========================= দাজ্জালকে - TopicsExpress



          

========================= দাজ্জালকে আসলে কারা আনতে চায় এবং কেন? ========================= যুক্তরাষ্ট্রের এক ডলার বিলে একটা সিল আছে যাকে ওরা বলে ‘The Great Seal’ ; ঠিক তার উল্টো পিঠে আরেকটি সিল আছে যেটা পিরামিড। যদি ভাল করে খেয়াল করেন তবে দেখবেন যে পিরামিডটি অসম্পূর্ণ, উপরের অংশ ভাসমান অবস্থায় আছে এবং একটা চোখ যেটাকে তারা বলে ‘The All Seeing Eye’ সেটা দিয়ে আলো বের হচ্ছে, আরো ভালভাবে বলতে গেলে সেটা দিয়ে আলোক রশ্মি [Ray; যেটা Sun God এর নাম! বিভিন্ন কালচারে বিভিন্ন নামে পরিচিত!!] বের হচ্ছে। এই চোখটি দ্বারা আসলে বোঝানো হয়েছে ‘Mithraic God’ (আমরা মুসলিমরা অবশ্য একে অন্য নামে জানি সেটা পোস্টটির শেষে পাবেন!) ‘Sun God’-কে, যার নাম ‘Ray’। এই ‘Sun God’-এর বিভিন্ন সভ্যতায় বিভিন্ন নাম আছে। প্রাচীন মিসরীয়রা একে ‘Horus’ নামে জানে। এই ‘Mithraic’ ধর্ম যেটা আর্যদের [Aryan] ধর্ম- সেটা ইউরোপ, সেখান থেকে ইরান এবং সেখান থেকে ইন্ডিয়াতে আসে। সেই কারণে দেখবেন এদের ‘God’-দের অংঙ্গভঙ্গি একই রকম, একই ভাবে এরা ‘Checkered Floor’-এ আছে ও অন্যান্য অংগভঙ্গি করছে যেগুলো আশ্চার্যজনকভাবে একই রকম!! এই উপরে একটা পোস্ট ইন-শা-আল্লাহ দেব, তাহলে দেখবেন যে হিন্দু/বৈষ্ণব ধর্ম, বর্তমান ***খৃষ্টান ধর্ম ও শয়তানদের যারা পূজা করে [ফ্রিমেইসন, স্কাল ও বোন সিক্রেট সোসাইটি ও অন্যান্য] তাদের দেবতাদের অঙ্গভঙ্গিগুলো একই রকম!! একই রকমের প্রতিকৃতি!! ***[নাইছিয়া (Nicaea) [বর্তমান ইস্তাম্বুল]-তে রোমান সম্রাট কন্সট্যানটিনোপল যখন ৩২৫ খৃষ্টাব্দে খৃষ্ট ধর্ম ও রোমানদের পৌত্তলিক (Paganism) ধর্ম একত্রিত করলো তখন একটা চুক্তি সাক্ষরিত হয় খৃষ্টানদের যাজক ও পৌত্তলিকদের যাজকদের মধ্যে। পৌত্তলিকরা ইসাকে (আ) খোদা মানতে রাজি হয় যদি খৃষ্টানরা রোমানদের পৌত্তলিক ধর্মে রীতিনীতিগুলো গ্রহণ করে নেয়!! যাজকরা রাজি হয়, ফলে ২৫ শে ডিসেম্বর হয় ক্রিসমান, যেটা আসলে ছিল রোমান পৌত্তলিকদের ‘Sun God’-কে পূজা করার দিন, নতুনভাবে বরণ করার দিন! কারণ দীর্ঘ শীতের পর বসন্তে সূর্যে পূর্ণভাবে উদিত হত এই দিনে। ওরা মনে করতো শীতের সময় সূর্য মারা যায় (বা দূর্বল হয়ে পড়ে) ও পরে ডিসেম্বরের ২৫ তারিখে সূর্য পূর্বদিক থেকে উঠে এবং তার পুনঃরুত্থান বা পূনর্জন্ম হয়!! এটাকে তারা বলতো ‘Saturnalia’। এই একই জিনিষ খৃষ্টান ধর্মে চলে এসেছে। খৃষ্টানরা আসলে নিজের অজান্তেই ক্রিসমাসের দিন ‘Sun God’-কে পূজা করে!! সেই রোমান পৌত্তলিকদের সপ্তাহের প্রতিদিন একেকটি দেবতা/দেবীর জন্য বরাদ্দ ছিল। শনি বারে তারা পূজা করতো শনি গ্রহের, রবিবারে করতো সূর্যের!! সেই কারণে [প্রাচীন চুক্তি] দেখবেন খৃষ্টানরা চার্চে যায় কবে?? রবিবারে!! কাকতালীয়? না। এটা ৩২৫ খৃষ্টাব্দের ‘Nicaea’ চুক্তির ফল!! এরকম সান্তাক্লজ, ইস্টার বানি, ইস্টার সানডে প্রভৃতিও রোমান পৌত্তলিকদের পালনকৃত অনুষ্ঠান থেকেই এসেছে!!] যাইহোক, আজকের মূল আলোচনা এইটি নয় বরং যুক্তরাষ্ট্রের এক ডলার বিলে যে পিরামিড আছে সেটি। আপনি যদি লক্ষ্য করেন তবে দেখবেন যে এই পিরামিডটিতে ১৩ টি ধাপ আছে [পশ্চিমা ‘কুসংস্কার’ অনুযায়ী তের সংখ্যাটা অশুভ, তাই তাদের স্কাই স্ক্রাপার বা আকাশচুম্বী ভবনগুলোতে লিফটে/এলিভেটরগুলোতে ১৩ তম ফ্লোর লেখা থাকে না, এর পরিবর্তে ১২-A বা M (ইংরেজি তের তম বর্ণ) বা ১৪ নং লেখা বাটন থাকে!! ‘অতিশ এলিভেটর’-এর দীলীপ রাংগনেকার একটা জরিপ করেছেন যেখানে দেখা যায় ৮৫% বিল্ডিং এ ১৩ নং ফ্লোর বলে কোন নাম নেই!!]। পিরামিডের এই ১৩ টি ধাপের নীচে রয়েছে রোমান সংখ্যা MDCCLXXVI[১০০০+৫০০+১০০+১০০+৫০+১০+১০+৬=১৭৭৬] এইটা কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার বছরের জন্য দেয়া হয়নি এটা একটা Puzzle। এই Puzzle–টা সমাধান করলে পাওয়া যাবে ৬৬৬-যেটা বাইবেল বলা আছে দাজ্জাল বা Antichrist-এর সংখ্যা বা সাংখ্যিক প্রকাশ!! এই পিরামিডটি অসম্পূর্ণ, দেখবেন পিরামিডটির চূড়া এখনো নির্মিত হয়নি!! তার উপরে রয়েছে ‘The All Seeing Eye’। তারা [শয়তানের পূজারীরা-ফ্রিমেইসন, স্কাল এন্ড বোন সোসাইটি, জায়োনিস্টস্‌] মনে করে যে তাদের কাজ এখনো পূর্ণ হয়নি, যখন পূর্ণ হবে তখন তাদের ‘God’-আসবে এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করবে। তাদের ‘God’ বাইরে থেকে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে!! সব কিছু দেখছে!! তাইতো তারা নাম দিয়েছে ‘The All Seeing Eye!!’ আসলে, কি সেই কাজ বা প্রজেক্ট যেটা পূর্ণ করতে হবে? সেটা এই পিরামিড সিলেই লেখা আছে। ল্যাটিন ভাষায় লেখা আছে, ‘Novus Ordo Seclorum’ আর উপরে আছে ‘Annuit Coeptis’। ‘Novus’-মানে New বা নতুন; ‘Ordo’-মানে Order বা ধারা আর ‘Seclorum’-মানে Secular বা ধর্মনিরপেক্ষ বা নাস্তিক সমাজ। সুতরাং তারা চায় ‘New Secular Order’। আর ‘Annuit’-অর্থ Announcing বা ঘোষণা করছি এবং ‘Coeptis’ –অর্থ Conception বা শুরু; তার অর্থ তারা সেটা শুরুর ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে!!! আসলে তারা এমন একটা সমাজ চায় যেখানে কোন ধর্ম থাকবে না, কেউ কোন ধর্ম বিশ্বাসে বিশ্বাসী হবে না। কারণ কিছু যদি গড়তে হয় তবে অবশ্যই ভাঙতে হবে। তারা পৃথিবীবাসীকে ধর্ম বিশ্বাস থেকে বের করে পরে তাদের ধর্ম [শয়তানী ধর্ম অর্থাৎ দাজ্জালকে খোদা বলে মেনে নেওয়ানো। কারণ আমরা জানি রসুলুল্লাহ (স) বলেছেন দাজ্জালের অসম্ভব রকমের ক্ষমতা থাকবে। সেই ক্ষমতার বলে নাস্তিক লোকজন, খৃস্টান, ইহুদি ও হিন্দু, বৌদ্ধ ও ঈমানহীন ও দুর্বল ঈমানের মুসলমানরা দাজ্জালকে প্রথমে ইসা ইবন্‌ মারইয়াম (আ) বলে ও পরে খোদা বলে মেনে নেবে!!] বিশ্বাসে বিশ্বাসী করাবে যার প্রধান হবে স্বয়ং দাজ্জাল-The Antichrist!! সেই হবে তাদের খোদা, সেই আড়াল থেকে সবকিছু দেখছে!!! তার চোখই ‘The All Seeing Eye।’ হলিউডে তো দাজ্জালকে চরম আকারে প্রোমট করা হয়।
Posted on: Wed, 23 Jul 2014 19:54:26 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015