ফ্রিল্যান্সিং কি, কেন? - TopicsExpress



          

ফ্রিল্যান্সিং কি, কেন? কিভাবে শিখবেন, কি শিখবেন? ফ্রিল্যান্সিং এর নাড়ি-নক্ষত্র জেনে নিন ▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬ বিশেষ নোটঃ পোস্টটি একটু বড় হওয়াতে যাদের পড়তে অসুবিধা তারা এই পোস্টের pdf file টি ডাউনলোড করে নিন মাত্র ৯০০কেবি লিঙ্কঃ mediafire/download/5r7edp2ztmuy0pu/post_freelancing.pdf ========================================== ফ্রিল্যান্সিং কি? (শুধুমাত্র নতুনদের জন্য)-তবুও একটু দেখে নেই… ফ্রিল্যান্সিং --মুক্তপেশা (Freelancing), কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে মু্ক্তভাবে কাজ করাকে বোঝায়। যারা এধরণের কাজ করেন তাদের বলা হয় মুক্তপেশাজীবী (Freelancer)। এধরণের কাজে কোনো নির্দিষ্ট মাসিক বেতন ভাতা নেই তবে স্বাধীনতা আছে, ইচ্ছা মতো ইনকামের সুযোগ ও আছে। এজন্য স্বাধীনমনা লোকদের আয়ের জন্য এটা একটা সুবিধাজনক পন্থা। আধুনিক যুগে বেশিরভাগ মুক্তপেশার কাজগুলো [ইন্টারনেট|ইন্টারনেটের] মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। ফলে মুক্ত পেশাজীবীরা ঘরে বসেই তাদের কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। এ পেশার মাধ্যমে অনেকে প্রচলিত চাকরি থেকে বেশি আয় করে থাকেন, তবে তা আপেক্ষিক। ইন্টারনেটভিত্তিক কাজ হওয়াতে এ পেশার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি হাজারো ক্লায়েন্টের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটে। আউটসোর্সিং :- কোন প্রতিষ্ঠান তার কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানে লোক নিয়োগ না দিয়ে বাহিরের কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি করিয়ে নেয়া। এটা হতে পারে কম্পিউটার রিলাটেড কাজ অথবা কোন প্রোডাক্ট উৎপাদন। কম্পিউটার রিলাটেড হলে এমন হতে পারে কোন পণ্যের ডিজাইন, কোন সফটওয়্যার, এনিমেশন, ডাটা প্রসেসিং, গ্রাফিক্স, মাল্টিমিডিয়া ইত্যাদি। প্রোডাক্ট হলে হতে পারে সম্পূর্ণ উৎপাদন অন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে করিয়ে নেয়া। কোন প্রতিষ্ঠানের আউটসোর্সিং সিদ্ধান্ত নেয়ার কারন উৎপাদনের খরচ কমানো। পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে উৎপাদনে খরচ কমানোই আউটসোর্সিংয়ের মূল লক্ষ্য। মুলত তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর কাজগুলো আউটসোর্সিং এ করা হয়। ফ্রীলান্সিংয়ের জন্য আমাদের কিছু ওয়েবসাইটের শরণাপন্ন হতে হয়। এই সকল ওয়েব সাইট আউটসোর্সিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এই সকল সাইটকে বলা হয় ফ্রীলান্স মার্কেট প্লেস। এই সব ওয়েবসাইটে যারা কাজ দিয়ে থাকে তাঁদেরকে বলা হয় বায়ার এবং যারা কাজগুলো সম্পন্ন করে তাঁদেরকে বলা হয় ফ্রীলান্সার, প্রোভাইডার, সেলার, অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে কোডার। একটি কাজ সম্পন্ন করার জন্য একাধিক ফ্রীলান্সাররা আবেদন করে, এই সকল আবেদনকে বলা হয় বিড করা। ফ্রীলান্সারে আবেদন করার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ম রেট দেয়া থাকে। তাই আবেদন করার সময় ফ্রীলান্সাররা কত টাকায় কাজটি সম্পন্ন করতে পারবে তা উল্লেখ করতে হয়। বিড করার পর ক্লায়েন্ট সকল কিছু বিবেচনা করে যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং মন্তব্যের উপর নির্ভর করে বায়ার ফ্রীলান্সারকে নির্বাচন করে। নির্বাচন করার পর বায়ার প্রজেক্ট এবং নির্ধারিত টাকা ঐ সাইটের একাউন্ট এস্কোতে জমা রাখে। কাজ শেষ হবার পর ফ্রীলান্সার সম্পূর্ণ প্রজেক্টি সাইটটে জমা দিতে হয়। এরপর বায়ার ফ্রীলান্সারের কাজটি যাচাই করে দেখে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বায়ার তখন সাইটে একটি ইয়েছ/ওকে বাটনে ক্লিক করে কাজটি গ্রহন করে। সাথে সাথে এস্কো থেকে ঐ অর্থ ফ্রীলান্সারের একাউন্টে জমা হয়ে যায়। ঐ সাইট থেকে কাজটি পাওয়া এবং কাজটি প্রসেসিং এ সকল সার্ভিসের জন্য ঐ সাইটকে আয়ের একটা অংশ কমিশন হিসাবে প্রদান করতে হয়। ==কাজের ধরণ== মুক্তপেশার কাজের পরিধি অনেক বেশি। বিশ্বব্যাপী এধরণের কর্মপদ্ধতির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা কয়েকটি কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: *লেখালেখি ও অনুবাদ: নিবন্ধ, ওয়েবসাইট কন্টেন্ট, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, ছোট গল্প, প্রাপ্তবয়স্কদের গল্প এবং এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় ভাষান্তরকরণ উল্লেখযোগ্য। *সাংবাদিকতা: যারা এবিষয়ে দক্ষ তারা বিভিন্ন দেশি-বিদেশি পত্রপত্রিকায় লেখালেখির, চিত্রগ্রহণের পাশাপাশি ইন্টারনেটভিত্তিক জনসংযোগ করে থাকেন। *গ্রাফিক্স ডিজাইন: লোগো, ওয়েবসাইট ব্যানার, ছবি সম্পাদনা, অ্যানিমেশন ইত্যাদি। *ওয়েব ডেভলপমেন্ট: ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবভিত্তিক সফ্‌টওয়্যার তৈরি, হোস্টিং ইত্যাদি। *কম্পিউটার প্রোগ্রামিং: ডেস্কটপ প্রোগ্রামিং থেকে ওয়েব প্রোগ্রামিং সবই এর আওতায় পড়ে। *ইন্টারনেট বিপণন/ইন্টারনেট মার্কেটিং: ইন্টারনেটভিত্তিক বাজারজাতকরণ কার্যক্রম, যেমন ব্লগ, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে বিপণন। *গ্রাহক সেবা: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির গ্রাহককে টেলিফোন, ইমেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহাজ্যে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা। *প্রশাসনিক সহায়তা: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন কাজের ডাটা এন্ট্রি করণ, ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করা ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সার হতে চান না অন্যকিছু, কয়েকটি ধাপে আপনি পরিকল্পনা করতে পারেন -------------------------- আপনি ফ্রিল্যান্সার হতে চান, নির্দিষ্ট করে কল্পনা করুন আপনি ওয়েব ডিজাইনার হতে চান, গ্রাফিক ডিজাইনার হতে চান অথবা এনিমেটর বা প্রোগ্রামার হতে চান। ব্লগ তৈরী করে তার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান। যা কিছু ইচ্ছে কল্পনা করতে পারেন, কল্পনাকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য আপনাকে কাজ করতে হবে। আর সেজন্য প্রয়োজন পরিকল্পনা। আপনার অবশ্যই প্রয়োজন ব্যক্তিগত সাফল্য লাভের পরিকল্পনা। খুব সহজে কয়েকটি ধাপে আপনি পরিকল্পনা করতে পারেন। আপনি কি চান সেটা জানুন ? আপনি কি আসলে ওয়েব ডিজাইনার হতে চান নাকি এনিমেটর হতে চান সেটা নিশ্চিত করুন। ওয়েব ডিজাইন লাভজনক দেখে মনে করলেন সেটা শেখা উচিত, পরদিন এনিমেশন দেখে শখ জাগল এনিমেটর হবেন, একে চাওয়া বলে না। আপনি একই সময়ে যেমন উত্তর এবং দক্ষিনে যেতে পারেন না তেমনি একই সময়ে ওয়েব ডিজাইনার এবং এনিমেটর হতে পারেন না। দুটিও অত্যন্ত বড় বিষয়। আপনার পরিকল্পনার প্রথম ধাপ, আপনার লক্ষের ডেফিনিশন ঠিক করুন। প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি নিশ্চিত করুন ? অস্ত্র ছাড়া আপনি যুদ্ধে যেতে পারেন না। তেমনি যন্ত্রপাতি ছাড়া আপনি কাজ করতে পারেন না। আপনার কাজের জন্য কি কি প্রয়োজন তার লিষ্ট তৈরী করুন, সেগুলি কিভাবে পাওয়া সম্ভব জানার চেষ্টা করুন। অনেক সময় অর্থের কারনে স্বপ্নপুরন হয়না এটা মেনে নিন। সংগতি যদি না হয় তাহলে সময় নষ্ট করবেন কেন, বিষয় পরিবর্তন করে ফেলুন। কম্পিউটার সংক্রান্ত বিষয় যদি হয় সেক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি ছাড়াও শিক্ষা-মেধা ইত্যাদির কথাও বিবেচনায় রাখুন। কোন কাজে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা প্রয়োজন, কোন কাজে অংক প্রয়োজন। এটা না থাকলে চেষ্টা করেও বেশিদুর যেতে পারবেন না। আপনার পক্ষে প্রয়োজনীয় যা কিছুর ব্যবস্থা করা সম্ভব তারওপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা করুন। সময় ঠিক করুন? প্রোগ্রামার হব একথা বলে আপনি যদি ৫-১০ বছর পার করেন তাহলে আপনি প্রোগ্রামার হচ্ছেন না। পরিকল্পনার সাথে সময়কে সম্পৃক্ত করুন। ১ মাসে কতটুকু করবেন, ১ বছরে কতটুকু করবেন নির্দিষ্ট করে ফেলুন। মাঝেমাঝে সেটা যাচাই করুন। যদি পিছিয়ে থাকেন তাহলে জানবেন আপনি লক্ষে পৌচচ্ছেন না। লক্ষে পৌছুতে হলে গতি বাগিয়ে টার্গেট পুরন করুন। আপনি যদি ফ্রীলান্সার হতে চান তাহলে পোস্টটি পড়া চালিয়ে যান… আমি কি ফ্রীলান্সার হতে পারব? চলুন উত্তর খুঁজা যাক --------------------- আপনি যদি ঠিক করেন আপনি একজন ফ্রীলান্সার হবেন তাহলে আপনার প্রায়ই একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় আর সেটা হল আমি কি ফ্রীলান্সার হতে পারব কি না । আমার মতে ফ্রীলান্সার হতে হলে যে ৩ টি জিনিসের প্রয়োজন হয় তা হল ১. আগ্রহ ২. আত্মবিশ্বাস ৩. ধৈয্য এই তিনটি জিনিস থাকলেই আপনি ফ্রীলান্সার হতে পারবেন । যারা প্রফেশনাল মানের ফ্রীলান্সার তারা কখনই এই ৩টি জিনিস কে নষ্ট হতে দেয় না । আপনি যদি ফ্রীলান্সার হতে চান বা ফ্রীলান্সিং জগতে পা রাখতে চান তাহলে প্রথমেই আপনার যে জিনিসটির প্রয়োজন হবে তা হল আগ্রহ । যদি আপনার প্রচণ্ড পরিমাণ আগ্রহ না থাকে তবে এই জগতে পা না রাখাই ভাল । আমি এমন অনেক লোক দেখেছি যারা কিছুটা আগ্রহ নিয়ে ফ্রীলান্সিং করতে আসে আর সেই আগ্রহ আবার কিছু দিন পরেই হারিয়ে যায় যে কারনে তারা সফল হতে পারে না । ফ্রীলান্সিং একটা ক্রিয়েটিভ জিনিস যেখানে অল্প পরিমাণ আগ্রহ দিয়ে হয় না । ফ্রীলান্সিং করতে হলে তো আপনাকে কাজ শিখতে হবে তাই না! আর কাজ শিখার জন্যও আপনার প্রচুর পরিমাণ আগ্রহ লাগবে এবং প্রচুর পরিমাণ চেষ্টা থাকা লাগবে । আপনি যদি প্রচুর পরিমাণ চেষ্টা না করেন তাহলে ভাল করে কাজও শিখতে পারবেন না আর সফলও হতে পারবেন না । একটি ছড়া আমরা সবাই পরেছি আর সেই ছড়ার দুটি লাইন আমি আপনাদের জন্য উল্লেখ করছি পারিবনা এ কথাটি বলিওনা আর , একবার না পারিলে দেখ শতবার মানুষ পারে না এমন কিছু নেই । চেষ্টা করলে সবকিছুই করা সম্ভব । ফ্রীলান্সিং এ সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি সেটি হল আত্মবিশ্বাস। আপনাকে নিজের উপর প্রচুর পরিমাণ আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে । আপনাকে ভাবতে হবে যে সবাই যদি পারে তাহলে আমি পারব না কেন? তারা আজকে সফল আর আমিও একদিন তাদের মতই সফল হব । আর তারপর যে জিনিসটি লাগবে সেটি হল ধৈয্য। আপনাকে প্রচুর পরিমাণ ধৈয্য ধারন করতে হবে । আপনি হয়ত অনেক আগ্রহ নিয়ে কিছু দূর আগালেন কিন্তু এর পর থেমে গেলেন । এটা কখনই করা যাবে না । আপনাকে প্রতিটা কাজ ধৈয্য সহকারে করতে হবে । নিজেকে কাজের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে হবে । তাহলেই আপনি এগিয়ে যেতে সক্ষম । আবার অনেকেই আছেন যারা বলেন যে ভাইয়া আমিতো জেনারেল এর স্টুডেন্ট তো আমি কি ফ্রীলান্সিং করতে পারব ? হ্যাঁ আপনি পারবেন । এখন যারা ফ্রীলান্সিং করছেন তারা সবাই কি ইঞ্জিনিয়ার বা আইটি এর স্টুডেন্ট? না সবাই ইঞ্জিনিয়ার বা আইটি এর স্টুডেন্ট না । জেনারেলে পড়ে এমন অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা ফ্রীলান্সিং করে । কি শিখবেন ? কেন শিখবেন ? ---------------- বর্তমানে আমকে অনেকেই ফেসবুকে প্রশ্ন করেন ভাইয়া আমি ফ্রীল্যান্সিং করতে চাই তো আমি কোন কাজটি শিখবো ? এই প্রশ্নের জবাবে আমি যা বলতে চাই তা হলঃ আপনাকে আগে চিন্তা করতে হবে আমি কি করতে চাই বা কি শিখতে চাই কেননা আপনার মন যেটা চায় না সেটা আপনি কখনোই ঠিক ভাবে করতে পারবেন না । আর যদি করেনও তাহলে সফল হতে পারবেন না ! প্রত্যেকটা মানুষ দুইটা জিনিস কে বেশী ভালবাসে আর তা হল এক তার পেশা দুই তার নেশা । আপনি হয়ত গান শুনতে পছন্দ করেন কিন্তু গাইতে নয় ! সেই রকম প্রত্যেকটা জিনিসই । গান শুনাটা হয়ত আপনার নেশা, পেশা নয় ! আপনাকে ডিসাইড করতে হবে কোনটা আপনার নেশা আর কোনটা আপনার পেশা । আপনার যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন ভাল লাগে তার মানে এই না যে আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে ফ্রীল্যান্সিং করতে পারবেন? একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলে যে গুন গুলো আপনার মাঝে থাকা দরকার সেগুলো আপনার মাঝে আছে কিনা সেটা নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে । আপনি কি ভাল আঁকা আকি করতে পারেন ? আপনি কি ক্রিয়েটিভ জিনিস চিন্তা করতে পারেন ? কোন ডিজাইন নিয়ে চিন্তা করতে পারেন ? এই তিনটি প্রশ্ন নমুনা মাত্র । আপনি যদি এই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন তাহলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারবেন । এখন কথা হল আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর ট্রেনিং করে ডিজাইনার হলেন এর কিছু দিন পর দেখা গেল আপনার কাছে আর গ্রাফিক্স ডিজাইন টা ভাল লাগছে না তখন আপনি চাইছে ন ওয়েব ডিজাইন শিখবেন আর সেই ইচ্ছা নিয়ে ওয়েব ডিজাইন শিখা শুরু করলেন ! এই ভাবে কিন্তু আপনি সফল হতে পারবেন না । আপনি যদি সফল হতে চান তাহলে আপনাকে কাজের শুরুতেই ভাবতে হবে । সবার আগে আপনার লক্ষটা কে নির্ধারণ করতে হবে । লক্ষ্য ছাড়া আপনি এগিয়ে যেতে পারবেন না, আর এগিয়ে গেলেও আপনি সফল হতে পারবেন না ! লক্ষ্য ছাড়া আপনার জীবনের সার্থকতা আসবে না। প্রতিটা কাজ করার আগে আপনাকে নিজের কাছে প্রশ্ন করতে হবে যেঃ • আমি কাজটি কেন করব? • আমার কোন কাজটি সব থেকে বেশী ভাল লাগে ? • যেটা করব সেটা কি আমার নেশার জন্য করব নাকি পেশার জন্য করব ? • আমি কাজটি করতে পারব কি না ? • কাজটি করার জন্য যে সকল গুনাবলি থাকা দরকার তা আমার আছে কিনা ? • আমার জন্য কাজটি উপযুক্ত কিনা ? • আমার ভবিষ্যৎ কি হবে ? • আমার উপার্জনের মাধ্যম কি এটাই হবে নাকি সাথে অন্য কিছুও করব ? এই প্রশ্নের গুলোর উত্তর যদি পেয়ে যান তাহলে আপনার সফলটা কেউ ঠেকাতে পারবে না । আপনি যদি ভাল লেখা লিখি করতে পারেন তাহলে আপনি লেখা লিখি কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন । আপনার যদি প্রোগ্রামিং ভাল লাগে তাহলে আপনি ওয়েব ডিজাইন অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্টে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন । অনেকেই মনে করেন যে ওয়েব ডিজাইন অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখতে হলে কম্পিউটার সায়েন্স এর স্টুডেন্ট হতে হয় এটা একদম ভুল ধারনা ! যারা ওয়েব ডিজাইন অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করে তারা সবাই কি স্টুডেন্ট? অবশ্যই নয় ! প্রায় ৭৫% ই সিএসই এর স্টুডেন্ট নয় । চাইলে আপনি ও ওয়েব ডিজাইন অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্টে ক্যারিয়ার করতে পারবেন । আপনার যদি সার্চ ইঞ্জিন কে নিয়ে খেলা করতে ভালবাসেন তাহলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন । মূল কথা হল যেটাই শিখুন না কেন ভালো করে না শিখলে কোন মূল্য নেই । কি শিখবেন তা তো গেলো এবার হচ্ছে কিভাবে শিখবেন…তা দেখার পালা… দুই ভাবে শিখতে পারেন। ১। কোন প্রতিষ্ঠান থেকেঃ ভালো একটি প্রতিষ্ঠান সম্পরকে খবর নিন তারপর সেখান থেকে শিখতে পারেন বা কোন বড় ভাই থাকলে । ২। নিজে নিজেঃ নিজে নিজে শিখার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনার ইন্টারনেট কানেকশন লাগবে। তারপর ইউটিউব থেকে ফ্রী ভিডিও এর মাধ্যমে শিখতে পারেন যেকোন বিষয়। আরও অনেক টিউটোরিয়াল সাইট আছে যা থেকে আপনি শিখতে পারবেন। আরও কিছু টিউটোরিয়াল সাইট আছে যেমন lynda, udemy, video2brain, tutsplus, appdev, phpacademy, kelbytraining এই সাইট গুলোর ভিডিও টিউটোরিয়াল বর্তমানে বেস্ট ধরা হয়। কিন্তু এইগুলো ফ্রী না, এই টিউটোরিয়াল গুলো অ্যাক্সেস করতে তাদের প্রেমিয়াম মেম্বার হতে হয়। তবে আপনি টিউটোরিয়াল গুলো পেতে পারেন বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা টরেন্ট সাইটে। এই লিঙ্ক টাও দেখতে পারেন… hiractg.blogspot/2013/12/vdo-tuto-software-dvd-collection.html আর কোন টিউটোরিয়াল প্রয়োজন হলে কোথাও না পেলে বা ইন্টারনেট কানেকশনের জন্য ডাউনলোড করতে না পারলে আমাকে বলতে পারেন…আমাকে ম্যাসেজ দিতে পারেন… (facebook/hira28) // hira.ctg@gmail আপনার প্রয়োজনীয় উপকরন পেয়ে গেলেন এবার শিখার পালা…ফ্রিলান্সিং এর জন্য Study Plan Design: এখানে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি কি ডিজাইন করবেন। যদি Logo, Banner, Wallpaper , UI(User Interface) etc design করতে চান তবে আপনার প্রথম কোর্স গুলো হবে • Image Editing: Photoshop • Vector Designing : Illustrator কিন্তু এটুকু জানলেই ডিজাইনার হতে পারা যায়না। ডিজাইনিং এ সবচেয়ে বড় ও কষ্টসাধ্য বেপার হল Typography. জি Typography সম্পর্কে ভালো জ্ঞান না থাকলে ডিজাইনিং এ আগাতে পারবেন না। আবার যদি চান এগুলো না করে Web Template Design করবেন তবে আপনার প্রথম কোর্স গুলো হবে • Basic Page Designing: HTML,HTML5 • Styling: CSS, CSS 3 • Special effects: JavaScript • Extra (optional): Bootstrap আর যদি Developing এর দিকে আগান তবে অবশ্যই PHP এবং এই related সব। Marketing : এই বিষয় টি একটু বড় এখানে আপনার সুবিধা মত আগাতে হবে। আমার মতে মার্কেটিং রিলেটেড সবচেয়ে ভালো কাজ হল Affiliation ও SEO Mail ও Social Media Marketing এর ও দাম কম না। Writing: Creativity থাকলে এই পথে খুব্বি দ্রুত আগানো যায় কারন এই বেপারটাতে শুধু টাইপিং জ্ঞান থাকলে নিজের মত করে লেখা সম্ভভ ও পাঠকের গ্রহন যোগ্যতার মধ্যে দিয়ে অনেক উপরে ওঠা যায়। Software Programming: আমার মতে প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান ছাড়া এ পথে না আগানোই ভালো। তাও যদি আপনি চান তবে আপনার প্রথম কোর্স হবে Typing Speed এটা খুব্বি জরুরী । এরপর মুল কোর্সে যান : C , C++, Java এগুলতে ভালো হাত এনে তারপর আগান এরপরের রাস্তা আপনিই খুজে পাবেন। Over all : এসব কিছুর আগে আপনাকে যেটাতে পারদর্শী হতে হবে টা হল Web Research. এটি না জানলে আপনি কিছুতেই আগাতে পারবেন না। আগে আপনাকে জানতে হবে যে আপনি যা জানতে চান তা কিভাবে খুজে বের করতে হবে ও কোথায় পাবেন। ভয় পাবার কিছুই নেই ঘন ঘন Google Search করুন আর কিছু লাগবেনা । ফ্রিল্যান্সারদের যে ৭ বিষয়ে দক্ষতা প্রয়োজন ----------------------------- প্রশ্ন জাগতে পারে ঐ দক্ষতাগুলো কি? এটি মূলত বিভিন্ন বিষয়ের উপর বা কাজের ধরণের উপর নির্ভর করে। এখানে বেসিক ৭টি বিষয় সম্পর্কে জানানো হলো। মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রাম জানা ১৯৮৮ সালের ১ আগস্ট লাস ভেগাসে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস সর্বপ্রথম ডেস্কটপের জন্য মাইক্রোসফট অফিস স্যুট উন্মুক্ত করেন। এরপর থেকে এই অফিস প্রোগ্রামের অন্তর্ভূক্ত ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট ইত্যাদি কম্পিউটিং ডিভাইস ব্যবহারকারীদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। আরও অনেক অফিস প্রোগ্রাম থাকলেও মাইক্রোসফট অফিস একটি কমন প্রোগ্রাম। আপনি রিপোর্ট লিখতে চাইলে, প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে চাইলে অথবা হিসাব সংরক্ষণ করতে চাইলে অফিস স্যুট ব্যবহার করেই পারবেন। তাই আপনার কাজের দক্ষতা বাড়াতে মাইক্রোসফট অফিস পরিচালনায় আরও দক্ষ হন। গুগল ডকস সম্পর্কে জানুন ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগলের বিনামূল্যের ওয়েব নির্ভর অফিস স্যুট হলো গুগল ডকস। এতে মাইক্রোসফট অফিসের মতোই বিভিন্ন টুলস রয়েছে। ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশিট এবং প্রেজেন্টেশন এর পাশাপাশি ক্লাউডে ফাইল সংরক্ষণের সুবিধা দেয় গুগল। সেবাটি ডক, ডকএক্স, পিডিএফ, পিএসডিসহ বিভিন্ন ধরণের ফাইল সমর্থণ করে। তবে অনলাইনে এই কাজটি করতে না চাইলে ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করেই গুগল ডকস ব্যবহার করা যাবে। এজন্য প্রয়োজন শুধুমাত্র একটি গুগল অ্যাকাউন্ট। তবে অনলাইনে গুগল ডক ব্যবহারের সুবিধা হলো এতে একাধিক ব্যক্তি একই সময়ে একই ডকুমেন্ট দেখতে কিংবা সম্পাদনা (এডিট) করতে পারে। অনলাইনে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো মোবাইল ফোন, টেলিফোনে কথা বলা কিংবা সরাসরি দেখা করার বিপরীতে এখন জিমেইল, স্কাইপ, গুগল প্লাস হ্যাংআউট, গুগল ভয়েসসহ নানা জনপ্রিয় ওয়েব কমিউনিকেশন টুলস রয়েছে। এগুলো বিনামূল্যে সহজেই ব্যবহার করা যায়, যা ভিডিও চ্যাট, ভয়েস চ্যাট অথবা ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সুবিধা দেয়। আপনি যদি ওয়েবিনার বা ওয়েব কনফারেন্স করতে চান তারজন্য রয়েছে গোটুওয়েবিনার, অ্যাডোবি কানেক্ট, এনিমিটিংসহ নানা জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। এগুলো আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজেও সহায়তা করবে। কমিউনিটি তৈরি হলে আপনার কাজ পাওয়ার সুযোগ ও দক্ষতা বিনিময়ের ক্ষেত্র তৈরি হবে। সামাজিক যোগাযোগ সাইটে সক্রিয়া থাকা আজকের দিনে ফেইসবুক, টুইটার, লিংকডইন, গুগল প্লাস, পিন্টারেস্ট ছাড়া যেনো জীবন অচল। অভিজ্ঞ না হলেও এসব সামাজিক যোগাযোগ সাইটে ফ্রিল্যান্সারদের সক্রিয় থাকা উচিত। আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), মার্কেটিং, কাস্টমার সার্ভিসসহ অনলাইন মার্কেটিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকেন তবে এসব সাইটে আপনার নিয়মিত হওয়া আবশ্যক। এগুলো পুরোপুরিভাবে আপনার কাজের অংশ না হলেও এসব টুলের মাধ্যমে আপনি আপনার সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট পাওয়া, গবেষনা, কিংবা এই ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এছাড়া পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং, ইন্টারনেটে আপনার সক্রিয়তা কিংবা সাইটে ট্রাফিক পাওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার জুড়ি নেই। বেসিক কোডিং জানুন প্রোগ্রামার কিংবা ডেভেলপার না হলেও বেসিক কোডিং জানা প্রয়োজন, এমন বিতর্ক প্রায়ই শোনা যায়। সংশ্লিষ্ঠরা মনে করেন, বেসিক কোডিং জানলেও আপনার প্রজেক্টে অনেক সহায়তা করতে পারে। বিশেষ করে এসইও, ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার কিংবা অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি কাজের সংশ্লিষ্ঠতায় অবশ্যই কোডিং জানা প্রয়োজন। উদাহরণস্বরুপ, একজন ডিজাইনারের যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে ধারণা থাকে, তাহলে সে জানতে পারবে ডেভেলপারের কি প্রয়োজন বা ডেভেলপারের ক্ষেত্রে কোন ডিজাইনটি করলে সহজ হবে। আপনি যদি একটি ওয়ার্ডপ্রেস সাইট পরিচালনা করেন সেক্ষেত্রে নিজে বেসিক কিছু কাজ জানলে ছোটখাটো কাজের জন্য বারবার ডেভেলপারের কাছে ধর্না দিতে হবে না। আর এসব বেসিক কোডিং জানার অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। ডিজিটাল ফাইল কিভাবে এডিট করতে হয় জেনে নিন অনেক সময় নিজের কিংবা আপনি যে প্রতিষ্ঠানের কাজ করছেন তার জন্য ছোটখাটো কিছু বিষয় যেমন ওয়েব পেইজের জন্য লোগো, আর্টিকেলের জন্য ছবি কিংবা ব্লগের জন্য ভিডিও প্রয়োজন হয়। এগুলো সার্চ করলেই হয়তো ওয়েবে পেতে পারেন। তবে হুবহু অন্যের ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করলে কপিরাইটের ঝামেলায় পড়তে পারেন। কিন্তু নিজে কাজ জানলে এই ভোগান্তি থেকেই রেহাই পেতে পারেন। এছাড়া এটি আপনার সময় ও টাকা বাঁচাবে। আর ছবি সম্পাদনার জন্য ফটোশপ, পিকাসা, গিম্পের মতো আরও অনেক সফটওয়্যার রয়েছে। নিজে নিজে চেষ্টা করেই এগুলোর ব্যবহার জানতে পারেন। অনলাইন থেকেই শেখার চেষ্টা করুন আপনি ওয়েব ডেভেলপার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, অনলাইন মার্কেটার অথবা ফ্রিল্যান্স রাইটার, যে পেশারই হন না কেনো আপনাকে এই বিষয়ের সঙ্গে আপডেটেড থাকতে হবে। আর এই বিষয়ে আপডেটেড থাকতে ও কাজ জানতে অনলাইনেই অনেক রিসোর্স রয়েছে। কোরসেরা, খান একাডেমি, ইউডাসিটিসহ বিভিন্ন অনলাইন এডুকেশন প্লাটফর্ম রয়েছে, যেখান থেকে আপনি আপনার দক্ষতা বাড়াতে পারবেন। আর হ্যাঁ, কোনো বিষয়ে বুঝতে বা জানতে না পারলে গুগলে সার্চ করুন। গুগলই আপনার উত্তর দিয়ে দিবে। এতে অন্যের কাছ থেকে শেখার চেয়ে নিজে নিজে শিখলে আরও বেশি উপকৃত হওয়া যাবে। ফ্রিল্যান্সার করতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ন যে বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন! -------------------------------- ফ্রিল্যান্সার করতে গিয়ে ইন্টারভিউয়ে যে ৮ বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন! ইল্যান্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান এব্ং ইকরাম ভাইয়ের সেমিনার এবং তাহের চৌধুরী (সুমন) ভাইয়ের লেখা থেকে নেয়া। সবারই একই কথা । তাই আপনাদের সজাগ করিয়ে দিতে আমি লিখলাম। ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে বায়ারের সাথে ইন্টারভিউ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারভিউয়ে সন্তুষ্ঠ হওয়ার পরই বায়ার কাজ দিয়ে থাকেন। বায়ারের সামনে নিজেকে তাই এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেন মনে হয় আপনাকে হায়ার করাই হবে তাঁর উত্তম সিদ্ধান্ত! অনেকে প্রায়ই প্রশ্ন করেন, ইন্টারভিউয়ের সময় কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। এটি আসলে এক কথায় বলে দেয়া সম্ভব নয়। ভাল ইন্টারভিউয়ের জন্য বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরী। বিষয়গুলো নিয়ে এ পোস্টটির মাধ্যমে আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন: ইন্টারভিউয়ের সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। স্কাইপ কিংবা ইমেইল, যেভাবেই যোগাযোগ হোক না কেন, বায়ার যেন বুঝতে পারে আপনি খুবই বন্ধুভাবাপন্ন ও তাঁর সাথে কথা বলে আনন্দ পাচ্ছেন। লেখা/বলার মাধ্যমেই বোঝাতে হবে আপনি কাজের ক্ষেত্রে কতোটা আগ্রহী। মনোযোগ দিয়ে শুনুন: বায়ায়ের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। তিনি কি চাচ্ছেন, কি কাজ করাবেন, আপনাকে নির্বাচন করলে তাঁর প্রত্যাশাগুলো বুঝতে হবে। বায়ার যা বলবে সেগুলো নোট করে রাখুন। মনে রাখতে হবে, কাজটি সম্পর্কে যত আগ্রহ দেখাবেন বায়ার ততটাই সন্তুষ্ঠ হবেন। প্রজেক্ট সম্পর্কে প্রশ্ন করুন: যে কাজটি করতে যাচ্ছেন তা সম্পর্কে ভাল ধারণা না থাকলে কাজটি করা সহজ হবে না। প্রজেক্টটিতে সর্বোচ্চ আউটপুট দিতে বায়ারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জেনে নিন। যতক্ষণ ভালভাবে পুরো প্রজেক্ট সম্পর্কে না জানছেন ততক্ষণ পর্যন্ত জিজ্ঞাসা করতে পারেন। অনেকে মনে করতে পারেন বায়ার এতে রেগে যেতে পারেন। কিন্তু এটি একেবারেই ভুল ধারণা। আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বায়ার এতে বিরক্ত না হয়ে বরং আপনার আগ্রহ দেখে খুশি হবে। অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরুন: ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে ভাল পোর্টফোলিও থাকা জরুরী। ইন্টারভিউতে অংশ নেয়ার আগে সংশ্লিষ্ঠ কাজের পোর্টফোলিওগুলো রেডি রাখতে হবে। যাতে বায়ার আগের কাজগুলো দেখতে চাইলে সেটি সহজেই প্রদর্শণ করা যায়। কিভাবে আগের কাজটি করেছেন এবং নতুন বায়ারের কাজটি কিভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন সেটি দেখাতে পারলে কাজ পাওয়া আর কেউ ঠেকাতে পারবে না বস! পরিকল্পনা শেয়ার করুন: পরিকল্পনা শেয়ার করে বায়ারকে বেশি সন্তুষ্ট করা যায়। ক্লায়েন্টের কাজটি কিভাবে সম্পন্ন করবেন সে পরিকল্পনা শেয়ার করবেন। ভালহয় পুরো প্রজেক্টটি আপনি কিভাবে করবেন, কোনটির পর কোনটি ধরবেন এইটার বিস্তুারিত প্রজেক্ট ফ্লো তুলে ধরতে পারলে। পেমেন্ট ও ডেডলাইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানান: ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার সময়ের মূল্য অবশ্যই আছে। আপনি কাজটি পাচ্ছেন কিনা সেটি জানার জন্য অবশ্যই আপনি ৩ ঘন্টার ইন্টারভিউ দিবেন না! তাই আপনাকে অবশ্যই আগে থেকে আপনার পেমেন্ট, সম্ভাব্য ডেডলাইনসহ সংশ্লিষ্ঠ বিষয়গুলো জানিয়ে দিতে হবে। তাঁর সাথে আলোচনার মাধ্যমে নেগোসিয়েশন করতে পারেন। যোগাযোগের সময় জানিয়ে দিন: কাজের প্রয়োজনে বায়ারকে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। আগে থেকেই যোগাযোগের ইমেইল, স্কাইপ আইডি এবং প্রয়োজনে ফোন নম্বরটি শেয়ার করতে হবে। কখন অনলাইনে থাকবেন, কখন যোগাযোগ করবেন সেটি পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিতে হবে। আপনাকে তিনি হায়ার করবেন কিনা সেটা নিশ্চিত নয়, তবে প্রয়োজনে যেন যোগাযোগ করতে পারে সে সুযোগটি তৈরি করে দিতে হবে। প্রজেক্ট পাওয়া নিশ্চিত হোক কিংবা না হোক, অবশ্যই বোঝাতে হবে আপনি কাজটি করতে আগ্রহী, জানাতে হবে আপনার দক্ষতা ও একাগ্রতার কথাও। নিজেকে প্রমাণ করতে হবে সব ভাল আউটপুট প্রদানকারী ফ্রিল্যান্সার হিসাবে। না বলতে শিখুন! হুমায়ুন আহমেদের রাবেয়া-র কথা মনে আছে আপনাদের? ঐ যে প্রতি বছরই প্রেগন্যান্ট হয়ে যেত যে মেয়েটা! তাঁকে যখন জিজ্ঞাসা করা হত ‘কি ব্যাপার? তুমি আবার প্রেগন্যান্ট হলে কি করে?’ ‘আমি কাউকে না করতে পারি না!’ ফ্রিল্যান্সার বন্ধুরা, এই না করতে পারার পরিণাম? প্রফেশনাল কাজের ক্ষেত্রে আপনাকেও না বলতে শিখতে হবে। ক্লায়েন্ট আপনাকে আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ না সে বিষয়ে কাজ করতে বললে, কম মূল্যে কাজ করতে বললে কিংবা বিনামূল্যে স্যাম্পল করে দিতে বললে না বলতে হবে। এতে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা কমবে না, বরং বাড়বেই! আমি এই বিষয় গুলোর সম্মূখীন হয়েছি । তাই আপনাদের আবার সজাগ করে দিলাম। কোন ধরনের সাহায্যের ফেসবুকে নক করতে পারেন যে কোন সময়। আপনাদের জন্য আমি উম্মূক্ত। ফ্রিল্যান্সিং কি আসলেই খুব সহজ কেন , কেন নয় ? আসুন জেনে নেই -------------------------------------------- বর্তমান সময়ে তরুনদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগানো একটি পেশা ফ্রিল্যান্সিং । প্রতিদিন শত শত তরুন বুক ভরা সপ্ন নিয়ে , প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশায় ভীড় জমাচ্ছেন এ সেক্টরটিতে। লোভনীয় বিজ্ঞাপন আর আকর্ষণীয় সব অফারের ফাঁদে পড়ে হাজার হাজার টাকা নষ্ট করে অবশেষে হতাশ হচ্ছেন। ফ্রিল্যান্সিং কি আসলে খুবই সহজ নাকি কঠিন কিছু । আজ আমার টিউনের মাধম্যে এ প্রশ্নেরই উত্তর দিব। এই সেক্টরটি সম্পর্কে পুরোপুরি ধারনা না থাকার কারনেই প্রথমে যখন শুরু করছে তখন মনে হয় অনেক সহজেই প্রতিষ্ঠিত হওয়া যাবে।আবার কিছুদিন পর বাস্তবতা দেখে বেশিরভাগ মানুষিই হতাশ হচ্ছে । আমার এই লেখাটি ফ্রিল্যান্সিং সম্বন্ধে একটি পুরোপুরি দিকনিদের্শনাও বলতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং কেন সহজ ? • ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয়তা পাওয়ার একটি মূল কারন হচ্ছে ঘরে বসে আয় করা যায়। আপনি ঘরে বসে পৃথিবীর যেকোন জায়গার কাজ করতে পারবেন। আপনার প্রয়োজন নেই কোন অফিস। একটি কম্পিউটার আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই খুব সহজেই ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। • আর একটি কারন হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করতে আপনার কোন মামা-চাচার সুপারিশ প্রয়োজন হবে না।আপনার যোগ্যতাই সবচেয়ে বড় ব্যপার।আপনি যদি নিজের যোগ্যতা প্রমান করতে পারেন তবে আর কিছুর দরকার নেই ।কাজ পাবেন আপনার যোগ্যতার ভিত্তিতে কোন সুপারিশ বা ঘুষের বিনিময়ে নয়। • ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি অনেক বেশি আয় করতে পারবেন।একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের জন্য মাসে কয়েকলাক্ষ টাকা উপার্জন করা কোন ব্যাপারই না। আপনিত আর টাকা উপার্জন করবেন না, উপার্জন করবেন ডলার। এমন অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে যারা ঘন্টায় ২০০-২৫০ ডলার উপার্জন করে। এবার একটা ক্যালকুলেটর নিন, মোবাইল হলেও চলবে । মনে করেন দিনে ৮ ঘন্টা কাজ করলে ১ ডলার সমান যদি ৮০ টাকা হয় মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন । দ্রুত এই সহজ হিসাবটা করে ফেলুন। • ফ্রিল্যান্সিং এ কাজের কোন অভাব নেই । মার্কেট প্লেসে দেখবেন মিনিটে শত শত কাজ টিউন হচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর । এর কাজের পরিধিও বাড়ছে। বাংলাদেশের অনেকই আছে যারা কাজের কিছু না জেনেই কাজে এপ্লাই করে, কাজ যখন পায় তখন ফেসবুকে টিউন দেয়, ভাই কাজটা কিভাবে করব? চিন্তা করেন অবস্থা। শুধু কাজ আর কাজ। • ফ্রিল্যান্সিং এ নির্দিষ্ট কোন অফিস টাইম নাই । প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা অফিস করতে হবে এমন কোন ধরাবাধা নিয়ম নেই।আপনার যখন খুশি যেমন করে খুশি কাজ করবেন। ভাবুনত এমন একটি পেশা, আপনি যেখানে খুশি যেমন খুশি তেমন ভাবে কাজ করছেন। অনেক অনেক টাকা ইনকাম করছেন। পরিবারের সাথে সময় দিতে পারছেন।যেখানে খুশি বেড়াতে যেতে পারছেন।যা খুশি করতে পারছেন। আর এইসব কারনেই ফ্রিল্যান্সিং এত জনপ্রিয় । এবার আসুন বাস্তবতায়, ফ্রিল্যান্সিং কেন সহজ নয়: • আমি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অনেক ব্লগ টিউন পড়েছি। নানা ধরনের আদেশ, উপদেশ, নির্দেশনা দেখেছি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একতরফাভাবে মানুষকে মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে শুধু পজেটিভ দিকগুলো উপাস্থাপন করে মানুষকে ঠকানো হয়। • আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হতে চান প্রথমেই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে আপনাকে আন্তর্জাতিক ভাবে প্রতিযোগিতা করতে হবে। ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলি, ধরুন একটা পন্য আপনি বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করবেন আর একটা পন্য আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করবেন। দুটো প্রডাক্ট কি রকম হবে? বাংলাদেশে যে কোন প্রডাক্টের সাধারন একটি মান থাকলেই বিক্রি করা সম্ভব। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের হতে হলে আপনার পন্যে মান আরও অনেক বেশি উন্নত হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার যোগ্যতাই হচ্ছে আপনার প্রডাক্ট।যেহেতু আপনি একজন আন্তর্জাতিক মানের পেশাদার কর্মী হতে চাচ্ছেন সেহেতু আপনার যোগ্যতা এবং দক্ষতাকে সেই রকম করে গড়ে তুলতে হবে। • আর একটি বিষয় হচ্ছে এ সেক্টরটিতে যেমনি কাজ এর পরিমান বাড়ছে, তেমনি দিনে দিনে প্রতিযোগিতাও বেড়ে চলছে। আপনি যে বিষয় বেছে নেন না কেন, দেখবেন আপনার চেয়েও অনেক দক্ষ লোক আগে থেকেই আছে । আপনারা প্রতিযোগী হবে আপানার চেয়েও অনেক বেশি দক্ষ এবং অভিজ্ঞ্ । তাদের সাথে প্রতিযোগীতা করেই আপনাকে নিজেকে প্রমান করতে হবে। • আপনার কাজের ব্যাপারে অনেক বেশি প্রফেশনাল হতে হবে। সময় মত কাজ জমা দেয়া, বায়ারের চাহিদা মত কাজ দেয়া ইত্যাদি বিষয়কে খুব ভালভাবে মেনন্টেইন করতে হবে। • আমার কাছে যখন কেউ ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে পরামর্শ চাইতে আসে তখন আমি বলি, ”এখানে এক হাজার জনের মধ্যে একজন সফল হয় বাকি ৯৯৯ জন্য মাঝপথে হতাশ হয়ে ছেড়ে দেয় ।এখানে ঝড়ে পড়ার হার অনেক বেশি। • আপনার অনেক বেশি ধৈর্য থাকতে হবে। কতটা ধৈর্যশীল হতে হবে তা বলে বুঝান যাবে না। আপনি দিনের পর দিন চেষ্টা করবেন কাজ পাবেন না, কাজ পাবেনত টাকা পাবেন না, টাকা পাবেনত উঠাতে গিয়ে ব্যাংক হাজার রকম ঝামেলা করবে , বায়ার কাজ নিয়ে ঝামেলা করবে, ছোট্ট একটা ভুলের জন্য সারারাত নষ্ট হবে ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে আপনাকে অপরিসীম ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। • ফ্রিল্যান্সিং এ কোন শর্টকাট ওয়ে নাই । আপনি যতই শর্টকাট ওয়ে ফলো করতে যাবেন ততই ধরা খাবেন।যেকোন কাজ ভালভাবে শিখতে আপনাকে অনেক সময় দিতে হবে। আপনি যদি কয়েকবছর সময় না দিতে পারেন তবে এই সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কঠিন হয়ে যাবেব। আমার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস: >>>> ২০,০০০ টাকা -৩০,০০০ টাকা চাকুরীর জন্য আমরা ২০ -২৫ বছর পড়াশুনা করি । আর ফ্রিল্যান্সিং এ লাক্ষ লাক্ষ টাকা কামানোর সপ্ন দেখি অথচ কষ্ট করে দুই – তিন বছর কাজ শিখতে পারি না >>>>> • এ সেক্টরে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হবেন, তাই আপনাকে নিজে নিজে সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা থাকতে হবে। কারন বাস্তবতা হচ্ছে বেশিরভাগ সময়ই দেখবেন প্রয়োজনের সময় আশেপাশে কাউকে খুজে পাবেন না। • এই সেক্টরে কাজ করতে হলে আপনাকে প্রতিনিয়তই আপডেট থাকতে হবে।আপনি যে কাজই শিখেন না কেন দেখবেন প্রতিদিনই আপনার শেখার বিষয়ের নতুন নতুন আপডেট হচ্ছে । তাই বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চাইলে, আপনাকে অবশ্যই আপডেট রাখতে হবে। • আপনি ফ্রিল্যান্সি এর যে বিষয়ে কাজ করেন না কেন আপনাকে মার্কেটিং দক্ষ হতে হবে। আপনাকে নিজেকে উপস্থাপন করতে জানতে হবে।কিভাবে কাভারলেটার লিখবেন, কিভাবে আপনার বায়ারকে আপনার প্রতি আগ্রহী করবেন, কিভাবে তার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন ইত্যাদি বিষয়ে আপনাকে দক্ষ হতে হবে। তাহলে কি ফ্রিল্যান্সিং খুব কঠিন কিছু, না সেরকম কিছু না । যদি আপনার ধৈর্য্য , মেধা আর পরিশ্রম করার দৃঢ় মানসিকতা তাকে তবেই আপনি এ জগতে টিকে থাকতে পারবেন। মনকে স্থির করুন । প্রতিজ্ঞা করুন এ সেক্টরে আপনি প্রতিষ্ঠিত হয়েই ছাড়বেন। পরিকল্পনা করুন। আর প্রতিদিন একটু একটু করে হলেও নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যান। ইনশাল্লাহ একদিন সফল হবেনই। ▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬ তথ্যসূত্রঃ ইন্টেরনেটের বিভিন্ন সাইট ▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬ (Freelancing এর জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার, ভিডিও টিউটোরিয়াল এবং ইবুক পেতে এই লিঙ্ক দেখুন hiractg.blogspot/2013/12/vdo-tuto-software-dvd-collection.html) ▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬ Posted by:Mainul Haque Hira Admin: (facebook/hira28)
Posted on: Sat, 13 Dec 2014 13:05:17 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015