ম্যাজিক বুলেট - TopicsExpress



          

ম্যাজিক বুলেট পেনিসিলিনের জীবনীঃ গর্বিত ইতিহাস ১৯২৮ সালের কথা । ইংল্যান্ডের লন্ডন শহর। স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং গেছেন বেড়াইতে বইনের বাসায়। পেনিসিলিয়াম নিয়া গবেষনা করছিলেন সেই সালে। বাসায় এসে দেখেন তার কালচার মিডিয়া তে কিনারা দিয়া কি যেন আস্তরন পড়ে আছে। মাইক্রোস্কোপের নিচে নিয়া দেখেন এই গুলা ব্যাকটেরিয়া। তার তো পুরা মাথা নষ্ট । কাজ করি ফাঙ্গাস নিয়া , ব্যাকটেরিয়া কেন ইন্তেকাল করলো। এই মারা যাওয়ার জন্য ফ্লেমিং স্যার হাইপোথেটিক্যাল্লি দায়ী করলেন ঐ নোটেটাম প্রজাতির পেনিসিলিয়ামকে। কিন্তু কি সেই মারন বিষ যা আরেক প্রজাতি ব্যাকটেরিয়া কে সমূলে ধ্বংস করে দিলো। একটু বলে রাখি যেই ব্যাকটেরিয়া মারা গেছিলো ,তার নাম- staphphylococcus. !!!!!!!!!!! শুরু করলেন নতুন গবেষনা। পেনিসিলিয়ামের মধ্যে থেকে কি কি বের হয় এবং তাদের কার্যকারিতা কি- ব্লা ব্লা নিয়া অনিশ্চিত এক তত্ত্ব আবিষ্কারের নেশা। অবশেষে ১৯২৯ সালে তিনি বের করলেন সেই “X factor”. যা কিনা ব্যাকটেরিয়া প্রজাতি হত্যার জন্য দায়ী। ফ্লেমিং স্যার নিজেকে না যার মধ্যে জিনিসটা পাইলেন, তার সম্মানার্থে নাম দিলেন “পেনিসিলিন”। এমনকি এটার যে থেরাপিউটিক ভেলু আছে সেটাও অগ্রিম ধারনা করেন। বলা হয়ে থাকে যে- ফ্লেমিং এর আগেই ১৮৯৬ সালে “আরনেস্ট দুশিনি” নামে এক ফ্রেঞ্চ ভদ্র লোক পেনিসিলিইয়াম থেকে কিছু কেমিকেল বের হয় যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।যার মধ্যে পেনিসিলিনও ছিল। অবশেষে ১৯৩৯ সালে অক্সফোর্ডের হাওয়ার্ড ফ্লোরি এই পেনিসিলিনের এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করে নোবেল পুরষ্কার হাতিয়ে নেন। আর এন্ড্রু ময়ের পেনিসিলিন উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পেনিসিলিয়াম ক্রাইসোজেনাম ব্যাবহার পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেন। ওয়াক্সম্যান এই আজিব জিনিসের নাম দেন এন্টিবায়োটিক। এখানে বায়োস না জীবন বলতে ব্যাকটেরিয়ার জীবননাশীতাকে বুঝানো হয়েছে। পেনিসিলিনের প্রথম ব্যবহার হয় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের D- day তে আহত সৈন্যদের wound ট্রিটমেন্টে। মজার বিষয় হলো ১৯৪৩ সালের জুলাই মাসে এক ডোজ পেনিসিলিনের দাম ছিলো সেই সময়কার ২০ মার্কিন ডলার। কিন্তু উৎপাদন বাড়ার সাথে সাথে ১৯৪৬ সালে এক ডোজের দাম হয়ে যায় মাত্র ৫৫ সেন্ট। পেনিসিলিনকে এক সময়ে চিকিৎসা শাস্ত্রের ম্যাজিক বুলেট বলা হতো। ইনফেকশন চিকিৎসায় এটা যেন ছিল অব্যর্থ নিশানা। কিন্তু দিনে তা রেজিস্ট্যান্ট হয়ে এবং hypersensitivity এর জন্য এর ব্যবহার এখন প্রায় চোখেই পড়ে না। তবুও ইতিহাস সাক্ষী। পেনিসিলিন বেঁচে থাকবে যত চিকিৎসা শাস্ত্র থাকবে। কিছু লুল ফ্যাক্ট এবাউট এন্টিবায়োটিকঃ ১। এন্টিবায়োটিক নামটা নিজেই একটা ভুল ব্যাখ্যা বহন করছে। ২। পেনিসিলিনের প্রথম পরীক্ষামূলক গবেষনা করা হয়েছে ইঁদুরের উপর। ৩। প্রথম মানুষ হিসেবে যে পেনিসিলিন নিয়েছিলেন, তার নাম ও আলেকজান্ডার। সেটা ১২ ফেব্রুয়ারী ১৯৪১ সালে। আলেকজান্ডার পেশায় পুলিশ ছিলো। (লুল) ৪। যেকোনো রেস্পিরেটরি সিম্পটমের ৬৮% প্রেসক্রিপশনে এন্টিবায়োটিক থাকে, যার ৮৮% ই unnecessary ব্যবহার ; সিডিসি এর গাইডলাইন অনুযায়ী। ৫। আমেরিকাতে শুধু একটা সিম্পটমের জন্যই unnecessary এন্টিবায়োটিক খরচ বছরে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার। এই দেশে প্রায় তার ১ লাখ গুন বেশি।
Posted on: Thu, 05 Sep 2013 05:48:01 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015