বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব - TopicsExpress



          

বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব দলের বর্তমান মুখপাত্র সালাহ ্উদ্দিন আহমেদ এর বিবৃতি তারিখ: ০২ ডিসেম্বর ২০১৩ বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ বিবৃতিতে বলেন, একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনের সব আয়োজন সরকার সম্পন্ন করেছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কফিনের শেষ পেরেগটা ঠুকেছে সরকার। গৃহপালিত নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর হুকুম তামিলে ব্যস্ত। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গতকাল (রোববার) মাননীয় বিরোধী দলীয় নেতাকে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। শাপলা চত্বরে মধ্যরাতে বাতি নিভিয়ে দিয়ে গণহত্যার যে জগন্য নজির স্থাপন করেছে,তা কেবল প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশে হয়েছে। এটা সভ্য দুনিয়ার ইতিহাসে নজিরবিহীন। সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস রক্ষী বাহিনী বর্বরোতম গণহত্যার ইতিহাস। বাসে গান পাউডার দিয়ে শাহবাগে মানুষ পুড়িয়ে মারার ইতিহাস। এদেশের মানুষ লগি-বৈঠার তান্ডবের কথা এখনো ভুলে যায়নি। চলমান গণ আন্দোলনকে কুলষিত করার কু-মানসে আওয়ামী লীগ বাহিনী সুপরিকল্পিতভাবে মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘৃণ্য কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। আমরা এহেন কর্মকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিবৃতিতে যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা আজ গণরোষের শিকার হচ্ছেন। কেউ কেউ নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ পাহারায় প্রবেশ করতেও ভয় পাচ্ছে। তারপরেও প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার দুঃস্বপ্ন দেখছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই সংবিধানের দোহাই দিয়ে থাকেন। তিনি সেই সংবিধানের কথা বলছেন যে সংবিধান তাকে প্রধানমন্ত্রীত্ব চিরস্থায়ী বন্দোবস্তো দিয়েছে। তার মরহুম পিতাও বাকশালী সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির পদ অনির্দিষ্টকালের জন্য ইজারা নিয়েছিলেন। যে পঞ্চদশ সংশোধনী সংসদে পাশ হয়েছে তা কেবল প্রধানমন্ত্রীর একক ইচ্ছার প্রতিফলন। সেখানে জনগনের অভিপ্রায়ের প্রতিফলন হয়নি। সংবিধান পঞ্চদশ সংশোধনে গঠিত সংসদীয় বিশেষ কমিটির সকল সদস্যই সর্বসম্মতিক্রমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান বহাল রাখার পক্ষে সুপারিশ করেছিলো। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান হউক - সেটাই চাই। যার জন্য আওয়ামী লীগই ১৭৩ দিন হরতাল-অবরোধ পালন করেছিলো। ওই সময়ে বহুমূল্যবান জান-মাল ধ্বংস করেছে তারা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগন এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ চায়। অন্যথায় গণ আন্দোলনের তীব্র ¯্রােতে স্বৈরশাসনের পতন হতে বাধ্য। আমরা এখনো আশা করি, গণদাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে পদত্যাগ করবেন। নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেবেন। যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকার ইতিমধ্যে নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে না নেয়ায় ও নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল স্থগিতনা করায়, জনতার দাবি অনুযায়ী চলমান শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি আগামী ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। সংগ্রামী দেশবাসীকে কষ্ট স্বীকার করে হলেও দেশ, জাতি ও গণতন্ত্র রক্ষাসর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করার জন্য ১৮ দলীয় জোট নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আমি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। বেসরকারি টেলিভিশন-আরটিভি‘র রিপোর্টার তানজিদ রনি এবং ক্যামেরাপার্সন প্রশান্ত মোদককে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় জড়িত করে পুলিশি রিমান্ডে নেয়ার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘ ১৮ দলের শান্তিপূর্ণ অবরোধের ছবি তোলার মতো পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময়ে সরকারের পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হাতে দুই সাংবাদিক নির্যাতিত হয়েছেন। প্রতিদিনই এই ঘটনা ঘটছে। বর্তমান সরকারের হাতে সাংবাদিক নির্যাতনের এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। আমরা এহেন ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ’’ নাটোর জেলা: কানাইখালীতে হরতাল ও অবরোধের সমর্থনে হাজারও জনতার মিছিলে পুলিশ, আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম শিমুলের নেতৃত্বে মিছিলে গুলি চালালে সদর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সুজন মারা যায়। এতে যুবদলের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ডালিম, তুষার, আবিদ সহ প্রায় ৩৫ গুলিবিদ্ধ হয়। জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ডালিমসহ প্রায় ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বগুড়া জেলা: চরকালিকাপির যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রোকনউদ্দিন প্রামানিক ইমরানকে ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রথমে গুলি করে পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তার গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করে। তাকে তার ছোট ভাই বাঁচাতে আসলে তারও হাত কেটে ফেলে। চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা ঃ অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের হলে পুলিশ বিএনপি নেতা রুবেলকে গুলি করে হত্যা করে। সিরাজগঞ্জ:ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় পুলিশ ব্যাপরোয়া গুলিবর্ষণ করলে বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মো: টুকু পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। এতে প্রায় ৭০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়। গ্রেফতার হয় ছাত্রদল নেতা রিংকু, মূসা, মাসুদ সহ ২০ জনের অধিক। নরসিংদি: অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় ছাত্রদল জেলা যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ, মাহফুজুর রহমান, ইলিয়াস, সুমন, অপু, শ্রমিক দল জেলা যুগ্ম সম্পাদক আলক মিয়া, তাতি দলের থানা সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, নবি হোসেন, জাসাস নেতা শাহাবুদ্দিন সহ ৩০ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এতে পুলিশি হামলায় আহত হয় বিএনপি নেতা হান্নান, কামরুল, সবুজ সহ ৪০ জন নেতাকর্মী। বরগুনা: অবরোধের সমর্থনে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করার সময় ছাত্রদলের জেলা যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবিব স্বপন, যুবদল নেতা জামিল হাসান সহ ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এতে পুলিশের হামলায় ৩০ জন আহত হয়। চাঁদপুর: চাঁদপুর শহরে অবরোধের সমর্থনে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করার সময় পুলিশ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আকবর মাতাব্বর, সোলাইমান ঢালি, সিপন বন্দুকসী, কবির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, শাহরাস্তি উপজেলার খোকন, মিজান সহ প্রায় ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এতে গ্রেফতার হয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সোলায়মান ঢালী, বিল্লাল হোসেন, আফজাল, সুক্কুর, রাশেদ, যুবদল নেতা শাহিন মাঝি সহ ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ঝালকাঠি: অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়ে যুবদল নেতা নাসির উদ্দিন ও জুয়েলসহ প্রায় ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এতে আহত হয় ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী। কুষ্টিয়া: অবরোধের সমর্থনে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করার সময় পুলিশের হামলায় ৫৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। কক্সবাজার: গত রাতে কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অধ্যাপক আজিজুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জেলা শ্রমিকদল সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদল সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ উজ্জল, যুবদলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মোক্তার আহম্মেদ গত রাতে তাদের বাসায় পুলিশ তল্লাশির নামে তান্ডব চালিয়ে বাসার সমস্ত আসবাবপত্র ভাংচুর করে। পরিবারের লোকজনদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। চকোরিয়া উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সেলিম উদ্দিন বাচ্চুকে পুলিশ গ্রেফতার করে। উকিয়া উপজেলার যুবদল নেতা আব্বাস উদ্দিন ফোরকান, নিসাত, আব্দুর রহিম, করিমুল্লাহ সহ পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। ঢাকা মহানগর: বাড্ডা থানা ঃ অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের হলে বাড্ডা থানা বিএনপি নেতা শাহিন ও বাচ্চুকে ভ্রাম্যমান আদালত অন্যায়ভাবে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করে। আগারগাঁও থানা: গত রাতে ৪১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোতাহারের বাসায় পুলিশ হামলা চালিয়ে তার বাসার জিনিসপত্র ভাংচুর করে। পরিবারের সদস্যদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা ইউসুফের রায়েরবাজারস্থ বাসায় পুলিশ হামলা চালায়। মোহাম্মদপুর থানা: ৪১ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা লিটন মাহমুদের দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট কওে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। চকবাজার থানা: যুবদল মিছিল করার সময় পুলিশ মিছিল থেকে ইমরান সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে। ডেমরা থানা: অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় যুবদল নেতা দুলাল সহ পুলিশ ৪ জন গ্রেফতার। সূত্রাপুর থানা: শান্তিপূর্ণ মিছিল করার সময় পুলিশ রানাকে গ্রেফতার করে। সূত্রাপুর থানা যুবদল সভাপতি জাবেদ কামাল রুবেল সহ ১০ জন গুরুত্বর আহত হয়। রামপুরা থানা: অবরোধের সমর্থনে যুবদল মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিলে হামলা চালায়। এতে যুবদল নেতা সোহেল, টুনু সহ ৮ জন গুরুত্বর আহত হয়। পুলিশ মিছিল থেকে যুবদল নেতা আলমগীরকে গ্রেফতার করে। কতোয়ালী থানা: অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের করলে যুবদল নেতা কামালকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মিছিলে পুলিশি হামলায় আনোয়ারুল আজিম সহ ১০ জন আহত হয়। রাজশাহী মহানগর: অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় পুলিশি আক্রমণে যুবদল নেতা ওয়ালি উল হক রানা, স্বপন, ফখরুল, ছাত্রদল নেতা সরোয়ার মানিক, মাহবুবুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সফিকুল, বিএনপি নেতা ওয়ালি উল হক রানা সহ অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। ফেনী জেলা: হরতাল ও অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় জনতার ঢলে মিছিলে মিছিলে মূখরিত হলে পুলিশ মিছিলে আক্রমণ চালালে ১৮ দলের নেতৃবৃন্দ আব্দুর রহিম, নিজাম উদ্দিন, নাসিম সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক আহত হয়। জেলা ছাত্রদল নেতা আহাদ সহ ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। লক্ষ্মীপুর জেলা: মিছিল করার সময় পুলিশের হামলায় বিএনপি নেতা ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, আব্দুল বাতেন সহ ১২ জন গুরুত্বর আহত হয়। মাগুরা জেলা: অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় জেলা যুবদলের সভাপতি কল্লোল সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। পাবনা জেলা: অবরোধের সমর্থনের মিছিল করার সময় যুবদল নেতা মোবারক, ছাত্রদল নেতা জুয়েল সহ ৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জয়পুরহাট জেলা: অবরোধের সমর্থনে বিএনপি ও ১৮ দলের নেতৃত্বে মিছিল বের হলে পুলিশ মিছিলে হামলা চালিয়ে ৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। ঝিনাইদাহ: অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম সহ ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। নড়াইল: মিছিল করার সময় ছাত্রদল নেতা মাহমুদুল হাসান সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। ভোলা জেলা: অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় যুবদল নেতা রফিক, বিএনপির থানা যুগ্ম আহবায়ক নোমান চেয়ারম্যান সহ পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। নারায়ণগঞ্জ জেলা: অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় ফতুল্লা থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন সহ ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সোনারগাঁও উপজেলা যুবদল নেতা পারভেজ, আশরাফ খোকন সহ ১০ জন গুলিবিদ্ধ। নারায়ণগঞ্জ মহানগর: অবরোধের সমর্থনের মিছিল করার সময় যুবদলের মিছিল থেকে জাকির, মাসুম সহ ৫ জন গ্রেফতার। ঢাকা জেলা: ধামরাই পৌরসভা অবরোধে সমর্থনে শান্তিপূর্ণ মিছিল করার সময় যুবদল নেতা আনিস, বিল্লাল হোসেন, বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম, মোখসেদ সহ ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গাইবান্ধা জেলা: শহর বিএনপি সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান খান টিটুর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ তার বাড়িতেও হামলা করে। ময়মনসিংহ ঃ গফরগাঁও উপজেলা সালতিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড স্বেচ্চাসেবক দলনেতা সজলের বাড়ীতে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ৬ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা ইব্রাহিমকে পুলিশ গ্রেফতার করে। একতরফাভাবে নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবি ও ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং গ্রেফতারের প্রতিবাদে১৮ দলীয় জোট ঘোষিত টানা অবরোধের তৃতীয় দিনে ১৮ দলীয় জোটের ৭১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত হয়েছেন ৬২ জন নেতাকর্মী। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ১০ জন নেতাকর্মী। কুমিল্লার জোট নেতা আব্দুল লতিফকে র‌্যাব এর সদস্যরা ধরে র‌্যাব (১১) কার্যালয় নারায়নগঞ্জ নিয়ে যায়। সাতক্ষীরার আর একজন জোট নেতা আমীর ফখরুল ইসলামকে আজ পুলিশ গ্রেফতার করে। জোট নেতা অধ্যক্ষ কবিরুল ইসলামকে অবরোধকালে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গতকাল সন্ধ্যার পর অবরোধের সমর্থনে বিজয় নগরে জোটের মিছিল বের হলে পুলিশ নির্বিচারে গুলিবর্ষন করে। এতে ৫ জন গুলিদ্ধি হয় এবং ৭ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। একজন জোট কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে নির্মমভাবে পায়ে গুলি করে। অবৈধ সরকারের নিষ্ঠুর জুলুম-নির্যাতনের পরেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের আহবানে চলমান শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিন স্বত:স্ফুর্ত ও সাফল্যজনকভাবে পালিত হওয়ায় ১৮ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দেশবাসী এবং বিএনপি সহ ১৮ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রাজপথের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছি এবং গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীর নি:শর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ পর্যন্ত মৃত্যু = ৩ জন আহত = ৫৮৭ জনের অধিক গুলিবিদ্ধ = ১৪৬ জনের অধিক গ্রেফতার = ২৯১ জনের অধিক মামলা দায়ের = ২৫০০ এর অধিক ভ্রাম্যমান আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত = ২ জন বার্তা প্রেরক (মোঃ আব্দুল লতিফ জনি) সহ-দফতর সম্পাদক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
Posted on: Mon, 02 Dec 2013 15:01:11 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015