শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সবাই পাকিস্তানপন্থী সুবিধাভোগী ছিলেন। শুধু বেতন-ভাতার জন্য তারা পালিয়ে যাননি, বরং ঢাকায় অবস্থান করেছেন এবং এ কারণেই তারা মৃত্যুবরণ করেছেন। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করা হয়, বাংলাদেশ স্বাধীন হবে এইটুকু বোঝার মত বুদ্ধি ওই বুদ্ধিজীবীদের ছিল না। ডিসেম্বর মাসে দেশ স্বাধীন হবে- বাংলাদেশের ওই বুদ্ধিজীবীরা যদি এটা বুঝতে পারতেন, এটি যদি তাদের বুদ্ধিতে কুলাতো, অতো বুদ্ধি যদি তাদের থাকতো, তাহলে তারা নভেম্বরের শেষদিকে ঢাকা থেকে পালাতেন। তারা মনে করেছেন, এই দেশ স্বাধীন হবে না, আর হলেও কতদিনে হবে তার ঠিক নেই। আমরা আরো দু’চার বছর বেতন-টেতন ঠিকমতো নিয়ে ঢাকা শহরে ঠিকই থাকতে পারবো। যে মানুষগুলো পাকিস্তানের জন্য ডিসেম্বরের ১৩/১৪ তারিখ পর্যন্ত নিজেদের সমস্ত মেধা পাকিস্তানকে দান করেছেন, তাদেরকে আমরা কেন-যে এত সম্মান দিলাম! উপরের কথাগুলো বলেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি, বিখ্যাত টাইগার সিদ্দিকি। এবার আপনাদের সাথে আরেকটা ঘটনা শেয়ার করছিঃ ...১৬ ডিসেম্বর। জেনারেল আরোরা কাদের সিদ্দিকিকে পাকি জেনারেল নিয়াজীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। এই হচ্ছে সিদ্দিক, টাইগার সিদ্দিক, নিয়াজি কাদের সিদ্দিকির দিকে করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়। তিনি ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেন নিয়াজীর হাত, বলেন; যারা নারী ও শিশুদের হত্যা করে, আমি তাদের সাথে করমর্দন করি না... কাদের সিদ্দিকির মত মানুষদের জন্য শ্রেষ্ঠ কথাটা বলেছেন হুমায়ূন আজাদ স্যার; একজন রাজাকার চিরদিনই রাজাকার, কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা চিরদিন মুক্তিযোদ্ধা নয়... লিখেছেন - আরিফ রহমান
Posted on: Tue, 09 Dec 2014 18:57:38 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015