..... পড়ে খুব ভালো লাগলো, - TopicsExpress



          

..... পড়ে খুব ভালো লাগলো, তাই শেয়ার করা হল ..... হ্যাঁ, ঘুরে আসলাম ঢাকা থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দুরের বোয়ালমারী উপজেলাতে। বাস ভ্রমণের ক্লান্তি যাতে না হয় জন্যে বাস যাত্রার শুরুতেই মোবাইলে ইউটিউবে ভিডিও দেখে সময় পার করছিলাম। চলন্ত বাসে ইন্টারনেটের গতি কম হওয়ার কথা থাকলেও বাফারিং ছাড়াই ভিডিও দেখছিলাম। নেটওয়ার্ক চমৎকার। সব চাইতে ভাল লাগল জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি খুব কাছেই একটা টেলিটকের নেটওয়ার্ক টাওয়ার দেখে। সেখানে নেটের গতি অনেক ভাল। সাভার সেনানিবাস, জাতীয় স্মৃতিসৌধ এই সব খানে খুব ভাল ইন্টারনেট গতি। তখন ঢাকা থেকে আমি ৩৩ কিমি দূরে। টেলিটকের ৩য় প্রজন্মের নেটওয়ার্ক অনেক এগিয়েছে। সব থেকে বড় কথা সর্বত্রই আমার মোবাইলে HSPA সিগন্যাল ছিল। আমার মোবাইলের ক্ষমতা এতটুকুই। HSPA+ সাপোর্ট করলে এই বিষয়ে বাড়তি কিছু জানাতে পারতাম। মানিকগঞ্জে এখনো টেলিটকের ৩য় প্রজন্মের নেটওয়ার্কের কাজ হয়নি। কিন্তু EDGE এর গতি বেশ ভাল। ইউটিউবের ভিডিও দেখতে সময় লাগলেও ফেসবুক চালাতে কষ্ট হয়নি। নদীর কাছাকাছি এলাকাতে GPRS খুব বিরক্তিকর লাগছিল। পাটুরিয়া-আরিচা ফেরীতে পার হয়ে গেলাম এরপর GPRS ডাটা আর পিছু ছাড়ছিল না। রাজবাড়ি গোয়ালন্দ মোড়ে আগে একটা টেলিটক 3G এর বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম। এবার খেয়াল করে উঠতে পারি নি। কিন্তু আশাবাদী হয়ে মোবাইলে 3G ডাটা সার্ভিস খোঁজ করলাম। লাভ হল না। ফরিদপুর শহরের মধ্যে ঢুকতেই খুব মোবাইলে H সিগন্যাল উঁকি দিল। আমি ইন্টারনেট গেমিংয়ে মেতে উঠলাম। হ্যাঁ দারুণ গতি; বাঁধ ভেঙে দেবার মত গতি আছে। ভিডিও কলের চেষ্টা করে পারলাম না। যার নম্বরে চেষ্টা করছিলাম তাকে ভয়েস ফোন করে জানলাম, ভাইটা সিম পাল্টে সাধারণ ফোনে ব্যবহার করছে। ফরিদপুরে ঘুরাঘুরি করলাম সারা দিন। সবখানেই টেলিটক 3G এর সমান গতি। সব থেকে ভাল লাগল ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে গিয়ে সেখানেও খুব ভাল গতি। এবার ফরিদপুর থেকে বোয়ালমারীর দিকে যাত্রা শুরু করলাম। কানাইপুরের কাছাকাছি এসে নেটওয়ার্ক হারালাম। আবার ২য় প্রজন্মের নেটওয়ার্ক শুরু হল। সব খানেই EDGE ডাটা সার্ভিস থাকলেও বোয়ালমারী এসে দেখলাম GPRS এর গতিতে ইন্টারনেট চালানো বিরক্তিকর। অন্যান্য অপারেটরের ডাটা সেখানে আরো বিরক্তিকর। টেলিটক 3G সুলভ হোক। বাংলাদেশ এগিয়ে যাক আরো এক ধাপ। অন্যান্য অপারেটরের ৩য় প্রজন্মের নেটওয়ার্ক গুলশান বারিধারাতেই থাকুক। দেশের মায়েরা থাকুক মুখ দেখার সন্তানদের মুখ দেখার অপেক্ষায়। সেই দিন হয়তো খুব বেশি দূরে নাই। কেননা টেলিটকে কাজ করে দেশের সন্তানরাই। লিখেছেন: অন্বয় খান, অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট
Posted on: Sat, 09 Nov 2013 19:10:01 +0000

Trending Topics



b>
ASIDE FROM THE FACT THAT EACH PERSON HAS THE NATURAL AND DIVINE

© 2015