প্রথমে ভেবেছিলাম হয়ত দুই - TopicsExpress



          

প্রথমে ভেবেছিলাম হয়ত দুই পক্ষের একপক্ষ অর্থাৎ ইউক্রেনীয় আর্মি অথবা ইউক্রেনের রুশপন্থীদের ভুল করে ছোড়া মিসাইলে মালয়েশিয়ার যাত্রীবাহী বিমান ভুপাতিত হয়েছে। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, ততই মনে হচ্ছে ডাল মে কুচ কালা হে ... কিছুক্ষন আগে এক US army জেনারেল CNN-এ এসে বলল, যে উচ্চতায় বিমানটি উড়তেছিলো, তা দুনিয়ার known যেকোনো shoulder-fired missile সিস্টেমের রেঞ্জের বাইরে। অর্থাৎ এটাকে কোনো একজন ব্যক্তি ভুপাতিত করে নি। বরং বেশ sophisticated মিসাইল সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এবং সেটা অপারেট করতেও যথেষ্ট trained অপারেটর টিম লাগে। আর এই ধরণের অস্ত্র ইউক্রেনের বিদ্রোহীদের কাছে থাকাটা অস্বাভাবিক unless রাশিয়া তাকে দেয়। তবে এখানে, প্রশ্ন, রাশিয়া যদি দিয়েও থাকে, তাহলে অবশ্যই হাইলি ট্রেইন্ড অপারেটরদের কাছে দেবে। আর তারা নিশ্চয় মালয়েশিয়ার বিমানে বোমা মারবে না। তাই না?? মালয়েশিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান ভুয়াপিত করে রাশিয়ার লাভ কী?? আমার মনে হয় অতিমাত্রায় গাজাখোঁড় মার্কিন সাংবাদিকও এই হিসাব মেলাতে পারবে না। ইউক্রেনের কী লাভ?? হতে পারে এটাকে ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীদের কাধে দিয়ে তাদের উপর সরকারের প্রবল সামরিক অভিযান চালানোর একটা ইস্যু। আমেরিকার কী লাভ?? এখানেই কিছু ব্যাপার এসে যায়। মস্কো ইতিমধ্যে বলেছে, এই মিসাইলের মুল উদ্দেশ্য ছিলো ব্রাজিল থেকে BRICS সম্মেলন শেষে মস্কোতে ফেরা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। Malaysian Airlines MH17 plane was travelling almost the same route as Russia’s President Vladimir Putin’s jet shortly before the crash that killed 295 যদি না এটাকে কেবল আমেরিকান মিডিয়াকে counter করার জন্য দুয়ে দুয়ে চার মিলিয়ে মস্কো বলে থাকে, তাহলে ব্যাপারটি আরো জটিল হয়ে গেলো। অনেকটা সিনেমার মত ব্যাপার স্যাপার। কিছু CIA operative গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টকে হত্যা করে দোষ চাপালো ইউক্রেনের কাধে। তবে কিছু হিসাব একটু ভীতিকর। গতকাল BRICS সম্মেলন শেষ হল। Brazil, China, Russia, India, South africa মিলে world bank আর IMF এর প্রভাবমুক্ত প্যারালাল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরির জন্যে সম্মেলনে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিলো। এরকিছু পর ওবামা হঠাৎ বেশ বড়সড় sanction রাশিয়ার প্রতি আরোপ করলো। আর তারপর এই বিমান দুর্ঘটনা। আবার এই দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে একটা তৃতীয় দেশের বিমানকে উদ্দেশ্য করে। ১৯৮৩ সালে আমেরিকান স্পাই প্লেন মনে করে এক কোরিয়ান যাত্রীবাহী বিমান ভুপাতিত করেছিলো রাশিয়া। Korean Airlines flight 007 এর সেই দুর্ঘটনায় ২৬৯ জন মারা গেছিলো। সেবার ক্রেমলিন ব্যাপারটা ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করে। স্বাভাবিকভাবেই আজ CNN বার বার এই পুরন কাহিনী বলে মানুষকে মনে করিয়ে দেবার চেষ্টা করতেছে যে রাশিয়া এমন করে। তার আগেও ইতিহাস আছে এমন করার। বিশ্বায়নের এই যুগে সবচেয়ে বড় অস্ত্র মিডিয়া। মিডিয়া কাকে কত সুন্দরভাবে ডেমোনাইজ করতে পারবে, সেটা দেখার ব্যাপার। লড়াইটা RT vs CNN বললেও ভুল হবে না। তবে মুল কথা এবার বলি। আজ ইসরাইল ground offense শুরু করেছে গাজায়। মানে Tank আর soldiers প্রবেশ করবে। এতোদিন আকাশ থেকে জানে মেরেছে। এবার অত্যাচার করে করে নিরীহ মানুষ মারবে। ইউক্রেন অনেক হট রেসিপি। সেখানে আমেরিকা vs রাশিয়া, অর্থাৎ সুপারপাওয়ারদের কাহিনী চলে। স্বাভাবিকভাবে বিশ্ব মিডিয়া চলে যাবে সেখানে। আর গাজা ?? ফিলিস্তিনিরা আরো অসহায় হয়ে গেলো। (-Faisal Shovon)
Posted on: Fri, 18 Jul 2014 07:01:28 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015