দ্যা ভয়েস অফ বাংলাদেশী - TopicsExpress



          

দ্যা ভয়েস অফ বাংলাদেশী মেরিনার্স - Vobm আমাদের দেশের মেয়েদের প্রথম ব্যাচ শিপে জয়েন করেছে, এইটা কি পজিটিভ না নেগেটিভ এইটা আপনারাই নির্ধারন করেন, কিন্তু আপনি কি জানেন প্রথম মহিলা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার কে ছিল, কোন দেশী ছিল ??? মেরিন সংক্রান্ত সব কিছুর প্রথমের সাথে ব্রিটেন দেশটা জড়িয়ে আছে, প্রথম মহিলা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারও ছিল ব্রিটেনের। ১৮৯৪ সালের ১৪ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের এরোলে এই সাহসী নারী জন্ম নেন। নাম তার ভিক্টোরিয়া আলেক্সান্দ্রিনা ড্রাম্মন্ড, বাপের বেটি বলতে যা বুঝায় তিনি তাই ছিলেন, বাবা ছিলেন জাহাজের ক্যাপ্টেন ম্যালকম ড্রাম্মন্ড, যোগ্য বাপের যোগ্য মেয়ে। ভিক্টোরিয়ার ২১তম জন্মদিনে বছর তার বাবা তাকে জিজ্ঞেস করেন ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে। তখনি তিনি জাহাজে যাওয়ার কথা তার বাবাকে জানান। এই সম্পর্কে ভিক্টোরিয়া তার জীবনীতে বলেন - I told him that I wanted to be a marine engineer but I dont think he took me seriously. ক্যালেদন শিপ ইয়ার্ডে তিনি শিক্ষানবিশ হিসাবে যোগদান করেন, সেইখানে তখন প্রায় ৩০০০ ক্যাডেট ট্রেনিং এ ছিল আর ভিক্টোরিয়া ছিলেন এক মাত্র মহিলা ক্যাডেট। ১৯২০ সালে তিনি প্রথম সমুদ্র যাত্রা শুরু করেন, যখন সমুদ্রে একজন নাবিক হিসেবে কোন নারীর ক্যারিয়ার ছিল অকল্পনীয়। ১৯২২ সালে তিনি SS Anchises – Blue Funnel Line এ 10th ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করেন (আমাকে কিছু জিজ্ঞেস কইরেন না, তখনকার দিনের র্যাঙ্ক নিয়া আমি নিজেও কনফিউজড)। ১৯২৪ সালের জুন মাসে ভিক্টোরিয়া যখন সিঙ্গাপুর পোর্টে তখন টেলিগ্রামে তার কাছে বার্তা আসে, তার বাবা মারা গেছেন এবং মৃত্যুর আগে তার বাবার শেষ কথা ছিল - Tell Victoria, I am so proud of her. ১৯২৭ সালে তিনি ব্রিটিশ ইন্ডিয়া কোম্পানিতে ফিফথ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ পান এবং এরপর ধীরে ধীরে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যান। কিন্তু লাইফ ইজ নট বেড অফ রোজেস, যখন আপনি একজন মহিলা এবং সাথে সাথে আবার একজন মেরিনারও। সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার এক্সাম তিনবারে পাস করলেও এরপরের ধাপ মানে চিফ ইঞ্জিনিয়র হওয়ার জন্য তাকে বিশাল বাধার সম্মুখীন হতে হয়। মোট ৩৭ বার পরীক্ষা দিয়েও সে চিফ ইঞ্জিয়াররের এক্সাম পাস করতে পারেননি এবং তখন তার কাছে ব্যাপারটা পরিস্কার যে শুধুমাত্র একজন মহিলা হওয়ার কারনে তাকে পাস করানো হচ্ছে না। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সে গৌরবের সাথে অংশগ্রহন করেন, যুদ্ধে অংশগ্রহন সম্পর্কে তিনি বলেন - No one wants woman engineer and certainly not in wartime. ২৫ আগস্ট ১৯৪০ সালে তার শিপ জার্মান বোমাড়ু বিমানের আক্রমনের মুখে পড়ে। তখন ইঞ্জিন রুমে ভিক্টোরিয়া একা, তাকেই ইঞ্জিন সচল রেখে বিপদ অতিক্রম করতে হবে। তার ভাষ্যমতে - I counted eight separate bursts of firing from the guns and bombs. All the lagging came off the pipes and fell like snow. The feeling was as if the ship were lifted up and dropped each time. Flying debris hit the main water service pipe to the main engine and scalding water began to gush out. I had my ears stuffed with cotton wool to deaden the noise. There were no captains orders. We were on our own. তিনি ইঞ্জিনরুম থেকে সকল ক্রু আর অফিসারদের বের করে দেন নিরাপত্তার খাতিরে, একাই ইঞ্জিনরুমের সকল দায়িত্ব পালন করে যেতে থাকেন। ওই মুহুর্তে তিনি এতটাই দৃঢ়চেতা ছিলেন যে জাহাজের স্পিড ১২.৫ নট এ উন্নিত হয়, যা ছিল ১৮ বছরের মধ্যে যে কোন জাহাজের সর্বোচ্চ গতি !!! তার চেষ্টায় জাহাজ আর জাহাজের সব ক্রু বেঁচে যায় আর পোর্টে পৌঁছালে তিনি বীরের সম্মানে ভূষিত হন। যেইসব অফিসার আর সাংবাদিকরা তার নামে কুৎসা রটাচ্ছিল তারাই তার জয় জয়কার শুরু করেন। ব্রিটিশ সরকার তাকে Order of the British Empire এবং Lloyds War Medal for Bravery at Sea পদকে ভূষিত করেন। অবশেষে ১৯৫৯ সালে তিনি চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পদোন্নতি পান, ১৯৬২ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৮০ সালের বড়দিনে এই বীরাঙ্গনা মৃত্যুবরণ করেন, তার মৃত্যু ফলকে কবরের উপরে লেখা আছে - Victoria Drummond was finally “Finished with Engines” or perhaps as her spirit left the land and floated out to the open sea, she was at last “Full Away”. ভিক্টোরিয়া ড্রাম্মন্ড এর ছবি ফার্স্ট কমেন্টে দেয়া আছে। ১৯২০ সালে ব্রিটেনে প্রথম নারী সব বাধা অতিক্রম করে সমুদ্র জয় করার স্বপ্ন সত্যি করতে পেরেছিলেন আর তার প্রায় ১০০ বছর পর আমাদের দেশ থেকে ১৫-১৬ জন মেয়ে প্রথম শিপে জয়েন করল, হোক সেটা নৌ মন্ত্রী বা অন্য কারো তত্ত্বাবধানে, হয়তো অনেক প্রতিকূলতা তাদের সামনে, সারভাইভ করতে পারবে কি পারবে না সেইটা পরের ব্যাপার, আশা করি এবং আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমরা ১০০ বছর আগের ব্রিটিশদের চেয়ে পজিটিভ মনোভাবের অধিকারী এবং সমুদ্রে বাঙ্গালী নারীদের প্রবেশকে শুভ দৃষ্টিতেই দেখব। বেস্ট অফ লাক গার্লস এন্ড ইফ ইউ নিড ইন্সপিরিশন ফ্রম এনিওয়ান, লুক এট ভিক্টোরিয়া ড্রাম্মন্ড, ইফ শি ক্যান ডু ইট হান্ড্রেড ইয়ারস ব্যাক, হোয়াই ক্যান্ট ইউ ডু ইট নাউ ??? -- এম আর
Posted on: Fri, 26 Sep 2014 18:17:59 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015