মানুষ হালকা একটু উপর - TopicsExpress



          

মানুষ হালকা একটু উপর লেভেলে উঠলেই দেখি বদলাইয়া যায়। আমার চোখে দেখা এমন হাজারো ঘটনা আছে যা আমার লেখার শিরোনাম এর সাথে মিলে যায়। তার ভেতর থেকে কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরলাম। ঘটনা: ১ আগে আমার এক বন্ধু আমাকে ছাড়া কিছু বুঝতোই না। খাইতে গেলে আমার দরকার, শুতে গেলে আমাকে দরকার, গার্লফ্রেন্ড এর অভিমান হলে আমাকে দরকার, আড্ডাবাজির জন্য আমাকে দরকার এরকম আরো হাজোরো কিছুর জন্য আমাকে দরকার ছিলো। আমাকে ছাড়া নাকি কোন কিছুর সমাধান হতোনা আমাকে ছাড়া নাকি কোন কিছু জমতোই না। কিন্তু দেখেন ভাজ্ঞের কি নির্মম পরিহাস আমি যেমনি ছিলাম তেমনি আছি এবং সে একটা মাল্টি ন্যাশন্যাল কোম্পানীতে জব করে। চাকরি এর বিজ্ঞাপন টা প্রথম আমিই দেখেছিলাম পরে তাকে দেখানোর পর সে বল্ল সে এই জব করতে ইচ্ছুক কিন্তু টাকা নাই দর্খাস্ত+ব্যাংক ড্রাফট এর জন্য। পরে আমি নিজের টাকা দিয়ে তাকে দর্খাস্ত ও ব্যাংক ড্রাফট করে দিয়েছিলাম। পরে তার চাকরীটা হলো এবং চাকরীতে জয়েন করার পর তিনমাস আমার সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতো এবং তার গার্লফ্রেন্ড এবং ফ্যামিলি খবরাখবর নিতো। এখন যোগাযোগ তো দুরের কথা ফোনেই রিসিভড করেনা। যদিওবা ভুলক্রমে করে তখন সে মিটিংয়ে থাকে। এমনকি তার মিটিং রাত ১২ টার পরেও থাকে। এবার ঈদে যখন বেড়াতে এসেছিলো সে আমাকে দেখেও না দেখার ভান করে সামনে দিয়ে তার গার্লফ্রেন্ড এর সাথে চলে গিয়েছিলো। তার পর থেকেই আমার ঐ বন্ধুর প্রতি মন উঠে গিয়েছে। তারপর ও আমার মনে কোন কষ্ট নাই কারণ আমার বন্ধু তো সুখে আছে। ঘটনা: ২ কিছুদিন আগেও আমার এক বন্ধু আমার বাই সাইকেলের পেছনের ছিট টা দখল করে ছিলো। আমার বাই সাইকেলের পেছনের ছিটটা জন্মই নিয়েছিলো নাকি ওর জন্য। কিন্তু ভাজ্ঞের কি নির্মম পরিহাস দেখেন আমার কাছে সেই বাই সাইকেলটিই আছে with পিছনের ছিট। কিন্তু আমার বন্ধুর এখন Apache RTR আছে তার বাপে তারে কিনে দিয়েছে বিদেশী টাকা দিয়ে। তার বাইকেও পিছনে ছিট আছে কিন্তু সেটা দখল করেছে তাকে তেল কিনে দেওয়ার মতো কিছু বন্ধু বান্ধব। সেদিন দেখা হয়েছিলো এলাকায়। আমি যাচ্ছিলাম হেটে হেটে স্ট্যান্ড পর্যন্ত বাসে করে একটা এলাকাতে বেড়াতে যাবো। দোস্তকে বল্লাম দোস্ত একটু স্ট্যান্ড পর্যন্ত দিয়ে আয়। সে বল্ল তার বাইকে নাকি ১০ হাত যাবার মত তেল নাই। আমি বল্লাম ওকে ঠিকাছে। আমি স্ট্যান্ডে পৌছানোর পির দেখি বন্ধু আমার স্পিড এনার্জী ড্রিঙ্ক খাচ্ছে তার উদায়মান তেল কিনে দেওয়া কিছু বন্ধুর সাথে। আমি দেখেও না দেখার ভান করে বাসে উঠে পড়লাম। সেদিন থেকে আমার ঐ বন্ধুর উপর থেকেও মন উঠে গেছে। তার পরেও মনে কোন কষ্ট নাই। কারণ আমার বন্ধুতো অনেক সুখে আছে। এরকম আরো অনেক ঘটনা আছে যা লিখে শেষ করা যাবেনা। তবে শেষ আরেকটি ঘটনা বলি। শেষ ঘটনা : একটা মেয়ে আমায় বলেছিলো পৃথিবী উল্টিয়ে গেলেও সে নাকি আমার হাত ছাড়বে না। বলেছিলো আমি ওকে যদি ছেড়ে যাই তবুও সে নাকি আমায় ছেড়ে যাবেনা (একদম আল্লাহর কীরে)। কিন্তু ভাজ্ঞের কি নির্মম পরিহাস দেখেন আমি যেমন ছিলাম তেমনি আছি। কিন্তু সে আল্লাহ খোদার দোহাই দিয়েও আমাকে ছেড়ে এক বড়োলোকের বউ। সেদিন আমি দিক ভ্রান্ত পথিক হইয়া এদিক সেদিক ঘুরিয়া বেড়াইতেছি। সেও ঘুরে বেড়াচ্ছে তার বড়োলোক জামাইয়ের সাথে। কানে, হাতে, নাকে, গলায়, পায়, কপালে সোনা জড়িয়ে। আমাকে দেখে তার জামাইয়ের হাত এত জোরে চেপে ধরেছে যে তার জামায় ব্যাথায় চিতকার করে উঠেছে। সেদিন থেকে তার উপরেও মন উঠে গেছে। তবুও কষ্ট নাই মনে কারন আমার কোন এক সময়ের সুভাকাংখি তো সুখে আছে। পরিশেষে এটুকুই বলতে চায় যে আমরা সবাই মানব জনম। আমাদের সবারি সৃষ্টি কর্তা মহান আল্লাহ তাআলা। আমাদের সবারি হাত, কান, মুখ চোখ আছে। আমরা সবাই মাটির তৈরী। বি: দ্র: কাউকে উতসর্গ করে কিছু বলা হয়নি কেও যেন আবার মাইন্ড খেয়ে বইসেন না।
Posted on: Tue, 02 Sep 2014 19:57:19 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015