পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে - TopicsExpress



          

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে অস্থির দেশ, পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কষ্টকর হবে কৃষিবিদ মাসুদুল হক ঝন্টু Monday, 19 August 2013 12:00:22 PM বাংলাদেশে ১৫% সংগ্রহ পরবর্তী ক্ষতিসহ পেঁয়াজের মোট চাহিদা প্রায় ২০ লাখ ৪০ হাজার ১৯২ মে. টন (দেশে পার ক্যাপিটা পার ইয়ারে ১১ কেজি ৮৮০ গ্রাম হিসাবে চাহিদা রয়েছে উৎসঃ এসআরসি, বিএআরআই। এ হার শ্রীলংকায় ১১ কেজি ৭৮৪ গ্রাম পার ক্যাপিটা/ইয়ার, উৎসঃ সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ শ্রীলংকা)। পরিকল্পনা ও সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়হীনতার কারণে উৎপাদন হয় বছর ভেদে প্রায় ১০-১৪ লাখ টন, ইউনিফর্ম উৎপাদন ও ধারবাহিকভাবে উৎপাদন বৃদ্ধির সকল প্রক্রিয়া এখানে অনুপস্থিত। তাই দেশে বছর ভেদে পেঁয়াজ আমদানী হয় প্রায় ৪-৯ লাখ টন। পেঁয়াজের সমন্বিত উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এখনও সক্রিয় নয়। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন না বাড়িয়ে শুধুমাত্র আমদানী করেই দেশের অস্থির বাজার সামাল দেওয়া সম্ভব নয়, আর যদি আমদানী করেও এর চাহিদা পুরণ করা না যায়, তবে বিকল্প কি ? দ্রত ভাবতে হবে এবং বিএআরআই, বিএডিসি ও ডিএই এর মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির সমন্বিত কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে ! আমরা জানি, ‍" High onion prices create a huge negetive sentiment, especially for the poor, as they are a significant point of consumption basket” ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকায় গত বছর ক্ষরায় উৎপাদন কম হওয়া, এ বছর দক্ষিণ ও উত্তরের রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পেঁয়াজ ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হওয়া, বৃষ্টিপাতজনিত খারাপ আবহাওয়ায় পরিবহন বাধাগ্রস’ ও সরবরাহে ঘাটতিসহ অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে রমজানে আরো ১০% চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সেখানে অনেকটা আকাস্মীকভাবে পেঁয়াজের দাম বেড়ে ইতিমধ্যে প্রতি কেজিতে ৮০-৯০ রুপিতে উঠে গেছে ও ১০০ রুপিতে উঠার আশংকা করা হচ্ছে। এখন তারা চীন ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেখানে সরকার কর্তৃক ইতিমধ্যে সহনশীল মূল্যে ৩৫০টি আউটলেটে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে এবং এর সামগ্রীক প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে, বর্তমানে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় (১৮.০৮.২০১৩/টাউন হল মার্কেট, মোহাম্মদপুর, ঢাকা) এমনকি এ দাম বেড়ে প্রতি কেজি ১০০ টাকা কিংবা তারও বেশী হওয়ার আশংকা রয়েছে। এবার রমজান ও ঈদ উপলক্ষে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায়ই কৃষকের ঘরে গচ্ছিত আগামীর পেঁয়াজ এখন প্রায় শেষের দিকে, কৃষক শেষের মুনাফা আগে পাওয়ায় আগাম সব পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছে। এর ফলে দেশের ঘাটতি সময় অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারী মাসে দেশে পেঁয়াজের ভয়াবহ সংকট দেখা দিতে পারে। এইজন্য অতি দ্রুত একটি কমিটি গঠন করা এবং উক্ত committee will examine all factors, including the movement of domestic prices, the reason for rising prices, existing international prices and the onion stock in the country before taking a view on the matter. এমতাবস্থায়, আমদানীর সকল উৎস থেকেও যদি পেঁয়াজ আমদানী না করা যায়। তাহলে সংবেদনশীল এ পণ্যটি নিয়ে চরম অবসস্থা তৈরী হতে পারে। তাই ভারতের ন্যায় অতি দ্রুত সময়ে অভ্যন্তরীণভাবে পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি করার পক্ষে জোর সুপারিশ করছি। ক. ভারতের তথ্য অনুযায়ী বছরওয়ারী বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানী বছর রপ্তানীর পরিমাণ (মে.টন) রপ্তানী মূল্য ( লাখ রুপি) ইন্ডিয়ান রুপি ২০০৮-০৯ ৭,২২,৩৫৯ ৮৮,১৯৪.৪৩ ৮৮১ কোটি ৯৪ লাখ ৪৩ হাজার ২০০৯-১০ ৯,১৬,১১৮ ১৪১,৪১৮.৬৮ ১৪১৪ কোটি ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ২০১০-১১ ৪,৮৮,৯৩০ ৭১,৯৩১.৩৫ ৭১৯ কোটি ৩১ লাখ ৫৫ হাজার উৎস: ভারতের মার্কেট ইন্টিলিজেন্ট সিস্টেম এসএফএসি এপ্রিল ২০১২ এ প্রকাশিত খ. বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী বছরওয়ারী পেঁয়াজ আমদানী বছর আমদানির পরিমাণ (মে.টন) আমদানি মূল্য (মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বাংলাদেশী মুদ্রায় আমদানি মূল্য ২০০৮-০৯ পরিমাণ যানা যায়নি ১৭৪.৪০ ১৩০৮ কোটি টাকা ২০০৯-১০ পরিমাণ যানা যায়নি ২৩০.৮২ ১৭৩১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ২০১০-১১ পরিমাণ যানা যায়নি ৯৩.৪৪ ৭০০ কোটি ৮০ লাখ টাকা ২০১১-১২ পরিমাণ যানা যায়নি ১১৬.৬৭ ৮৭৫ কোটি ০২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ২০১২-১৩ পরিমাণ যানা যায়নি ৯৩.৪৯ (জুলাই ২০১২-মে ২০১৩) ৭০১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা উৎস: সূত্র ঃ ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক গ. বাংলাদেশে বছরওয়ারী পেঁয়াজ উৎপাদন বছর বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী উৎপাদন ডিএই এর তথ্য অনুযায়ী উৎপাদন পিএমও: কৃষি -ফসল (২০০৯-১২) ২০০৮-০৯ ৭ লাখ ৩৫ হাজার ১৪০ মে.টন ৮ লাখ ৪৯ হাজার মে.টন ৮ লাখ ৫০ হাজার মে.টন ২০০৯-১০ ৮ লাখ ৭ হাজার ২০৪ মে.টন ১৪ লাখ ২৩ হাজার মে.টন ১৪ লাখ ২০ হাজার মে.টন ২০১০-১১ ১০ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ মে.টন ১৪ লাখ ৪০ হাজার মে.টন ১৫ লাখ ৯০ হাজার মে.টন ২০১১-১২ তথ্য পাওয়া যায়নি ১৮ লাখ ৯৯ হাজার মে.টন ১৯ লাখ মে.টন ২০১২-১৩ তথ্য পাওয়া যায়নি ১৯ লাখ ১৪ হাজার মে.টন (প্রতি হেক্টরে দেশীয় উৎপাদন ১০.৫৫ মে.টন) তথ্য পাওয়া যায়নি উৎস: বিবিএস, ডিএই ও পিএমও এর তথ্য থেকে প্রাপ্ত নোট ১: ডিএই এর উৎপাদন চিত্র সার্ভে ও রিভিউ করা উচিত, সঠিক না হলে ব্যাপারটি উদ্বেগজনকও বটে, তাং ১৪.০৮.২০১২ নোট ২ : ২০০৮/৯ থেকে ২০১২/১৩ বছরে পেয়াজ আমদানীতে মোট ব্যায় করা হয়েছে ৬৩১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা অথচ আমদানি-নির্ভরতা কমিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করা হয়নি এবং প্রতি বছর ৭% হারে উৎপাদন বাড়ানো বাধ্যতামূলক থাকলেও সেটা মানা হয়নি। করণীয় নির্ধারণে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী কৃষিবিদ মাসুদুল হক ঝন্টু বলেন, ক. প্রথম ও প্রধান কাজ হল নো লাভ নো ক্ষতির ভিত্তিতে খোলাবাজারে সুলভ মূল্যে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে ব্যবসায়ীদের চাপে রেখে কৌশলে পরিসি’তি সামাল দেওয়া এবং কিছুটা সময় নিয়ে আমদানী করা। জেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে রাজশাহী, পাবনা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, চট্রগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও ঢাকার পাইকারী শ্যামবাজারের দেশীয় পেঁয়াজ স্টকের পরিমাণ জানা। খ. এ মূহর্তে দ্রুত সময়ে পেঁয়াজ আমদানী করে দেশের চাহিদা মেটানো ছাড়া আর কোন পথ নেই। ভারতে পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজার স্থিতিশীল করতে এখন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চীন, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা যেতে পারে। গ. গুরুত্তসহকারে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং পর্যাপ্ত বিনিয়োগ নিয়ে পেঁয়াজের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে, যার ফলে আমদানি-নির্ভরতা কমবে। প্রয়োজনে রপ্তানীর জন্য নিজেদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। পেঁয়াজ চাষে পুনরায় ২% সুদে ঋণ দেওয়া যায় কিনা ? ভেবে দেখা যেতে পারে। ঘ. বাংলাদেশে যা পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, তাতে ৬-৭ মাসের চাহিদা মিটাই। উৎপাদন বৃদ্ধি ও নিরবিছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষে এক সময় বিএআরআই, বিএডিসি ও ডিএই এর মাধ্যমে চাষিদের বিনামূল্যে ১৬-২২ টন উচ্চমানের পেঁয়াজ-বীজ সরবরাহ করা হত। এখন আর সেটি করা হচ্ছে না, এটা পুনরায় চালু করা যায় কিনা ? এবং করলে বারি পেঁয়াজ ১, ২, ৩, ৪ ও ৫ জাতের উচ্চমানসম্পন্ন ৩০-৪০ টন বীজ উৎপাদন (কখনও যেন চাষী পর্যায়ে না হয়) করে কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ ও নিশ্চিত উৎপাদন বৃদ্ধি করা। ঙ. পচনশীল কৃষিপণ্যের সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য গামা রে ব্যবহার করে বিশেষ হিমঘরে প্রায় দেড় লাখ টন পেঁয়াজ রেখে টানাটানি বা ঘাটতির সময় তা সরবরাহ করার কথা সরকারকে ভাবতে হবে। পচন এড়াতে যশোর, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও মানিকগঞ্জের মতো কিছু জায়গায় মুক্তবায়ুতে আরো প্রায় দেড় লাখ টন পেঁয়াজ রাখার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া সংকটকালীন সময়ে সরবরাহ ব্যবস্থা আরও সাবলীল ও নিশ্চিত করতে হবে। চ. অক্টোবর মাসের জন্য গ্রীষ্ম বা বর্ষায় পেঁয়াজ চাষের কথা সরকারকে ভাবতে হবে, প্রথম পর্যায়ে ১০০০ হেক্টর জমি নির্বাচন করে সেখানে কৃষক-গোষ্ঠী তৈরি করে আগাম ও নাবী খরিপে সেই সব জমিতে বারি পেঁয়াজ ২, ৩ ও ৫ জাতের বীজ লাগিয়ে চাষ শুরু করতে হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশব্যাপী এর চাষ সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। ডিসেম্বর মাসের জন্য পাতাসহ গাছপেঁয়াজ এবং জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী মাসের জন্য মুড়িকাটা দেশি পেঁয়াজ এর উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষ সম্প্রসারণ। ছ. বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক কৃষি ও পেঁয়াজ জাতীয় ফসল নিয়ে আয়োজিত সভায় অবশ্যই বিএআরআই, বিএডিসি ও ডিএই এর যোগ্য প্রতিনিধি বাধ্যতামূলক রেখে তাদের পরামর্শ গ্রহণ করারও জোর সুপারিশ করেন উক্ত বিজ্ঞানী। .........................................
Posted on: Mon, 19 Aug 2013 06:10:22 +0000

Trending Topics



px;">
%50 ALLAH ÖNCE SİZİN BELANIZI VERSİN ! BUNLARIN HER İHANET
Well Happy Tuesday!!! Up early on my day off finished cleaning my
As Nigerians express concern over the scary situation in Rivers
>Hey, Spiderman.... thanks for stepping up for me. Youre the

Recently Viewed Topics




© 2015