পিরোজপুরে সাঈদীর মামলার - TopicsExpress



          

পিরোজপুরে সাঈদীর মামলার বাদী মাহবুবুল আলমের বাড়িতে হামলা, মাগুরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী রেজা রাজার বাড়িতে হামলার পর তাঁর মৃত্যু, আইনমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি এস কে সিনহা, এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং ব্যারিষ্টার তুরিন আফরোজের বাসার সামনে বোমা হামলা করা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন এর সামনে, নির্বাচন কমিশনের সামনে ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির অফিসের সামনে সহ সারাদেশে অসংখ্য সরকারী, বেসরকারী অফিস ও রাজনৈতিক কার্যালয়ে বোমা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এমনকি একাত্তর টিভি, দেশ টিভি, মোহনা টিভি, গাজী টিভিসহ বেশকিছু গণমাধ্যমের অফিসে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, এসএ টিভিসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের গাড়ী লক্ষ্য করে বোমা মারা হয়েছে, হামলা করা হয়েছে সংবাদ কর্মীদের উপর। বেসরকারী টিভি চ্যানেল আরটিভির একজন সাংবাদিক মারাত্বক আহত হয়েছে, গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিক জাকারিয়া বিপ্লব। হামলার ধরন থেকে এটা এখন স্পষ্ট যে, হামলাকারীদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু বিচার বিভাগ, যারা কিনা সফলতার সাথে বাংলাদেশে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে যুদ্ধপরাধের বিচারের মাধ্যমে সারা দুনিয়াতে নজির স্থাপন করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের ৪২ বছর পর দায় শোধের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার পবিত্র দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে। আর যেহেতু বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যম কর্মীরা মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে সবসময়ই গণতন্ত্রের পক্ষে এবং দেশবিরোধীদের বিপক্ষে সোচ্চার ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে এসেছে তাই তাদেরকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে দুর্বৃত্তরা। রাজনীতি-হরতালের নামে বোমাবাজি, হত্যা, বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে দেশকে ভয়ংকর অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে বিএনপি-জামাত জোট। বিএনপি সুস্পষ্টভাবেই যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামাত-শিবিরের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে ধ্বংসাত্বক কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ করে দিয়েছে। একদিকে বিরোধীদলের যুদ্ধাপরাধী রক্ষায় দেশব্যাপী নৈরাজ্য, সহিংসতা অন্যদিকে গণহত্যাকারী, দেশবিরোধী জামাত-শিবির যারা কিনা ইতোমধ্যেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তাদেরকে নিষিদ্ধ ঘোষণায় সরকারের দীর্ঘসুত্রিতার কারনেই আজ অবৈধ সংগঠন জামাত-শিবির দেশের বিরুদ্ধে এক অঘোষিত যুদ্ধে লিপ্ত হবার ঔদ্ধত্য দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। যে যুদ্ধ আজ অনিবার্য হয়ে গেছে, ১৯৭১ সালে আমাদের পুর্বসূরীদের শুরু করা বিপ্লবের অসমাপ্ত অংশটুকু সমাপ্ত না করে যুদ্ধের ময়দান থেকে কাপুরুষের মতো পালিয়ে কেউই বাঁচতে পারবে না। তাই এখনি সময় সমাজের প্রতিটি মানুষের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সর্বাত্বক প্রতিরোধ গড়ে তোলার। আমি বিশ্বাস করি, দেশটা যেহেতু আমাদের, আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে পৃথিবীর এমন কোনো শক্তি নেই যে এদেশকে ধ্বংসের নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে পারে। জয় আমাদের হবেই। জয় বাংলা।
Posted on: Mon, 28 Oct 2013 13:36:36 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015