বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক সহকর্মীকে দেখলাম ফেসবুকে একটি প্রশ্ন কাগজে টুকে নিচ্ছেন। কাছে গিয়ে দেখলাম প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ধর্ম পরীক্ষার প্রশ্ন। পরিবারে কোনো পরীক্ষার্থী না থাকায় ওই সময় বুঝতে পারিনি যে পরদিন ধর্ম পরীক্ষা। রাত ১২টার দিকে স্কুলেরে এক বন্ধু ফোন দিল, দোস্ত একটা পেজ প্রিন্ট দিতে হবে, তুমি কি অফিসে আছ? সেই জানালো কাল ধর্ম পরীক্ষা, প্রশ্ন পাওয়া গেছে। বললাম, এগুলো ভুয়া প্রশ্ন। সে জানালো, বিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্ন হুবহু বাধছে। আমি লা-জবাব।। গত কয়েক দিন কয়েকটি রিপোর্টের জন্য বিভিন্ন স্কুল, শিক্ষা অফিস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘুরতে হয়েছে। বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে বের হওয়ার সময় সাথে থাকা Nur Islam Rocky কে বলছিলাম। সরকারের সব থেকে বড় সাফল্য শিক্ষা বিভাগে। বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া এবং নতুন বই নিয়ে শিক্ষার্থীদের যে অানন্দ...অাহা! মন ভরে যায়।। তবে সব অর্জন নষ্ট হচ্ছে এই প্রশ্ন ফাঁসে। জেএসসি পরীক্ষার সবপ্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বললেন এসব মিথ্যা। আজ প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রেসনোট দিয়েছে প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসের খবর গুজব। তাহলে আমি যে প্রশ্ন পেলাম সেটা কি? ভুল স্বীকার এবং সংশোধন না করে আমাদের কোমলমতি শিশুদের যে চৌর্যবৃত্তি সেখানে হচ্ছে এর দায় কে নেনে ?
Posted on: Thu, 27 Nov 2014 04:23:33 +0000