@@@@@ বিদ্রোহী কবি কাজী - TopicsExpress



          

@@@@@ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও তার সমস্ত প্রেমিকারা।। @@@@@@ নজরুল ইসলামের love nia আমার এ লেখা। নজরুল ইসলাম ও ছিলেন আমাদের মত একজন অতি সাধারন মানুষ। তার জীবনেও এসেছে প্রেম ভালবাসা ও বিয়ে। আর শুধু একবারই নয়, সে প্রেমে পরেছে বারবার। ভালবেসেছে অনেককে। হয়ত কেউ তার ভলবাসায় সারা দিয়েছে আর কেউ তাকে Ignore করেছে। তিনি কিন্তু একচেটিয়া Love ও করেছেন, রেখে গেছেন দৃষ্টান্ত। কাজের কথায় আসি- প্রেমিকাদের কথা বলতে গেলেই প্রথমে আসে নার্গিসের কথা। ১৯২১ সালের মার্চ কি এপ্রিল মাস। বন্ধু আলী আকবর খানের নিমন্ত্রনে গিয়েছিলেন কুমিল্লার দৌলতপুরে। আর সেখানেই শুরু প্রেমের। সেখানের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে তার পরিচয় হয় সৈয়দা খাতুনের সংঙ্গে। নজরুল সেখানে হারমোনিয়াম বাজিয়ে সবাইকে গান শুনিয়েছিলেন। নজরুলের গানের সুর মাতিয়ে দিল সৈয়দা খাতুনের মন এবং সৈয়দার রুপ মুগ্ধ করে ফেলল আমাদের এ বিদ্রোহী কবিকে। তিনি প্রেমে পরে গেলেন প্রথম দেখাতেই। খাতুনও সমান আগ্রহ নিয়ে তার ডাকে সারা দিলেন। তারপর তাদের সময় কাটত সুর আর গানে জড়ানো ভালবাসা দিয়ে।।সৈয়দা খাতুনকে ভালবেসে তার নামও Chang করে দেন কবি। নাম দেন নার্গিস। নার্গিস ইরানের এক সাদা পুস্পের নাম। মজার বিষয় হচ্ছে বেশি দিন কিন্তু কবি একেবারেই তার সাথে প্রেম করেন নাই। কবির অস্থির মন। দৌলতপুরে থাকা অবস্থাতেই সিদ্বান্ত নিলেন তাকেই বিয়ে করবেন। বিয়েও হয়ে গেল কয়েক দিনের মধ্যে। কিন্তু তিনি সৃষ্টি করলেন এক নতুন নাটকের। বিয়ে হল ঠিকই কিন্তু বাসর আর হল না। কোন এক অজানা অভিমানে বাসর রাতেই কবি সে বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। কিন্তু কবি তার এ অভিমানের কারন কোনদিন কাউকে বলেন নি বা এর কোনো দৃষ্টান্ত ও পাওয়া যায় না। এর পরেই আসি তার দ্বিতীয় প্রেমের কাহিনীতে। তার নাম মিস ফজিলাতুন্নেসা। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকোত্তর মুসলিম ছাত্রী। ইতিহাস থেকে জানা যায় তার এই প্রেম ছিল একতরফা। শুধু কাজি নজরুল ইসলামই তাকে ভালবাসত। ফজিলাতুন্নেসা তার আকুতিতে তেমন সাড়া দেন নি। কবি তো একাকি ভালবাসতেন তাকে, সে তার ভালবাসায় সাড়া দিক আর নাই দিক কবির মন তো একাকি ভালবাসতে জানে!! তিনি তাকে বারবারই চিঠি দিতেন। তিনি এ চিঠিগুলো দিতেন তার ঘনিষ্ট বন্ধু কাজী মোতাহার হোসেনের কাছে। ফজিলাতুন্নেসা তাকে বড় ভাইয়ের মত জানতো। আর তিনি বন্ধুর হয়ে পৌছে দিতেন সে সব চিঠি। সরাসরি চিঠি না পাঠানোর কারন ও বুঝিয়ে দিয়েছেন একটি বাক্যের মাধ্যমে- “ঐ এক চিঠি পেয়েই যতদূর বুঝেছি-আমায় তিনি দ্বিতীয় চিঠি দিয়ে দয়া করবেন না” মুসলিম সাহিত্য সমাজের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সন্মেলনে যোগ দিতেই কবি এসেছিলেন ঢাকায়। তার সাথে কবির পরিচয় হয় ১৯২৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে। কবি জোতির্বিদ্যা জানতেন, সে কারনেই কবিকে নিয়ে ফজিলাতুন্নেসার বাসায় যায় কাজী মোতাহার হোসেন। প্রথমে হাত দেখা তারপর চোখে চোখ রাখা তারপর প্রেমের জলে ডুব দেয়া আর কি। কবি চলে গেলেন ঢাকা ছেড়ে কিন্তু মনে নিয়ে গেলেন ফজিলাতুন্নেসাকে। এরপর থেকেই একের পর এক চিঠি লিখে চললেন কবি। তার মূল নাম রানু সোম। তার মূল নাম রানু সোম। তার জীবনে রয়েছে আরও অনেক নারীর ছোয়া। “রানু সোম” তিনি বুদ্বদেব বসুকে বিয়ে করে প্রতিভা বসু নামে খ্যাত হন। সংগীতঞ্জ দীলিপ কুমার রায় রানুকে নজরুলের গান শেখাতেন। তার কছেই তিনি রানুর নাম শোনেন। পরে তিনি তার কাছ থেকে রানুর ঠিকানা নিয়ে নিজেই তার বাড়ি খুজে বের করেন। শুরু করেন গান শিখানো। কিন্তু পারার যুবকদের সহ্য হয়নি তাদের এ গুরু শির্ষ্য সম্পর্ক। রানুর বাড়ি থেকে একদিন নজরুল বের হওয়ার পর যুবকরা আক্রমন করে তাকে। সেও তো আর কম না উল্টো আক্রমন করল ওদের। ব্যাপারটা তখন পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। শিল্পী কানন দেবিকেও গান শিখাতেন তিনি। রটানো হয়েছিল যে কবিকে কোথাও পাওয়া না গেলে তাকে পাওয়া যাবে কানন দেবির বাড়িতে। গান শেখানোর সময় রাত হলে থেকে যাওয়ার ব্যাপারটা অনেকেই ভাল চোখে দেখত না। কবির জীবন সঙ্গীনি। কবির জীবন সঙ্গীনি। কিন্তু অবশেষে কবির জীবনসঙ্গিনী হয়েছিলেন কুমারী প্রমীলা সেনগুপ্ত। প্রমিলার ডাকনাম ছিল দুলি। তাদের এই বিয়ে প্রেমের বিয়ে নয় বরং পারিবারিক সন্মতিতেই হয়েছিল। তবে কুমিল্লায় থাকাকালে নজরুল প্রমিলার প্রতি অনুরক্ত ছিল। তার এ প্রেমের কথা কবি তার “বিজয়িনী” কবিতায় প্রকাশ করেন। তাদের বিয়ে হয়েছিল ১৯২৪ সালের এপ্রিল মাসে। এতে বাধা হিসেবে ছিল একটাই বিষয় তা হল ধর্ম। পরে যে যার ধর্ম পরিচয় বহাল থাকার শর্তে বিয়ে করেছিলেন। তখন প্রমিলার বয়স ছিল ১৪ আর নজরুলের বয়স ছিল ২৩।
Posted on: Wed, 30 Oct 2013 04:55:10 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015