সেক্স করার জন্য মেয়েদের এতোটা কষ্ট করতে হয় ভাবলেই গা শিওরে ওঠে! কতটা সেক্স পাগল ওরা! প্রথমে হাজার সেক্রিফাইজ করে একটা প্রেম টিকিয়ে রাখতে হয়। অতঃপর মা- বাবাকে ঠকাতে হয়। ভাইয়াদের ঠকাতে হয়। প্রেমিকের বন্ধুর কাছে ছোট হতে হয়। অতঃপর সেক্স! আবার যদি সেক্স করে প্রেগনেন্ট হয়ে যায় তাহলে দুনিয়াতেই সে কিয়ামত দেখতে পাবে! একটু বুঝিয়ে বলতে একটা গল্প বলিঃ ছেলে মেয়ের গভীর প্রেম চলছে। ছেলেটা মেয়েটাকে বলল তোমাকে ছাড়া অন্য কাওকে বিয়ে করার প্রশ্নই ওঠে না! বিয়ে তো করবোই। চলো সেক্স করি! যৌবনটা কেন নষ্ট করবো? মেয়েটা রাজি হয়। ছেলেঃ আমাদের রুম ডেট হবে 32 তারিখ! মেয়েঃ ঠিক আছে। ছেলেঃ হ্যালো লিটন, তোর ফ্ল্যাটের চাবিটা রেখে যাইস। মাগিটারে পটায়া ফেলছি! মেয়েঃ আম্মু আমার না 32 তারিখ একটা এক্সাম আছে। এক্সামের পর এক বান্ধবীর বাসায় দাওয়াত আছে। ফিরতে দেরি হবে। আব্বু তুমি টেনশন করো না। আরলি ফিরে আসবো। ভাইয়া তোকে আমায় এগিয়ে আনতে হবে না। বিশ্বাস রাখিস তোর বোন আর 10 টা মেয়ের মতো খারাপ না। বাড়ির সবাইকে ম্যানেজ করে মেয়ে চলল লিটনের ফ্ল্যাটে! পেছনে ফেলে গেল সমাজ! সমাজ আজ খুব তুচ্ছ! লিটনের ফ্ল্যাটটাই অনেক বড়! যাওয়ার পথে সমাজ বলল যাও মা যাও। তবে সমাজের মান সম্মানটা একটু রেখে চলো। অতপর ফ্ল্যাটে এসে হাজির। ছেলেঃ এত্ত দেরি করলা ক্যান? এমন শুভ কাজে কেও এত্ত দেরি করে? তোমার জ্ঞান কবে হবে বলতো? এটা হল অমুক, ও তমুক, ও তমুক ও তমুক। ওরা আমার ফ্রেন্ড। খুব ভাল ছেলে ওরা। দুনিয়া ওল্টে যাবে কিন্তু এ কথা কাওকে বলবে না। মেয়েঃ ভাইয়ারা ভাল আছেন? বন্ধুরাঃ (মনে মনে) শালী বন্ধুর সামনে বৌ এর সাথে তো কোন পাগলেও সেক্স করে না। করে? যে ছেলে বন্ধুদের জানিয়ে সেক্স করে সে কি আর তোরে বিয়ে করবে? ওর একটা মান সম্মান আছে না? (প্রকাশ্যে) ভাবি ও কিন্তু খুব লাজুক টাইপের ছেলে! ওকে একটু ভাল করে টেক কেয়ার কইরেন! ও মেয়েদের সাথে কথা বলতেই ভয় পায় তো....! আমরা বাইরে আছি। অতপর সেক্স হয়ে গেল। এবার ছেলের পালা প্রকাশ্যে বলার। মেয়েঃ বিয়ে করবা কবে? ছেলেঃ মাথা খারাপ! তোর মত একটা বাজে চরিত্রের মেয়েকে বিয়ে করবো! তুই বিয়ের আগে আমাকে দেহ দিছিস, এর আগে না জানি আরো কত্ত ছেলেকে তোর দেহ দিছিস! তোকে আমি বিশ্বাস করি না! মেয়েটা কেঁদে কেঁদে বাসায় ফিরবে। মা বলবে জলদি খেতে আয়। রোদে ঘুরে চেহারাটার কি হইছে দেখছিস? বাবা বলবে নে মা তোর জন্য এ মাসের বেতনের টাকায় এতো এতো পোশাক কিনছি। পরে দেখ। ভাইটা বলবে আপুরে দিনকাল ভাল না। ছেলেরা তোকে টিজ করতে পারে। একটু সাবধানে চলিস। আর মেয়েটা তখন তার সর্বস্ব হারিয়ে অনুশোচনায় সিক্ত, রিক্ত, বেদনার্ত। অতঃপর আবার ছেলেটার খোঁজে.... মেয়েঃ জান তুমি কই? ছেলেঃ ব্যস্ত আছি। মেয়েঃ আমাকে 5 মিনিট সময় দিবা? ছেলেঃ এত্ত টাইম কই? কি কইবা কও? মেয়েঃ আমাকে তারাতারি বিয়ে করো। ছেলেঃ 5 বছর টাইম দাও। নিজের পায়ে খাড়ায়া লই। এহন তোমারে খাওয়ামু কি? মেয়েঃ প্রয়োজনে গাছ তলায় ঘর বাধবো! ছেলেঃ কি হারামি মেয়েরে মাইরি! তোমার বাপ মায় তোমারে কষ্ট কইরা মানুষ করে নাই? ওদের কথা একটু ভাববা না? আর তোমার ফ্যামিলির কথা তুমি না ভাবতে পারো আমার ফ্যামিলিকে আমি ফেলতে পারবো না। কারণ তারা আমাকে অনেক পরিশ্রম করে মানুষ করছে! মেয়েঃ আমি কিচ্ছু বুঝিনা। শুধু তোমাকে চাই! ছেলেঃ প্যাচাল কম। বিয়া 5 বছর পর কিন্তু রুম ডেট 2 দিন পর পরই হবে। রাজি আছো? মেয়েঃ রাজিও হতে পারে আবার নাও পারে। কিন্তু এরপর থেকে সে এক জ্বালাময়ী জীবন শুরু করে॥ সে জ্বালাময়ী জীবন কত দিন দীর্ঘস্থায়ী হয় তা আমি জানি না। গল্পটা এখানেই শেষ না হয়ে যদি মেয়েটা প্রেগনেন্ট হয় বা ঘটনাটা সমাজের সবাই জেনে ফেলে তখন মেয়েটার জীবনটা কেমন হবে? ঘটনাটা অশ্লীল হলে ও বাস্তবতার সাথে অনেকটা মিল.... আমি জানি আমার স্টাটাস টা পড়ে অনেকে রাগ করেছে। কিন্তু আমি এই স্টাটাস টা দিছি শুধু মাত্র ছেলে মেয়েদের সচেতন করার জন্য। আপুদের বলছি যে তোমরা ছেলেদের মিষ্টি কথাতে ভুলবেন না। লাইক দিয়ে পেজে একটিভ থাকুন #RIYADH
Posted on: Mon, 07 Jul 2014 21:46:42 +0000