বাংলাদেশের বর্তমান - TopicsExpress



          

বাংলাদেশের বর্তমান টেস্ট ওপেনাররাঃ # শামসুর রহমানঃ লাস্ট ৩ টেস্টের ৬ ইনিংসে শামসুরের রানঃ ০, ৮, ৩৯, ১, ৪, ৩৫ অর্থাৎ ১৪.৫০ গড়ে ৮৭ রান। # আনামুল হকঃ... লাস্ট ৩ টেস্টের ৬ ইনিংসে আনামুলের রানঃ ০, ৯, ২২, ৭, ১৮, ৩ অর্থাৎ ৯.৮৩ গড়ে ৫৯ রান। # তামিম ইকবালঃ লাস্ট ৩ টেস্টের ৬ ইনিংসে তামিমের রানঃ ০, ৫, ৬৪, ৪৮, ৫৩, ১ অর্থাৎ ২৮.৫০ গড়ে ১৭১ রান। # ইমরুল কায়েসঃ লাস্ট ২ টেস্টের ৪ ইনিংসে ইমরুলের রানঃ ২৫, ৯, ২৫, ১১৫ অর্থাৎ ৪৩.৫০ গড়ে ১৭৪ রান। ইমরুল গত ৩ বছরে শুধু ২ টি টেস্টই খেলেছে। (এখন আপনি বলতে পারেন, ইমরুলকে বাদ দেয়া হল কেন! ইমরুলকে বাদ দেয়া হয়েছে, কারণ ওর লাস্ট টেস্টের ৯ ও ২৫ রান যথেষ্ঠ ছিল না। আবার ওয়েস্ট-ইন্ডিজ সিরিজে ৩ ওয়ানডেতে তার ইনিংসগুলো ছিল ১, ১, ৯ অর্থাৎ ৩.৬৭ গড়ে মাত্র ১১ রান। তাই এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলে সুযোগ পায় নি। ) বাংলাদেশ দলের রিজার্ভে এখন টেস্ট খেলতে নামানোর মতো আর কোন ওপেনার কি আছে?? থাকবে কিভাবে!! দেশে কোন ঘরোয়া ক্রিকেট লীগ হলেই না থাকবে। সেই যে ৫ মাস আগে মে মাসে জাতীয় লীগ শেষ হয়েছে এরপর আর কোন ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট লীগ হয় নি। বিসিবির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যখন ঢুকি তখন Domestic News এর লেটেস্ট নিউজ দেখতে হয় সাড়ে ৪ মাস আগের সিলেট জেলা বনাম নঁওগা জেলার ম্যাচের খবর। সাড়ে চার মাস আগের এটাই যদি এখনো আমাদের ডমেস্টিক ক্রিকেটের লেটেস্ট নিউজ হয়, তাহলে আপনি জাতীয় দলের কোন প্লেয়ারের রিপ্লেসমেন্টটা পাবেন কোথায়? ওপেনিং-এ আমাদের ৩-৪ জন প্লেয়ার ফিক্সড। তারা সবাইই খারাপ খেলছে। মাঝে মাঝে ২-১ ইনিংস ভালো খেলে। কিন্তু কেউই প্রত্যাশা মেটাতে পারছে না। আজকে আনামুল খারাপ খেলেছে, আপনি ইমরুলকে নিলেন। কাল ইমরুল খারাপ খেলল, আপনি শামসুরকে নিলেন। এরপর শামসুর খারাপ খেলল আপনি আবার আনামুলকে আনলেন। ওদিকে তামিম ফর্মে ফেরার চেষ্টা করলেও ফর্ম ধরে রাখতে পারছে না। আমাদের এই ৪ জন ওপেনারের মধ্যে তামিমই কিন্তু প্রথম চয়েজ। আগের পারফরমেন্স বলেন আর সাম্প্রতিক সময়ের পারফরমেন্স বলেন, তামিমই হচ্ছে আমাদের ফার্স্ট চয়েজ। পরের টেস্টে হয়তো শামসুরের জায়গায় আনামুলকে দেখা গেলেও যেতে পারে। এরপর যদি আনামুল খারাপ খেলে, তাহলে শেষ টেস্টে হয়তো দেখা যাবে শাহরিয়ার নাফিসকেই নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ দলে চান্স পেতে হলে নিজের পারফরমেন্স ভালো না হলেও চলে। অন্যরা খারাপ পারফরমেন্স করলেই দলে সুযোগ হয়ে যায়। নইলে আনামুলের টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়ার কোন যুক্তিই আমি দেখতেসি না। আনামুলের কোন পারফরমেন্সটা দেখে তাকে দলে সুযোগ দেয়া হল!! কারণ নির্বাচকদের হাতে তো আর কোন অপশন খোলা নেই। আজকে আমরা তামিমের রিপলেসমেন্ট পাচ্ছি না। গত ৮ বছরে সাকিবের মতো আরেকটা প্লেয়ার আমরা তৈরী করতে পারি নি। আমাদের দলের সেরা খেলোয়ার মুশফিককে ছাড়া তো এখন ব্যাটিং লাইন-আপ চিন্তাই করতে পারি না। মিডল অর্ডারে মুশফিকের রিপ্লেসমেন্টই বা আমরা কবে পাব? আজকে নাসির অফ ফর্মে। নাসিরের রিপলেসমেন্টও আমাদের খুজতে হবে। শুভাগত এখনো নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে নি। শুধু বলতে পারি রাজ্জাকের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে আরাফাত সানি-তাইজুল ইসলামকে পেয়েছি আর পরবর্তিতে মাশরাফির রিপলেসমেন্ট হতে পারে তাসকিন। আমাদের আরেকটা সমস্যা আছে। নতুন কোন প্লেয়ার ভালো করলে তাঁর জায়গায় আগে পুরনো যেই প্লেয়ারটা খেলত তাকে ভুলে যাই। আমরা ইমরুল-জুনায়েদকে পাবার পর ভুলে গিয়েছিলাম শাহরিয়ার নাফিসকে। আর এখন তো সেই জুনায়েদকেও ভুলে গেছি। আগে রাকিবুল হাসান ছিল মিডল অর্ডারের আস্থা। তাকেও আমরা ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি। নাঈম ইসলামের মতো একজন ধৈর্য্যশীল ব্যাটসম্যানকে আমরা টেস্টে খেলাচ্ছি না যার ফার্স্ট ক্লাস গড় ৪০+, নাঈমের টেস্ট গড় ৩২ যা অনেকের চেয়েও ভালো। মাত্র ৮ টেস্টে সে খেলেছে প্রায় ১২০০ বল। মমিনুল বাদে গড়ে প্রতি টেস্টে নাঈমের চেয়ে বেশি বল আর কেউ খেলে নি। কয়েক দিন আগেই জিম্বাবুয়ে এ দলের বিপক্ষে ৪৩.৫০ গড়ে ২৭৯ বলে ৮৭ রান করেছিল। ফার্স্ট ক্লাসে প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করলেও সুযোগ মিলছে না। বাংলাদেশ দলের প্রত্যেকটা প্লেয়ারের প্রতি আমাদের অনেক মায়া ও ভালোবাসা আছে। কাউকেই বাদ দিতে ইচ্ছা করে না। পারলে সবাইকেই খেলাতে চাই। কিন্তু যেই ১১ জনকে আমরা নামাবো, তাদেরকে হতে হবে বেস্ট। বর্তমান দলে মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ আর মমিনুল ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যানেরই টেস্ট খেলার টেমপারমেন্ট নেই। টেস্ট খেলার মানসিকতা গড়ে তোলার প্লাটফর্মই হচ্ছে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট। যত দিন পর্যন্ত না ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের স্ট্রাকচার ঠিক না হচ্ছে ততোদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে ভালো করা শুরু করবে না।
Posted on: Wed, 29 Oct 2014 10:54:21 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015