দরবেশ বাবার ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি দেখছিলাম। একটা নিউজ আইটেম আসলো বাংলাদেশ হকি টিমের পাকিস্তানী কোচ নাভিদ আলম বাংলাদেশে ঈদ করছেন, তা নিয়ে। হকি ফেডারেশনের সভাপতি উইং কমান্ডার রাফি সাহেবের বাসায় তিনি ঈদের দিন কাটিয়েছেন। ক্যামেরার সামনে রাফি দরজা খুলে দিলেন, তারপর নাভিদের সাথে কোলাকুলি করলেন। নাভিদ জানালেন, বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের ঈদ উদযাপনে নিরানব্বই ভাগ মিল আছে। তিনি বুঝতেই পারছেন না পাকিস্তানে আছেন না বাংলাদেশে আছেন। দুই তিন মিনিটের সব কথা ইংলিশে বললেন। শেষে এসে আবেগের আতিশয্যে উর্দু/হিন্দি শুরু করে দিলেন হোতা হ্যায় মোতা হ্যায় বলে। ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রগতিশীল শাহবাগি সাংবাদিকের দাত কেলিয়ে গেল। বিনয়ে কাচুমাচু করতে করতে সেও নাভিদের সাথে কোলাকুলি করলো খবরের শেষে। বাংলাদেশে শাহবাগিরা জাতিগত একটা ফ্যাসিষ্ট মানসিকতা তৈরী করেছে দীর্ঘদিন ধরে। এই বয়কট করো সেই বয়কট করো। পাকি ক্রিকেট দলের অমুক খেলোয়ারের দাদা বাংলাদেশ দলের তমুক খেলোয়ারের দাদীকে একাত্তরে ধর্ষন করেছিলো, সুতরাং পাকি দলকে সাপোর্ট করলে তুমি দেশদ্রোহী!! চ্যাতনার মহুয়া খায়া মুক্তিযুদ্ধের নেশায় যেন পুরা জাতি মাতাল। আর তাদের সবার খুঁটি, উর্দুলীগের নেত্রীর উপদেষ্টার টিভিতে পাকি নাভিদ এসে উর্দুতে শুভেচ্ছা জানায়, এখন সমস্যা নাই। যুদ্ধাপরাধী বিচার নামের নাটক সাকসেসফুল করতে পাকিস্তানী আইএসআই এর সাথে বসে পরিকল্পনা করে, দোষ কি!! খবরটা দেখতে দেখতে মনে পড়ছিলো মুজিব আর ভুট্টোর একসাথে সেই বিখ্যাত ছবিটার কথা। কৃষ্ণ করলে লীলাখেলা, আমি করলে দোষ!
Posted on: Fri, 09 Aug 2013 18:47:49 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015