বিসিএস প্রিলিমিনারি - TopicsExpress



          

বিসিএস প্রিলিমিনারি - আপনি কি প্রস্তুত? ৩৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি। ২০০ নম্বরের এই প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার প্রস্তুতি পরামর্শ বিষয়ে আমাদের তিন পর্বের ধারাবাহিকের আজ দ্বিতীয় পর্ব। ইংরেজি ও বিজ্ঞান নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন মো. মোরশেদুর রহমান তালুকদার [৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয়] পরীক্ষার দিন কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের ওপর চাপ বাড়ছে। এ চাপ সামলে নিজেকে যতখানি প্রস্তুত করা যায়, পরীক্ষায় সফল্যের সম্ভাবনা ততই বাড়ে। এবার প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবণ্টন সুনির্দিষ্ট হওয়ায় প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হলেও প্রতিযোগিতা বাড়বে। প্রতিটি বিষয়ই গুরুত্ব দিয়ে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। ইংরেজি ও বিজ্ঞানের প্রতি পরীক্ষার্থীদের ভীতি থাকে। কিন্তু দৈনন্দিন রুটিনে রেখে অনুশীলন করলে বিষয় দুটি সহজ হয় এবং পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব হয়। ইংরেজিতে ৩৫ নম্বর। এর মধ্যে Language অংশে ২০ ও Literature অংশে ১৫। Language অংশের ২০ নম্বর Grammar-এর Basic বিষয়গুলো নিয়েই সন্নিবেশিত। Parts of Speech, Idioms and Phrases, Clauses, Corrections, Transformation of Sentence-এর নিয়মগুলো উদাহরণসহ বেশ গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। প্রত্যেকের মধ্যে যেকোনো একটি বিশেষ Grammar বইয়ের প্রতি আগ্রহ থাকে। এ ছাড়া সব বইয়েই Grammar-এর নিয়মগুলো একই থাকে, তাই যেকোনো একটি ভালো মানের বই থেকে পড়া যেতে পারে। তবে Idioms & Phrases, Group Verbs, Articles, Preposition, synonyms, Antonyms, Spelling একাধিক বই থেকে বাছাই করে পড়া যেতে পারে। এবার Literature অংশে বেশ গুরুত্ব দিতে হবে। এর আগের পরীক্ষাগুলোর Literature থেকে দু-তিনটি প্রশ্ন এলেও এবার সেখান থেকে ১৫ নম্বর থাকবে। এ ক্ষেত্রে English Literature-এর যুগবিভাগ করে Elizabethan Period-এর পর থেকে 21st Century পর্যন্ত বিখ্যাত সাহিত্যিকদের এর গুরুত্বপূর্ণ Literary works ভালোভাবে জানতে হবে। বিভিন্ন সাহিত্যিকের ছদ্মনামও জানতে হবে। বিখ্যাত সাহিত্যকর্মের গুরুত্বপূর্ণ উক্তি/ পঙ্ক্তি পড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক বইয়ের এ অংশগুলোকে Compile করে সাজিয়ে পড়া যেতে পারে। আগে বিজ্ঞান বিষয়টি সমন্বিত থাকলেও এবার সাধারণ বিজ্ঞানে ১৫ নম্বর। সাধারণ বিজ্ঞানকে তিনটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে—ভৌতবিজ্ঞ ান (৫ নম্বর), জীববিজ্ঞান (৫ নম্বর) ও আধুনিক বিজ্ঞান (৫ নম্বর)। এ ক্ষেত্রে সাধারণত প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহৃত বিজ্ঞানের অভিজ্ঞতার আলোকে অর্জিত সাধারণ উপলব্ধি থেকেই প্রশ্ন করা হয়। মাধ্যমিক পর্যায়ের সাধারণ বিজ্ঞানের বইগুলো রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। সিলেবাস ধরে ধরে এ অংশের বিষয়গুলোর একেবারে প্রাথমিক ধারণাগুলো আয়ত্তে আনতে পারলেই একটা ভালো প্রস্তুতি হবে আশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও বিজ্ঞানীদের অবদানগুলো খাতায় নোট করে পড়া যেতে পারে।
Posted on: Fri, 05 Dec 2014 09:04:47 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015