বি. পি. পরিচিতি: - TopicsExpress



          

বি. পি. পরিচিতি: ____________________________________________________________________________ সাত সাগর আর তের নদীর ওপারে ইংল্যান্ডের রবার্ট স্টিফেনশন স্মীথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অফ গিলওয়েল (Robert Stephenson Smyth Lord Baden Powell of Gilwell) স্কাউটিং এর শিখা প্রজ্জ্বলিত করেন। (তিনি সংক্ষেপে বি.পি. এবং ফার্স্ট ব্যারন-ব্যাডেন পাওয়েল নামেও পরিচিত) তিনি ১৮৫৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ৬নং স্টেনহোপ স্ট্রিট, পেডিংটন, লন্ডন-এ জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী রেভারেন্ট হারবার্ড জর্জেস ব্যাডেন পাওয়েল (১৭৯৬-১৮৬০, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যামিতিরও পদার্থবিজ্ঞানের প্রফেসর)। ১৮৬০ সালে তার বাবা মারা যান। ব্রিটিশ নৌ বাহিনীর অ্যাডমিরাল উইলিয়াম হেনরি স্মিথের কন্যা হেনরিটা গ্রেসা ছিলেন তার মা। (১৮২৪-১৯১৪) ভাইবোনঃ চার ভাই ও দুই বোন ছোটকাল থেকেই বিপি অনুসন্ধানী মনের অধিকারী ছিলেন। বিপি লন্ডন নগরীর রোজ হিল প্রিপেটরী স্কুলে ভর্তি হন। অল্প কিছুদিন পর প্রসিদ্ধ চার্টার হাউস স্কুলে ভর্তি হন। ১৮৭২ সালে চার্টার হাউস স্কুলটি গোড়ামলিং নামক স্থানে স্থানান্তর হয়। সেখানে তার অবসর সময়ে তিনি তার স্কুলের কাছে ঝোপঝাড়ে জীবজন্তু পর্যবেক্ষণ, খরগোশ শিকার, পাখির ডিম সংগ্রহ ইত্যাদি নিয়ে তিনি মেতে থাকতেন। ছুটির দিনে বিপি নিজ হাতে বনের ভেতর রান্নাবান্না, কুড়াল ব্যবহার, নৌকায় ঘুরে বেড়ানো অত্যন্ত পছন্দ করতেন। বিপি তার দুই হাতে সমানভাবে লিখতে পারতেন এবং চমত্কার ব্যঙ্গচিত্র আকতে পারতেন। এভাবেই ছোটকলেই তার ভেতর স্কাউটিং এর অংকুর জন্ম নেয়। বিপি ১৮৭৩ সালে সেনাবাহিনীর ১৩ তম অশ্বারোহী সেনা দলের কমিশন পদে সরাসরি সাব ল্যাফটেনেন্ট হিসেবে যোগ দেন। ১৮৭৬ সালের ৩০ অক্টোবর সৈনিক হিসেবে প্রথম ভারত আসেন। ১৮৮৩ সালে ২৬ বছর বয়সে ক্যাপ্টেন পদে উন্নীত হন। ১৯০০ সালে আফ্রিকার জুলু সম্প্রদায়ের সাথে ম্যাফেকিং-এর যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। সেখানে তিনি এক পর্যায়ে ২১৭ দিনের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজের বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে জয়ী হন। তিনি ১৯১০ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। (বিপি ১৮৭৬ সাল থেকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়ীত্ব পালন করে ১৯১০সালে ল্যেফটেনেন্ট-জেনারেল পদ থেকে অবসর গ্রহন করেন। অতপর তৎকালিন ব্রিটিশ রাজা সপ্তম এডওয়ার্ডের পরামর্শে তিনি স্কাউটিং এর অগ্রযাত্রার জন্য মনোনিবেশকরেন।) তিনি ১৯১২সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ও-লাভ সেইন্ট ক্লেয়ার/ ও’লাভ সেইন্ট ক্লেয়ার সোয়েমস/লেডি ব্যাডেন পাওয়েল (২২ ফেব্রুয়ারী ১৮৮৯ - ২৫ জুন ১৯৭৭,গার্ল গাইডের সহ-প্রবর্তক) এর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন । ( জানুয়ারি, ১৯১২ সালে রবার্ট ব্যাডেন পাওয়েল স্কাউটের বিশ্ব সফরের অংশ হিসেবে নিউইয়র্কের পথে বের হয়েছেন। পথিমধ্যে ওলেভ সেন্ট ক্লেয়ার সোমেজর সাথে পরিচিত হন। ২৩ বছর বয়সী ওলেভ এবং ৫৫ বছর বয়সী রবার্ট ২২ ফেব্রুয়ারি একই তারিখে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পাওয়েলের অসম্ভব জনপ্রিয়তা ও খ্যাতির কারণে একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে বাগদান পর্ব সমাপণ করেন। কঠোর গোপনীয়তায় তারা পার্কস্টোনের সেন্ট পিটার্স চার্চে ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯১২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ইংল্যান্ডের স্কাউট এবং গাইডেরা প্রত্যেকই এক পেনি করে চাঁদা সংগ্রহ করে ব্যাডেন-পাওয়েল দম্পতির জন্যে বিয়ের উপহারস্বরূপ একটি গাড়ী দেয়। ব্রাউনসী আইল্যান্ডের সেন্ট ম্যারিজ চার্চের অভ্যন্তরে তাঁদের বিয়ের স্মারক চিহ্ন রয়েছে। রবার্ট ব্যাডেন-পাওয়েল এবং ওলেভ ব্যাডেন পাওয়েল হ্যাম্পশায়ারের বেন্টলের কাছাকাছি প্যাক্স হিলে ১৯১৯ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত বসবাস করেছিলেন। ) তাদের দুই মেয়ে - হিটার ও বেটি ; এবং এক ছেলে -পিটার।( রবার্ট পিটার, হিথারব্যাডেন পাওয়েল ও বেটি ক্লেয়ার) শেষ জীবনে তিনি কেনিয়ার নেইরিতে প্যাক্সটু কটেজে বাস করতেন। এখানে তিনি ১৯৪১ সালের ৮ জানুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে নেইরি শহর প্রায় ১৫০ কি. মি. দূরে অবস্থিত। নেইরি শহরের উত্তর-পূর্বে আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বচ্চ চুড়া মাউন্ট কেনিয়া অবস্থিত, বিশাল এই পাহাড়ের দৃশ্য বিপির খুব পছন্দ হয়েছিল বলেই বিপি নেইরিতে থাকার ইচ্ছা পোষণ করেন। ১৯৩৭ সালে বিপি এবং তার স্ত্রীর ২৫তম বিবাহ বার্ষিকীতে বিশ্ব স্কাউট সংস্থার সহযোগিতায় কেনিয়া স্কাউট অ্যাসোসিয়েশান প্যাক্সটু কটেজ তৈরী করেনএবং বিপিকে উপহার দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিপি এই প্যাক্সটু কটেজেই বাস করেছেন। ২০১০ সালে কেনিয়ার সরকার প্যাক্সটু কটেজকে রাষ্ট্রীয় স্মৃতি স্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করে। ) ### স্কাউটিং আন্দোলন শুরুর আগে ও পরে লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল কাব স্কাউট, স্কাউট, রোভার স্কাউট ও অ্যাডাল্ট লিডারদের যে সমস্ত বই প্রকাশ করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বইগুলো নিম্নরূপ: • এইডস টু স্কাউটিং (১৮৯৯) -এ বই পড়ে অনেকেই স্কাউটিং এর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। • স্কাউটিং ফর বয়েজ (১৯০৮) - স্কাউট শাখার জন্য। • উলফ কাব হ্যান্ডবুক (১৯১৬) - কাব শাখার জন্য। • এইডস টু স্কাউট মাস্টারশীপ (১৯২০) - অ্যাডাল্ট লিডারদের জন্য। • রোভারিং টু সাকসেস (১৯২২) - রোভার স্কাউট শাখার জন্য। ***এছাড়া আরও লিখেছেন :- দ্যা হ্যান্ডবুক ফর গার্ল গাইড(১৯১২), ইন্ডিয়ান মেমরিস(১৯১৫), এডুকেশন ফ্রম দ্যা ভার্সিটি অফলাইফ(১৯৩৩), আফ্রিকান এডভেঞ্চার(১৯৩৭) *** ১৮৯৬ সালে দ্বিতীয় মাতাবেলি (বর্তমান জিম্বাবুয়ে) বিদ্রোহের সময় ব্যাডেন পাওয়েল ব্রিটিশ সেনাবাহিনির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যুদ্ধের সময় কেউ কখনো বিপিকে ঘুমাতে দেখেনি বরং রাতের বেলা বিপি হেটে হেটে সব পর্যবেক্ষন করতেন। এটা দেখে মাতাবেলির লোকজন বিপিকে ইমপিসা উপাধি দেন। যার আক্ষরিক অর্থ নেকড়ে হলেও তারা এ দ্বারা বোঝাতে চেয়েছেন যে পশু ঘুমায় না কিন্তু রাতে হেটে বেড়ায়। Impeesa: The wolf who never sleeps !
Posted on: Sun, 23 Feb 2014 19:24:15 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015