ভালবাসা শব্দটার সাথে পরিচিতি শরতের উপন্যাস থেকেই! বাবা যখন ছোটবেলায় জোর করে বড়দিদি, শ্রীকান্ত কিংবা দেবদাস পড়াত তখন আসতে আসতে বুঝতে শিখি, একটু বড় হওয়ার পর অবশ্য আমিও সুনীল শরৎকে বাদ দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের খুব সাধারন ভালবাসায় বিশ্বাসী হয়ে উঠি! চোখে চোখে যে প্রেম হয় না তা বুঝতে অবশ্য অনেক সময় চলে গেছে, যখন বুঝলাম তখন আর প্রেম নিয়ে ভাবার সময়ের অভাবে পরে গেছি! কিন্তু তাও আমি বিশ্বাস করতাম ভালবাসা সব কিছুর উপরে, রূপ, ধর্ম, বয়স অর্থ সব কিছুর! ভালবাসবো নিঃস্বার্থ ভাবে, নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসতে আপনার অনন্ত হওয়া লাগবে না, আপনার একটু ইচ্ছা শক্তি যথেষ্ট! কিছুদিন আগে দুজন সেলিব্রেটির বিয়ে হলো, মানুষের কমেন্ট দেখে আমি আঁতকে উঠেছি! আমরা একটা নববিবাহিত কাঁপলকে শুভ কামনা না জানিয়ে এইসব বলছি! সেখানে আমি একটা কমেন্ট করেছি, অনেকে বললেন আপনার কি আসে যায়! আমার আসলে কিছুই আসে যায় না, তারা আমার খায় ও না পরেও না, আমিও তাদের খাই না পরিনা! কিন্তু কালকে যখন আমি আমার বিয়ের ছবি দিব তখন ৭টা শুভেচ্ছার সাথে ১টা মুই কি হনুরে কমেন্ট আর ২টা গালি থাকবে, আমি জানি! ভাই দুজন মানুষ যখন একে অন্যকে নিয়ে খুশি থাকে তাতে আমাদের কি আসে যায়? যাইহোক আমি বিশ্বাস করতাম, ভালবাসা হল দুনিয়ায় স্বর্গের অনুভূতি, বাবা মায়ের ভালবাসা, ভাইবোনদের ভালবাসা, আমার নিজের জিবনে আমার ভাগ্নি ঐশী কিংবা ভাইগ্না সীমান্তর ভালবাসা, কিংবা প্রেমিকেরই ভালবাসা এগুলার কোন সূচনা বা উপসংহার নেই, প্রেম এর ভাগ্য হয়তো প্রসুন ছিল না কখনই, ভুল করে গিয়েছি, হয়তো এখনো করে যাচ্ছি কিন্তু জীবনে ভালবাসার কোন অভাব হয়নি! খুব বেশি সরাসরি কথা বলি, ঘুড়িয়ে কিংবা অগোচরে বলতে পারি না, যেখানে আমাদের সমাজে লাজুক ও সহনশীল মেয়েই সবাই পছন্দ করে! তাই আমি ভাবছি কি লুকায় বিয়ে করবো, আমার জীবনের সবচেয়ে স্পেশাল দিনে অজানা অচেনা কেউ কটূক্তি করবে তা তো মেনে নেয়া যায় না তাই না? তারচেয়েও বরকথা আমরা অন্যের দিকে আঙুল তোলার সময় নিজেদের কথা ভুলে যাই, নিজের দিকে তাকান, আমি মোর দেন শিওর আপনি বয়সে বড় মেয়ে কিংবা, বয়সে ছোট ছেলেকে বিয়ে করার চেয়ে অনেক বড় অন্যায় করেছেন, ইনফেক্ট এইটা কোন অন্যায় না, সব ধর্মেই এর প্রচলন আছে! আসলে আমরা কেউই পারফেক্ট না সুতরাং আরেকজনের ভালবাসায় বাগড়া না বাধানোই উত্তম।
Posted on: Thu, 07 Aug 2014 14:59:04 +0000