দর্শন ইশকুল এবং নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ ফাতেমার প্রশ্নের উত্তরে নেকাব্বর যখন বলে, জানস না ফাতেমা, এই লেবুগাছ আমার মা! লেবুগাছের গোড়ায় আমার মায়েরে কবর দিছিলো, মায়ের শরীরের রস ও লেবুগাছের রস এক হইয়া গেছে... এটা কী জৈববাদ? না শুধু প্রকৃতির পরম্পরা? এই অভেদ সম্পর্ক প্রকৃতি ও প্রাণীকে(মানুষ) কোন সূত্রে গেথে রেখেছে? মাঝখানে দেয়াল তৈরি করে চলে প্রকৃতিরই কিছু কাঁটাগুল্ম। প্রাণবিক শিল্পমুখে নেচারের অস্বাভাবিক জেশ্চার জীবনকে টুকরো টুকরো করে খেলে। এই বিভেদও সর্বপ্রাণবাদে স্বাভাবিক প্ররোচন। প্রাচীন জৈন দর্শন, চার্বাক, কনফিসিয়োয়াস কথন, চৈতন্যভাব, সনাতন আবেগ, লালন পর্যন্ত এ alienation বহাল আছে। বেশিরভাগ দর্শনের ইন্টারপিটেশনে দেখা যায় dialectic dualism মুখ্য। বস্তু ও ভাবের মাঝে যাপিত সিনট্যাক্সের সেতু। নিচ দিয়ে বহে সংশয়ে মোড়ানো মিথ ও রিচুয়ালের নদী। যা কখনো জীবনকে ছাপিয়ে যায় না। ফলে নেকাব্বরের কাছে ফাতেমার প্রশ্ন, মানুষ মরলে কই যায়? পরকালে? বেহেস্তে?... হরিদাসীরা মরলে কই যায়? নেকাব্বর বলে, স্বর্গে। ফাতেমা প্রশ্ন, স্বর্গ ও বেহেস্ত কি আলাদা? নেকাব্বর বলে, একই, আবার আলাদা, কিছু মাইনসে নিজের সার্থে আলাদা করছে... এতো আদতে শ্রেণি সার্থ। বিশ্বাস ও সংশয়ের দ্বন্ধ বাধিয়ে শ্রেণির সার্থ রক্ষা। মিশেল ফুকো তার মানবকে চেনাতে গিয়ে শিল্পকে জীবন থেকে কিভাবে আলাদা করে শ্রেণি সার্থ দেখিয়েছেন। But could nt everyones life become a work of art?...from the idea that the self is not given to us. I think that there is only one practical consequence... we have to create ourselves as a work of art আতএব নেকাব্বরও প্রকৃতির দ্বাদ্ধিকতা ও যাপিত জীবনের দ্বদ্ধের কারণ বুঝতে চায়। তায় জৈবিক তাড়নাকে পেরিয়ে রাজনৈতিক মাঠের লাঠিয়াল হয়ে ওঠেন। সর্বোপরি আইডেনটিটির খুঁজে নিরুদ্দেশ হোন। পুণরায় শিকড়ের অভিমুখি হয়ে আমার আমাতে হোন লীন।
Posted on: Thu, 30 Oct 2014 18:29:14 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015