ভারতবিদ্বেষ পাকিদেশ - TopicsExpress



          

ভারতবিদ্বেষ পাকিদেশ টিকিয়ে রাখার একমাত্র মন্ত্র হিসেবে পান্জাবীরা সেই 47 সালেই গ্রহণ করেছিল। সেই ধারায় আমাদেরকে ওরা হিন্দু অধবা হিন্দু ঘরানার মুসলমান বলে প্রচার করতো। পরবর্তীতে 71 সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও ভারতবিরোধী প্রচারণা এবং গুজব চলছিল কিছুটা প্রকাশ্যে এবং বেশিরভাগ গোপনে। 75- এ পরাজিত শক্তি জে জিয়ার হাত ধরে ক্ষমতায় এসে ভারতবিরোধী প্রচারনাকে সরকারিকরন করল। জে জিয়া নিষিদ্ধ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিলেন। ভারতবিরোধী প্রচারণার পাশাপাশি বেগম জিয়া আজস তাই ঐ রাজাকারদের রাজনীতি করতে দেয়ার সুযোগকে বহুদলীয় রাজনীতি বলে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। যা বলছিলাম, ভারতবিদ্বেষ পাকিদের ন্যায় বাংলাদেশেরও সরকারি অবস্থান হয়ে গেলো জে জিয়ার হাত ধরে। এরশাদ নতুন মাত্রা যোগ করলেন পবিত্র ইসলাম ধর্মকে যথেচ্ছা ব্যাবহার করে। ধর্মপ্রাণ বাঙালি এরশাদসম অসত্ এবং দুশ্চরিত্রের একটা লোকের ইসলামের নামে সব অপকর্ম বরদাস্ত করলো। বেগম জিয়ার আমলে ভারতবিদ্বেষ এবং পাকি প্রেম আরেকটা নতুন মাত্রা পেল জামায়াত এবং আইএসআইয়ের সহায়তায়। সরাসরি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোকে আশ্রয় এবং অস্ত্র সরবরাহ করে। একটা দারুন সফলতার দিকে এগুচ্ছিলো পাকিদের foreign policy program. আমাদের বেগম জিয়া আমাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে পাকিদের বৈদেশিক নীতি প্রতিষ্ঠার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করলেন। এবং ওনার উদ্দ্যমে কোন ভাটা পরেনি বয়সে ভাটা পরলেও। এদিকে পাকিদের নিজেদের দেশের অবস্থা সবাই আমরা কমবেশি জানি। যে ভগ্নাংশটুকু এখনো পাকিদেশ নামে পরিচিত, সেটার চারটি ভুখণ্ডে চারটি পরস্পরবিরোধী জাতিস্বতার বসবাস। বালুচ্ নামে জনগোষ্ঠীর ভাগে পরেছে বর্তমান পাকিদেশের আর্ধেক অংশ এবং এই বালুচরা স্বাধীনতা চায়। মার্কিন কংগ্রেস বছর কয়েক আগে একটা বিল পাশ করেছে, যদি স্বাধীকার না পায় ( অনেকটা আমাদের ছয় দফার মত ) তাইলে বালুচদের স্বাধীনতা ঘোষণার আহবান সম্বলিত। পাকিরা বালুচদের ধরে রাখার জন্যে সম্পূর্ণভাবে সামরিক শক্তির উপর নির্ভরশীল থাকছে, মোটেই বালুচদের সাথে কোন সমঝোতায় আসতে চায়না। প্রধানত ওদের আর্মি ওটা চায়না, কারণ ভারতবিদ্বেষ এবং বালুচ দমন কর্মসূচি না থাকলে এই ব্যার্থ রাষ্ট্রের এতোবড় সেনাবাহিনীর যৌক্তিকতা মানুষের কাছে প্রমাণ করা মুশকিল। সেই জন্যই মাঝেমধ্যে ভারতের সঙ্গে একটা দুএক দিনের যুদ্ধ করতে হয়, আর বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী দমনের নামে মুক্তিবাহিনী নিধন করা হয়। পাকিদেশের শাসকদের নিজের কৃতিত্বের কথা বুঝানোর জন্যে আমাদের দেশের রাজাকার এবং খালেদা জিয়াকে ব্যাবহার করছিল আইএসআই ভারতের বিরুদ্ধে নতুন ফ্রন্ট দিয়ে প্রক্সি যুদ্ধ চালানোর জন্যে। এই কাজে সফলতা পেয়ে যাচ্ছিল ভালই, কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে একটু বেকায়দায় আছে। কিন্তু এইযে বেগম জিয়ার পিছনে এতো টাকা বিনিয়োগ করলো, এখন তাদেরকে পরিত্যাগ করলে আইএসআই বেগমকে এমনিতেই ছেড়ে দেবে কেন? আর ওনার পুত্রসন্তানকেই বা ছাড়বে কেন? প্রাণ রক্ষার জন্যই মা- ব্যাটাকে আইএসআইয়ের পক্ষে চিরজীবন ব্যাটিং করে যেতে হবে। আশা করি, বেগম জিয়ার বর্তমান অনড় অবস্হানের কারণ ব্যাখ্যা করতে পেরেছি। বেগম জিয়া জনবিচ্ছিন্ন, কিন্তু মধুর হেসে গ্রীবা বাঁকিয়ে আজো বলেন, এই সরকারের সল্পায়ু। হতেই পারে! কিছু প্রানী তর্জনগর্জন করে খুটির জোরে, আর বেগম জিয়া করেন আইএসআই এবং জামায়াতের ভরসায়! দেখা যাক কি হয়! -------------------------------------------------------------------------------- ক্রিকেটজগতে ভারতের পর বাংলাদেশের অবস্থান। জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে এবং টাকা উপার্জনের দিক বিবেচনায়। ভারতের জার্সি স্পন্সর করে সাহারা ভারতের ক্রিকেট এসোসিয়েশনকে কত টাকা দিত, জানা নাই। এইবছর থেকে ভারতকে আর সাহারা স্পন্সর করছেনা, করছে বাংলাদেশকে। এর জন্যে ওরা আমাদের ক্রিকেট এসোসিয়েশনকে দিচ্ছে 99 কোটি টাকা। নাহ্, ভুল লিখিনাই, অংকটা সঠিক। সাহারা বাঙালিকে ভালবেসে ঐ টাকাটা দিচ্ছেনা, দিচ্ছে ব্যাবসায়ীক বিবেচনা থেকে। এবারে বলি শ্রিনিবাসনের কথা। সে তার মনের বাসনা চরিতার্থ করার জন্যে অনেক কিছু করতে পারে। তার অতীতের কর্মকান্ড থেকে সেটা জানা যায়। পে একজন খাটি বেনিয়া, টাকা নর্দমা থেকে কামড়ে তুলতে পারে। আইপিএল এবং অন্যান্য যায়গা থেকে তার যা টাকা আসছিলো, সেটায় ভাটা পড়েছে বাংলদেশ স্পন্সর ভাগিয়ে নিচ্ছে বলে। বাংলাদেশের বাজারের উপর শ্রিনিবাসনের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, কিন্তু বাংলদেশ ক্রিকেটকে নীচে নামিয়ে দিতে পারলে স্পন্সররা আবার ভারতের ক্রিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে যাবে, এই আসায় বিসিসিআই বর্তমান অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া মার্কেট নেই বলে ঐ দেশগুলোর স্পন্সর সমস্যা অনেক। ভারতের সঙ্গে একই বাহনে চেপে বসলে ওদের বিশাল ক্রিকেট infrastructure টিকিয়ে রাখা সহজ হবে। তাই ওরা শ্রিনিবাসনের গাড়িতে চেপেছে। সাউথ আফ্রিকা সবসময় বর্নবাদবিরোধী বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা স্মরণ করে বলে নীতিগত কারণে এই ব্যান্ডওয়াগনে যোগ দেয়নি। তবে ঐরকম একটা ব্যাবস্থা ওদের ভোট ছাড়া পাশে হয়ে গেলে ওদের আপত্তি থাকবেনা। এই অৰস্হায় শ্রিনিবাসন কিছু কব্জিতে মোচ্কানো এবং কিছু বাত্সরিক নগদ টাকার লোভ দেখিয়ে শ্রিংকলা এবং আমাদের এসোসিয়েশনকে কিনেছিল মেজরিটি ভোটের আশায়। বাংলাদেশের পোলাপাইনগুলো সব শেষ করে দিল। আর ভাগ্য ভালো, লোটাস কামাল এখন মন্ত্রি, কাজেই দন্তবিহীন আইসিসি সভাপতি পদের প্রতি তাঁর আগ্রহ আপাতদৃষ্টিতে কম। এখন শুধু ভেটো পাওয়ারের অধিকার থেকে ঐ তিন/চারটা দেশকে বন্চিত রাখতে পারলেই এইযাত্রা রক্ষা পাবে ক্রিকেট। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু! (murubbi barta)
Posted on: Mon, 27 Jan 2014 03:53:07 +0000

Recently Viewed Topics




© 2015