রং মানে “বিপদ”। Titanic ট্রাজেডি হচ্ছে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ট্রাজেডি। এবং নৃশংস ট্রাজেডি সংঘঠিত হয় Roman Catholic Jesuits-দের হাতে। মাত্র ৩ জন লোককে দুনিয়া থেকে সরাবর জন্য প্রায় ১৫০০ লোককে প্রাণ দিতে হয়েছে। উদ্দেশ্য Federal Reserve Systerm প্রতিষ্ঠা করা। ঐ তিনজন লোক তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছিলো। তাছাড়া প্রভূত ধনসম্পদের ক্ষতি গুণতে হয়েছে। কোন পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। সর্বশান্ত হয়েছে। কোন কোন পরিবারের সব সদস্যকেই প্রাণ দিতে হয়েছে। প্রচুর বই, চলচ্চিত্র, প্রামাণ্য চিত্র, স্মারক রচিত হয়েছে Titanic-কে ঘিরে।
Posted on: Tue, 16 Jul 2013 16:43:10 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015