মুসলিম নারীদের কাছে লেখা - TopicsExpress



          

মুসলিম নারীদের কাছে লেখা খ্রিস্টান সাংবাদিকের খোলা চিঠির অবশিষ্টাংশ নিউজ ক্যাপশন২৪.কম এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : চলচ্চিত্র, মিউজিক ভিডিও, নানা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ওরা পৃথিবীকে দেখাতে চায় মুক্ত যৌনাচার আর অবাধ স্বাধীনতায় আমেরিকার রমনীরা খুবই সুখি আর পরিতৃপ্ত। মিথ্যা একেবার ডাহা মিথ্যা। এরচেয়ে বড় ধোঁকা আর এরচেয়ে বড় জোচ্চোরি আর নেই। ওরা প্রচার করে রাতের আঁধারে খদ্দের স্বীকারি পতিতাদের মতো অশালীন পোষাক পরে আমরা খুবই গর্বিত। বিশ্বাস করো বোন আমার, এতে নিজেকে সস্তায় মুক্ত পণ্য হিসাবে নিজেকে বিকিয়ে দেয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা কুকুর ,বিড়াল সহ নানা পোষা প্রাণীকে এখন কাপড় পরাই আর নিজেরাই অন্যদিকে নগ্ন হয়ে যাই। ধিক এ সভ্যতাকে। বোন আমার বুঝতে পারছো এ কেমন বিষাক্ত বিষ। মিলিয়ন মিলিয়ন আমেরিকার রমনীরা আজ ডিপ্রেশানে ভুগছে। ফার্মেসির কাউন্টার এন্টি ডিপ্রেশান পিলে ভরে গেছে। রাতে ঘুমের পিল না খেলে আমাদের ঘুম হয়না। কাজের মাঝে আমরা অবসন্ন হয়ে পড়ি। প্রেমিকের নামে শত শত লম্পট আমাদের ব্যবহার করে ছুঁড়ে দিয়ে চলে গেছে। সন্তান, মাতা-পিতার বন্ধন, সংসারের সুখ ,সেই মধুর ভালোবাসা আজ বিলীন অথবা বিপন্ন। ওরা বুঝাতে চায় বিবাহ হলো দাসত্ব, মাতৃত্ব হলো অভিশাপ আর সবচেয় ভয়ঙ্কর হলো ওরা বুঝাতে চায় সতীত্ব রক্ষা করা, পুতপবিত্র থাকা ওল্ড ফ্যাশান ছাড়া আর কিছুই নয়। বিয়ের আগে কুমার, কুমারী জীবন নিয়ে ওরা হাসি তামাশা করে। পুরো সভ্যতাকে উল্টে দিয়ে অবাধ যৌনতা আর সমূদ্রফেনায়িত রাশি রাশি নিষিদ্ধ ভ্রুণের জন্মের নাম দিয়েছে ওরা আজ সভ্যতা। ওরা হলো সেই বিষাক্ত সাপের মতো যে ইভকে কামড়ে আঘাত করেনি, কিন্ত নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার প্রলোভন দিয়েছিলো। ঠিক তেমনি ওরা আজ আমাদের সরাসরি বোমা মারেনি, কিন্তু প্রতিটি রমনীর মুখে বিষাক্ত বিষের পেয়ালা তুলে দিয়েছে। আর সুখ স্বপ্নের নামে সে বিষ পান করে আমরা আজ দিশাহারা, উদ্ভান্ত, গন্তব্যহীন, সতিত্বহীন, এক অবৈধ মাতা-পিতা। কিন্তু আমি তোমাদের মাঝেই দেখি সেই সতীত্ব, সেই পূণ্যতা, সেই স্বর্গীয় সুষমা, সেই পবিত্র লাবণ্য, সেই স্নেহময়ী মাতা, সেই মমতাময়ী বোনের রুপ, সেই কর্তব্যপরায়ণা সংসারধর্মী রমণীর চির সুন্দর প্রতিচ্ছবি। ঠিক যাদের কথা বলো হয়েছে বাইবেলের Matthew 13:14 এ। জেসাস বলেন-Give not that which is holy unto the dogs, neither cast your pearls before swine, lest they trample them under their feet, and turn again and rend you.(Matthew 7:6) ঠিক তাই, আমরা নিজেদের সস্তা পণ্য করে খোলা বাজারে খুবই সস্তায় বিকিয়ে দিয়েছি। পণ্যের মান বাড়ানোর জন্য নিজেকে নিজেই সাজিয়ে প্রদর্শন করছি। কেউ দেখে আমাদের ঠোঁট, কেউ আমাদর স্তন, কেউ আমাদের শারীরিক ফিগার। সবকিছু ভালো করে দেখে কিনে নিয়ে যায়। বিধাতার দেয়া সেই অমূল্য তারকা, মুক্তোর দ্যুতির মর্যাদা হারিয়ে নিজেকে সামান্য পথপণ্য বানিয়েছি মুক্ত সুখের প্রলোভনে পড়ে। নৈতিক মূল্যবোধের চেয়ে বড় সৌন্দর্য্য আর কিছুই নাই। আজ তোমাদের মাঝেও দেখছি কিছু ফ্যাশান ম্যাগাজিনের কভার ছবিতে মুগ্ধ হয়ে তোমরাও এ বিষপেয়ালার দিকে ছুটে আসছো। ছোট হয়ে আসছে তোমাদের পরিধান। প্রদর্শনের প্রতিযোগিতায় নিজেকে শামিল করছো। বিভিন্ন এভিল কৌশলে ওরা তোমাদের তৃষ্ণার্ত করে তুলছে প্রিয় বোন আমার। যখন তোমরা প্রচন্ড তৃষ্ণার্ত হবে ঠিক সেই মুহর্তে ওরা বিষের পেয়ালা তোমাদের ঠোঁটে লাগিয়ে দিবে। আগেই বলেছি-এই বিষ একবার স্পর্শ করলে আর মুক্তি নাই। তাই বড় সাবধানে থেকো বোন আমার। আমরা ভুগছি, তাই আর কোন বোনকে চাইনা এ মরণব্যাধির মাঝে পড়ুক। ওরা আমাদের ব্রেইন ওয়াশড করেছে- যৌনতা পাপ নয়। ভুল, ভুল, ভুল সবই ভুল। পাপে কোনো লাভ হয়না। এতো শুধুই ক্ষতি। আর শুধুই প্রতারণা। ওরা আমাদের বুঝিয়েছে প্রতিটি সংসারে মুসলিম মহিলারা নির্যাতিতা। কিন্তু আমার মনে নেই কবে আমাদের সন্তান শেষবার আমাদের আঁচলে তার মুখ মুছেছিলো। মায়ের আঁচলের নীচে সন্তানের মুখ এর চেয়ে বড় স্বর্গীয় প্রশান্তি আর কি হতে পারে বলো বোন আমার। এবার দেখি কারা সত্যিকারের নির্যাতিতা। তোমাদের সবাই যখন সংসারে জায়নামাজে বসে গভীর রাতে পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে সিজদারত হয়ে পরস্পরের কল্যাণের জন্য মোনাজাত করো। আর আমরা তখন কোনো ক্লাবে অন্য কোনো পুরুষের বাহুলগ্না হয়ে বেসামাল হই। এরপর মদে বুঁদ হয়ে টলতে টলতে ঘরে ফিরি। অথবা আমাদের পুলিশ আমাদের ঘরে পৌঁছে দেয়। আমরা মায়েরা সন্তানকে মাতৃত্বের আঁচল দিতে পারিনি, ২১ বছর হলেই এগিয়ে দিয়েছি মদের পেয়ালা। এবার বুঝো বোন আমার আসল সুখ কোথায়, আর কেন তোমাদের জন্য আমার এতো হিংসা হয়। শত শত বোমা তোমাদের ভূমি ক্ষত বিক্ষত করেছে, কিন্তু সংসার ভাঙ্গতে পারেনি। আর আমরা অর্থ, বিত্ত, বৈভব আর প্রাচুর্যে থেকেও আমাদের সংসার বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্নেহ, মায়া, মমতা, পারষ্পরিক সৌহার্দ্য, বড়দের ভক্তি, ছোটদের স্নেহ, ভাইবোনের নিবিঢ় সম্পর্ক নেই বলেই আজ কৌশলে আমরা বিভিন্ন দিবস বানিয়ে মার্কেটে ছেড়ে দিয়েছি। নাম দিয়েছি ভালোবাসা দিবস, মা-বাবা, বোন, বন্ধু দিবস। দিবসগুলো আমাদের কিছু কার্ড, ফুল আর চকোলেট দিয়েছে। কিন্তু সেই স্বর্গীয় ভালোবাসা, মাতা-পিতার অকৃত্তিম মায়ার বন্ধন ফিরিয়ে দিতে পারেনি। প্রিয় বোন আমার হয়তোবা অনেকেই ওপরে যে কথাগুলো বললাম, তা স্বীকার করবেনা। কিন্তু এটাই সত্য। এখানে জন্ম আমার, বেড়ে ওঠা, শিক্ষা আমার, নষ্ট হয়ে যাওয়া আমার। একথাগুলো কেউ আমাদের বলেনি। আর বলবেও না। পিতাহীন একজন সন্তান যখন শুধু পাপের মাঝে জন্ম আর পাপের মাঝে বড় হয় তখন তাকে কে রক্ষা করবে বলো। এ সভ্য বোমা তিল তিল করে পৃথিবীর চোখের আড়ালে আমাদের নষ্ট করে দিয়েছে, বোন আমার। আমিও চাইনা এ পাপ তোমাদের সমাজকেও কলুষিত করুক। তখন সমাজ বলতে আর কিছুই রবেনা। হয়ে ওঠবে এক পশু সমাজ। বিনীত তোমার এক অখ্যাত খ্রীস্টান বোন Joanna Francis, Writer, Journalist-USA Dated, March 7, 2007 অনুবাদ করেছেন আরিফ মাহমুদ ছোট গল্পকার, আটলান্টা, যুক্তরাষ্ট্র সংগৃহীত
Posted on: Mon, 08 Sep 2014 15:30:57 +0000

© 2015