পদার্থবিদ্যার প্রফেসর - TopicsExpress



          

পদার্থবিদ্যার প্রফেসর কামরুল হাসান স্যারের স্ট্যাটাস: আমাদের ছেলেমেয়েরা যখনই দেশের বাহিরে যায় তখনই তাদের প্রতিভার সাক্ষর দেয়। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা বিদেশে পড়াশুনা করতে গেলে অনেকেই খুব ভালো করে কিন্তু সেই একই ছাত্র নিজের দেশে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে তেমন ভালো করে না। আমাদের দেশের নাম না জানা ছেলেমেয়েরা নিজ উদ্যোগে ওপার বাংলায় গিয়ে মিরাক্কেল নামক এক কমেডি প্রোগ্রামে participate করে ওপারের সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। একই ছেলেমেয়েদের দেখেছি দেশী TV চ্যানেলে। একদম ফ্লপ। আমরা শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই রকম। আমদের শিক্ষকরা যখনই দেশের বাহিরে যায় খুব ভালো রিসার্চ করে। কিন্তু সেই একই শিক্ষক যখন দেশে ফিরে আসে almost আর কিছুই করে না। আমি নিজেও যতবার বাহিরে গিয়েছি ভালো কাজ করতে পেরেছি। এই ধরুন যখন PhD করেছি তিন বছরে সাতটি রিসার্চ পেপার পাবলিশ করেছি। দেশে ফিরে প্রায় চার বছরে একটিও পাবলিশ করিনি। আবার ২০০১-এ পোস্ট ডক করতে দেশের বাহিরে গিয়েছি। প্রায় এক বছর দশ মাসে ছয়টি রিসার্চ পেপার পাবলিশ করেছি। আবার ফিরে এসে দীর্ঘদিন কিছুই করিনি। যদিও ইদানিং কিছু করছি কিন্তু বিদেশে থাকার সময় যেই রেটে করতাম তার ধারে কাছেও না। একই অবস্থা আমার অনেক সহকর্মীদের ক্ষেত্রেও সত্য। আমার এক অত্যন্ত প্রিয় সহকর্মী আছে যার প্রতিভা ইর্ষনীয় পর্যায়ে। আমার এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি পেরেছে তার প্রতিভাকে কাজে লাগাতে? এর দায় কার? সে নিজে একটা স্কুল হতে পারত যদি উপযুক্ত এনভায়রনমেন্ট দেওয়া যেত। তেমনি ভাবে আমদের শ্রমিকরা যখন প্রবাসে থাকে অনেক কষ্ট করে, অনেক disciplined থাকে এবং খুব প্রশংসনীয় কাজ করে। কিন্তু দেশে ফিরে আসার পর পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। সব কিছুর একটাই কারণ। এখানে কাজের মূল্যায়ন হয় না। অর্থাত সমাজে তথা রাষ্ট্রে এমন হবে যেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভালো কাজের পুরস্কার এবং মন্দ কাজের তিরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত উল্টো ব্যবস্থা বিরাজমান আমাদের দেশে। উদাহরণ দেওয়া যাক। Nature অথবা Nature কমিউনিকেশন অথবা Nature Physics-এ অথবা Physical Review Letters-এ কেউ যদি কোন রিসার্চ আর্টিকেল প্রকাশ করতে পারে তার যে মূল্য Dhaka বিশ্ববিদ্যালয় journal অথবা BRAC বিশ্ববিদ্যালয় কর্তিক প্রকাশিত কোন আর্টিকেল একই মানে বিবেচনা করা হয় তখন ধরে নিতেই হবে গুন বিচারে আমাদের সিরিয়াস সমস্যা আছে। আমাদের নেতৃত্ব ভালো মানুষদের আলাদা করার মেকানিসম তৈরী করতে পারেনি। সর্ব ক্ষেত্রে অসৎ আর mediocre-দের জয় জয়কার। হউক সেটা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী কর্মকর্তদের নিয়োগ বা প্রমোশনের ব্যাপার কিংবা শিক্ষক নিয়োগ বা প্রমোশন। সর্ব ক্ষেত্রে ভালোদের নির্বিচারে নিগৃহীত করা হয় দলবাজ আর তল্পিবাজদের তোয়াজ করা হয়। আমরা রাষ্টপ্রধান থেকে শুরু করে ঝারুদার নিয়োগ পর্যন্ত কোন কিছুই সঠিকভাবে করতে পারি না।
Posted on: Thu, 09 Oct 2014 04:39:14 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015