রাজীব হত্যাকান্ডে - TopicsExpress



          

রাজীব হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত নর্থসাউথের ৬ জন ছাত্রের মাঝে ৪ জন ছাত্র অনিক, দ্বীপ, রুম্মান ও সাদমান আছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নাইনটি/৯০ সেলে। এদের মাঝে আমার শুধু অনিকের নাম ঠিকানা ভাল করে মনে আছে। আপনারা যে কেউ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যর্থনা কক্ষে যেয়ে সাক্ষাত ফর্মে মাকসুদুল হাসান অনিক, পিতা: আব্দুল হাফিজ, থানা: কেরাণীগজ্ঞ, জেলা: ঢাকা লিখলেই কিছুক্ষন পর অনিক কে ডেকে দিবে। আর রাজীব হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত নর্থসাউথের বাকী ২ জন ছাত্র নাফিস ও ইরাদ আছে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে চন্দ্রা ভবনের ৪র্থ তলায়। নাফিস ও ইরাদের সাথে সাক্ষাত করতে চাইলে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে সাক্ষাত ফর্মে লিখবেন নাফিস ইমতিয়াজ, পিতা: হুমায়ন কবির, থানা: সন্দ্বীপ, জেলা: চট্টগ্রাম। আর ইরাদের সাথে সাক্ষাত করতে চাইলে সাক্ষাত ফর্মে লিখবেন নাঈম শিকদার ইরাদ, পিতা: মুকীম শিকদার, থানা: ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর, জেলা: ব্রাক্ষণবাড়িয়া। আর বুয়েটের দ্বীপ হত্যা মামলার আসামী মেছবাহ থাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ১৪ সেলে। অনিক দ্বীপ রুম্মান নাফিস ইরাদ সাদমান ও মেছবাহ তারা হচ্ছে আমাদের জাতীয় বীর। আপনারা সবাই তাদের জন্য খুব বেশী করে দোয়া করবেন যাতে তারা খুব দ্রুত কারাগার থেকে মুক্তি পায়। বাংলাদেশে তো প্রায়ই রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনেক রাজনৈতিক খুনীকে ক্ষমা করা হয়। তো অনিক দ্বীপ রুম্মান নাফিস ইরাদ সাদমান ও মেছবাহ কে সরকার ক্ষমা করে দিলে তো আর মহাভারত অশুদ্ধ হবে না। আর থাবা বাবা ওরফে রাজীব তো ছাত্রলীগের কেউ ছিল না যে তার জন্য আওয়ামী লীগের দরদ উথলায়ে উঠবে। গ্রাম অঞ্ঝলে ধানক্ষেতে, সরিষার ক্ষেতে কত লাশ পইড়া থাকে তার কোন খবর নাই আর কোথাকার কোন রাজীব যে একটা নরকের কীট তার জন্য বামপন্থী মিডিয়া গুলির কি মায়াকান্না। ১৯৭৪ কবি দাউদ হায়দার দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় "কালো সূর্যের কালো জোত্‍স্নায় কালো বন্যায়" এই নামে একটি কবিতা লিখে সেই কবিতার বিভিন্ন জায়গায় কবি দাউদ হায়দার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে তীব্রভাবে কটাক্ষ করে। এরপর বঙ্গবন্ধু কবি দাউদ হায়দার কে গ্রেফতার করে কিছুদিন জেল খাটায়। তারপর ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু কবি দাউদ হায়দার কে বাংলাদেশ পরিত্যাগ করতে বলেন। বঙ্গবন্ধুই কিন্তু ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা। বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগেই কিন্তু সারা পৃথিবীর মাঝে কমিউনিসম রাশিয়ায় প্রথম তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ থেকেই যায়। টঙ্গীর তুরাগ নদীর পারটা কিন্তু বঙ্গবন্ধুই লিখিত ভাবে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব এজতেমার জন্য স্থায়ী করে দেন। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো বঙ্গবন্ধুরই কন্যা। তো শেখ হাসিনারও উচিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে ব্যঙ্গ কবিতা লেখার কারনে বঙ্গবন্ধু যেমন কবি দাউদ হায়দার কে কারাগারে পাঠিয়েছিল ঠিক তেমন এখনো বিভিন্ন বাংলা ব্লগে ও ফেইসবুকে যারা প্রতিনিয়ত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে অশ্লীল কথা বলছে তাদের কে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো। ধর্মকারী ওয়েবসাইটটির হালনাগাদ এখন বন্ধ হলেও মুক্তব্লগে কিন্তু এখনো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে প্রতিদিন অনেক কুত্‍সা রটানো হয়। আর সাদিয়া সুমি উজ্জা, দাঁড়িপাল্লা ধমাধম, দিগম্বর পয়গম্বর এরকম আরো বিভিন্ন ছদ্ম নামের ২০/৩০ টি আইডি প্রতিনিয়ত অনলাইন জগতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গালিগালাজ করেই যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ দলটি যদি এখনো কুলাঙ্গার নাস্তিক ব্লগারদের বিরুদ্ধে কঠোর না হয় তবে আওয়ামী লীগ দলটি একসময় জনসমর্থন হারিয়ে মুসলীম লীগ দলটির মত একটি ক্ষুদ্র দলে পরিণত হয়ে যাবে। আচ্ছা ১৯৭৫ সালের দিকে আওয়ামী লীগ দলটি কি কখনো কল্পনা করেছিল যে তারা একটানা আর ২১ বছর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই এখনো আওয়ামী লীগের জন্য সময় আছে যে নাস্তিকদের ব্যাপারে কঠোর হওয়া ও অনিক, দ্বীপ, রুম্মান, নাফিস, ইরাদ, সাদমান ও মেছবাহ কে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া।
Posted on: Wed, 28 Aug 2013 16:20:52 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015