বিশ্ব ইতিহাস... মানুষ - TopicsExpress



          

বিশ্ব ইতিহাস... মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে... সত্য চিরকালই সত্য... শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান। দুইজন নেতা। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টও ছিলেন। তাদের মৃত্যুর পর কেমন ছিলো দেশ ও বিদেশের মানুষের প্রতিক্রিয়া? আসুন জানি দেশ-বিদেশে তাদের কর্ম দিয়ে কেমন ছিলেন তাঁরা... আসুন জেনে নেই তৎকালীন দেশ-বিদেশের তাদের মৃত্যুর পরের সেই খবরগুলোঃ- ➫ ১৫ই আগস্ট নিয়ে তখনকার দেশ ও বিদেশের পত্রিকার নিউজ যেভাবে এসেছিলো- ☞ মুজিবের পতনের পর আগষ্ট ১৭, ১৯৭৫ সাল ইত্তেফাকে লিখেছে- জনসাধারনের স্বস্তির নিশ্বাস। মুজিব হত্যায় মানুষজন স্বস্ত্যির নিঃশ্বাস ফেলছে এমন কি মানুষজন ঈদের খুশির মতো কোলাকুলি ও করেছে। ☞ হংকং থেকে প্রকাশিত একটি আন্তর্জাতিকমানের সাপ্তাহিক পত্রিকা “ফার ইষ্টার্ন রিভিউতে ২৯ আগষ্ট সংখ্যায় শেখ মুজিবের পতনের কারন নিয়ে বিশ্লেষন করা হয়েছে। বিশ্লেষনে পরিস্কার লেখা আছে- অহং সর্বস্ব কর্তৃত্ববাদ, ব্যাক্তিগত অতিরিক্ত ক্ষমতার মোহ এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যাবলী নিরসনে অক্ষমতা শেখ মুজিবের পতন ডাকিয়া আনে। এই পত্রিকায় আরো বলা আছে, স্বাধীনতা পাওয়ার পর ১৯৭৫ সালের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠল যে শেখ মুজিব যে আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে সে আসনের তিনি উপযুক্ত না। এমনকি পাকিস্তানী শাষনের আড়াই দশকেও এই ধরনের মুদ্রাস্ফীতি, দুর্নীতি কালোবাজারী সংস্কৃতি দেখা যায়নি। ফার ইষ্টার্ন রিভিউয়ের মতে প্রথমতঃ তাহার অতিরিক্ত ব্যাক্তিগত ক্ষমতার মোহ ছিল, দ্বিতীয়তঃ তাহার একটি হীনমন্যতা ছিল তার শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাবজাত, তৃতীয়তঃ বাংলার বুদ্ধিদীপ্ত তর্কবাজ বুদ্ধিজীবিদের সাথে শেখ মুজিব কখনো সহজ হতে পারেনি, প্রাজ্ঞ আমলাদের সহিত ও তিনি কখনো স্বাচ্ছ্যন্দ অনুভব করেন নি। ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। মুজিব নিহত। ☞ ডেইলি টেলিগ্রাফঃ ১৬ ই আগষ্ট লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলী টেলিগ্রাফে মুজিব হত্যা নিয়ে বলা আছে সেনাবাহিনীর প্রতি শেখ মুজিবের অনাস্থা এবং নিজের ক্ষমতা সংহত করার উদ্দ্যেশ্য ব্যক্তিগত বাহিনী পোষনই শেখ মুজিবের নিহত হবার প্রধান কারন। ওই একই আর্টিকেলে শেখ মুজিবকে শোচনীয় রকম দূর্বল শাষক বলে অভিহিত করা হয়েছে। আরো বলা আছে চোখের সামনে তাহার পার্শ্বচরদের এবং দেশ ব্যাপী চরম দূর্নিতীর সাথে আপোষ ও মুজিব পতনের অন্যতম কারন। ☞ গার্ডিয়ানঃ ১৬ই আগষ্ট গার্ডিয়ান লিখেছে, মান্ধাতা রাজনীতিকদের মত হীন ধূর্ততা শেখ মুজিবকে তলিয়ে দিয়াছে। নিজের মর্যাদা পূনোরুদ্ধার এবং পরিস্থিতি অনুকূলে আনার উদ্দ্যেশ্যে একচেটিয়া ক্ষমতার দাপট ও বামপন্থার পায়তাড়া মুজিব পতনের কারন হিসাবে এই পত্রিকাটি দেখিয়েছে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে দেশ স্বাধীন হবার পর ১২০০ কোটি পাউন্ড ষ্টার্লিং বৈদেশিক সাহায্য পাবার পরও দেশে দূর্ভিক্ষ আর দূর্নিতীবাজ চাটুকারদের দ্বারা পরিবৃত শেখ মুজিব অন্ধের মত তাদের সাপোর্ট দেয়া তার পতনকে ত্বরান্বিত করে। সবশেষে গার্ডিয়ান লেখে, মুজিব তার দেশের নিকট অনেক অঙ্গীকার দিয়েছেন কিন্তু কার্যকরী করেছেন খুব কম। ☞ সানডে টাইমসঃ সানডে টাইমসের ১৭ই আগষ্ট ১৯৭৫ এ এ্যান্থনী মাসকারেনহাস লিখেছেন চার বছরের মাঝে শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু থেকে বঙ্গশত্রুতে পরিনত হয়েছে। তিনটি কারনে মুজিবের পতন হয়েছেঃ- ➶ প্রথমতঃ নিজে সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হয়েও সেনাবাহিনীর সাথে বিমাতাসূলভ আচরন, এক্ষেত্রে তিনি মেজর ডালিমের স্ত্রীকে শেখ মুজিবের অনুচর গাজী গোলাম মোস্তফা কৃত অপমানের কথা উল্লেখ্য করেন। মেজর ডালিমের স্ত্রীকে গাজী গোলাম মোস্তফার ভাই নিগৃহিত করলে প্রতিশোধ স্পৃহায় তিন ট্রাক আর্মি অফিসার গাজীর বাড়ী ঘেরাও করে। গোলাম মোস্তফা জানের ভয়ে শেখ মুজিবের বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখানে মেজর ডালিম উপস্থিত হলে তুমুল কথাকাটির পর মেজর ও তার স্ত্রীকে ছাড়িয়া দেবার আগে মুজিব জওয়ানদিগকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দ্যেশ্যে চরম গাল-মন্দ করে এবং পরে নয়জন অফিসারকে বরখাস্ত করে। ➶ দ্বিতীয় কারনঃ ইসলামের অমর্যদা, ১৯৭২ সালের প্রনীত সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসাবে স্বীকৃত দেয়া হয়নি। “হাজার মসজিদের নগরী”র বাসিন্দাদের প্রানের দাবী ছিল ইসলাম হোক রাষ্ট্রীয় ধর্ম। ➶ তৃতীয়তঃ মুজিব জনগনের নিকট আকাশ কুসুম প্রলোভন দিত। এ প্রসঙ্গে আদমজী জুট মিলে বেতন দেবার ব্যাপারটি এ্যান্থনী মাসকারেনহাস উল্লেখ্য করেন। এই বেতন দেয়া প্রসঙ্গে জাতিসঙ্গের এক কর্মচারী মন্তব্য করেন, “বঙ্গবন্ধুই বলে দিতেন আজ রোদ উঠবে না বৃষ্টি হবে”। ☞ মুজিবের মৃত্যুর পরের দিন August 16, 1975 নিচের লেখাটি টেলিগ্রাম পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন অ্যাম্বেসেডর বোস্টার সাহেব! যিনি মুজিবের বন্ধু প্রতীম ছিলেন! যিনি মুজিবের বন্ধু প্রতীম হওয়ার কারনে আওয়ামী বুদ্ধিজীবি, কলামিস্ট, সাংবাদিকদের কাছে খুবই প্রিয়পাত্র! ⇛ মুজিবের পতনে (বাংলাদেশের) জনসাধারন কোন শোকানুভূতিই দেখায়নি, বরঞ্চ নীরব সমর্থন দিয়েছে, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে । ⇛ যতোটা সহজে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে (মুজিব হত্যার পর) সেটা এটাই ইংগিত করে মুজিব কতোটা জনশত্রুতে পরিনত হয়েছিলেন জনগনের আশা আকাংখা পূরনে ব্যর্থতা এবং ব্যক্তিগত দম্ভ - পারিবারিক শাহীত্ব কায়েম করার জন্য ব্যাপকভাবে ক্ষমতা মুঠিবদ্ধ করে । ⇛ একজন স্বৈরাচারীর স্বাভাবিক মানসিক ঔদ্ধত্যে ভুগেছেন (মুজিব)। ☞ প্রয়াত জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদর রাজনৈতিক উপন্যাস দেয়াল থেকে নেওয়া শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর মানুষের প্রতিক্রিয়ার একটি অংশঃ- বঙ্গবন্ধুর অতি কাছের মানুষ তার রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ বসে আছেন রক্ষীবাহিনীর সদর দপ্তর সাভারে। আতঙ্কে তিনি অস্থির। বঙ্গবন্ধু নিহত হলেন। বঙ্গবন্ধুকে রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রক্ষীবাহিনী ঝিম ধরে বসে আছে। একসময়ের সাহসী তেজি ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদও ঝিম ধরে বসে আছেন। শুরু হয়েছে ঝিম ধরার সময়। রাস্তায় মিছিল বের হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, সেই মিছিল আনন্দ মিছিল। শফিক বাংলামোটরে গিয়ে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখল। সেখানে রাখা ট্যাংকের কামানে ফুলের মালা পরানো। কিছু অতি উত্‍সাহী ট্যাংকের উপর ওঠে নাচের ভঙ্গি করছে। আমার বাবর রোডের বাসার কথা বলি। বেতারে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে একতলার রক্ষীবাহিনীর সুবেদার পালিয়ে গেলেন। তার দুই মেয়ে ছুটে এল মার কাছে। তাদের আশ্রয় দিতে হবে। মা বললেন তোমাদের আশ্রয় দিতে হবে কেন? তোমরা কি করেছ? তারা কাঁদো কাঁদো গলায় বলল, খালাম্মা, এখন পাবলিক আমাদের মেরে ফেলবে। এই ছোট্ট ঘটনা থেকে রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার এবং তাদের প্রতি সাধারন মানুষের ক্ষোভ ও ঘৃনাও টের পাওয়া যায়। (দেয়াল, পৃষ্ঠা-১০৭)। ☞ ➫ এইবার আসুন জানি প্রেসিডেন্ট জিয়ার মৃত্যুর পরে দেশ বিদেশের প্রতিক্রিয়ার খবর কি ছিলো! প্রথমেই প্রয়াত জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদর রাজনৈতিক উপন্যাস দেয়াল থেকে নেওয়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তৎকালীন সময় সম্পর্কে কয়েকটা উদ্ধৃতি- ➫ জিয়াউর রহমানের পাঁচ বছরের শাসনে প্রতি মাঘের শেষে বর্ষন হয়েছিল কিনা তা কেউ হিসাব রাখেনি, তবে এই পাঁচ বছরে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি। অতি বর্ষনের বন্যা না, খরা না, জলোচ্ছাস না। দেশে কাপড়ের অভাব কিছুটা দূর হলো। দ্রব্যমূল্য লাগাম ছাড়া হলো না। বাংলাদেশের নদীতে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়তে লাগলো। বাংলাদেশের মানুষ মনে করতে লাগলো অনেক দিন পর তারা এমন এক রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছে যিনি সত্‍। নিজের জন্য বা নিজের আত্নীয়স্বজনের জন্য টাকা পয়সা লুটপাটের চিন্তা তার মাথায় নেই। বরং তার মাথায় আছে দেশের জন্য চিন্তা। তিনি খাল কেটে দেশ বদলাতে চান। জিয়া মানুষটা সত্‍ ছিলেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। লোক দেখানো সত্‍ না, আসলেই সত্‍। তার মৃত্যুর পর দেখা গেল জিয়া পরিবারের কোনো সঞ্চয় নেই। (দেয়াল, পৃষ্ঠা-১৯৩)। ➫ তারিখ ৩০ মে রাত এগারোটা। জিয়া প্রান হারান তার একসময়ের সাথী জেনারেল মঞ্জুরের পাঠানো ঘাতক বাহিনীর হাতে। বলা হয়ে থাকে, জেনারেল মঞ্জুর তার রুপবতী স্ত্রী দ্বারা পরিচালিত ছিলেন। এই স্ত্রী মঞ্জুরের শেষ দিন পর্যন্ত তার সঙ্গী ছিলেন। সেনা অভ্যুত্থান ঘটানো এবং জিয়া হত্যার পেছনে প্রলয়ংকারী স্ত্রী-বুদ্ধি কাজ করতে পারে। সে সময় জিয়ার মৃত্যুতে সারা দেশে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভ করতে থাকে। তা দেখে মনে হল, এই যেন পুরো দেশ কাঁদছে। (দেয়াল, পৃষ্ঠা-১৯৬)। ➫ জুন ১ / ১৯৮১ / ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল- জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশের করুণ আত্মসমর্পণ। ➫ নিউইয়র্ক টাইমস ৩০ শে মে জিয়া ছিলেন একজন দৃঢ় নেতা যিনি তার দেশকে একটি রাস্তা দেখাতে চেয়েছিলেন। ৬ বছর আগে যখন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন তিনি তখন একজন দৃঢ় নেতা হিসেবে অভিনন্দিত হয়েছিলেন যেমনটা সেসময় সংকটাপন্ন জাতিটির প্রয়োজন ছিলো... কিন্তু তার প্রতিপক্ষরাও স্বীকার করে - পশ্চিমা দেশ এবং আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলো থেকে বরাদ্দ দেয়া টাকা জিয়া এমনভাবে ব্যবহার করছিলেন যে দেশটি অতি জনসংখ্যা আর দারিদ্রের মুখোমুখি জিতে যাচ্ছিলো। ➫ জুন ৮ / ১৯৮১ / টাইমস: রিকশার গায়ে ঝোলানো ছিলো নিহত ব্যক্তিটির কালো বর্ডারের ছবি। শোকার্ত কৃষকরা রোজা রেখেছিলো। প্রায় ২০ লক্ষের মত ভারাক্রান্ত মানুষ ঢাকার রাস্তায় নেমে এসেছিলো দেশটির ২য় প্রেসিডেন্ট এবং দুর্ভাগ্য জর্জরিত জাতিটির আত্নসম্মান অর্জনের প্রতীক হয়ে ওঠা জিয়াউর রহমানের জন্য শোক জানাতে। সেনাবিদ্রোহীদের হাতে জিয়াউর রহমানের মৃত্যু অনেকের কাছে দেশটির ভবিষ্যত ধূলিস্মাৎ হয়ে যাওয়ার মত! এখন উন্নতি থেমে যাবে, দেশ আবার দুর্দশার দিকে যাবে... এমনটাই বলছিলেন রেলওয়ের ৫০ বছর বয়সী করনীক তাজুল ইসলাম - এখন আর কোন ভালো নেতা নেই। রিপোর্টটির শেষাংশে জিয়া হত্যাকান্ডের জন্য ভারতকে সন্দেহ করা হয়েছে দক্ষিণ তালপট্টির মালিকানা নিয়ে যেটি ছিল সম্ভাব্য একটি তেলক্ষেত্র.... জিয়া ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল নেতা যিনি অনাড়ম্বর জীবন যাপন পছন্দ করতেন যেখানে অন্যরা দুর্নীতি প্রিয় ছিল এবং বিরামহীনভাবে দেশটির অতি দারিদ্রের সমাধান খুঁজে বেড়িয়েছেন। ➫ জুন ৩ তারিখে লন্ডন টাইমসে ট্রেভর ফিশলক জিয়ার জানাজা কাভার করে একটি রিপোর্ট করেন যার শিরোনাম ছিলোঃ মর্নিং নেশন ফেসেস ক্রিটিকাল টেস্টিং টাইম / শোক ভারাক্রান্ত জাতি একটি গভীর সংকট সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। এটি ছিলো একটি অসামান্য মুহুর্ত যখন এত বিশাল একটি জনসমাগম নীরব হয়ে গেলো এবং প্রার্থনারত হলো... বাংলাদেশ খুবই বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে এবং এ বিষয়ে কোন সন্দেহই নাই যে দেশটির সাধারন মানুষ একটি বিরাট ক্ষতি ( জিয়ার মৃত্যুতে ) অনুভব করছে। ➫ জিয়ার একমাত্র সমালোচক আন্তর্জাতিক গন মাধ্যম ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ান কি ছাপিয়েছে জুন ৭ , ১৯৮১ তে? তাদের শিরোনাম ছিলোঃ Bangladesh After Zia : A dangerous, desperate void জিয়ার মৃত্যুর পর বাংলাদেশ : একটি বিপদজনক আগ্রাসী শুন্যতা বিস্তারিতঃ- জিয়া খাদ্য উৎপাদন জোরদার করেছিলেন এবং শিল্প বিপ্লব শুরু করেছিলেন। রাজনীতিবিদ কিংবা সামরিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যু বাংলাদেশের সাধারন গ্রামান্চ্ঞল গুলোতে ন্যুনতম প্রভাব রাখে এবং ঢাকা - চট্টগ্রামের ভেতরে ক্ষমতার টানাপোড়েন একেবারেই গুরুত্বহীন। কিন্তু জিয়া গ্রামগুলোর সাথে সম্পর্কের সুতো তৈরী করেছিলেন... পল্লী জীবনমানে গতি এবং সম্ভাবনা তৈরী হয়েছিলো। এখানে সেখানে দুর্যোগ অল্প মাত্রায় হলেও কমছিলো। ➫ এই একই দিনে ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ান আরো একটি কলাম ছাপিয়েছিলো জিয়ার উপর... শিরোনাম ছিলঃ শক্তিশালী নেতা জিয়ার মৃত্যুতে দেশটির স্থিতিশীলতা সামান্যতে গিয়ে ঠেকেছে। পাঠক বন্ধুগণ... তুলনা, মিল, ভালোবাসায় সিক্ত, জনপ্রিয়তা এইগুলা পরীক্ষিত জিনিস, মন থেকে আসতে/মানতে হয়। সম্মান ভালোবাসা এইগুলা জোর জবর দখল করে হয় না। এইবার মিলিয়ে নিন আপনারা, কে কেমন ছিলো... বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়! তাই নয় কি?
Posted on: Sun, 12 Oct 2014 19:34:05 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015